শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮ টি

হাদীস নং: ২৫৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৭৬
নামাযের অধ্যায়
৬৬. সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৭৫-২৫৭৬। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....ইমরান ইব্‌ন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে নিয়ে যুহরের সালাত তিন রাক’আত আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরিয়ে তাশরীফ নিয়ে গেলেন তখন খিরবাক তাঁকে বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি তো তিন রাক’আত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, তখন তিনি এসে এক রাক’আত আদায় করলেন তারপর সালাম ফিরে দুই সিজ্‌দা সাহো করেন এবং (সালাতের) সালাম ফিরান।

নাস্‌র ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....খালিদ আল-হায্যা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ পরে তাঁর নিকট খিরবাক দাঁড়িয়ে গিয়েছেন এবং তিনি (খিরবাক) ধারণা করেছেন যে, তা ছিল আসরের সালাত ।
كتاب الصلاة
بَابُ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ لِمَا يَحْدُثُ فِيهَا مِنَ السَّهْوِ
2575 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا شَيْخٌ , أَحْسَبُهُ أَبَا زَيْدٍ الْهَرَوِيَّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا قِلَابَةَ يُحَدِّثُ عَنْ عَمِّهِ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمُ الظُّهْرَ ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ , ثُمَّ سَلَّمَ وَانْصَرَفَ. فَقَالَ لَهُ الْخِرْبَاقُ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّكَ صَلَّيْتَ ثَلَاثًا , قَالَ: فَجَاءَ فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , ثُمَّ سَلَّمَ "

2576 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: «فَقَامَ إِلَيْهِ الْخِرْبَاقُ وَزَعَمَ أَنَّهَا صَلَاةُ الْعَصْرِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭৭
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৭৭। ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).....ইমরান ইব্‌ন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিন রাক’আতে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন এবং রাগান্বিতভাবে হুজরা শরীফে প্রবেশ করেন। তখন দীর্ঘ হাত বিশিষ্ট খিরবাক নামক এক ব্যক্তি উঠে বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি হ্রাস হয়ে গেল, না আপনি ভুল করেছেন ? রাবী বলেন, তিনি নিজ চাদর টানতে টানতে বের হলেন এবং (এ সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করলেন। তাঁকে খবর দেয়া হলে তিনি ছেড়ে দেয়া রাক’আতটি আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তারপর দুই সিজ্‌দা (সাহো) করলেন এবং সালাম ফিরালেন।
كتاب الصلاة
2577 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ خَالِدٍ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: " سَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثِ رَكَعَاتٍ , فَدَخَلَ الْحُجْرَةَ مُغْضَبًا. فَقَامَ الْخِرْبَاقُ , رَجُلٌ بَسِيطُ الْيَدَيْنِ , فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَقَصُرَتِ الصَّلَاةُ , أَمْ نَسِيتَ؟ قَالَ: فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ فَسَأَلَ , فَأُخْبِرَ , فَصَلَّى الرَّكْعَةَ الَّتِي كَانَ تَرَكَ وَسَلَّمَ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ , ثُمَّ سَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৭৮। ফাহাদ (রাহঃ).....ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদেরকে (চার রাক’আত) সালাতে দুই রাক’আতে ভুল করে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তাঁকে যুলইয়াদায়ন বললেন । পরে তিনি ইব্‌ন আউন (রাহঃ) ও হিশাম (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। আর তাঁদের উভয়ের হাদীস নিম্নরূপঃ তিনি (যুলইয়াদায়ন) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি হ্রাস হয়ে গেল ? তিনি বললেন, না। তারপর তিনি পরবর্তী দুই রাক’আত আদায় করলেন, এরপর সালাম দিয়ে দুই সিজ্‌দা সাহো করে সালাম ফিরালেন।
كتاب الصلاة
2578 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أُسَامَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى لِلنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ , فَسَهَا فَسَلَّمَ. فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ , فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ وَهِشَامٍ. وَحَدِيثُهُمَا أَنَّهُ قَالَ: " أَنَقَصَتِ الصَّلَاةُ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ: «لَا» فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ , ثُمَّ سَلَّمَ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , ثُمَّ سَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৮৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৮৭-২৫৮৮। আবু বাক্‌রা (রাহঃ) ও ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুই রাক’আতেই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। এতে তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি হ্রাস করা হলো? তিনি বললেন, ব্যাপার কি ? তিনি যা করেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে খবর দেয়া হলো, তখন তিনি (অবশিষ্ট) দুই রাক’আত আদায় করলেন, সালাম ফিরালেন। তারপর (শেষ বৈঠকে বসা অবস্থায় দুই সিজ্‌দা (সাহো) করলেন ।
كتاب الصلاة
2587 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ ح

2588 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: " سَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَقَصُرَتِ الصَّلَاةُ؟ فَقَالَ: «وَمَا ذَاكَ؟» فَأُخْبِرَ بِمَا صَنَعَ , فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ سَلَّمَ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৯১
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৮৯-২৫৯১। রবীউল মু’আয্‌যিন (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা সালাত আদায়কালে দুই রাক’আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন এবং তাশরীফ নিয়ে গেলেন। যুলইয়াদায়ন তাঁকে পেয়ে বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি হ্রাস করা হলো, না আপনি ভুল করেছেন ? তিনি বললেন, হ্রাস করাও হয়নি এবং আমি ভুলও করিনি। তিনি বললেন, হ্যাঁ ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে হকসহ পাঠিয়েছেন (উভয়ে কোন একটি ঘটেছে) তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যুলইয়াদায়ন কি সত্য বলছে ? তাঁরা বললেন, জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! (এরপর) তিনি লোকদের নিয়ে (অবশিষ্ট) দুই রাক’আত আদায় করেছিলেন।

ইবরাহীম ইব্‌ন মুন্‌কিয (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি (এই হাদীসে) ‘সালামের পরে দুই সিজ্‌দা সাহো করেছেন’ বাক্যটি বৃদ্ধি করেছেন ।

রবীউল মু’আয্‌যিন (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী করীম (ﷺ) দুই রাক’আতেই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি সিজ্‌দার পূর্বে সালামের উল্লেখ করেন নি।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, মুক্তাদী নিজ ইমামের সাথে ইমাম কর্তৃক সৃষ্ট কারণে সালাতে কথা বললে তা সালাতকে ভঙ্গ করবে না এবং সালাতে ইমাম ও মুক্তাদী ভুলে কথা বললে তা সালাতকে ভঙ্গ করবে না। তাঁরা তাঁদের মায্হাবের স্বপক্ষে এবং ইমাম কর্তৃক সালাতের কোন অংশ ছেড়ে দেয়ার কারণে ইমামের সাথে মুক্তাদীর কথা বলা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে যুলইয়াদায়নের কথা বলাকে দলীল হিসাবে পেশ করেন, যা এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং যা আমরা বর্ণনা করেছি । আর ভুলে কথা বললে সালাতকে ভঙ্গ করে না তাঁদের মাযহাবের স্বপক্ষে দলীল হিসাবে পেশ করেন, যুলইয়াদায়নকে লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি “হ্রাস করাও হয়নি এবং আমি ভুলও করিনি”। অথচ তিনি মনে করছেন যে, তিনি সালাতে নেই। তাঁরা বলেছেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সবার আদায়কৃত সালাতের উপরে ভিত্তি করেছেন এবং এটি তাঁর জন্য ও যুলইয়াদায়নের জন্য সালাতকে ভঙ্গ করেনি। এতে প্রমাণিত হলো সালাতের সংশোধনের নিমিত্ত সালাতে কথা বলা বৈধ এবং সালাতে ভুলে কথা বললে তা সালাতকে ভঙ্গ করে না।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁরা বলেছেনঃ তাকবীর তাহ্‌লীল ও কুরআন শরীফ পড়া ব্যতীত সালাতে কথা বলা জায়িয নয় এবং এতে ইমাম কর্তৃক সৃষ্ট কোন কিছুর দ্বারা কথা বলাও জায়িয নয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
كتاب الصلاة
2589 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمًا , فَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ انْصَرَفَ , فَأَدْرَكَهُ ذُو الشِّمَالَيْنِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَنَقَصَتِ الصَّلَاةُ أَمْ نَسِيتَ؟ فَقَالَ: «لَمْ تَنْقُصْ وَلَمْ أَنْسَ» فَقَالَ: بَلَى وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ» فَقَالُوا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ , فَصَلَّى لِلنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ

2590 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، قَالَ: ثنا إِدْرِيسُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ وَزَادَ «وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ»

2591 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنْ رَكْعَتَيْنِ فَذَكَرَ نَحْوَ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ السَّلَامَ الَّذِي قَبْلَ السُّجُودِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْكَلَامَ فِي الصَّلَاةِ مِنَ الْمَأْمُومِينَ لِإِمَامِهِمْ لَمَّا كَانَ مِنْهُ لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَأَنَّ الْكَلَامَ مِنَ الْإِمَامِ وَمِنَ الْمَأْمُومِينَ فِيهَا عَلَى السَّهْوِ , لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ , وَاحْتَجُّوا فِي مَذْهَبِهِمْ فِي كَلَامِ الْمَأْمُومِ لِلْإِمَامِ لِمَا قَدْ تَرَكَهُ مِنَ الصَّلَاةِ , بِكَلَامِ ذِي الْيَدَيْنِ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي رَوَيْنَاهَا , وَفِي مَذْهَبِهِمْ فِي الْكَلَامِ عَلَى السَّهْوِ , أَنْ لَا يَقْطَعَ الصَّلَاةَ لِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذِي الْيَدَيْنِ «لَمْ تَقْصُرْ وَلَمْ أَنْسَ» وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ لَيْسَ فِي الصَّلَاةِ. قَالُوا: فَلَمَّا بَنَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا صَلَّى , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ قَاطِعًا عَلَيْهِ , وَلَا عَلَى ذِي الْيَدَيْنِ الصَّلَاةَ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْكَلَامَ لِإِصْلَاحِ الصَّلَاةِ , مُبَاحٌ فِي الصَّلَاةِ , وَأَنَّ الْكَلَامَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى السَّهْوِ , غَيْرُ قَاطِعٍ لِلصَّلَاةِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , وَقَالُوا: لَا يَجُوزُ الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ إِلَّا بِالتَّكْبِيرِ , وَالتَّهْلِيلِ , وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ , وَلَا يَجُوزُ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِيهَا بِشَيْءٍ حَدَثَ مِنَ الْإِمَامِ فِيهَا
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৯২
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৯৪
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৯২-২৫৯৪। মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মায়মূন (রাহঃ).....মু’আবিয়া ইবনুল হাকাম আল-সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে কোন এক সালাতে ছিলাম । জনৈক ব্যক্তি হাঁচি দিলে আমি জবাবে বললাম, ‘ইয়ার হামুকাল্লাহু’। এতে লোকেরা তাদের চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা আমার প্রতি (ধমক স্বরূপ) ইশারা করল। আমি (মনে মনে) বললাম, হায়! যদি আমার উপর আমার মা ক্রন্দন করতেন (আমি মরে যেতাম) তোমাদের কি হল ? এভাবে আমার দিকে দেখছ ? রাবী বলেন, লোকেরা (আমার প্রতি অধিক প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে) নিজ নিজ উরুতে হাতে মারতে শুরু করল। আমি যখন দেখলাম তাঁরা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে যেন আমি চুপ হয়ে যাই। (তখন আমি চুপ হলাম) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষে আমাকে ডাকলেন। আমার মাতা-পিতা তাঁর প্রতি কুরবান হোন, তাঁর পূর্বে এবং তাঁর পরে তাঁর মত অপূর্ব শিক্ষক অমি দেখিনি। আল্লাহ্‌র কসম! তিনি না আমাকে প্রহার করেছেন, না ধমক দিয়েছেন, না গাল দিয়েছেন; বরং আমাকে বলেছেনঃ আমাদের এই সালাত মানুষের কোনরূপ কথার উপযোগী নয়। বরং তা হচ্ছে তাকবীর, তাসবীহ ও কুরআন তিলাওয়াত ।

ইউনুস (রাহঃ).....আওযাঈ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....মু’আবিয়া ইবনুল হাকাম (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং ‘যখন তুমি সালাতরত হবে তখন যেন তোমার অবস্থা এমনটি হয়’ এই বাক্যটি বৃদ্ধি করেছেন।
আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যখন মু’আবিয়া ইব্‌নুল হাকাম সম্পর্কে জানতে পারলেন যে, তিনি সালাতে কথা বলেছেন, তখন তিনি তাঁকে বললেন, আমাদের এই সালাত মানুষের কোনরূপ কথার উপযোগী নয়; বরং তা হচ্ছে তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পড়ার (উপযোগী)। বস্তুত যখন তিনি তাঁকে একথা বলেননি যে, “অথবা সালাতে যদি তোমার জন্য কোন কিছু আপতিত হয় সেই বিষয়ে যা তোমার ইমাম ত্যাগ করেছেন” তাহলে সে বিষয়ে তুমি কথা বল! এতে প্রমাণিত হল যে, সালাতে তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন তিলাওয়াত ব্যতীত অন্য কথা বললে তাকে ভঙ্গ করে দেয় তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদেরকে শিখিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সালাতে কিছু আপতিত হলে কি করবেঃ
كتاب الصلاة
2592 - بِمَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ قَالَ: بَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةٍ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَقُلْتُ: يَرْحَمُكَ اللهُ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ , فَقُلْتُ: وَاثُكْلَ أُمَّاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَيَّ قَالَ: فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ. فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونَنِي سَكَتُّ فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ دَعَانِي , فَبِأَبِي وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ , أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ , وَاللهِ مَا ضَرَبَنِي وَلَا كَهَرَنِي وَلَا سَبَّنِي , وَلَكِنْ قَالَ لِي: «إِنَّ صَلَاتَنَا هَذِهِ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ إِنَّمَا هِيَ التَّكْبِيرُ وَالتَّسْبِيحُ , وَتِلَاوَةُ الْقُرْآنِ»

2593 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَا: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

2594 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ، ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ «فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنُكَ» أَوَ لَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمَّا عَلَّمَ مُعَاوِيَةَ بْنَ الْحَكَمِ , إِذْ تَكَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ قَالَ لَهُ: «إِنَّ صَلَاتَنَا هَذِهِ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ , إِنَّمَا هِيَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ , وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ» , وَلَمَّا لَمْ يَقُلْ لَهُ أَوْ يَنُوبُكَ فِيهَا شَيْءٌ مِمَّا تَرَكَهُ إِمَامُكَ , فَتَكَلَّمْ بِهِ , فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْكَلَامَ فِي الصَّلَاةِ بِغَيْرِ التَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ يَقْطَعُهَا. ثُمَّ قَدْ عَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ بَعْدَ ذَلِكَ مَا يَفْعَلُونَ , لِمَا يَنُوبُهُمْ فِي صَلَاتِهِمْ
হাদীস নং: ২৫৯৫
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৯৫। ইউনুস (রাহঃ).....সাহল ইব্‌ন সা’দ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কারো সালাতে কোন কিছু আপতিত হলে সে যেন সুব্‌হানাল্লাহ পাঠ করে। বস্তুত মহিলাদের ক্ষেত্রে হল হাত তালি দেয়া আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হল সুব্‌হানাল্লাহ পাঠ।
كتاب الصلاة
2595 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلَاتِهِ , فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ اللهِ , إِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ , وَالتَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ»
হাদীস নং: ২৫৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৯৭
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৯৬-২৫৯৭। ইবরাহীম ইব্‌ন মুনকিয (রাহঃ).....সাহ্‌ল ইব্‌ন সা’দ আস-সাইদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক আন্‌সারী গোত্রের নিকট তাদের মধ্যে আপোস-মীমাংসার জন্য তাশরীফ নিয়ে গেলেন। সালাতের সময় হলো; কিন্তু তিনি মসজিদে নববীতে উপস্থিত ছিলেন না। তখন আবু বকর (রাযিঃ) ইমামতের জন্য সম্মুখে গেলেন। তিনি (সালাতের) ইমামতিরত থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাশরীফ নিয়ে আসলেন। লোকেরা (তাঁর আগমন সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যে) তালি বাজাল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে (ইমামতের উপর) বহাল থাকতে ইশারা করলেন। এতে আবু বকর (রাযিঃ) অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন এবং পিছনে চলে আসলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (ইমামতের জন্য) অগ্রসর হলেন এবং সালাত আদায় করলেন । সালাত শেষে তিনি আবু বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, (ইমামতের উপর) অটল থাকতে কিসে তোমাকে বাধা দিল, অথচ আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সম্মুখে (ইমামতের জন্য) অগ্রসর হওয়া আবু কুহাফা’র পুত্রের জন্য শোভা পায় না। তিনি (ﷺ) (লোকদের কে) বললেন, তোমরা কেন তালি বাজালে? তাঁরা বললেন আবু বকর (রাযিঃ)-কে অবহিত করার উদ্দেশ্যই। মহিলাদের ক্ষেত্রে হল হাত তালি আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হল সুব্‌হানাল্লাহ পাঠ।

নসর (রাহঃ) …… আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصلاة
2596 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، قَالَ: ثنا الْمُقْرِئُ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: انْطَلَقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَوْمٍ مِنَ الْأَنْصَارِ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ , فَجَاءَ حِينُ الصَّلَاةِ , وَلَيْسَ بِحَاضِرٍ , فَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَفَّحَ الْقَوْمُ , فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَثْبُتَ , فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَتَّى نَكَصَ , فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ: «مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ كَمَا أَمَرْتُكَ» قَالَ: لَمْ يَكُنْ لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يَتَقَدَّمَ أَمَامَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: «فَأَنْتُمْ مَا لَكُمْ صَفَّحْتُمْ؟» قَالُوا: لِنُؤْذِنَ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ , وَالتَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ»

2597 - حَدَّثَنَا نَصْرٌ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
হাদীস নং: ২৫৯৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৯৮। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ….. সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কারো সালাতে কোন কিছু আপতিত হলে সে যেন তাসবীহ পাঠ করে। যেহেতু পুরুষদের ক্ষেত্রে হলো সুবহানাল্লাহ পাঠ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হলো হাতে তালি।
كتاب الصلاة
2598 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ، قَالَ: ثنا الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَابَهُ فِي صَلَاتِهِ شَيْءٌ فَلْيُسَبِّحْ , فَإِنَّ التَّسْبِيحَ لِلرِّجَالِ , وَالتَّصْفِيقَ لِلنِّسَاءِ»
হাদীস নং: ২৫৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০২
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৫৯৯-২৬০২। ইউনুস (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে হলো সুবহানাল্লাহ পাঠ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হলো হাতে তালি।

আবু উমাইয়া (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে হলো সুবহানাল্লাহ পাঠ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হলো হাতে তালি। আ'মাশ (রাহঃ) বলেন, আমি এটি ইবরাহীম (রাহঃ)- এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ আমার মা তা করতেন।


আবু বাকরা (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।


ফাহদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ সালাতে প্রত্যেক আপতিত বস্তুর ব্যাপারে এই সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে সুবহানাল্লাহ পাঠ শিক্ষা দিয়েছেন, অন্য কিছু তাঁদের জন্য তিনি বৈধ করেন নি। এতে বুঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে যুলইয়াদায়নের কথা যে বিষয়ে তিনি তাদের সাথে বলেছেন, যা ইমরান (রাযিঃ), ইবন উমর (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)- এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে, বস্তুত তা ছিলো সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বের ঘটনা।
সেই সমস্ত হাদীস যা থেকে এমনটি বুঝা যায় তা নিন্মরূপঃ
كتاب الصلاة
2599 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ»

2600 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ , قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ» . قَالَ الْأَعْمَشُ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ: كَانَتْ أُمِّي تَفْعَلُ

2601 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَوْفٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

2602 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي غَطَفَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَعَلَّمَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , فِي كُلِّ نَائِبَةٍ تَنُوبُهُمْ فِي الصَّلَاةِ , التَّسْبِيحَ , وَلَمْ يُبِحْ لَهُمْ غَيْرَهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ كَلَامَ ذِي الْيَدَيْنِ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا كَلَّمَهُ بِهِ , فِي حَدِيثِ عِمْرَانَ , وَابْنِ عُمَرَ , وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ
وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
হাদীস নং: ২৬০৩
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৩। রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) …… মু'আবিয়া ইবন হাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত আদায় করলেন এবং এক রাকা'আত বাকি থাকতেই সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন জনৈক ব্যক্তি তাঁর (দেখা) পেয়ে বলল, সালাতের এক রাক'আত অবশিষ্ট রয়ে গেছে। এতে তিনি মসজিদে ফিরে গিয়ে বিলাল (রাযিঃ)- কে ইকামত বলার জন্য নির্দেশ দিলেন; বিলাল (রাযিঃ) ইকামত দিলেন এবং তিনি লোকদেরকে নিয়ে (অবশিষ্ট) এক রাক'আত আদায় করলেন। আমি লোকদেরকে এ ব্যাপারে বললাম। তারা আমাকে বললেন, তুমি কি লোকটিকে চিন? আমি বললাম 'না'। তবে তাঁকে দেখলে চিনতে পারব। তিনি আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বললাম, তিনি তো এই ব্যক্তি- ই। লোকেরা বললেন, ইনি তো তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রাযিঃ) কে আযান ও ইকামতের নির্দেশ দিলে তিনি আযান এবং ইকামত দেন। তারপর ছেড়ে দেয়া সালাতকে তিনি ﷺ আদায় করেন। বিলাল (রাযিঃ) কে আযান ও ইকামতের জন্য তাঁর নির্দেশ দেয়া তাঁর সালাতের জন্য বিনষ্টকারী হয়নি। অনুরূপভাবে বিলাল (রাযিঃ) কর্তৃক আযান ও ইকামত প্রদানও তাঁর সালাতের জন্য বিনষ্টকারী হয়নি।
পক্ষান্তরে 'আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, কেউ যদি বর্তমানে সালাতরত অবস্থায় এমনটি করে তাহলে এটা তার সালাতকে বিনষ্টকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। অতএব এতে বুঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সালাতের সংঘটিত সব কিছু, যা মুআ'বিয়া ইবন হাদীজ (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং ইবন উমর (রাযিঃ), ইমরান (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)- এর হাদীসে যা কিছু বলা হয়েছে, তা সবই ছিল সেই সময়কার ঘটনা, যখন সালাতে কথা বলা বৈধ ছিল। তারপর সালাতে কথা বলা রহিত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এ সব কিছু রহিত হয়ে যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদেরকে সেই সব কিছু (সুবহানাল্লাহ, তাকবীর ইত্যাদি) শিক্ষা দিয়েছেন, যা তার সূত্রে মুআ'বিয়া ইবনুল হাকাম (রাযিঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন।
রহিত হয়ে যাওয়া সম্পর্কিত কিছু দলীল
বস্তুত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে উপস্থিত ছিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অব্যবহিত পরে তার সালাতে সেই অভিন্ন ঘটনা সংঘঠিত হলে তিনি এতে সেই দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ঐ আমলের পরিপন্থী আমল করেছেন।
كتاب الصلاة
2603 - أَنَّ الرَّبِيعَ الْمُؤَذِّنَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ قَيْسٍ أَخْبَرَهُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمًا وَانْصَرَفَ , وَقَدْ بَقِيَتْ مِنَ الصَّلَاةِ رَكْعَةٌ , فَأَدْرَكَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: بَقِيَتْ مِنَ الصَّلَاةِ رَكْعَةٌ , فَرَجَعَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَقَامَ الصَّلَاةَ , فَصَلَّى لِلنَّاسِ رَكْعَةً. فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ النَّاسَ , فَقَالُوا لِي: أَتَعْرِفُ الرَّجُلَ؟ قُلْتُ: لَا إِلَّا أَنْ أَرَاهُ , فَمَرَّ بِي فَقُلْتُ: هُوَ هَذَا , فَقَالُوا: هَذَا طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ , ثُمَّ صَلَّى مَا كَانَ تَرَكَ مِنْ صَلَاتِهِ. وَلَمْ يَكُنْ أَمْرُهُ بِلَالًا بِالْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ قَاطِعًا لِصَلَاتِهِ , وَلَمْ يَكُنْ أَيْضًا مَا كَانَ مِنْ بِلَالٍ مِنْ أَذَانِهِ وَإِقَامَتِهِ قَاطِعًا لِصَلَاتِهِ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ فَاعِلًا لَوْ فَعَلَ هَذَا الْآنَ , وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ كَانَ بِهِ قَاطِعًا لِلصَّلَاةِ , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ جَمِيعَ مَا كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاتِهِ , فِي حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ خَدِيجٍ هَذَا , وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ وَعِمْرَانَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ كَانَ وَالْكَلَامُ مُبَاحٌ فِي الصَّلَاةِ , ثُمَّ نُسِخَ بِنَسْخِ الْكَلَامِ فِيهَا. فَعَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ بَعْدَ ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ عَنْهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ الْحَكَمِ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ ذِي الْيَدَيْنِ , ثُمَّ قَدْ حَدَثَتْ بِهِ تِلْكَ الْحَادِثَةُ فِي صَلَاتِهِ مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ فِيهَا بِخِلَافِ مَا كَانَ مِنْ عَمَلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০৪
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৪। ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নিজ সাথীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। এতে তিনি দুই রাক'আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি ফিরে যান। এ বিষয়ে তাঁকে বলা হলে তিনি বললেন, 'আমি ইরাকী এক বাহিনী আসবাব পত্রে সজ্জিত করে প্রস্তুত করেছি, তারপর সেই বাহিনী মদীনা আগমন করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে চার রাক'আত আদায় করেন।
অতএব বুঝা গেল যে, উমর (রাযিঃ) অনুরূপ বিষয় রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর আমলকে জ্ঞাতসারে পরিত্যাগ করা এবং এর পরিপন্থী আমল করা উক্ত আমল তাঁর নিকট রহিত হওয়ার (স্পষ্ট) দলীল। আর এটিও বুঝা গেল যে, তাঁর যুগে সেই ঘটনার বিধান যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনের (বিধানের) পরিপন্থী ছিল।
বস্তুত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর এমন সব সাহাবাগনের উপস্থিতিতে এই আমল করেছেন, যাঁদের কতক যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সালাতের আমলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কেউ তাঁর প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁরা তাঁকে একথা বলেননি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে আপনার পরিপন্থী কাজ (আমল) করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তাঁরা সকলেই এর রহিত হয়ে যাওয়া সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। যেমনিভাবে উমর (রাযিঃ)- এর সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।
বস্তুত যুলইয়াদায়নের হাদীস যে মানসূখ তথা রহিত হয়ে গেছে এবং পরবর্তী আমল যে এর পরিপন্থী, তার দলীল হলোঃ সমগ্র উম্মত এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, কারো ইমাম যদি সালাতে কিছু ছেড়ে দেয় তাহলে সে (মুকতাদী) এ বিষয়ে ইমামকে সতর্ক করার নিমিত্ত সুবহানাল্লাহ পাঠ করবে। ইমাম যেন ছেড়ে দেয়া অংশকে আদায় করেন। আর যুলইয়াদায়ন কিন্তু সেই দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সুবহানাল্লাহ তথা তাসবীহ পাঠের মাধ্যমে লোকমা দান করেননি এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাথে তাঁর কথা বলার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যে লোকদেরকে তাদের সালাতে কোন কিছু সংঘটিত হলে তাসবীহ পাঠ শিক্ষা দিয়েছেন এটি উক্ত (যুলইয়াদায়নের) ঘটনা অপেক্ষা পরবর্তীকালের।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইমরান (রাযিঃ) -এর হাদীস দু'টিতেও রহিত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। আর সেটি এভাবেঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ দুই রাক'আতে-ই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। তাঁরপর মসজিদে (সম্মুখে) অবস্থিত এক খুঁটির নিকট চলে গেলেন এবং ইমরান (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে হুজরায় চলে গেলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি কিবলা থেকে নিজের চেহারা ফিরিয়ে ফেলেছিলেন এবং সালাতে চলা-ফেরা ইত্যাদি এরূপ আমল করেছেন যা সলাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব কি বর্তমানে কারো জন্য জায়েয হবে? এই সব কিছু ঘটা সত্ত্বেও তাঁর জন্য তাঁর সালাত অবশিষ্ট থাকবে? অবশ্যই না এসব বস্তু তাকে তার সালাত থেকে কি বের করে দিবে না? (অবশ্যই দেবে) অতএব এটি স্বীকৃত বিষয় যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস মানসূখ তথ্য রহিত হয়ে গিয়েছে।

প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, হ্যাঁ, এসব কিছু তাকে সালাত থেকে বের করবে না। যেহেতু এসব কিছু সে এই ধারনায় করেছে যে, সে সালাতরত নয়।

উত্তরঃ তাঁর জন্য এ কথা বলা অপরিহার্য হয়ে যাবে যে, কেউ যদি এই অবস্থায় পানাহারও করে তাহলে তাকে এটি সালাত থেকে বের করবে না। অনুরূপভাবে যদি সে বেচাকেনা করে অথবা নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, (তবুও তাঁর সালাত ভঙ্গ হবে না) অথচ উক্ত অবস্থায় উল্লেখিত বস্তুগুলোর কারণে প্রশ্নকারী সালাত বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পক্ষে মত পোষণ করেন। অতএব উল্লিখিত কোন বস্তু যদি মুসল্লীকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দেয়, যদিও সে এই ধারনা করে যে, সে সালাতে নেই। অনুরূপভাবে কথা বলা যা সালাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়, তাকে তাঁর সালাত থেকে বের করে দিবে, যদিও সে এই ধারনার কথা বলে থাকুক যে, সে সালাতে নেই।
বস্তুত প্রশ্নকারী যুলইয়াদায়নের হাদীস থেকে ধারনা করেছেন যে, 'খবরে ওয়াহিদ' গ্রহনযোগ্য দলীল হিসাবে বিবেচিত এবং এর উপর আমল করা ওয়াজিব।

উত্তরঃ আসলে এখানে যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খবর দিয়েছেন। তিনি তাঁর একজন সাহাবী, মিথ্যা থেকে নিরাপদ। তা স্বত্বেও তিনি তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর তাঁর (অপরাপর) সাহাবীগনের দিকে লক্ষ্য করে পুন জিজ্ঞাসা করেছেন যে, (প্রকৃত-ই) কি সালাত কম হয়েছে? অতএব আমাদের এই বিরোধী ব্যক্তির মাযহাব অনুযায়ী সালাতরত আছেন জেনেও যিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন, এটি তাঁকে সালাত থেকে বের করে দেয় নি। এতে তাঁর জন্য তাঁর নীতি মতে জরুরী হয়ে পড়েছে এই কথা বলা যে, উক্ত কথা বলার (ঘটনা) সালাতে কথা বলা রহিত হয়ে যাওয়ার পূর্বেকার।

আরেকটি দলীল
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ 'যুলইয়াদায়ন কি সত্য বলছে'? তাঁরা বললেন, জী, হ্যাঁ, (সত্য বলছে)। (অথচ এখানে) তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর প্রতি ইশারা করাও সম্ভরপর ছিল এবং তিনি তাদের থেকে সে বিষয়ে (ইশারার মাধ্যমে) জ্ঞাত হতে পারতেন। বরং তাঁরা সালাতে আছেন জেনেও তাঁর সাথে এই বিষয়ে কথা বলার ছিল, কথা বলেছেন। তখন তিনি এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি এবং তাঁদেরকে পুনঃ সালাত আদায়ের নির্দেশ দেননি। এতে বুঝা গেল যে, যুলইয়াদায়নের হাদীস ব্যক্ত আমার যা উল্লেখ করেছি (সবই সালাতে) কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা।

প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস) সালাতে কথা বলা রহিত হওয়ার পূর্বে হওয়াটা কিভাবে সম্ভব? যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যুলইয়াদায়নের ঘটনায় নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ এর ওফাতের তিন বছর পূর্বে (সপ্তম হিজরীতে) ইসলাম গ্রহণ করেন। আর এ বিষয়ে নিন্মোক্ত রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে উল্লেখ করা হয়ঃ
كتاب الصلاة
2604 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ: صَلَّى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِأَصْحَابِهِ فَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ , فَقِيلَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ:: «إِنِّي جَهَّزْتُ عِيرًا مِنَ الْعِرَاقِ بِأَحْمَالِهَا وَأَحْقَابِهَا حَتَّى وَرَدْتُ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى بِهِمْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ» فَدَلَّ تَرْكُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمَا قَدْ عَلِمَهُ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ هَذَا وَعَمَلُهُ بِخِلَافِهِ عَلَى نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ , وَعَلَى أَنَّ الْحَكَمَ كَانَ فِي تِلْكَ الْحَادِثَةِ فِي زَمَنِهِ , بِخِلَافِ مَا كَانَ فِي يَوْمِ ذِي الْيَدَيْنِ. وَقَدْ كَانَ فِعْلُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا أَيْضًا بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ قَدْ حَضَرَ بَعْضُهُمْ فِعْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ فِي صَلَاتِهِ , فَلَمْ يُنْكِرُوا ذَلِكَ عَلَيْهِ , وَلَمْ يَقُولُوا لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ فَعَلَ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ خِلَافَ مَا فَعَلْتُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا عَمِلُوا مِنْ نَسْخِ ذَلِكَ , مَا قَدْ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلِمَهُ. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ مَنْسُوخٌ , وَأَنَّ الْعَمَلَ عَلَى خِلَافِهِ , أَنَّ الْأُمَّةَ قَدِ اجْتَمَعَتْ أَنَّ رَجُلًا لَوْ تَرَكَ إِمَامُهُ مِنْ صَلَاتِهِ شَيْئًا , أَنَّهُ يُسَبِّحُ بِهِ , لِيُعْلِمَ إِمَامَهُ مَا قَدْ تَرَكَ , فَيَأْتِي بِهِ , وَذُو الْيَدَيْنِ فَلَمْ يُسَبِّحْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ وَلَا أَنْكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَامَهُ إِيَّاهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مَا عَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ مِنَ التَّسْبِيحِ لِنَائِبَةٍ تَنُوبُهُمْ فِي صَلَاتِهِمْ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْ ذَلِكَ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ أَيْضًا وَعِمْرَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا يَدُلُّ عَلَى النَّسْخِ وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «سَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ مَضَى إِلَى خَشَبَةٍ فِي الْمَسْجِدِ» . وَقَالَ عِمْرَانُ: «ثُمَّ مَضَى إِلَى حُجْرَتِهِ» . فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ صَرَفَ وَجْهَهُ عَنِ الْقِبْلَةِ , وَعَمِلَ عَمَلًا فِي الصَّلَاةِ لَيْسَ مِنْهَا , مِنَ الْمَشْيِ وَغَيْرِهِ. فَيَجُوزُ هَذَا لِأَحَدٍ الْيَوْمَ أَنْ يُصِيبَهُ ذَلِكَ , وَقَدْ بَقِيَتْ عَلَيْهِ مِنْ صَلَاتِهِ بَقِيَّةٌ , فَلَا يُخْرِجُهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: نَعَمْ , لَا يُخْرِجُهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ , لِأَنَّهُ فَعَلَهُ وَلَا يَرَى أَنَّهُ فِي الصَّلَاةِ. لَزِمَهُ أَنْ يَقُولَ: لَوْ طَعِمَ أَيْضًا أَوْ شَرِبَ وَهَذِهِ حَالَتُهُ , لَمْ يُخْرِجْهُ ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ، وَكَذَلِكَ إِنَّ بَاعَ أَوِ اشْتَرَى , أَوْ جَامَعَ أَهْلَهُ. فَكَفَى بِقَوْلِهِ فَسَادًا أَنْ يَلْزَمَ هَذَا قَائِلَهُ. فَإِنْ كَانَ شَيْءٌ مِمَّا ذَكَرْنَا , يَخْرُجُ الرَّجُلُ مِنْ صَلَاتِهِ , إِنْ فَعَلَهُ عَلَى أَنَّهُ يَرَى أَنَّهُ لَيْسَ فِيهَا كَذَلِكَ الْكَلَامُ الَّذِي لَيْسَ مِنْهَا يُخْرِجُهُ مِنْ صَلَاتِهِ وَإِنْ كَانَ قَدْ تَكَلَّمَ بِهِ , وَهُوَ لَا يَرَى أَنَّهُ فِيهَا. وَقَدْ زَعَمَ الْقَائِلُ بِحَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ أَنَّ خَبَرَ الْوَاحِدِ يَقُومُ بِهِ الْحُجَّةُ , وَيَجِبُ بِهِ الْعَمَلُ , فَقَدْ أَخْبَرَ ذُو الْيَدَيْنِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ , وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَأْمُونٌ , فَالْتَفَتَ بَعْدَ إِخْبَارِهِ إِيَّاهُ بِذَلِكَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: «أَقُصِرَتِ الصَّلَاةُ؟» . فَكَانَ مُتَكَلِّمًا بِذَلِكَ بَعْدَ عِلْمِهِ بِأَنَّهُ فِي الصَّلَاةِ , عَلَى مَذْهَبِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَنَا فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مُخْرِجًا لَهُ مِنَ الصَّلَاةِ. فَقَدْ لَزِمَهُ بِهَذَا عَلَى أَصْلِهِ , أَنَّ ذَلِكَ الْكَلَامَ , كَانَ قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: «أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ» قَالُوا: نَعَمْ. وَقَدْ كَانَ يُمْكِنُهُمْ أَنْ يُومِئُوا إِلَيْهِ بِذَلِكَ فَيَعْلَمَهُ مِنْهُمْ , فَقَدْ كَلَّمُوهُ بِمَا كَلَّمُوهُ بِهِ , عَلَى عِلْمٍ مِنْهُمْ أَنَّهُمْ فِي الصَّلَاةِ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , وَلَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْإِعَادَةِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا ذَكَرْنَا , مِمَّا كَانَ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ , كَانَ قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هَذَا قَبْلَ نَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ وَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ كَانَ حَاضِرًا ذَلِكَ وَإِسْلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثِ سِنِينَ؟
وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০৬
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৫-২৬০৬। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. কায়স ইবন আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললাম, আমাদেরকে হাদীস বর্ননা করে শোনান! তিনি বললেন, 'আমি তিন বছর নবী করীম ﷺ এর সাহচর্য লাভ করেছি। লোকেরা বললেন, 'আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তিন বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তিনি সেই সালাতে (যাতে যুলইয়াদায়নের ঘটনা ঘটে ছিল) নিজে উপস্থিত ছিলেন। আর সালাতে কথা বলা রহিত হয়েছে তখন, যখন নবী করীম ﷺ মক্কায় অবস্থান করছিলেন।
এতে বুঝা গেল যে, সালাতে কথা বলা প্রসঙ্গে যুলইয়াদায়নের হাদীসে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে এটি যদি সেটি থেকে পরবর্তীতে হয় তাহলে এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস রহিত হবে না)।

উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে, আপনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর ইসলাম গ্রহণের সময় সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন এটি তাই যা আপনি বলেছেন (অর্থাৎ স্বীকৃত বিষয়), কিন্তু সালাতে কথা বলা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য যে, তখন নবী করীম ﷺ মক্কায় ছিলেন, (অর্থাৎ তা মক্কায় রহিত হয়েছে, এটি স্বীকৃত নয়) এটি আপনাকে কে বর্ননা করেছে? সনদযুক্ত রিওয়ায়াত ব্যতীত আপনি দলীল দিতে পারেন না যেমন আপনার বিরোধী পক্ষের জন্য আপনার বিপক্ষে অনুরূপ সনদ যুক্ত দলীল ব্যতীত কার্যকর হয় না। এটি কে আপনাকে বলেছে এবং কার থেকে এটি আপনি বর্ননা করেছেন? (অর্থাৎ এটি দলীল ও সনদ বিহীন কথা)। লক্ষ্য করুন, যায়দ ইবন আরকাম আল-আনসারী (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা সালাতে কথা-বর্তা বলতান। শেষে আয়াত নাযিল হলঃ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
-তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়াবে নিশ্চুপ হয়ে (২ঃ ২৩৮)
তখন আমরা চুপ থাকতে নির্দেশিত হলাম। আর আমরা তাঁর থেকে এই হাদীসটি এই গ্রন্হের অন্যস্থানে রিওয়ায়াত করেছি। বস্তুত যায়দ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন মদীনায় (অর্থাৎ তিনি মদীনায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন)। অতএব তার এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, সালাতে কথা বলা মদীনায় রহিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কা থেকে মদীনা আগমনের পর। তা স্বত্বেও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সেই সালাতে (যুলইয়াদায়নের ঘটনায়) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে কোন মতেই উপস্থিত ছিলেন না। যেহেতু যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) বদরের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এটি মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ

ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. নাফি' (রাহঃ) সূত্রে ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁকে যুলইয়াদায়নের হাদীস বর্ননা করেছেন। তারপর তিনি বলেছেন যে, যুলইয়াদায়ন (রাযিঃ) শহীদ হয়ে যাওয়ার পরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর আমাদের নিকট আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর উক্তি "রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন" অর্থাৎ মুসলমানদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন। আর এটি (এরূপ বলা) আভিধানিকভাবে বৈধ। নিযাল ইবন সাবুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
كتاب الصلاة
2605 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْقَوَارِيرِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ , قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقُلْنَا: حَدِّثْنَا فَقَالَ: «صَحِبْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ» قَالُوا: فَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا صَحِبَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ , وَهُوَ حَضَرَ تِلْكَ الصَّلَاةَ , وَنَسْخُ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , كَانَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ مِنَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , مِمَّا لَمْ يُنْسَخْ بِنَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , إِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْ ذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: أَمَّا مَا ذَكَرْتُ مِنْ وَقْتِ إِسْلَامِ أَبِي هُرَيْرَةَ , فَهُوَ كَمَا ذَكَرْتُ. وَأَمَّا قَوْلُكَ إِنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , كَانَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ , فَمَنْ رَوَى لَكَ هَذَا , وَأَنْتَ لَا تَحْتَجُّ إِلَّا بِمُسْنَدٍ , وَلَا تُسَوِّغُ لِخَصْمِكَ الْحُجَّةَ عَلَيْكَ إِلَّا بِمِثْلِهِ , فَمَنْ أَسْنَدَ لَكَ هَذَا؟ وَعَمَّنْ رَوَيْتُهُ؟ . وَهَذَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ الْأَنْصَارِيُّ يَقُولُ: كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ , حَتَّى نَزَلَتْ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ , وَقَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ عَنْهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا وَصُحْبَةُ زَيْدٍ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا كَانَتْ بِالْمَدِينَةِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِحَدِيثِهِ هَذَا أَنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ كَانَ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ قُدُومِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ , مَعَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَحْضُرْ تِلْكَ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْلًا , لِأَنَّ ذَا الْيَدَيْنِ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ , مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ أَحَدُ الشُّهَدَاءِ. قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَا يُوَافِقُ ذَلِكَ.

2606 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ ذَكَرَ لَهُ حَدِيثَ ذِي الْيَدَيْنِ , فَقَالَ: كَانَ إِسْلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَمَا قُتِلَ ذُو الْيَدَيْنِ. وَإِنَّمَا قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عِنْدَنَا صَاحَ بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي بِالْمُسْلِمِينَ , وَهَذَا جَائِزٌ فِي اللُّغَةِ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا عَنِ النِّزَالِ بْنِ سَبْرَةَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০৭
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৭। ফাহদ (রাহঃ) ও আবু যুর'আ দামেশকী (রাহঃ) ….. নিযাল ইবন সাবুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, "রাসূলুল্লাহ ﷺ 'আমাদেরকে' বলেছেন" (অর্থাৎ তিনি আমাদের গোত্রকে সম্বোধন করে বলেছেন) বস্তুত আমাদেরকে এবং তোমাদেরকে আব্দে মানাফ এর গোত্র হিসেবে ডাকা হত। বর্তমানে তোমরা হলে 'বানূ আব্দুল্লাহ' (আব্দুল্লাহর বংশধর) এবং আমরা হলাম 'বানূ আব্দুল্লাহ (আব্দুল্লাহর বংশধর)। অর্থাৎ নিযাল (রাহঃ) -এর গোত্রকে তিনি সম্বোধন করে এ কথা বলেছেন।
এই নিযাল (রাহঃ) -ই বলেছেনঃ 'আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন'। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখেননি। বস্তুত এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের গোত্রকে লক্ষ্য করে এ কথা তিনি বলেছেন।
তাউস (রাহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ "আমাদের নিকট মু'আয ইবন জাবাল (রাযিঃ) আগমন করেন"। তখন তিনি শাক-সবজি থেকে কোন কিছু (উশর) গ্রহণ করেন নি। বস্তুত তাউস (রাহঃ) তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করেন নি। কেননা মু'আয (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুুগে যখন ইয়ামানে আগমন করেন, তাউস (রাহঃ) সে সময় জন্ম গ্রহন করেননি। অতএব "আমাদের নিকট তিনি আগমন করেছ" তাঁর এ কথার অর্থ হচ্ছেঃ 'আমাদের শহরে আগমন করেন'।
হাসান (বসরী) (রাহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ "উতবা ইবন গাযওয়ান (রাযিঃ) আমাদেরকে খুতবা (ভাষন) দান করেছেন"। অর্থাৎ তিনি বসরায় খুতবা দান করেছেন। অথচ হাসান বসরী (রাহঃ) তখন বসরায় বিদ্যমান ছিলেন না, কেননা তিনি জঙ্গে সিফফীন-এর এক বছর পূর্বে বসরা আগমন করেছিলেন। (অথচ উতবা (রাযিঃ) এর ইন্তিকাল হয় ১৫ বা ১৭ হিজরী সনেঃ ইসলামী বিশ্বকোষ ৫ম খন্ড)
كتاب الصلاة
2607 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، وَأَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ , قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا مِسْعَرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النِّزَالِ بْنِ سَبْرَةَ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّا وَإِيَّاكُمْ كُنَّا نُدْعَى بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ , فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ , بَنُو عَبْدِ اللهِ , وَنَحْنُ بَنُو عَبْدِ اللهِ» يَعْنِي لِقَوْمِ النِّزَالِ فَهَذَا النِّزَالُ , يَقُولُ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ لَمْ يَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُرِيدُ بِذَلِكَ: قَالَ لِقَوْمِنَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ طَاوُسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ , فَلَمْ يَأْخُذْ مِنَ الْخَضْرَاوَاتِ شَيْئًا. وَطَاوُسٌ لَمْ يُدْرِكْ ذَلِكَ , لِأَنَّ مُعَاذًا إِنَّمَا كَانَ قَدْ قَدِمَ الْيَمَنَ , فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَمْ يُولَدْ طَاوُسٌ حِينَئِذٍ , فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِهِ: «قَدِمَ عَلَيْنَا» أَيْ قَدِمَ بَلَدَنَا. وَرُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ قَالَ: خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ , يُرِيدُ خُطْبَتَهُ بِالْبَصْرَةِ. فَالْحَسَنُ لَمْ يَكُنْ بِالْبَصْرَةِ حِينَئِذٍ , لِأَنَّ قُدُومَهُ لَهَا إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ صِفِّينَ بِعَامٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৮। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আবু রাজা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাসান বসরী (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, 'আপনি বসরায় কখন আগমন করেছেন'? তিনি বললেন, 'জঙ্গে সিফফীনের এক বছর পূর্বে।
অতএব নিযালের উক্তিঃ "রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে বলেছেন," তাউস (রাহঃ) এর উক্তিঃ আমাদের নিকট মু'আয (রাযিঃ) আগমন করেন" ও হাসান বসরী (রাহঃ) এর উক্তিঃ "উতবা (রাযিঃ) আমাদেরকে খুতবা প্রদান করেন" এসব বাক্যের অর্থ হচ্ছেঃ তাঁরা এর দ্বারা তাঁদের কাওম ও শহরকে বুঝিয়েছেন। কারন তাঁরা তাতে উপস্থিতও ছিলেন না এবং তা প্রত্যক্ষও করেননি। অনুরূপভাবে যুলইয়াদায়নের হাদীসে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর উক্তি "রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছে" এর উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ তিনি মুসলমানদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন। পক্ষান্তরে তিনি (রাযিঃ) তাতে উপস্থিতও ছিলেন না এবং তা প্রত্যক্ষও করেন নি। অতএব যুলইয়াদায়নের হাদীসে তাঁর উক্তি, " রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন" এর দ্বারা এই কথা নাকচ হয়ে গেল যে, এটি (যুলইয়াদায়নের হাদীস) সালাতে কথা বলা রহিত হওয়ার পরের ঘটনা।
সালাতে কথা বলা যে মদীনায় রহিত হয়েছে, এর স্বপক্ষে কিছু দলীলঃ
كتاب الصلاة
2608 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ: مَتَى قَدِمْتَ الْبَصْرَةَ؟ فَقَالَ: «قَبْلَ صِفِّينَ بِعَامٍ» فَكَانَ مَعْنَى قَوْلِ النِّزَالِ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعْنَى قَوْلِ طَاوُسٍ «قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاذٌ» وَمَعْنَى قَوْلِ الْحَسَنِ «خَطَبَنَا عُتْبَةُ» إِنَّمَا يُرِيدُونَ بِذَلِكَ قَوْمَهُمْ وَبَلْدَتَهُمْ , لِأَنَّهُمْ مَا حَضَرُوا ذَلِكَ , وَلَا شَهِدُوهُ. فَكَذَلِكَ قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا يُرِيدُ صَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ لَا عَلَى أَنَّهُ شَهِدَ ذَلِكَ , وَلَا حَضَرَهُ. فَانْتَفَى بِمَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ فِي قَوْلِهِ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ ذِي الْيَدَيْنِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ , بَعْدَ نَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , كَانَ بِالْمَدِينَةِ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০৯
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬০৯। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা সালাতে সালামের উত্তর প্রদান করতাম। তারপর এর থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।
আর আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সম্ভবত বয়সের দিক দিয়ে যায়দ ইবন আরকাম (রাযিঃ) অপেক্ষা অনেক ছোট।
বাস্তব ঘটনা এরূপই। মনে রাখুন, এই আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) নিজেই খবর দিচ্ছেন যে, তিনি সালাতে কথা বলার বৈধতার সময়কাল পেয়েছেন।
এ বিষয়ে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকেও বর্নিত আছেঃ
كتاب الصلاة
2609 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: «كُنَّا نَرُدُّ السَّلَامَ فِي الصَّلَاةِ , حَتَّى نُهِينَا عَنْ ذَلِكَ» وَأَبُو سَعِيدٍ فَلَعَلَّهُ فِي السِّنِّ أَيْضًا دُونَ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ بِدَهْرٍ طَوِيلٍ , وَهُوَ كَذَلِكَ , فَهَا هُوَ ذَا يُخْبِرُ أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَدْرَكَ إِبَاحَةَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১১
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬১০-২৬১১। আবু বাকরা (রাহঃ) ……. আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমরা সালাতে কথা-বার্তা বলতাম এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতাম। তারপর আমরা হাবশা থেকে নবী করীম ﷺ এর খেদমতে উপস্থিত হলাম তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাকে সালাম দিলে তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন না। এতে আমি ভাবলাম, কোন ব্যাপার হলো নাকি, না কোন নতুন বিধান নাযিল হয়েছে? রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষ করলে আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ব্যাপারে কোন কিছু নাজিল হয়েছে না কি? তিনি বললেন, না। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা যখন ইচ্ছা করেন নতুন বিধান নাযিল করেন। (অর্থাৎ সালাতে কথা বলা প্রসঙ্গে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে)।

ইসমাঈল ইবন ইয়াহয়া আল মুযনী (রাহঃ) ....... আসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং এতে বাড়তি বলেছেন যে, নতুন বিষয়ে তিনি ফয়সালা করেছেন, তোমরা সালাতে কথা বলবে না। বস্তুত রাসূলুল্লাহ ﷺ সংবাদ দিয়েছেন যে, আল্লাহ তা'আলা সালাতে অবশ্যই সার্বিকভাবে সব ধরনের কথা বলা রহিত করেছেন; এতে কোন ব্যতিক্রম রাখেন নি।
অতএব এতে বুঝা গেলঃ (সালাতে) সর্বপ্রকারের কথা বলা রহিত করা হয়েছে, যা তারা সালাতে বলতো। আর এটি-ই হচ্ছে, রিওয়ায়াতের দিক থেকে এ অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নিরূপণের যথার্থ পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) -এর যুক্তিভিত্তিক দলীল বিশ্লেষণ
বস্তুত আলোচ্য বিষয়ে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা বেশ কিছু ইবাদাতকে লক্ষ্য করেছি, বান্দাগন এতে প্রবেশ করলে কতিপয় বস্তু থেকে তাদেরকে নিবৃত্ত রাখা হয়। এগুলো থেকে একটি হলো সালাতঃ তাদেরকে এতে কথা বলা এবং এরূপ কার্যাদি থেকে বিরত রাখা হয়, যা তাতে করা হয় না। আরেকটি হলো সিয়ামঃ এটি তাদেরকে স্ত্রী সহবাস ও পানাহার থেকে নিবৃত্ত রাখে। আরেকটি হলো হজ্জ ও উমরাঃ এ দু'টি ইবাদত তাদেরকে স্ত্রী সহবাস, সুগন্ধি ব্যবহার ও বিশেষ পোশাক থেকে বিরত রাখে। আরেকটি হলো ই'তিকাফঃ এটি তাদেরকে স্ত্রী সহবাস ও লেনদেন (কেনাবেচা) থেকে বিরত রাখে। অতএব কেউ যদি নিজে সিয়াম পালন অবস্থায় ভুলে স্ত্রী সহবাস করে অথবা পানাহার করে তাহলে এর বিধান সম্পর্কে বিরোধ আছে। কতক 'আলিম বলেনঃ এটি তাকে তাঁর সিয়াম থেকে বের করবে না (সিয়াম বিনষ্ট হবে না) সেই সমস্ত হাদীসের উপর ভিত্তি করে যা তাঁরা রিওয়ায়াত করেছেন। কতক 'আলিম বলেনঃ এটি তাকে তাঁর সিয়াম থেকে অবশ্যই বের করে দিবে (সিয়াম বিনষ্ট হয়ে যাবে)। আর যে কেউ নিজের হজ্জ অথবা উমরা অথবা ই'তিকাফে ভুলে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে স্ত্রী সহবাস করবে, সে এ কারনে এইসব আমল থেকে বের হয়ে যাবে, (অর্থাৎ তাঁর এই সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে)। অতএব যখন উক্ত কার্যাদি ইচ্ছাকৃত ভাবে করার কারনে তাকে সেই সমস্ত আমল থেকে বের করে দেয় (বাতিল হয়ে যায়) সেগুলো অনিচ্ছাকৃত ভাবে করলেও তা থেকে তাকে বের করে দিবে (তা বাতিল হয়ে যাবে)। অনুরূপ ভাবে সালাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে কথা বলার কারনে সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়।
অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ননার ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হলোঃ ভুলে কথা বলার কারনেও সালাত বিনষ্ট হয়ে যায় এবং এতে ভুল ও ইচ্চাকৃত উভয় প্রকার কথা বলার বিধান অভিন্ন হিসেবে বিবেচিত হবে। যেমন ভাবে ই'তিকাফ, হজ্জ ও উমরায় ইচ্ছাকৃত ও ভুলে সহবাসের বিধান এক ও অভিন্ন রূপে সাব্যস্ত।
বস্তুত এটি-ই হচ্ছে, এই অনুচ্ছেদের যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ এবং হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণে আমাদের যথার্থ বিশ্লেষণ। আর এটি-ই হলো ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, মু'আবিয়া ইবনুল হাকাম (রাযিঃ) যখন সালাতে কথা বলেন তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ (কথা বলার নিষেধাজ্ঞা আরোপের সাথে) তাকে পুন সালাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন নি কেন?
উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে যে, ইতিপূর্বে সালাতে কথা বলার নিষেধাজ্ঞা আরোপ না হওয়ার কারনে তাঁর নিকট কোন দলীল (হুজ্জত) সাব্যস্ত হয় নি। (বরং নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময়-ই দলীল সাব্যস্ত হচ্ছে)। এ কারণে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে পুন সালাতের নির্দেশ দেন নি। পক্ষান্তরে কেউ যদি সালাতে কথা বলা রহিত হওয়া সম্পর্কিত দলীল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অনুরূপ (কথা বলা কিংবা সালাত বিনষ্টকারী কাজে লিপ্ত হয়) কাজ করে তাহলে তাঁর জন্য পুনঃ সালাত আদায় করা জরুরী। অথবা এরূপও হতে পারে যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে পুন সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা তাঁর হাদীসে বর্ননা করেন নি।
অপর দিকে একদল 'আলিম বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ যুলইয়াদায়নের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিনে সিজদা (সাহো) করেননি। এই বিষয়ে রিওয়ায়াত বর্ননা করেছেনঃ
كتاب الصلاة
2610 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , قَالَ: ثنا عَاصِمٌ , عَنْ أَبِي وَائِلٍ , قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ: كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ , وَنَأْمُرُ بِالْحَاجَةِ , فَقَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحَبَشَةِ وَهُوَ يُصَلِّي , فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ , فَأَخَذَنِي مَا قَدُمَ وَمَا حَدَثَ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ , قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , نَزَلَ فِي شَيْءٌ؟ قَالَ: «لَا وَلَكِنَّ اللهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا شَاءَ»

2611 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَاصِمٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ «وَأَنَّ مِمَّا أَحْدَثَ قَضَى أَنْ لَا تَتَكَلَّمُوا فِي الصَّلَاةِ» فَقَدْ أَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , قَدْ نَسَخَ الْكَلَامَ فِي الصَّلَاةِ , وَلَمْ يَسْتَثْنِ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى كُلِّ الْكَلَامِ الَّذِي كَانُوا يَتَكَلَّمُونَ فِي الصَّلَاةِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ يَدْخُلُ فِيهَا الْعِبَادُ , تَمْنَعُهُمْ مِنْ أَشْيَاءَ. فَمِنْهَا الصَّلَاةُ تَمْنَعُهُمْ مِنَ الْكَلَامِ وَالْأَفْعَالِ الَّتِي لَا تُفْعَلُ فِيهَا. وَمِنْهَا الصِّيَامُ , يَمْنَعُهُمْ مِنَ الْجِمَاعِ وَالطَّعَامِ وَالشَّرَابِ. وَمِنْهَا الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ , يَمْنَعَانِهِمْ مِنَ الْجِمَاعِ وَالطِّيبِ وَاللِّبَاسِ وَمِنْهَا الِاعْتِكَافُ , يَمْنَعُهُمْ مِنَ الْجِمَاعِ وَالتَّصَرُّفِ. فَكَانَ مَنْ جَامَعَ فِي صِيَامِهِ أَوْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ نَاسِيًا مُخْتَلَفًا فِي حُكْمِهِ. فَقَوْمٌ يَقُولُونَ: لَا يُخْرِجُهُ ذَلِكَ مِنْ صِيَامِهِ , تَقْلِيدًا لِآثَارٍ رَوَوْهَا. وَقَوْمٌ يَقُولُونَ: قَدْ أَخْرَجَهُ ذَلِكَ مِنْ صِيَامِهِ , وَكُلُّ مَنْ جَامَعَ فِي حَجَّتِهِ أَوْ عُمْرَتِهِ أَوِ اعْتِكَافِهِ , مُتَعَمِّدًا , أَوْ نَاسِيًا فَقَدْ خَرَجَ بِذَلِكَ مِمَّا كَانَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ. فَكَانَ مَا يُخْرِجُهُ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ مُتَعَمِّدًا , فَهُوَ يُخْرِجُهُ مِنْهَا إِذَا فَعَلَهُ غَيْرَ مُتَعَمِّدٍ , وَكَانَ الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ إِذَا كَانَ عَلَى التَّعَمُّدِ كَذَلِكَ. فَالنَّظَرُ، عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ، أَنْ يَكُونَ أَيْضًا , يَقْطَعُهَا إِذَا كَانَ عَلَى السَّهْوِ , وَيَكُونُ حُكْمُ الْكَلَامِ فِيهَا عَلَى الْعَمْدِ وَالسَّهْوِ سَوَاءً , كَمَا كَانَ حُكْمُ الْجِمَاعِ فِي الِاعْتِكَافِ وَالْعُمْرَةِ , عَلَى الْعَمْدِ وَالسَّهْوِ سَوَاءً. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ أَيْضًا فِي هَذَا الْبَابِ , وَقَدْ وَافَقَ مَا صَحَّحْنَا عَلَيْهِ مَعَانِيَ الْآثَارِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. فَإِنْ سَأَلَ سَائِلٌ عَنِ الْمَعْنَى الَّذِي لَهُ , لَمْ يَأْمُرْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاوِيَةَ بْنَ الْحَكَمِ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ لَمَّا تَكَلَّمَ فِيهَا. قِيلَ لَهُ ذَلِكَ لِأَنَّ الْحُجَّةَ لَمْ تَكُنْ قَامَتْ عِنْدَهُ قَبْلَ ذَلِكَ بِتَحْرِيمِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , فَلَمْ يَأْمُرْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ لِذَلِكَ. فَأَمَّا مَنْ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ , بَعْدَ قِيَامِ الْحُجَّةِ , بِنَسْخِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ , فَعَلَيْهِ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ أَمَرَهُ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ , وَلَكِنْ لَمْ يُنْقَلْ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ. [ص:453] وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَسْجُدْ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬১২
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কৃত ভুলের জন্য কথা বলা
২৬১২। রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) ...... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মদীনার অনেক 'আলিম (সাহাবা)- কে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁদের কেউ এই বিষয়ে আমাকে বলেননি যে, তিনি যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে দুই সিজদা সাহো করেছেন।
বস্তুত আমাদের নিকট এর অর্থ (আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন) হলোঃ সালাতে সিজদা সাহো তখন ওয়াজিব হয় যখন তাতে অনুচিত কিছু করা হয়, যথা বসার স্থলে দাঁড়িয়ে যাওয়া কিংবা বসার স্থান নয় এমন স্থানে বসা ইত্যাদি সেই সমস্ত কাজ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্রটিকারীরূপে সাব্যস্ত হবে। পক্ষান্তরে মাকরূহ নয় এরূপ কিছু যদি তাতে করা হয় তাহলে এতে সিজদা সাহো (জরুরী) হবে না। আর যুলইয়াদায়নের ঘটনার দিনে সালাতের বিধান ছিলো যে, তাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলাতে কোন দোষ ছিলো না। কেউ তা ইচ্ছাকৃত ভাবে করলেও ক্রটিকারী বিবেচিত হতো না। তাই যে তা ভুলে করবে তাঁর উপর সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে না। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে সেই সমস্ত লোকদের ('আলিমদের) মাযহাব যাঁরা এইমত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই দিন তাতে সিজদা করেননি। এটি (দলীল) হচ্ছে সেই সমস্ত মত পোষণকারীদের যা আমি এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। আর যারা উল্লেখ করেন যে, তিনি ﷺ সেই দিন সিজদা (সাহো) করেছেন। তাঁদের মতে যদিও তখন সালাতে কথা বলা এবং হ্যাঁটা-চলা মুবাহ (বৈধ) ছিলো, কিন্তু তখন সালাম ফিরানোর সময়ের পূর্বে সালাম ফিরানো মুবাহ ছিল না। যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতকে পূর্ণ করে ফেলেছেন (তাঁর ধারনায়) এবং তা থেকে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে তাতে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন।
বস্তুত এরূপ যদি কেউ ইচ্ছাকৃত করে তাহলে সে ক্রটিকারী বিবেচিত হবে। কিন্তু যখন তিনি তা ভুলে করেছেন তাহলে তাতে সিজদা সাহো ওয়াজিব হবে। এটি হচ্ছে, এই হাদীসে (উল্লিখিত) মত পোষণকারীদের মাযহাব।
كتاب الصلاة
2612 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ بِالْمَدِينَةِ , فَمَا أَخْبَرَنِي أَحَدٌ مِنْهُمْ أَنَّهُ صَلَّاهُمَا , يَعْنِي سَجْدَةَ السَّهْوِ , يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ , فَمَعْنَى هَذَا عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنَّهُ إِنَّمَا يَجِبُ سُجُودُ السَّهْوِ فِي الصَّلَاةِ إِذَا فَعَلَ فِيهَا مَا لَا يَنْبَغِي أَنْ يَفْعَلَ فِيهَا. مِثْلَ الْقِيَامِ مِنَ الْقُعُودِ , أَوِ الْقُعُودِ فِي غَيْرِ مَوْضِعِ الْقُعُودِ , أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ , مِمَّا لَوْ فُعِلَ عَلَى الْعَمْدِ , كَانَ فَاعِلُهُ مُسِيئًا. فَأَمَّا مَا فُعِلَ فِيهَا , مِمَّا لَيْسَ بِمَكْرُوهٍ فِيهَا , فَلَيْسَ فِيهِ سُجُودُ السَّهْوِ , وَكَانَ حُكْمُ الصَّلَاةِ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ لَا بَأْسَ بِالْكَلَامِ فِيهَا وَالتَّصَرُّفِ فِيهَا. فَلَمَّا فَعَلَ ذَلِكَ فِيهَا عَلَى السَّهْوِ , وَكَانَ فَاعِلُهُ عَلَى الْعَمْدِ غَيْرَ مُسِيءٍ , كَانَ فَاعِلُهُ عَلَى السَّهْوِ , غَيْرُ وَاجِبٍ سُجُودُ السَّهْوِ. فَهَذَا مَذْهَبُ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَسْجُدْ يَوْمَئِذٍ. وَهَذَا حُجَّةٌ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الَّتِي بَيَّنَّاهَا فِي هَذَا الْبَابِ. وَكَانَ مَذْهَبُ الَّذِينَ ذَكَرُوا أَنَّهُ سَجَدَ يَوْمَئِذٍ , أَنَّ الْكَلَامَ وَالتَّصَرُّفَ , وَإِنْ كَانَا قَدْ كَانَا مُبَاحَيْنِ فِي الصَّلَاةِ يَوْمَئِذٍ فَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْمُبَاحِ يَوْمَئِذٍ , أَنْ يُسَلِّمَ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ أَوَانِ السَّلَامِ. فَلَمَّا سَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا سَلَامًا أَرَادَ بِهِ الْخُرُوجَ مِنْهَا , عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَتَمَّهَا , وَكَانَ ذَلِكَ مِمَّا لَوْ فَعَلَهُ فَاعِلٌ عَلَى الْعَمْدِ , كَانَ مُسِيئًا , لَمَّا فَعَلَهُ عَلَى السَّهْوِ , وَجَبَ فِيهِ سُجُودُ السَّهْوِ. وَهَذَا مَذْهَبُ أَهْلِ الْمَقَالَةِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ
tahqiq

তাহকীক: