শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

হাদীস নং: ৩৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১২
হজ্বের অধ্যায়
৬. মুহরিম-এর পোশাক
৩৬০৬-১২। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ......... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আরাফাতের ময়দানে নবী করীম (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি লুঙ্গি (তহবন্দ) যোগাড় করতে না পারে, সে পায়জামাই পরিধান করবে, আর যে ব্যক্তি চপ্পল যোগাড় করতে না পারে, সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে।

আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ......... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি আরাফাতে শব্দটি উল্লেখ করেননি।

ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... আমর ইব্ন দীনার (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেছেন, আমি নবী করীম (ﷺ) থেকে শুনেছি তিনি তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ......... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ‘তিনি তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন’ বাক্যটি উল্লেখ করেননি।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) কে ভাষণ দিতে শুনেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। আমি (ইমাম তাহাবী র) জিজ্ঞাসা করি, তিনি কি মোজা দু’টি পায়ের পাতার উপরের অংশ কেটে ফেলার কথা উল্লেখ করেন নি ? তিনি বললেন, না।
كتاب مناسك الحج
بَابُ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ
12- 3606 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ ح

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ زَيْدٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ يَقُولُ «مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا لَبِسَ سَرَاوِيلًا وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ لَبِسَ خُفَّيْنِ»

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ عَرَفَةَ.

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: أنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ فَذَكَرَ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَذَكَرَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ وَهُوَ يَخْطُبُ.

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ , قَالَ: أنا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ. قُلْتُ وَلَمْ يَقُلْ يُقَطِّعُهُمَا؟ قَالَ لَا "
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬০৭
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬০৭।
كتاب مناسك الحج
- 3607
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬০৮
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬০৮।
كتاب مناسك الحج
- 3608
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬০৯
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬০৯।
كتاب مناسك الحج
- 3609
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১০
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১০।
كتاب مناسك الحج
- 3610
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১১
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১১।
كتاب مناسك الحج
- 3611
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১২
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১২।
كتاب مناسك الحج
- 3612
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৩
হজ্বের অধ্যায়
মুহরিম-এর পোশাক
৩৬১৩। হুসাইন ইব্ন হাকাম আলজীযী আল কুফী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি চপ্পল যোগাড় করতে না পারে তবে সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে, আর যদি লুঙ্গি যোগাড় করতে না পারে তবে সে পায়জামাই পরিধান করবে।
ইমাম আবু জা’ফর (তাহাবী র ) বলেন, একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, কোন ইহরাম পালনকারী ব্যক্তি যদি লুঙ্গি যোগাড় করতে না পারে তবে সে পায়জামা পরিধান করবে এবং তাঁর উপর কোন রূপ প্রতিবিধান আরোপিত হবে না। আর কেউ যদি চপ্পল যোগাড় করতে না পারে তবে সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে এবং তাঁর উপর কোন কিছু আরোপিত হবে না।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, যা কিছু আপনারা ইহরাম পালনকারী ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনের সময় চামড়ার মোজা এবং পায়জামার বিষয় উল্লেখ করেছেন আমরাও এ মত পোষণ করি এবং প্রয়োজনের তাগিদে এটা পরিধান করা জায়েয মনে করি। কিন্তু এর সাথে সাথে আমরা তাঁর উপর কাফ্ফারা (প্রতিবিধান)ও সাব্যস্ত করে থাকি। আর আপনারা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছেন, তাতে কাফ্ফারার আবশ্যকতার অস্বীকৃতি নেই, উপরন্তু তাতে এবং আমাদের বক্তব্যে কোনরূপ বিরোধও নেই। কেননা আমরা এটা বলি না যে, চপ্পল এবং লুঙ্গি যোগাড় না হওয়ার অবস্থায় সে চামড়ার মোজা এবং পায়জামা পরিধান করতে পারবে না। যদি আমরা এমনটি বলতাম তাহলে আমরা এই হাদীসের বিরোধী হতাম। কিন্তু আমরা তাঁর জন্য সেই পোশাক পরিধান করা জায়েয সাব্যস্ত করেছি যা নবী করীম (ﷺ) তার জন্য জায়েয সাব্যস্ত করেছেন। তারপর আমরা তার উপর প্রতিষ্ঠিত প্রমাণাদির ভিত্তিতে কাফ্ফারা আবশ্যক করেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বক্তব্য ঃ ‘যে ব্যক্তি চপ্পল যোগাড় করতে না পারে সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে” এতে এই সম্ভাবনাও বিদ্যমান রয়েছে যে, সে তা টাখনোর নীচে থেকে কেটে চপ্পলের ন্যায় পরিধান করবে এবং তাঁর বক্তব্য ঃ ‘যে ব্যক্তি লুঙ্গি যোগাড় করতে না পারে সে পায়জামা পরিধান করবে’ এতে এ সম্ভাবনাও বিদ্যমান রয়েছে যে, সে তা (পায়জামাকে) কেটে তহবন্দের ন্যায় পরিধান করবে। যদি এই হাদীস দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য হয় তাহলে আমরা আদৌ এর বিরোধী গণ্য হব না। বরং আমরা এ অভিমত পোষণকারী গণ্য হব। বস্তুত আমাদের ও আপনাদের মাঝে শুধু ব্যাখ্যামূলক বিরোধ রয়েছে হাদীসের ব্যাপারে কোন বিরোধ নেই। কেননা আমরা হাদীসের সেই ব্যাখ্যাই গ্রহণ করেছি, যা সম্ভাবনা এতে রয়েছে। সুতরাং ব্যাখ্যামূলক বিরোধ এবং হাদীসগত বিরোধের মধ্যেকার পার্থক্য সম্যক জ্ঞান অর্জন করুন,উভয়টি ভিন্ন ভিন্ন জিনিস। অতএব যে ব্যক্তি আপনাদের ব্যাখ্যার বিরোধী তাকে আপনারা হাদীসের বিরোধী সাব্যস্ত করবেন না।
আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) থেকে কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন ঃ
كتاب مناسك الحج
3613 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَكَمِ الْجِيزِيُّ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ قَوْمٌ فَقَالُوا: مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا وَهُوَ مُحْرِمٌ لَبِسَ سَرَاوِيلًا وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ لَبِسَ خُفَّيْنِ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ لُبْسِ الْمُحْرِمِ الْخُفَّ وَالسَّرَاوِيلَ عَلَى الضَّرُورَةِ فَنَحْنُ نَقُولُ بِذَلِكَ وَنُبِيحُ لَهُ لُبْسَهُ لِلضَّرُورَةِ الَّتِي هِيَ بِهِ. وَلَكِنَّا نُوجِبُ عَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ الْكَفَّارَةَ وَلَيْسَ فِيمَا رَوَيْتُمُوهُ نَفْيٌ لِوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ وَلَا فِيهِ وَلَا فِي قَوْلِنَا خِلَافٌ لِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. لِأَنَّا لَمْ نَقُلْ: لَا يَلْبَسُ الْخُفَّيْنِ إِذَا لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ وَلَا السَّرَاوِيلَ إِذَا لَمْ يَجِدْ إِزَارًا. وَلَوْ قُلْنَا ذَلِكَ كُنَّا مُخَالِفِينَ لِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَكِنَّا قَدْ أَبَحْنَا لَهُ اللِّبَاسَ كَمَا أَبَاحَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ أَوْجَبْنَا عَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ الْكَفَّارَةَ بِالدَّلَائِلِ الْقَائِمَةِ الْمُوجِبَةِ لِذَلِكَ. وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَيْضًا قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ» عَلَى أَنْ يَقْطَعَهُمَا مِنْ تَحْتِ الْكَعْبَيْنِ فَيَلْبَسُهُمَا كَمَا يَلْبَسُ النَّعْلَيْنِ. وَقَوْلُهُ: «مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَيَلْبَسُ سَرَاوِيلًا» عَلَى أَنْ يَشُقَّ السَّرَاوِيلَ فَيَلْبَسُهُ كَمَا يَلْبَسُ الْإِزَارَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ أُرِيدَ بِهِ هَذَا الْمَعْنَى فَلَسْنَا نُخَالِفُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ وَنَحْنُ نَقُولُ بِذَلِكَ وَنُثْبِتُهُ. وَإِنَّمَا وَقَعَ الْخِلَافُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ فِي التَّأْوِيلِ لَا فِي نَفْسِ الْحَدِيثِ لِأَنَّا قَدْ صَرَفْنَا الْحَدِيثَ إِلَى وَجْهٍ يَحْتَمِلُهُ فَاعْرِفُوا مَوْضِعَ خِلَافِ التَّأْوِيلِ مِنْ مَوْضِعِ خِلَافِ الْحَدِيثِ فَإِنَّهُمَا مُخْتَلِفَانِ وَلَا تُوجِبُوا عَلَى مَنْ خَالَفَ تَأْوِيلَكُمْ خِلَافًا لِذَلِكَ الْحَدِيثِ. وَقَدْ بَيَّنَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২১
হজ্বের অধ্যায়
মুহরিম-এর পোশাক
৩৬১৪-২১। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করল যে, ইহরামের প্রাক্কালে কী কাপড় পরিধান করব ? তিনি বললেন, পায়জামা, পাগড়ী, টুপি ও চামড়ার মোজা পরিধান করবে না। তবে যদি কারো কাছে চপ্পল না থাকে তাহলে এরূপ চামড়ার মোজা পরিধান করবে যা পায়ের গিরার (পায়ের মধ্যভাগের জোড়ার) নীচে থাকে।

মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন খাযায়মা (রাহঃ) ......... আয়্যুব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ঈসা ইবন ইবরাহীম আল-গাফেকী (রাহঃ) ......... সালিম (রাহঃ) এর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب مناسك الحج
21- 3614 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: قَالَ أنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا " أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَلْبَسُ مِنَ الثِّيَابِ إِذَا أَحْرَمْنَا؟ فَقَالَ: «لَا تَلْبَسُوا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ لَيْسَتْ لَهُ نَعْلَانِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ»

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَيُّوبَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيِّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ هُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ ح

وَحَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ قَالَا , جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৫
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১৫।
كتاب مناسك الحج
- 3615
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৬
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১৬।
كتاب مناسك الحج
- 3616
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৭
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১৭।
كتاب مناسك الحج
- 3617
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৮
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১৮।
كتاب مناسك الحج
- 3618
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬১৯
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬১৯।
كتاب مناسك الحج
- 3619
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬২০
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬২০।
كتاب مناسك الحج
- 3620
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬২১
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬২১।
كتاب مناسك الحج
- 3621
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬২২
হজ্বের অধ্যায়
মুহরিম-এর পোশাক
৩৬২২। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করে বলেন ঃ যে ব্যক্তি চপ্পল যোগাড় করতে না পারে সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে এবং তা পায়ের গিরার কাছ দিয়ে কেটে ফেলবে।
এখানে ইব্ন উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে মোজা পরিধান করার সংবাদ দিচ্ছেন যে, তিনি তা মুহরিমের জন্য পরিধান করার পদ্ধতি কি সহ জায়েয সাব্যস্ত করেছেন। উপরন্তু এই পদ্ধতি হালাল ব্যক্তির পদ্ধতির পরিপন্থী। পক্ষন্তরে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর হাদীসে এ রকম কোন কথা বর্ণনা করেননি। অতএব ইব্ন উমর (রাযিঃ) এর হাদীস উভয়ের মধ্যে অধিকতর উত্তম। সুতরাং তিনি যখন মুহরিমের জন্য মোজা পরিধান করার বৈধ পদ্ধতি বর্ণনা করে দিয়েছেন এবং তা হালাল ব্যক্তির পরিধানের পরিপন্থী। অনুরূপভাবে তাঁর জন্য পায়জামা পরিধান করার যে পদ্ধতি জায়েয সাব্যস্ত করেছেন তা হালাল ব্যক্তির পরিধানের পরিপন্থী। আর এটাই হচ্ছে এ অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নিরূপনের যথার্থ পন্থা।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক পর্যালোচনা ঃ আমরা ফকীহ আলিমদেরকে লক্ষ্য করছি যে, তাঁরা সেই ব্যক্তির ব্যাপারে বিরোধ করেন না, যে লুঙ্গি যোগাড় করতে পেরেছে তাঁর জন্য পায়জামা পরিধান করা জায়েয নয়। কেননা ইহরামের কারণে এটা তাঁর জন্য নাজায়েয। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি চপ্পল যোগাড় করতে পারে তাঁর জন্য প্রয়োজন ব্যতীত চামড়ার মোজা পরিধান করা হারাম। তাই আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, প্রয়োজনের অবস্থায় সেগুলো পরিধান করার পদ্ধতি কি ? এবং এতে কাফ্ফারা আবশ্যক হয় কিনা ? এটাকে আমরা (অন্য বিষয়ের উপর) কিয়াসের দ্বারা সাব্যস্ত করছি । আমরা লক্ষ্য করছি যে, ইহরামের দ্বারা কয়েকটা বস্তু নিষিদ্ধ হয়ে যায় যা ইতিপূর্বে জায়েয ছিল। এগুলোর মধ্যে জামা, পাগড়ী, চামড়ার মোজা, পায়জামা ও টুপি পরিধান করা। এখন কোন ব্যক্তি যদি গরমের কারণে অপরাগ হয়ে মাথাকে ঢেকে নেয় অথবা ঠাণ্ডার কারণে কাপড় পরিধান করে নেয় তাহলে সে এরূপ কাজ করেছে যা তার জন্য জায়েয। কিন্তু তাঁর উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। ইহরামের কারণে তাঁর উপর প্রয়োজন ব্যতীত মাথা মুণ্ডন করাও হারাম। এখন কেউ যদি প্রয়োজনের তাগিদে মাথা মুণ্ডন করে, তাহলে সে একটি জায়েয কাজ-ই করল, কিন্তু তাঁর উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। তাই মুহরিমের জন্য প্রয়োজন ব্যতীত মাথা মুণ্ডন করার অবৈধতা যখন প্রয়োজনের কারণে বৈধতার পরিবর্তিত হয়, তাহলে এতে কাফ্ফারা লুপ্ত হবে না বরং প্রয়োজন ব্যতীত মাথা মুণ্ডন করার ন্যায় প্রয়োজনের সময়ও সর্ব অবস্থায় কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। অনুরূপভাবে জামা পরিধান করা, প্রয়োজন ব্যতীত এটা পরিধান করা নাজায়েয। যখন প্রয়োজনের তাগিদে জায়েয হবে তখন এতে প্রতিবিধান রহিত হবে না। সুতরাং এইসব অবস্থায় তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। যখন কাফ্ফারা প্রয়োজন ব্যতীত কোন আমলের দ্বারা আবশ্যক হয়, তা প্রয়োজনের কারনে এরূপ করার দ্বারা রহিত হবে না। শুধু গুনাহ রহিত হবে। অনুরূপ বিধান চামড়ার মোজা এবং পায়জামা পরিধান করার প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও । যাতে আবশ্যক কাফ্ফারা রহিত হবে না, যা প্রয়োজন ব্যতীত ব্যবহারের কারণে আবশ্যক হয়। কিন্তু তা শুধু গুনাহকে রহিত করে দেয়। আর এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ। আর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত এটাই।
كتاب مناسك الحج
3622 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ , أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَشُقَّهُمَا مِنْ عِنْدِ الْكَعْبَيْنِ» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلُبْسِ الْخُفَّيْنِ الَّذِي أَبَاحَهُ لِلْمُحْرِمِ كَيْفَ هُوَ وَأَنَّهُ بِخِلَافِ مَا يَلْبَسُ الْحَلَالُ. وَلَمْ يُبَيِّنِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي حَدِيثِهِ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَحَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أُولَاهُمَا. وَإِذَا كَانَ مَا أَبَاحَ لِلْمُحْرِمِ مِنْ لُبْسِ الْخُفَّيْنِ هُوَ بِخِلَافِ مَا يَلْبَسُ الْحَلَالُ فَكَذَلِكَ مَا أَبَاحَ لَهُ مِنْ لُبْسِ السَّرَاوِيلِ هُوَ بِخِلَافِ مَا يَلْبَسُ الْحَلَالُ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَمْ يَخْتَلِفُوا فِيمَنْ وَجَدَ إِزَارًا أَنَّ لُبْسَ السَّرَاوِيلِ لَهُ غَيْرُ مُبَاحٍ لِأَنَّ الْإِحْرَامَ قَدْ مَنَعَهُ مِنْ ذَلِكَ. وَكَذَلِكَ مَنْ وَجَدَ نَعْلَيْنِ فَحَرَامٌ عَلَيْهِ لُبْسُ الْخُفَّيْنِ مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي لُبْسِ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ الضَّرُورَةِ كَيْفَ هُوَ؟ وَهَلْ يُوجِبُ كَفَّارَةً أَوْ لَا يُوجِبُهَا؟ فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الْإِحْرَامَ يُنْهِي عَنْ أَشْيَاءَ قَدْ كَانَتْ مُبَاحَةً قَبْلَهُ مِنْهَا: لُبْسُ الْقَمِيصِ وَالْعَمَائِمِ وَالْخِفَافِ وَالسَّرَاوِيلَاتِ وَالْبَرَانِسِ.وَكَانَ مَنِ اضْطُرَّ فَوَجَدَ الْحَرَّ فَغَطَّى رَأْسَهُ وَوَجَدَ الْبَرْدَ فَلَبِسَ ثِيَابُهُ أَنَّهُ قَدْ فَعَلَ مَا هُوَ مُبَاحٌ لَهُ فِعْلُهُ وَعَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ مَعَ ذَلِكَ وَحَرُمَ عَلَيْهِ الْإِحْرَامُ أَيْضًا حَلْقُ الرَّأْسِ إِلَّا مِنْ ضَرُورَةٍ. وَكَانَ مَنْ حَلَقَ رَأْسَهُ مِنْ ضَرُورَةٍ فَقَدْ فَعَلَ مَا هُوَ لَهُ مُبَاحٌ وَالْكَفَّارَةُ عَلَيْهِ وَاجِبَةٌ. فَكَانَ حَلْقُ الرَّأْسِ لِلْمُحْرِمِ، فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ، إِذَا أُبِيحَ فِي حَالِ الضَّرُورَةِ لَمْ يَكُنْ إِبَاحَتُهُ تُسْقِطُ الْكَفَّارَةَ بَلِ الْكَفَّارَةُ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ وَاجِبَةٌ فِي حَالِ الضَّرُورَةِ كَهِيَ فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ. وَكَذَلِكَ لُبْسُ الْقَمِيصِ الَّذِي حَرُمَ عَلَيْهِ فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ. فَإِذَا كَانَتِ الضَّرُورَةُ فَأُبِيحَ ذَلِكَ لَهُ لَمْ يَسْقُطْ بِذَلكَ الضَّمَانُ فَكَانَتِ الْكَفَّارَةُ عَلَيْهِ وَاجِبَةً فِي ذَلِكَ كُلِّهِ فَلَمْ يَكُنِ الضَّرُورَةُ فِي شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْنَا تُسْقِطُ كَفَّارَةً كَانَتْ تَجِبُ فِي شَيْءٍ فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ وَإِنَّمَا تُسْقِطُ الْآثَامَ خَاصَّةً. فَكَذَلِكَ الضَّرُورَاتُ فِي لُبْسِ الْخِفَافِ وَالسَّرَاوِيلَاتِ لَا تُوجِبُ سُقُوطَ الْكَفَّارَاتِ الَّتِي كَانَتْ تَجِبُ لَوْ لَمْ تَكُنْ تِلْكَ الضَّرُورَاتُ وَلَكِنَّهَا تَرْفَعُ الْآثَامَ خَاصَّةً. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ أَيْضًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ، رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক: