শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ১১৫৭
নামাযের অধ্যায়
১৩-সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৫৭। রবী' ইবন সুলায়মান আল-জীযী (রাহঃ)...... যুরাকিয়্যীন এর আযাদকৃত গোলাম সাঈদ ইবন সামআন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাদের নিকট এলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন হাত দু'টি প্রসারিত করে উপরে তুলতেন।

ব্যাখ্যা
একদল আলিম এমত পোষণ করেছেন যে, পুরুষ যখন সালাত শুরু করবে তখন হাত দু'টি প্রসারিত করে উপরে উঠাবে। কিন্তু তাঁরা এ ব্যাপারে কোন সীমা নির্দিষ্ট করেননি। তাঁরা এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, তার জন্য হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উঠানো শ্রেয়। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন:
كتاب الصلاة
بَابُ رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ إِلَى أَيْنَ يَبْلُغُ بِهِمَا؟
1157 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانُ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَمْعَانَ، مَوْلَى الزُّرَقِيِّينَ قَالَا: دَخَلَ عَلَيْنَا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ مَدًّا وَلَمْ يُوَقِّتُوا فِي ذَلِكَ شَيْئًا وَاحْتَجُّوا بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا , بَلْ يَنْبَغِي , لَهُ أَنْ يَرْفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৫৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৫৮। রবী' ইব্ন সুলায়মানুল মুয়াযযিন (রাহঃ)..... আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন ফরয সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উঠাতেন।
كتاب الصلاة
1158 - بِمَا حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬১
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৫৯-১১৬১। ইউনুস ইবন আব্দিল আ'লা (রাযিঃ).... সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দেখেছি, তিনি যখন সালাত শুরু করতেন তখন হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উপরে উঠাতেন।

ইউনুস (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ)..... ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الصلاة
1159 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ»

1160 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ح

1161 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , عَنْ مَالِكٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬২
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬২। ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ) ....... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সালিম ইবন আব্দিল্লাহ (রাহঃ)-কে দেখেছি, তিনি যখন সালাত শুরু করতেন তখন হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আমি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি ইবন উমার (রাযিঃ)-কে অনুরূপ করতে দেখেছি। এবং ইবন উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে অনুরূপ করতে দেখেছি।
كتاب الصلاة
1162 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ جَابِرٍ , قَالَ: رَأَيْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ , رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ. فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَفْعَلُ ذَلِكَ , وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৩
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৩। আবু বাকরা (রাহঃ) ....... মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইবন আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবু হুমায়দ সাঈদী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি এবং তিনি নবী (ﷺ)-এর দশজন সাহাবা’র সাথে উপস্থিত ছিলেন; যাদের মধ্যে আবু কাতাদা (রাযিঃ) ছিলেন অন্যতম। বর্ণনাকারী বলেন, আবু হুমায়দ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত আছি। তাঁরা বললেন, কেন? আল্লাহর কসম! তুমি না-ত আমাদের অপেক্ষা অধিক তাঁর অনুসরণকারী, না তাঁর সংস্পর্শে আমাদের অপেক্ষা অগ্রগামী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, কেন হবো না। তাঁরা (সাহাবা) বললেন, আচ্ছা উপস্থাপন করুন! তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সালাত শুরু করতেন তখন হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তারা সকলে বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। তিনি (ﷺ) অনুরূপভাবে সালাত আদায় করতেন।

ব্যাখ্যা
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেন, সালাতের শুরুতে তাকবীর বলার সময় হাত দু'টি কাঁধ বরাবর উঠাবে, তা অতিক্রম করবে না। তাঁরা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। আর আমাদের মতে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসের বিষয়বস্তু এর পরিপন্থী নয়। যেহেতু তাতে এতটুকু উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন হাত দু'টি প্রসারিত করে উঠাতেন। এই হাদীসে ঐ প্রসারিত দ্বারা শেষ প্রান্তের উল্লেখ নেই যে, কোন্ স্থান পর্যন্ত উঠাতেন। সম্ভবত দুই কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছাতেন (উঠাতেন)। আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সালাতের পূর্বে দু'আর জন্য (হাত) উঠাতেন। তারপরে সালাতের জন্য তাকবীর বলতেন এবং দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন।

সুতরাং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস সালাতের জন্য দাঁড়াবার সময় দু'আর জন্য হাত উঠানোর ক্ষেত্রে এবং আলী (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীস তার পরে সালাতের শুরুতে হাত উঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যেন এই সমস্ত হাদীসগুলো পরস্পর বিরোধী না হয়। এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ (তাঁদের) বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সালাতের শুরুতে হাত দুই কান পর্যন্ত উঠান হবে।
كتاب الصلاة
1163 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: " أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: لِمَ؟ فَوَاللهِ مَا كُنْتَ أَكْثَرَنَا لَهُ تَبِعَةً وَلَا أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً. فَقَالَ: بَلَى قَالُوا فَاعْرِضْ. فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ قَالَ: فَقَالُوا جَمِيعًا: صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: الرَّفْعُ فِي التَّكْبِيرِ فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ يَبْلُغُ بِهِ الْمَنْكِبَيْنِ وَلَا يُجَاوِزَانِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَكَانَ مَا فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عِنْدَنَا غَيْرَ مُخَالِفٍ لِهَذَا ; لِأَنَّهُ إِنَّمَا ذَكَرَ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا , فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ ذِكْرُ الْمُنْتَهَى بِذَلِكَ الْمَدِّ إِلَيْهِ أَيُّ مَوْضِعٍ هُوَ. قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ يَبْلَعُ بِهِ حِذَاءَ الْمَنْكِبَيْنِ , وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الرَّفْعُ قَبْلَ الصَّلَاةِ لِلدُّعَاءِ , ثُمَّ يُكَبِّرُ لِلصَّلَاةِ بَعْدَ ذَلِكَ , وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ. فَيَكُونُ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى الرَّفْعِ عِنْدَ الْقِيَامِ لِلصَّلَاةِ لِلدُّعَاءِ , وَحَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلَى الرَّفْعِ بَعْدَ ذَلِكَ , عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , حَتَّى لَا تَتَضَادَّ هَذِهِ الْآثَارُ. وَخَالَفَ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: يَرْفَعُ الْأَيْدِيَ فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , حَتَّى يُحَاذِيَ بِهَا الْأُذُنَانِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৪
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৪। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ দিয়েছেন :
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) যখন সালাত শুরু করার জন্য তাকবীর বলতেন তখন হাত দু'টি এতটুকু উঠাতেন যে, তাঁর এই বৃদ্ধাঙ্গুলী দুই কানের লতির নিকটবর্তী হয়ে যেত।
كتاب الصلاة
واحتجوا في ذلك بما

1164 - قد حدثنا أبو بكرة قال: ثنا مؤمل بن إسماعيل , قال: ثنا سفيان , قال: ثنا يزيد بن أبي زياد , عن ابن أبي ليلى , عن البراء بن عازب قال: «كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا كبر لافتتاح الصلاة , رفع يديه , حتى يكون إبهاماه قريبا من شحمتي أذنيه»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৬
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৫-১১৬৬। আবু বাকরা (রাহঃ)..... ওয়াইল ইবন হুজর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী (ﷺ)-কে দেখেছি, যখন তিনি সালাতের জন্য তাকবীর বলতেন তখন হাত দু'টি উভয় কান পর্যন্ত উঠাতেন।

সালিহ ইবন আব্দির রহমান (রাহঃ).....আসিম ইব্ন কুলাইব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الصلاة
1165 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ , قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يُكَبِّرُ لِلصَّلَاةِ , يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِيَالَ أُذُنَيْهِ»

1166 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৭
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৭। মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইবন ইউনুস আস-সূসী আল-কুফী (রাহঃ).... মালিক ইবন হুয়াইরিস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এমন কি তিনি হাত দুটি কানের উপরে নিয়ে যেতেন।
كتاب الصلاة
1167 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ السُّوسِيُّ الْكُوفِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ , عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: «حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فَوْقَ أُذُنَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৮। আবুল হুসাইন মুহাম্মাদ ইবন আব্দিল্লাহ ইব্ন মুখাল্লাদ আল ইসবাহানী (রাহঃ) .......... আবু হুমায়দ আস-সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বলতেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত আছি। তিনি যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলতেন এবং হাত দু'টি চেহারা বরাবর উঠাতেন।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর মন্তব্য
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত এই সমস্ত হাদীস, যাতে হাত উঠানোর উল্লেখ রয়েছে, তা কোন্ পর্যন্ত উঠাবে সে ব্যাপারে পরস্পর বিরোধি হয়ে গেল এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস যা আমরা শুরুতে উল্লেখ করেছি, এর পরিপন্থী না হওয়া সাব্যস্ত হয়ে গেল, তাই আমরা চাচ্ছি, এই দুই বিষয়বস্তুকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব যে, এর কোন্ বক্তব্য গ্রহণ করা উত্তম । আমরা দেখছি :
كتاب الصلاة
1168 - وَبِمَا قَدْ حَدَّثَنِي أَبُو الْحُسَيْنِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: ثنا عُتْبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ , عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَدَوِيِّ , عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ «أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِأَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حِذَاءَ وَجْهِهِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , الَّتِي فِيهَا بَيَانُ الرَّفْعِ إِلَى أَيِّ مَوْضِعٍ هُوَ , فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي انْتَهَى بِهِ , وَخَرَجَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , الَّذِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ , أَنْ يَكُونَ مُضَادًّا لَهَا , أَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ أَيُّ هَذَيْنِ الْمَعْنَيَيْنِ أَوْلَى أَنْ يُقَالَ: بِهِ؟
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৬৯
নামাযের অধ্যায়
সালাতের শুরুতে কোন পর্যন্ত হাত উত্তোলন করবে
১১৬৯। ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ) ......ওয়াইল ইবন হুজর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার নবী (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে দেখলাম, তিনি যখন তাকবীর বলতেন, রুকূ করতেন ও সিজ্দা করতেন তখন দুই কান পর্যন্ত হাত উঠাতেন। আর আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি (ওয়াইল রা) আরো কিছু উল্লেখ করলেন। তারপর পরের বছর তাঁর নিকট এলাম এবং তাঁদের (সাহাবীগণের) পরণে ছিল চাদর ও টুপি। তাঁরা তার ভিতর থেকেই হাত উঠাতেন। বর্ণনাকারী শরীক (রাহঃ) নিজের বুকের দিকে ইশারা করেছেন।

ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
সুতরাং ওয়াইল ইব্ন হুজর (রাযিঃ) তাঁর এই হাদীসে বলছেন যে, তাঁরা নিজেদের হাত কাঁধ পর্যন্ত এ জন্য উঠাতেন যে, তখন তাঁদের হাত ঐ সমস্ত কাপড়ের (চাদরের) ভিতরে থাকত। আরো বলছেন, যখন তাদের হাত কাপড়ের ভিতরে না থাকত, তখন তা কান পর্যন্ত উঠাতেন। তাই আমরা তাঁর পূর্ণ রিওয়ায়াতের উপর আমল করেছি। আমাদের মতে যখন শীতের কারণে হাত কাপড়ের ভিতরে থাকত তখন যতটুকু সম্ভব হাত উঠাতেন আর তা হল দুই কাঁধ বরাবর। আর যখন হাত খোলা অবস্থায় থাকত তখন কান বরাবর উঠাতেন। যেমনটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমল করেছেন।

বস্তুত ইব্ন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসমূহ অনুরূপ হাদীস যাতে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানোর বিষয় উল্লেখ রয়েছে, সেইগুলোকে হাত খোলা থাকা অবস্থার উপর প্রয়োগ করা জায়িয হবে না, যেহেতু সম্ভাবনা রয়েছে তা কাপড়ের ভিতরে ছিল। ফলে বিষয়টি ওয়াইল ইভন হুজর (রাযিঃ)-এর হাদীসের পরিপন্থী সাব্যস্ত হবে এবং উভয় হাদীসের মধ্যে পরস্পরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হবে। বরং আমরা উভয় হাদীস ঐকমত্যের উপর প্রয়োগ করার প্রয়াস পাব। তাই আমরা ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসকে সেই অবস্থার উপর প্রয়োগ করব যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাত কাপড়ের ভিতরে থাকত। যা ওয়াইল ইবন হুজর (রাযিঃ) তাঁর হাদীসে উদ্ধৃত করেছেন। পক্ষান্তরে ওয়াইল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা কিছু রিওয়ায়াত করেছেন তা প্রয়োগ করব সেই অবস্থার উপর যে, তিনি তা করেছেন শীত না থাকার অবস্থায়, অর্থাৎ দুই কান বরাবর হাত উত্তোলন করেছেন। সুতরাং এই মত গ্রহণ করা এবং এর পরিপন্থীকে পরিত্যাগ করা মুস্তাহাব (উত্তম) হবে।

আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে যা কিছু আমরা রিওয়ায়াত করেছি সেটা সঠিক নয়। তা আমরা শীঘ্রই 'রুকুতে হাত উঠানো' শীর্ষক অনুচ্ছেদে বর্ণনা করব ইন্শা আল্লাহ্। এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নির্ধারণের দ্বারা সব্যস্ত হল যে, ওয়াইল (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন তা এটাই যা আমরা পৃথক পৃথক বিস্তারিত বর্ণনা করেছি অর্থাৎ তিনি (ﷺ) যা শীতের অবস্থায় ও শীত না থাকা অবস্থায় করেছেন। আর এটাই হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
كتاب الصلاة
1169 - فَإِذَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: " أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَرَأَيْتُهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِذَاءَ أُذُنَيْهِ إِذَا كَبَّرَ , وَإِذَا رَفَعَ , وَإِذَا سَجَدَ , فَذَكَرَ مِنْ هَذَا مَا شَاءَ اللهُ. قَالَ: ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ , وَعَلَيْهِمُ الْأَكْسِيَةُ وَالْبَرَانِسُ فَكَانُوا يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِيهَا , وَأَشَارَ شَرِيكٌ إِلَى صَدْرِهِ «فَأَخْبَرَ وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ فِي حَدِيثِهِ هَذَا أَنَّ رَفْعَهُمْ إِلَى مَنَاكِبِهِمْ , إِنَّمَا كَانَ لِأَنَّ أَيْدِيَهُمْ كَانَتْ حِينَئِذٍ فِي ثِيَابِهِمْ , وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ كَانُوا يَرْفَعُونَ إِذَا كَانَتْ أَيْدِيهِمْ لَيْسَتْ فِي ثِيَابِهِمْ , إِلَى حَذْوِ آذَانِهِمْ. فَأَعْمَلْنَا رِوَايَتَهُ كُلَّهَا فَجَعَلْنَا الرَّفْعَ إِذَا كَانَتِ الْيَدَانِ فِي الثِّيَابِ لِعِلَّةِ الْبَرْدِ إِلَى مُنْتَهَى مَا يُسْتَطَاعُ الرَّفْعُ إِلَيْهِ , وَهُوَ الْمَنْكِبَانِ. وَإِذَا كَانَتَا بَادِيَتَيْنِ , رَفَعَهُمَا إِلَى الْأُذُنَيْنِ , كَمَا فَعَلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَمْ يَجُزْ أَنْ يَجْعَلَ حَدِيثَ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَا أَشْبَهَهُ , الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ رَفْعِ الْيَدَيْنِ إِلَى الْمَنْكِبَيْنِ كَانَ ذَلِكَ وَالْيَدَانِ بَادِيَتَانِ. إِذَا كَانَ قَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَا , كَانَتَا فِي الثِّيَابِ , فَيَكُونُ ذَلِكَ مُخَالِفًا , لِمَا رَوَى وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ , فَيَتَضَادَّ الْحَدِيثَانِ. وَلَكِنَّا نَحْمِلُهُمَا عَلَى الِاتِّفَاقِ , فَنَجْعَلُ حَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَدَاهُ فِي ثَوْبِهِ , عَلَى مَا حَكَاهُ وَائِلٌ فِي حَدِيثِهِ. وَنَجْعَلُ مَا رَوَى وَائِلٌ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَعَلَهُ , فِي غَيْرِ حَالِ الْبَرْدِ , مِنْ رَفْعِ يَدَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ فَيُسْتَحَبُّ الْقَوْلُ بِهِ وَتَرْكُ خِلَافِهِ. وَأَمَّا مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , فَهُوَ خَطَأٌ , وَسَنُبَيِّنُ ذَلِكَ فِي» بَابِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الرُّكُوعِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ , مَا رَوَى وَائِلٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا فَصَّلْنَا , مِمَّا فَعَلَ فِي حَالِ الْبَرْدِ , وَفِي غَيْرِ حَالِ الْبَرْدِ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক: