শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৫০৮
হজ্বের অধ্যায়
যে নারী মাহরাম না পায় তার উপর হজ্জ ফরয কি-না
৩৫০৮। আমাকে (ইমাম তাহাবী র) আমার কতক সাথী মুহাম্মাদ ইব্ন মুকাতিল আররাযী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুধু মাত্র হুক্কাশ আররাযী থেকে জেনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করি যে, নারী কি মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারে ? তিনি বললেন,না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নারীকে তিন দিন বা তার চাইতে বেশী দূরত্বে তার স্বামী অথবা পিতা অথবা কোন মাহরাম ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করেছেন। হুক্কাশ (রাহঃ) বলেন, আমি (বিষয়টি) আরযাযীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এতে কোন রূপ দোষ নেই।
আমাকে (ইমাম তাহাবী র) আতা (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) মাহরাম ব্যতীত সফর করতেন। তিনি বলেন, আমি একবার আবু হানীফা (রাহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু হানীফা (রাহঃ) বললেন, আররাযী জানেন না, তিনি কি বিষয় রিওয়ায়াত করছেন। বস্তুত সমস্ত লোক আয়িশা (রাযিঃ) এর জন্য মাহরাম ছিলো। তিনি যার সঙ্গেই সফর করতেন মাহরামের সঙ্গেই সফর হত। কিন্তু লোকেরা অন্য নারীদের জন্য অনুরূপ নয়।
সুতরাং এই অনুচ্ছেদে মাহরাম ব্যতীত নারীর জন্য তিনদিনের (দূরত্বের ) সফর করার নিষেধাজ্ঞা এবং মাহরাম ব্যতীত তার চাইতে কম (সময়ের) সফর তার জন্য বৈধ হওয়ার বিষয় সাব্যস্ত করে এসেছি। উপরন্তু অন্যান্য শর্ত পূরণ হওয়া সত্তে¡ও নাীর’র উপর ততক্ষণ পর্যন্ত হজ্জ পালন ফরয হবে না, যতক্ষণ না তার সঙ্গে মাহরাম হবে। এর সব কিছুই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
كتاب مناسك الحج
3508 - فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُقَاتِلٍ الرَّازِيِّ لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ حَكَّامٍ الرَّازِيِّ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ هَلْ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ؟ فَقَالَ: لَا , نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ مَسِيرَةَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلَّا وَمَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ أَبُوهَا أَوْ ذُو رَحِمٍ مِنْهَا " قَالَ حُكَّامٌ: فَسَأَلْتُ الْعَرْزَمِيَّ فَقَالَ: «لَا بَأْسَ بِذَلِكَ» حَدَّثَنِي عَطَاءٌ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَانَتْ تُسَافِرُ بِلَا مَحْرَمٍ قَالَ: فَأَتَيْتُ أَبَا حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ: لَمْ يَدْرِ الْعَرْزَمِيُّ مَا رَوَى كَانَ النَّاسُ لِعَائِشَةَ مَحْرَمًا فَمَعَ أَيِّهِمْ سَافَرَتْ فَقَدْ سَافَرَتْ مَعَ مَحْرَمٍ وَلَيْسَ النَّاسُ لِغَيْرِهَا مِنَ النِّسَاءِ " كَذَلِكَ وَكُلُّ الَّذِي أَثْبَتْنَا فِي هَذَا الْبَابِ مِنْ مَنْعِ الْمَرْأَةِ مِنَ السَّفَرِ مَسِيرَةَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ إِلَّا مَعَ مَحْرَمٍ وَمِنْ إِبَاحَةِ مَا دُونَ ذَلِكَ لَهَا مِنَ السَّفَرِ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ وَمِنْ أَنَّ الْمَرْأَةَ لَا يَجِبُ عَلَيْهَا فَرْضُ الْحَجِّ إِلَّا بِوُجُودِهَا الْمَحْرَمَ مَعَ وُجُودِ سَائِرِ السَّبِيلِ الَّذِي يَجِبُ بِوُجُودِهَا فَرْضُ الْحَجِّ. قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক: