শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৩৪৪৩
রোযার অধ্যায়
১৩. কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৩। ইউনুস (রাহঃ) .... আবু বকর (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম সূমাই (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু কবর ইব্ন আব্দুর রহমানকে বলতে শুনেছেন যে, একবার আমি এবং আমার পিতা মদীনার আমীর মারওয়ান ইব্ন হাকাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম।তাঁর নিকট উল্লেখ করা হলো যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলে থাকেন ঃ যে ব্যক্তি ভোরে জানাবাতের (গেসল ফরয) অবস্থায় থাকবে ঐ দিনের সিয়াম পালন করবে না। মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি যে, তুমি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মু সালামা (রাযিঃ) এর নিকট যাবে এবং তাঁদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে। আবু বকর বলেন তখন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) গেলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে গেলাম। আমরা আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম এবং আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁকে সালাম করলেন। তারপর তিনি বললেন হে উম্মুল মু’মিনীন! আমরা মারওয়ান এর নিকট উপস্থিত ছিলাম,তাঁর নিকট উল্লেখ করা হলো যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলে থাকেন ঃ যে ব্যক্তি ভোরে জানাবত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকবে সে ওইদিনের সিয়াম পালন করবে না। এতে আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, হে আব্দুর রহমান! আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ভাল বক্তব্য প্রদান করেননি। তোমরা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আমল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে ? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম না। উম্মুল মু’মিনীন বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (কোন কোন সময়) স্ত্রী সহবাসের কারণে জানাবাতগ্রস্ত হয়ে সকাল করতেন, স্বপ্নদোষের কারনে নয়। তারপরও ঐদিনের সিয়াম পালন করতেন। রাবী বলেন, এরপর আমরা বের হয়ে উম্মু সালামা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম, তাঁকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনিও সেইরূপ বললেন যা আয়িশা (রাযিঃ) বলেছিলেন। তারপর আমরা বের হয়ে পড়লাম এবং মারওয়ান এর নিকট এলাম। আব্দুর রহমান তাঁর নিকট তাঁদের উভয়ের বক্তব্য উল্লেখ করলেন। মারওয়ান বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ ! আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, তুমি দরজার (সম্মুখে) দাঁড়িয়ে থাকা আমার সওয়ারীতে আরোহণ করে অবশ্যই আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট যাবে। তিনি আকীক নামক স্থানে তাঁর খামারে রয়েছেন। তাঁকে গিয়ে বিষয়টি অবহিত কর। তখন আব্দুর রহমান সওয়ার হলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে সওয়ার হলাম। অবশেষে আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর খিদমতে গিয়ে উপস্থিত হলাম। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন। এরপর তাঁকে বিষয়টি উল্লেখ করলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, এ বিষয়ে আমার সম্যক জ্ঞান নেই, আমাকে এ সম্পর্কে এক সংবাদদাতা সংবাদ পরিবেশন করেছিল।
كتاب الصيام
بَابُ الرَّجُلِ يُصْبِحُ فِي يَوْمٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ جُنُبًا هَلْ يَصُومُ أَمْ لَا؟
3443 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ: أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ: كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذَكَرَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَقُولُ: «مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ» فَقَالَ مَرْوَانُ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيِ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَتَسْأَلُهُمَا عَنْ ذَلِكَ قَالَ: فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَسَلَّمَ عَلَيْهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ثُمَّ قَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَقُولُ «مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ» فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِئْسَ مَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ؟ " فَقَالَ: لَا وَاللهِ. قَالَتْ: «فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ» قَالَ: ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا إِلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلَتُخْبِرَنَّهُ بِذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَا عِلْمَ لِي بِذَلِكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৫
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৪-৪৫। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ......... ইয়া’লা ইব্ন উকবা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার ভোরে জানাবাত অবস্থায় ছিলাম, অথচ আমি সিয়াম পালন করতে ইচ্ছুক ছিলাম। আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট এলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘সিয়াম ভঙ্গ করে ফেল’। এরপর আমি মারওয়ানের নিকট এলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আর তাঁকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত করলাম। তিনি আব্দুর রহমান ইব্ন হারিসকে আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট পাঠালেন। তিনি উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন। জওয়াবে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হতেন অথচ তাঁর মাথা মুবারক থেকে (গোসলের কারণে পানির) ফোঁটা টপ টপ করে পড়ত। এরপর তিনি সেই দিনের সিয়াম পালন করতেন। তারপর তিনি (আব্দুর রহমান) মাওয়ানের নিকট ফিরে এসে তাঁকে অবহিত করলেন। তিনি বললেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট যাও এবং তাঁকে এটা অবহিত কর। তিনি গিয়ে তা অবহিত করলে তিনি বললেন আমি এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) থেকে কিছু শুনিনি। বরং বিষয়টি আমাকে নবী করীম (ﷺ) থেকে ফযল (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন।

আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) .... ইব্ন আওন (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইব্ন আওন (রাহঃ) বলেন, আমি রাজা’কে জিজ্ঞাসা করেছি ইয়া’লা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত আপনাকে কে বর্ণনা করেছে ? তিনি বললেন, ইয়া’লা (রাহঃ) নিজে আমাকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলীম এ বিষয়ে সেই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন যা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ফজল (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন,এবং তাঁরা উক্ত হাদীসের মর্মের অনুকূলে মত পোষণ করেছেন ও অনুসরণ করেছেন। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, সেই ব্যক্তি (জুনুবী) গোসল করবে এবং সেই দিনের সিয়াম পালন করবে। এ বিষয়ে তাঁরা সেই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন যা আমরা অনুচ্ছেদের প্রথমাংশে আয়িশা (রাযিঃ) ও উম্মু সালামা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছি। আর তাঁরা নিম্মোক্ত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন।
كتاب الصيام
3444 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَوْنٍ عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عُقْبَةَ قَالَ: أَصْبَحْتُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصَّوْمَ فَأَتَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لِي «أَفْطِرْ» فَأَتَيْتُ مَرْوَانَ فَسَأَلْتُهُ وَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَبَعَثَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَارِثِ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَسَأَلَهَا فَقَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ مِنْ جِمَاعٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ» . فَرَجَعَ إِلَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: ائْتِ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبِرْهُ فَأَتَاهُ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: أَمَّا إِنِّي لَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا حَدَّثَنِيهِ الْفَضْلُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

3445 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أنا ابْنُ عَوْنٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ قَالَ ابْنُ عَوْنٍ: فَقُلْتُ لِرَجَاءٍ مَنْ حَدَّثَكَ عَنْ يَعْلَى؟ قَالَ: إِيَّايَ حَدَّثَ يَعْلَى قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ ذَاهِبُونَ إِلَى مَا رَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ عَنِ الْفَضْلِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا بِهِ وَقَلَّدُوهُ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى مَا رَوَيْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৫
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৪৫।
كتاب الصيام
- 3445
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৬
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ......... আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান ইব্ন হারিস হিশামের পিতা (আব্দুর রহমান রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার আমি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে সংবাদ দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ( কোন্ কোন্ সময়) ভোরে জানাবত অবস্থায় থাকতেন,এরপর গোসল করতেন এবং মসজিদের দিকে রওয়ানা হতেন অথচ তাঁর মাথা মুবারক থেকে (পানির) ফোটা টপ টপ করে পড়ত। তারপর সেই দিনের সিয়াম পালন করতেন। ( বর্ণনাকারী বলেন ) আমি বিষয়টি মারওয়ানকে অবহিত করলে তিনি বললেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে ব্যাপারটি তাঁকে বল। আমি বললাম! তিনি আমার বন্ধু সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন। তিনি বললেন,আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি যে, তুমি তাঁর নিকট অবশ্যই যাবে। (আবু বকর বলেন) তারপর আমি এবং আমার পিতা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর খিদমতে গেলাম এবং এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করলাম। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ আয়িশা (রাযিঃ) আমার চাইতে অধিক জ্ঞানের অধিকারী। (বর্ণনাকারী) শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমার সহীফায় (পান্ডুলিপিতে ) রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, তিনি (আয়িশা রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কে আমার চাইতে অধিক জ্ঞানসম্পন্ন।
كتاب الصيام
3446 - وَإِلَى مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ وَرَوْحٌ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْنِي «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا ثُمَّ يَغْتَسِلُ ثُمَّ يَغْدُو إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ» فَأَخْبَرْتُهُ مَرْوَانَ فَقَالَ: ائْتِ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبِرْهُ بِذَلِكَ فَقُلْتُ: إِنَّهُ لِي صَدِيقٌ فَأَعْفِنِي فَقَالَ: عَزَمْتُ عَلَيْكَ لَتَأْتِيَنَّهُ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَأَبِي إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَعْلَمُ مِنِّي " قَالَ شُعْبَةُ: وَفِي الصَّحِيفَةِ «أَعْلَمُ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنِّي»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৭
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৭। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ) ......... উমার ইব্ন আব্দুর রহমানের ভাই আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক নাগাড়ে সিয়ামব্রত পালন করে যেতেন, সিয়াম ভঙ্গ করতেন না। একবার তিনি তাঁর পিতার নিকট গেলেন সেদিন তিনি সিয়াম পালন করছিলেন না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আজকে তোমার সিয়াম পালন নেই কেন ? তিনি বললেন আমি জানাবতগ্রস্ত ছিলাম এবং সকাল পর্যন্ত গোসল করিনি। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাকে সিয়াম পালন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর তাঁরা আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট লোক পাঠালেন যেন তাঁরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন ঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানাবতগ্রস্ত হতেন এবং সকাল হওয়ার পর গোসল করতেন। তারপর বের হয়ে পড়তেন এবং তাঁর মাথা মুবারক থেকে পানির ফোটা টপ টপ করে পড়ত, আর তিনি সাহাবাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তারপর সেই দিনের সিয়াম পালন করতেন।
كتاب الصيام
3447 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ , قَالَ: أنا دَاوُدَ بْنُ أَبِي هِنْدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَخِيهِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَنَّهُ كَانَ يَصُومُ وَلَا يُفْطِرُ فَدَخَلَ عَلَى أَبِيهِ يَوْمًا وَهُوَ مُفْطِرٌ فَقَالَ لَهُ: مَا شَأْنُكَ الْيَوْمَ مُفْطِرًا؟ قَالَ: إِنِّي أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ فَلَمْ أَغْتَسِلْ حَتَّى أَصْبَحْتُ فَأَفْتَانِي أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ أُفْطِرَ، فَأَرْسَلُوا إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا يَسْأَلُونَهَا فَقَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ فَيَغْتَسِلُ بَعْدَمَا يُصْبِحُ، ثُمَّ يَخْرُجُ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ مَاءً فَيُصَلِّي لِأَصْحَابِهِ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৮
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৮। আলী (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইব্ন হারিস ইব্ন হিশাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মাওয়ান ইব্ন হাকাম তাঁকে আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মু সালামা (রাযিঃ) এর নিকট পাঠালেন। তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামা (রাযিঃ) এর গোলাম নাফি‘র সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। আমি তাঁকে উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) এর নিকট পাঠালাম। সে ফিরে এসে আমাকে বলল যে, তিনি বলেছেনঃ নবী করীম (ﷺ) (কোন্ কোন্ সময়) ভোরে জানাবতগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন। কিন্তু এটা (জানাবত) স্বপ্নদোষের করণে হত না। এরপর তিনি সিয়ামরত অবস্থায় সকাল করতেন। তারপর তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট এলেন এবং তিনি তাঁর নিকট তার গোলাম আবু আমর যাকওয়ানকে পাঠালেন। তিনি তাঁকে বললেন, নবী করীম (ﷺ) (কোন্ সময় ) স্বপ্ন দোষ ব্যতীত জানাবতগ্রস্ত হতেন এবং সিয়াম পালনরত অবস্থায় সকাল করতেন। এরপর আমি মারওয়ান ইব্ন হাকাম এর নিকট এসে তাঁকে তাঁদের উভয়ের বক্তব্য অবহিত করলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি ,তুমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে তাঁকে তাদের উভয়ের বক্তব্য অবহিত কর। তখন আমি তাঁর নিকট এসে তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি বললেন তাঁরা অধিকতর জ্ঞানসম্পন্ন।
كتاب الصيام
3448 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ , عَنْ أَبِي عِيَاضٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ , أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ , بَعَثَهُ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: فَلَقِيتُ غُلَامَهَا نَافِعًا يَعْنِي أُمَّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَ: فَأَرْسَلْتُهُ إِلَيْهَا فَرَجَعَ إِلَيَّ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهَا قَالَتْ: «إِنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يُصْبِحُ صَائِمًا» ثُمَّ أَتَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا غُلَامَهَا ذَكْوَانَ أَبَا عَمْرٍو فَأَخْبَرَتْهُ «أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يُصْبِحُ صَائِمًا» فَأَتَيْتُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَأَخْبَرَتْهُ بِقَوْلِهِمَا فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَتَأْتِيَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ فَلَتُخْبِرَنَّهُ بِقَوْلِهِمَا فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: هُنَّ أَعْلَمُ "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৯
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৪৯। ইউনুস (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভোরে জানাবতগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন। এরপর সেই দিনের সিয়াম পালন করতেন।
كتاب الصيام
3449 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْبِحُ جُنُبًا ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫০
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৫০। ফহাদ (রাহঃ) ......... আবু বকর ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেন ঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (কোন্ সময় ) ফজরের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেতেন এবং ফরয গোসলের কারণে তাঁর মাথা মুবারক থেকে (পানির) ফোটা টপটপ করে পড়ত। এরপর ওই দিনের সিয়াম পালন করতেন।
كتاب الصيام
3450 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ عُمَارَةَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ مِنْ غُسْلِ الْجَنَابَةِ ثُمَّ يَصُومُ يَوْمَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬৪
রোযার অধ্যায়
কেউ রামাযান মাসে ভোরে জানাবাত (গোসল ফরয) অবস্থায় থাকলে সে সিয়াম পালন করবে কি-না ?
৩৪৫১-৬৪। আবু বাকরা (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) ( কোন সময়) ফজর শুরু হওয়ার সময় জানাবাতগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন। তারপর তিনি সিয়াম পালনও করতেন।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমানের পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে,তাঁরা উভয়ে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ) ......... আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) ও উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে এবং তাঁরা নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি “রামাদানে ” শব্দটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ) ......... সুমাই (রাহঃ) আবু বকর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

ফাহাদ (রাহঃ) ...আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ফাহাদ (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ......... আবু সালিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ......... ইব্ন আবী মুলায়কা (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এবং তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ) ......... আমের ইব্ন আবী উমাইয়া (রাহঃ) উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... হাম্মাম (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইয়াযিদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এটি অতিরিক্ত করেছেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এ সংবাদের ভিত্তিতে নিজ ফাতাওয়া থেকে মত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বস্তুত তাঁরা (হাদীস বিশেষজ্ঞগণ ) বলেছেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই সমস্ত উল্লিখিত রিওয়ায়াত মুতাওয়াতির হিসাবে বর্ণিত হয়ে এসেছে তখন আমাদের জন্য এর পরিপন্থী অন্য কিছু গ্রহণ করা বৈধ নয়।এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের দলীল হলো যে, তাঁরা বলেছেন, উম্মু সালামা (রাযিঃ) এবং আয়িশা (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াতে বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আমল সম্পর্কে তাঁরা খবর দিয়েছেন। পক্ষান্তরে নবী করীম (ﷺ) থেকে ফজল (রাযিঃ) এর বরাতে বর্ণিত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত তার পরিপন্থী । সম্ভবত নবী করীম (ﷺ) এর জন্য সেই বিধান প্রযোজ্য যা আয়িশা (রাযিঃ) ও উম্মু সালামা (রাযিঃ) তাঁদের রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন। আর অপরাপর সাধারণ লোকদের জন্য সেই বিধান প্রযোজ্য যা ফজল (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। সুতরাং হাদীসসমূহের মর্মের এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে উভয় হাদীস পরস্পর বিরোধী হবে না। কিন্তু অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরুদ্ধে নিম্মোক্ত প্রমাণ পেশ করেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যিনি ফজল (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন, তিনি তাঁর ফাতাওয়া থেকে আয়িশা (রাযিঃ) ও উম্মু সালামা (রাযিঃ) এর বক্তব্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং এই হাদীসকে ফজল এর বরাতে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত করেছেন। বস্তুত এ বিষয়ে এটাই হলো প্রমাণ। দ্বিতীয় দলীল হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আমরা সেই মর্মের বর্ণনা পাচ্ছি যাতে প্রতীয়মান হয় যে, এ বিষয়ে সাধারণ লোকদের জন্য সেই বিধান-ই প্রযোজ্য যা কিনা তাঁর জন্য প্রযোজ্য।
كتاب الصيام
64 - 3451 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَائِشَةَ , وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا زَوْجَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ ثُمَّ يَصُومُ»

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: ثنا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا زَوْجَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا حَدَّثَتَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ وَزَادَ فِي رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي بَكْرٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ قَالَ ثنا أَبُو إِسْحَاقَ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: ثنا زَائِدَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: أنا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ: أنا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ عَامِرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ أَيْضًا

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ ح
وَ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا يَحْيَى الْقَطَّانُ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَزَادَ فَرَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فُتْيَاهُ عَلَى هَذَا الْخَبَرِ قَالُوا: فَلَمَّا تَوَاتَرَتِ الْآثَارُ بِمَا ذَكَرْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُجِزْ لَنَا خِلَافُ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنْ قَالُوا: هَذَا الَّذِي رَوَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا إِنَّمَا أَخْبَرَتَا بِهِ عَنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبَرَ الْفَضْلُ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ خَالَفَ ذَلِكَ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَ حُكْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرَتْ عَائِشَةُ وَأُمُّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي حَدِيثِهِمَا وَيَكُونُ حُكْمُ سَائِرِ النَّاسِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْفَضْلُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَكُونُ الْخَبَرَانِ غَيْرَ مُتَضَادَّيْنِ عَلَى مَا يُخَرَّجُ عَلَيْهِ مَعَانِي الْآثَارِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرَيْنِ عَلَيْهِمْ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هُوَ الَّذِي رَوَى حَدِيثَ الْفَضْلِ وَقَدْ رَجَعَ عَنْ فُتْيَاهُ إِلَى قَوْلِ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَعَدَّ ذَلِكَ أَوْلَى مِمَّا حَدَّثَهُ الْفَضْلُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَذَا حُجَّةٌ فِي هَذَا الْبَابِ وَحُجَّةٌ أُخْرَى: أنا قَدْ وَجَدْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ النَّاسِ فِي ذَلِكَ أَيْضًا كَحُكْمِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৪
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৪।
كتاب الصيام
- 3454
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৫
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৫।
كتاب الصيام
- 3455
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৬
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৬।
كتاب الصيام
- 3456
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৭
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৭।
كتاب الصيام
- 3457
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৮
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৮।
كتاب الصيام
- 3458
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৯
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৫৯।
كتاب الصيام
- 3459
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৬০
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৬০।
كتاب الصيام
- 3460
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৬১
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৬১।
كتاب الصيام
- 3461
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৬২
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৬২।
كتاب الصيام
- 3462
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৬৩
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৬৩।
كتاب الصيام
- 3463
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৬৪
রোযার অধ্যায়
empty
৩৪৬৪।
كتاب الصيام
- 3464
tahqiq

তাহকীক: