শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
হাদীস নং: ৬১১২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১৫
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬০৯৩-১৫। ফাহদ ......... আমর ইব্ন দীনার হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করেছেন।
ইউনুস ….. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান ও ইব্ন আবু দাউদ ..... আব্দুল আযীয ইবন মুহাম্মাদ রাবীআ ইব্ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আব্দুল আযীয বলেন, সুহায়ল সনদ ভুলে গেছেন এবং তিনি এ কথা বলেছেন, রাবীআ আমার নিকট হতে বর্ণনা করেছেন।
ফাহদ ...... ইয়াহইয়া ইব্ন আব্দুল হামীদ আল-হাম্মানী বলেন, সুলায়মান ইব্ন বিলাল ও দারাওয়ারদী আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, অতঃপর নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। আব্দুল আযীয বলেন, তারপর আমি সুহায়ল এর সাথে সাক্ষাত করে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এটি চিনলেন না।
ইউনুস ….. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান ও ইব্ন আবু দাউদ ..... আব্দুল আযীয ইবন মুহাম্মাদ রাবীআ ইব্ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আব্দুল আযীয বলেন, সুহায়ল সনদ ভুলে গেছেন এবং তিনি এ কথা বলেছেন, রাবীআ আমার নিকট হতে বর্ণনা করেছেন।
ফাহদ ...... ইয়াহইয়া ইব্ন আব্দুল হামীদ আল-হাম্মানী বলেন, সুলায়মান ইব্ন বিলাল ও দারাওয়ারদী আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, অতঃপর নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। আব্দুল আযীয বলেন, তারপর আমি সুহায়ল এর সাথে সাক্ষাত করে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এটি চিনলেন না।
كتاب القضاء والشهادات
بَابُ الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
15 - 6112 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ قَالَ: ثنا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَكِّيُّ عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: وَنَسِيَهُ سَهْلٌ قَالَ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ عَنِّي.
حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ يَعْنِي الْحِمَّانِيَّ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ وَالدَّرَاوَرْدِيُّ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَلَقِيتُ سُهَيْلًا فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ.
حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: وَنَسِيَهُ سَهْلٌ قَالَ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ عَنِّي.
حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ يَعْنِي الْحِمَّانِيَّ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ وَالدَّرَاوَرْدِيُّ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَلَقِيتُ سُهَيْلًا فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১১৫
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১১৫।
كتاب القضاء والشهادات
6115 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১১৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১১৬। বাহর ইব্ন নসর….. যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب القضاء والشهادات
6116 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ الْحَكَمِ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২০
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১১৭-২০। ওয়াহবান ইবন উসমান (রাযিঃ) ......... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ফাহদ ...... জাফর তার পিতা হতে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি জাবির (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
ইউনুস .. জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ তার পিতা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছন।
বাহর ..... জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ তার পিতা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, বিশেষ মালের ব্যাপারে একজন সাক্ষীর সাথে (দাবিদার ব্যক্তির) কসমের মাধ্যমের ফায়সালা করা জায়েয আছে। তারা উল্লেখিত এসব হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা আবু সালামা, ইবন আব্দুর রহমান, আবু-যিনাদ, আব্দুর রহমান ইব্ন আব্দুল হামীদ, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক আবু উবায়দা, আবু সাওর ও দাউদ ইবন আলী উদ্দেশ্য।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামে অন্য একটি জামাআত এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, কোন বিষয়েই দুজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ দুজন মহিলা ব্যতীত ফয়সালা করা যাবে না। আর কোন বিষয়েই একজন সাক্ষী ও কুসম দ্বারা ফয়সালা করা যাবে না।
আল্লামা আইনি (রাযিঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা আতা ইবন রাবাহ, যুহরী, সাওরী, আওযাঈ, হাকাম ইবন উতায়বা, লায়স ইবন সা'দ, ইয়াহইয়া ইবন ইয়াহইয়া, উরওয়া ইবন যুবায়র, আব্দুল্লাহ্ ইবন শুবরুমা, আবু হানাফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও যুফার (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
তারা বলেন, আপনারা (প্রথম মতের প্রবক্তাগণ) এক সাক্ষী ও এক কসমের যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে দুর্বলতা রয়েছে। তার দ্বারা দলীল পেশ করা যায় না। রাবীআ সুহায়ল হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, সে সম্পর্কে দারাওয়ারদী সুহায়লকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ হাদীসের সাথে পরিচিত নন বলে উল্লেখ করেন। যদি হাদীসটি মাশহূর হাদীস হতাে, তবে অবশ্যই তার অজানা হতাে না। আর আপনারা তাে আরাে অধিক মযবূত ও শক্তিশালী রিওয়ায়াতকে এর চেয়ে কম দুর্বলতার কারণে দুর্বল বলেই মন্তব্য করেন। আর উসমান ইবনুল হাকাম, পর্যায়ক্রমে, যুহায়র ইবন মুহাম্মাদ সুহায়ল, তার পিতা ও হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেন,সে হাদীসও মনকার হাদীস। কারণ হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে আবু সালেহ কোন হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়নি। সুহায়ল (রাহঃ)-এর নিকট এ ধরনের কোন হাদীস থাকলে রাবীআ হতে যে হাদীস আপনারা উল্লেখ করেছেন, তিনি দারাওয়ারদীর ওপর তার প্রতিবাদ করতেন না। তিনি বলতেন, এ হাদীস আমার পিতা হযরত আবু হুরায়রা হতে আমার নিকট বর্ণনা করেননি। তবে তিনি যায়দ ইবন সাবিত হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। অথচ উসমান ইবনুল হাকাম-এর রিওয়ায়াত দ্বারা এতটুকু প্রমাণিত হয় না।
আর হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস, তা-ও মুনকার হাদীস। কারণ কায়স ইবন সাদ, আমর ইবন দীনার হতে কিছু বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না। আর জাফর ইবন মুহাম্মাদ তার পিতার মাধ্যমে হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, সে হাদীসটি আব্দুল ওহহাব বর্ণনা করেছেন তদ্রুপ, যেমন আপনারা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু মালিক, সুফিয়ান সাওরী ও তাদের ন্যায় অন্যান্য হাফিযে হাদীসগণ হাদীসটি জা'ফর হতে, তিনি তার পিতার মাধ্যমে নবী হতে বর্ণনা করেছেন, অথচ তারা হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। কিন্তু আপনারা আব্দুল ওহহাব কর্তৃক বর্ণিত ঐ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না যাতে তিনি সাওরী ও মালিক (রাহঃ)-এর বিরােধিতা করেন।
তারপর যদি এ হাদীসের সনদে কোন বিরােধ নাও করা হয় এবং যে শব্দে বর্ণিত তা যদি মেনেও নেয়া হয়, তবুও এ হাদীসে এমন ব্যাখ্যার সম্ভাবনা রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে এ হাদীস আপনাদের জন্য দলীল হতে পারে না। আর তা এই যে, আপনারা তাে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করেছেন। কিন্তু উক্ত হাদীসে এ কথা স্পষ্ট বলা হয়নি যে, কি কারণে তিনি এমনটা করেছিলেন? আর এ কথাও স্পষ্ট করা হয়নি যে مستحلف (যাকে হলফ দেয়া হয়েছে) কে ছিল? আর কে হলফ করেছিল ? এখানে আপনারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, অনুরূপভাবে এ সম্ভাবনাও আছে যে, হাদীসে مدعي عليه (বাদী)-কে হলফ দেয়া উদ্দেশ্য। যখন مدعي তার দাবি উত্থাপন করে তার দাবির পক্ষে কেবল একজন সাক্ষীই পেশ করেছে, তখন নবী (ﷺ) مدعي عليه হতে হলফ নিয়েছেন। অতঃপর তা বর্ণিত হয়েছে। যাতে মানুষ জানতে পারে যে বাদির অনুকূলে বিবাদির উপর হলফ ওয়াজিব হয় শুধু দাবি উত্থাপনের ভিত্তিতে, অন্য কোন দলীলের ভিত্তিতে নয়। যেমন একদল আলিম বলেন, বাদীর অনুকূলে শুধু তার দাবির কারণে হলফ ওয়াজিব হবে না, যদি না সে এ মর্মে সাক্ষ্য পেশ করতে পারে যে, তার ও বিবাদীর মাঝে সংশ্রব ছিল এ মর্মে সাক্ষ্য পেশ করলেই তার অনুকূলে হলফ নেয়া হবে, অন্যথায় হলফ নেয়া হবে না। অতঃপর তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার উদ্দেশ্য হলাে, উল্লেখিত এ বক্তব্য প্রতিহত করে এ কথা প্রমাণ করা যে, শুধু দাবি করলেই তাকে হলফ দেয়া যাবে- যদিও তার দাবির সাথে আর কিছু না থাকে। এ হাদীসের এটা একটা ব্যাখ্যা।
আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, বাদীর একজন সাক্ষীর সাথে তাকেই হলফ করানাে হাদীসের উদ্দেশ্য। কারণ তার একজন সাক্ষীও তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের একজনের সাক্ষ্যের দ্বারাই ফায়সালা করা হয়। আর তিনি হলেন, হযরত খুযায়মা ইবন সাবিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার একার সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান করেছিলেন।
ফাহদ ...... জাফর তার পিতা হতে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি জাবির (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
ইউনুস .. জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ তার পিতা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছন।
বাহর ..... জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ তার পিতা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, বিশেষ মালের ব্যাপারে একজন সাক্ষীর সাথে (দাবিদার ব্যক্তির) কসমের মাধ্যমের ফায়সালা করা জায়েয আছে। তারা উল্লেখিত এসব হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা আবু সালামা, ইবন আব্দুর রহমান, আবু-যিনাদ, আব্দুর রহমান ইব্ন আব্দুল হামীদ, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক আবু উবায়দা, আবু সাওর ও দাউদ ইবন আলী উদ্দেশ্য।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামে অন্য একটি জামাআত এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, কোন বিষয়েই দুজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ দুজন মহিলা ব্যতীত ফয়সালা করা যাবে না। আর কোন বিষয়েই একজন সাক্ষী ও কুসম দ্বারা ফয়সালা করা যাবে না।
আল্লামা আইনি (রাযিঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা আতা ইবন রাবাহ, যুহরী, সাওরী, আওযাঈ, হাকাম ইবন উতায়বা, লায়স ইবন সা'দ, ইয়াহইয়া ইবন ইয়াহইয়া, উরওয়া ইবন যুবায়র, আব্দুল্লাহ্ ইবন শুবরুমা, আবু হানাফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও যুফার (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
তারা বলেন, আপনারা (প্রথম মতের প্রবক্তাগণ) এক সাক্ষী ও এক কসমের যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে দুর্বলতা রয়েছে। তার দ্বারা দলীল পেশ করা যায় না। রাবীআ সুহায়ল হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, সে সম্পর্কে দারাওয়ারদী সুহায়লকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ হাদীসের সাথে পরিচিত নন বলে উল্লেখ করেন। যদি হাদীসটি মাশহূর হাদীস হতাে, তবে অবশ্যই তার অজানা হতাে না। আর আপনারা তাে আরাে অধিক মযবূত ও শক্তিশালী রিওয়ায়াতকে এর চেয়ে কম দুর্বলতার কারণে দুর্বল বলেই মন্তব্য করেন। আর উসমান ইবনুল হাকাম, পর্যায়ক্রমে, যুহায়র ইবন মুহাম্মাদ সুহায়ল, তার পিতা ও হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেন,সে হাদীসও মনকার হাদীস। কারণ হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে আবু সালেহ কোন হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়নি। সুহায়ল (রাহঃ)-এর নিকট এ ধরনের কোন হাদীস থাকলে রাবীআ হতে যে হাদীস আপনারা উল্লেখ করেছেন, তিনি দারাওয়ারদীর ওপর তার প্রতিবাদ করতেন না। তিনি বলতেন, এ হাদীস আমার পিতা হযরত আবু হুরায়রা হতে আমার নিকট বর্ণনা করেননি। তবে তিনি যায়দ ইবন সাবিত হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। অথচ উসমান ইবনুল হাকাম-এর রিওয়ায়াত দ্বারা এতটুকু প্রমাণিত হয় না।
আর হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস, তা-ও মুনকার হাদীস। কারণ কায়স ইবন সাদ, আমর ইবন দীনার হতে কিছু বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না। আর জাফর ইবন মুহাম্মাদ তার পিতার মাধ্যমে হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, সে হাদীসটি আব্দুল ওহহাব বর্ণনা করেছেন তদ্রুপ, যেমন আপনারা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু মালিক, সুফিয়ান সাওরী ও তাদের ন্যায় অন্যান্য হাফিযে হাদীসগণ হাদীসটি জা'ফর হতে, তিনি তার পিতার মাধ্যমে নবী হতে বর্ণনা করেছেন, অথচ তারা হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। কিন্তু আপনারা আব্দুল ওহহাব কর্তৃক বর্ণিত ঐ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না যাতে তিনি সাওরী ও মালিক (রাহঃ)-এর বিরােধিতা করেন।
তারপর যদি এ হাদীসের সনদে কোন বিরােধ নাও করা হয় এবং যে শব্দে বর্ণিত তা যদি মেনেও নেয়া হয়, তবুও এ হাদীসে এমন ব্যাখ্যার সম্ভাবনা রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে এ হাদীস আপনাদের জন্য দলীল হতে পারে না। আর তা এই যে, আপনারা তাে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করেছেন। কিন্তু উক্ত হাদীসে এ কথা স্পষ্ট বলা হয়নি যে, কি কারণে তিনি এমনটা করেছিলেন? আর এ কথাও স্পষ্ট করা হয়নি যে مستحلف (যাকে হলফ দেয়া হয়েছে) কে ছিল? আর কে হলফ করেছিল ? এখানে আপনারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, অনুরূপভাবে এ সম্ভাবনাও আছে যে, হাদীসে مدعي عليه (বাদী)-কে হলফ দেয়া উদ্দেশ্য। যখন مدعي তার দাবি উত্থাপন করে তার দাবির পক্ষে কেবল একজন সাক্ষীই পেশ করেছে, তখন নবী (ﷺ) مدعي عليه হতে হলফ নিয়েছেন। অতঃপর তা বর্ণিত হয়েছে। যাতে মানুষ জানতে পারে যে বাদির অনুকূলে বিবাদির উপর হলফ ওয়াজিব হয় শুধু দাবি উত্থাপনের ভিত্তিতে, অন্য কোন দলীলের ভিত্তিতে নয়। যেমন একদল আলিম বলেন, বাদীর অনুকূলে শুধু তার দাবির কারণে হলফ ওয়াজিব হবে না, যদি না সে এ মর্মে সাক্ষ্য পেশ করতে পারে যে, তার ও বিবাদীর মাঝে সংশ্রব ছিল এ মর্মে সাক্ষ্য পেশ করলেই তার অনুকূলে হলফ নেয়া হবে, অন্যথায় হলফ নেয়া হবে না। অতঃপর তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার উদ্দেশ্য হলাে, উল্লেখিত এ বক্তব্য প্রতিহত করে এ কথা প্রমাণ করা যে, শুধু দাবি করলেই তাকে হলফ দেয়া যাবে- যদিও তার দাবির সাথে আর কিছু না থাকে। এ হাদীসের এটা একটা ব্যাখ্যা।
আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, বাদীর একজন সাক্ষীর সাথে তাকেই হলফ করানাে হাদীসের উদ্দেশ্য। কারণ তার একজন সাক্ষীও তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের একজনের সাক্ষ্যের দ্বারাই ফায়সালা করা হয়। আর তিনি হলেন, হযরত খুযায়মা ইবন সাবিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার একার সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান করেছিলেন।
كتاب القضاء والشهادات
20 - 6117 - حَدَّثَنَا وَهْبَانُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: ثنا أَبُو هَمَّامٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ [ص:145] عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَذْكُرْ جَابِرًا
حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
حَدَّثَنَا بَحْرٌ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ فِي خَاصٍّ مِنَ الْأَشْيَاءِ فِي الْأَمْوَالِ خَاصَّةً وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجِبُ أَنْ يُقْضَى فِي شَيْءٍ مِنَ الْأَشْيَاءِ إِلَّا بِرَجُلَيْنِ أَوْ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَلَا يُقْضَى بِشَاهِدٍ وَيَمِينٍ فِي شَيْءٍ مِنَ الْأَشْيَاءِ قَالُوا: أَمَّا مَا رَوَيْتُمُوهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا ذُكِرَ فِيهِ أَنَّهُ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ فَقَدْ دَخَلَهُ الضَّعْفُ الَّذِي لَا يَقُومُ بِهِ مَعَهُ حُجَّةٌ. وَأَمَّا حَدِيثُ زَمْعَةَ عَنْ سُهَيْلٍ فَقَدْ سَأَلَ الدَّرَاوَرْدِيُّ سُهَيْلًا عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنَ السُّنَنِ الْمَشْهُورَةِ وَالْأُمُورِ الْمَعْرُوفَةِ إِذًا لَمَا ذَهَبَ عَلَيْهِ وَأَنْتُمْ قَدْ تُضَعِّفُونَ مِنَ الْأَحَادِيثِ مَا هُوَ أَقْوَى مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ بِأَقَلَّ مِنْ هَذَا. وَأَمَّا حَدِيثُ عُثْمَانَ بْنِ الْحَكَمِ مِنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَمُنْكَرٌ أَيْضًا لِأَنَّ أَبَا صَالِحٍ لَا تُعْرَفُ لَهُ رِوَايَةٌ عَنْ زَيْدٍ. وَلَوْ كَانَ عِنْدَ سُهَيْلٍ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ مَا أَنْكَرَ عَلَى الدَّرَاوَرْدِيِّ مَا ذَكَرْتُمْ عَنْ رَبِيعَةَ وَيَقُولُ لَهُ لَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِ أَبِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ حَدَّثَنِي بِهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ مَعَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ الْحَكَمِ لَيْسَ بِالَّذِي يَثْبُتُ مِثْلُ هَذَا بِرِوَايَتِهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ فَمُنْكَرٌ لِأَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ لَا نَعْلَمُهُ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ بِشَيْءٍ فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ فِي مِثْلِ هَذَا؟ . وَأَمَّا حَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ فَإِنَّ عَبْدَ الْوَهَّابِ رَوَاهُ كَمَا ذَكَرْتُمْ. وَأَمَّا الْحُفَّاظُ مَالِكٌ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَمْثَالُهُمَا فَرَوَوْهُ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ جَابِرًا وَأَنْتُمْ لَا تَحْتَجُّونَ بِعَبْدِ الْوَهَّابِ فِيمَا يُخَالِفُ فِيهِ الثَّوْرِيَّ وَمَالِكًا. ثُمَّ لَوْ لَمْ يُنَازَعْ فِي طَرِيقِ هَذَا الْحَدِيثِ وَسَلِمَتْ عَلَى هَذِهِ الْأَلْفَاظُ الَّتِي قَدْ رُوِيَتْ عَلَيْهَا لَكَانَتْ مُحْتَمِلَةً لِلتَّأْوِيلِ الَّذِي لَا يَقُومُ لَكُمْ بِمِثْلِهَا مَعَهُ الْحُجَّةُ. وَذَلِكُمْ أَنَّكُمْ إِنَّمَا رَوَيْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ. وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي الْحَدِيثِ كَيْفَ كَانَ ذَلِكَ السَّبَبُ وَلَا الْمُسْتَحْلِفُ مَنْ هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ يَمِينُ الْمُدَّعَى [ص:146] عَلَيْهِ. وَإِذَا ادَّعَى الْمُدَّعِي وَلَمْ يُقِمْ عَلَى دَعْوَاهُ إِلَّا شَاهِدًا وَاحِدًا فَاسْتَحْلَفَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ فَرَوَى ذَلِكَ لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ الْمُدَّعِيَ يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ لَا بِحُجَّةٍ أُخْرَى غَيْرَ الدَّعْوَى لَا يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ إِلَّا بِهَا. كَمَا قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ الْمُدَّعِيَ لَا يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ فِيمَا ادَّعَى إِلَّا أَنْ يُقِيمَ الْبَيِّنَةَ أَنَّهُ قَدْ كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ خُلْطَةٌ وَلَبْسٌ فَإِنْ أَقَامَ عَلَى ذَلِكَ بَيِّنَةً اسْتَحْلَفَ لَهُ وَإِلَّا لَمْ يَسْتَحْلِفْ. فَأَرَادَ الَّذِي رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَنْ يَنْفِيَ هَذَا الْقَوْلَ وَيُثْبِتَ الْيَمِينَ بِالدَّعْوَى وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَ الدَّعْوَى غَيْرُهَا فَهَذَا وَجْهٌ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ يَمِينُ الْمُدَّعِي مَعَ شَاهِدِهِ الْوَاحِدِ لِأَنَّ شَاهِدَهُ الْوَاحِدَ كَانَ مِمَّنْ يُحْكَمُ بِشَهَادَتِهِ وَحْدَهُ وَهُوَ خُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ عَدَلَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ
حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَذْكُرْ جَابِرًا
حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
حَدَّثَنَا بَحْرٌ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ فِي خَاصٍّ مِنَ الْأَشْيَاءِ فِي الْأَمْوَالِ خَاصَّةً وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجِبُ أَنْ يُقْضَى فِي شَيْءٍ مِنَ الْأَشْيَاءِ إِلَّا بِرَجُلَيْنِ أَوْ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَلَا يُقْضَى بِشَاهِدٍ وَيَمِينٍ فِي شَيْءٍ مِنَ الْأَشْيَاءِ قَالُوا: أَمَّا مَا رَوَيْتُمُوهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا ذُكِرَ فِيهِ أَنَّهُ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ فَقَدْ دَخَلَهُ الضَّعْفُ الَّذِي لَا يَقُومُ بِهِ مَعَهُ حُجَّةٌ. وَأَمَّا حَدِيثُ زَمْعَةَ عَنْ سُهَيْلٍ فَقَدْ سَأَلَ الدَّرَاوَرْدِيُّ سُهَيْلًا عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنَ السُّنَنِ الْمَشْهُورَةِ وَالْأُمُورِ الْمَعْرُوفَةِ إِذًا لَمَا ذَهَبَ عَلَيْهِ وَأَنْتُمْ قَدْ تُضَعِّفُونَ مِنَ الْأَحَادِيثِ مَا هُوَ أَقْوَى مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ بِأَقَلَّ مِنْ هَذَا. وَأَمَّا حَدِيثُ عُثْمَانَ بْنِ الْحَكَمِ مِنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَمُنْكَرٌ أَيْضًا لِأَنَّ أَبَا صَالِحٍ لَا تُعْرَفُ لَهُ رِوَايَةٌ عَنْ زَيْدٍ. وَلَوْ كَانَ عِنْدَ سُهَيْلٍ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ مَا أَنْكَرَ عَلَى الدَّرَاوَرْدِيِّ مَا ذَكَرْتُمْ عَنْ رَبِيعَةَ وَيَقُولُ لَهُ لَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِ أَبِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ حَدَّثَنِي بِهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ مَعَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ الْحَكَمِ لَيْسَ بِالَّذِي يَثْبُتُ مِثْلُ هَذَا بِرِوَايَتِهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ فَمُنْكَرٌ لِأَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ لَا نَعْلَمُهُ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ بِشَيْءٍ فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ فِي مِثْلِ هَذَا؟ . وَأَمَّا حَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ فَإِنَّ عَبْدَ الْوَهَّابِ رَوَاهُ كَمَا ذَكَرْتُمْ. وَأَمَّا الْحُفَّاظُ مَالِكٌ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَمْثَالُهُمَا فَرَوَوْهُ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ جَابِرًا وَأَنْتُمْ لَا تَحْتَجُّونَ بِعَبْدِ الْوَهَّابِ فِيمَا يُخَالِفُ فِيهِ الثَّوْرِيَّ وَمَالِكًا. ثُمَّ لَوْ لَمْ يُنَازَعْ فِي طَرِيقِ هَذَا الْحَدِيثِ وَسَلِمَتْ عَلَى هَذِهِ الْأَلْفَاظُ الَّتِي قَدْ رُوِيَتْ عَلَيْهَا لَكَانَتْ مُحْتَمِلَةً لِلتَّأْوِيلِ الَّذِي لَا يَقُومُ لَكُمْ بِمِثْلِهَا مَعَهُ الْحُجَّةُ. وَذَلِكُمْ أَنَّكُمْ إِنَّمَا رَوَيْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ. وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي الْحَدِيثِ كَيْفَ كَانَ ذَلِكَ السَّبَبُ وَلَا الْمُسْتَحْلِفُ مَنْ هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ يَمِينُ الْمُدَّعَى [ص:146] عَلَيْهِ. وَإِذَا ادَّعَى الْمُدَّعِي وَلَمْ يُقِمْ عَلَى دَعْوَاهُ إِلَّا شَاهِدًا وَاحِدًا فَاسْتَحْلَفَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ فَرَوَى ذَلِكَ لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ الْمُدَّعِيَ يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ لَا بِحُجَّةٍ أُخْرَى غَيْرَ الدَّعْوَى لَا يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ إِلَّا بِهَا. كَمَا قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ الْمُدَّعِيَ لَا يَجِبُ لَهُ الْيَمِينُ فِيمَا ادَّعَى إِلَّا أَنْ يُقِيمَ الْبَيِّنَةَ أَنَّهُ قَدْ كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ خُلْطَةٌ وَلَبْسٌ فَإِنْ أَقَامَ عَلَى ذَلِكَ بَيِّنَةً اسْتَحْلَفَ لَهُ وَإِلَّا لَمْ يَسْتَحْلِفْ. فَأَرَادَ الَّذِي رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَنْ يَنْفِيَ هَذَا الْقَوْلَ وَيُثْبِتَ الْيَمِينَ بِالدَّعْوَى وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَ الدَّعْوَى غَيْرُهَا فَهَذَا وَجْهٌ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ يَمِينُ الْمُدَّعِي مَعَ شَاهِدِهِ الْوَاحِدِ لِأَنَّ شَاهِدَهُ الْوَاحِدَ كَانَ مِمَّنْ يُحْكَمُ بِشَهَادَتِهِ وَحْدَهُ وَهُوَ خُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ عَدَلَ شَهَادَتَهُ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১১৮
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১১৮।
كتاب القضاء والشهادات
6118 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১১৯
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১১৯।
كتاب القضاء والشهادات
6119 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২০
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১২০।
كتاب القضاء والشهادات
6120 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২১
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১২১। ফাহদ ..... উমারাহ্ ইবন খুযায়মা আনসারী বলেন, তার চাচা যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবী ছিলেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন গ্রাম্য লােকের নিকট হতে একটা ঘােড়া ক্রয় করলেন। অতঃপর তিনি তার ঘােড়ার মূল্য নেয়ার জন্য তাকে তার পেছনে আসতে বললেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্রুত চললেন কিন্তু সে ধীরে। কিছু লােক তার সম্মুখীন হলাে এবং তার সাথে ঘােড়াটি ক্রয়ের আলােচনা করতে লাগল। তারা এ কথা জানতই না যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘােড়াটি ক্রয় করেছেন। এমনকি তাদের একজন নবী (ﷺ) যে মূল্য দিয়ে ঘােড়াটি ক্রয় করেছেন, তার চেয়ে তার মূল্য বেশী বললাে। অতঃপর উক্ত গ্রাম্য লােকটি উচ্চস্বরে নবী (ﷺ) -কে ডেকে বললাে, আপনি যদি ঘােড়াটি ক্রয় করতে চান তবে ক্রয় করুন, নইলে আমি বিক্রয় করে দিব। তার এ চিৎকার যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুনতে পেলেন, তখন তিনি দাড়িয়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, আমি কি তােমার নিকট হতে ঘােড়াটি ক্রয় করি নি? লােকটি বললাে, না, আল্লাহর কসম, আমি আপনার নিকট বিক্রয় করি নি। নবী (ﷺ) বললেন, অবশ্যই তুমি বিক্রয় করেছ। আমি তােমার নিকট হতে ক্রয় করেছি। অতঃপর লােকজন নবী (ﷺ) এবং উক্ত গ্রাম্য লােকটির নিকট জমা হতে লাগল। আর তারা দুজন পরস্পরে একে অপরের সাথে কথােপকথন করছিল। গ্রাম্য লােকটি বলতে লাগলাে, আমি যে আপনার নিকট বিক্রয় করেছি এ ব্যাপারে আপনি একজন সাক্ষী পেশ করুন। এ সময় যে মুসলমানই সেখানে উপস্থিত হতেন, তিনি বলতেন, তােমার সর্বনাশ হােক, নবী (ﷺ) সত্য ব্যতীত অসত্য কথা বলতে পারেন না। এমন সময় হযরত খুযায়মা (রাযিঃ) সেখানে উপস্থিত হন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও গ্রাম্য লােকটির কথােপকথন শােনেন। সে বলছিল, আপনি একজন সাক্ষী পেশ করুন, যে এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে, আমি আপনার নিকট ঘােড়াটি বিক্রয় করেছি। তখন খুযায়মা (রাযিঃ) বললেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ঘােড়াটি বিক্রয় করেছ। তখন নবী (ﷺ) তার দিকে অগ্রসর হয়ে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছ? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনাকে যে আমি সত্য নবী মেনে নিয়েছি, তার মাধ্যমেই সাক্ষ্য দিচ্ছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত খুযায়মা (রাযিঃ)-এর সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান সাব্যস্ত করলেন। যখন ঐ সাক্ষী যার আলােচনা আমরা করলাম, হযরত খুযায়মা (রাহঃ)-এর হবার সম্ভাবনা আছে, তখন তিনি একাই যার জন্য সাক্ষ্য দিবেন সে ঐ বস্তুর ঠিক তদ্রুপ অধিকারী হবে, যে বস্তুর জন্য তিনি সাক্ষ্য দিবেন, যেমন দু-ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলে যার জন্য সাক্ষ্য দেয়া হবে, সে ঐ বস্তুর অধিকারী হয় যার জন্য সাক্ষ্য দিয়েছে। অতঃপর مدعى عليه ঐ হক হতে বের হবার দাবি করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার থেকে হলফ নিয়েছেন। আর এ হাদীস বর্ণনা করার উদ্দেশ্য হলাে, এ কথা জানান যে, مدعى যখন তার দাবির ওপর দলীন পেশ করবে এবং مدعى عليه তার ওপর এ হক হতে বের হওয়ার দাবি করবে, তখন তার ওপর দলীল পেশ করার সাথে হলফও আসবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - হতে যে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি একজন সাক্ষীর সাথে مدعى -কে হলফ দিয়ে ফয়সালা করেছেন, তার এতগুলাে ব্যাখ্যার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির জন্য এটা সংগত নয় যে, তিনি কিতাব, সুন্নাহ কিংবা ইজমার দলীল ব্যতীত এ ধরনের কোন হাদীসের কোন একটি ব্যাখ্যার প্রতি ঝুঁকে তাকে দললি হিসেবে পেশ করবে। তারপর তার এ কথা বলাও সংগত নয় যে, যে ব্যক্তি তার বিরােধিতা করবে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -হতে বর্ণিত হাদীসের বিরােধিতা করবেন। আর কিভাবে তা হতে পারে, অথচ তিনি হাদীসের যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন সে ব্যাখ্যা হওয়ারও তাে সম্ভাবনা আছে। সুতরাং তিনি হাদীসের বিরােধিতা করেননি, বরং বিরাধিতা করেছেন প্রতিপক্ষ আলিমের প্রদত্ত ব্যাখ্যার এবং তাও করেছেন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মাধ্যমে। বস্তুত তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসের একটুও বিরােধিতা করেননি। হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত :
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - হতে যে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি একজন সাক্ষীর সাথে مدعى -কে হলফ দিয়ে ফয়সালা করেছেন, তার এতগুলাে ব্যাখ্যার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির জন্য এটা সংগত নয় যে, তিনি কিতাব, সুন্নাহ কিংবা ইজমার দলীল ব্যতীত এ ধরনের কোন হাদীসের কোন একটি ব্যাখ্যার প্রতি ঝুঁকে তাকে দললি হিসেবে পেশ করবে। তারপর তার এ কথা বলাও সংগত নয় যে, যে ব্যক্তি তার বিরােধিতা করবে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -হতে বর্ণিত হাদীসের বিরােধিতা করবেন। আর কিভাবে তা হতে পারে, অথচ তিনি হাদীসের যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন সে ব্যাখ্যা হওয়ারও তাে সম্ভাবনা আছে। সুতরাং তিনি হাদীসের বিরােধিতা করেননি, বরং বিরাধিতা করেছেন প্রতিপক্ষ আলিমের প্রদত্ত ব্যাখ্যার এবং তাও করেছেন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মাধ্যমে। বস্তুত তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসের একটুও বিরােধিতা করেননি। হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত :
كتاب القضاء والشهادات
6121 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَارَةُ بْنُ خُزَيْمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، أَنَّ عَمَّهُ، حَدَّثَهُ وَهُوَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْتَاعَ فَرَسًا مِنْ أَعْرَابِيٍّ فَاسْتَتْبَعَهُ لِيُقْبِضَهُ ثَمَنَ فَرَسِهِ. فَأَسْرَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَشْيَ وَأَبْطَأَ الْأَعْرَابِيُّ فَطَفِقَ رِجَالٌ يَعْتَرِضُونَ الْأَعْرَابِيَّ فَيُسَاوِمُونَهُ بِالْفَرَسِ لَا يَشْعُرُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْتَاعَهُ حَتَّى زَادَ بَعْضُهُمُ الْأَعْرَابِيَّ فِي السَّوْمِ عَلَى ثَمَنِ الْفَرَسِ الَّذِي ابْتَاعَهُ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَنَادَى الْأَعْرَابِيُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ مُبْتَاعًا لِهَذَا الْفَرَسِ فَابْتَعْهُ وَإِلَّا بِعْتُهُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَمِعَ نِدَاءَ الْأَعْرَابِيِّ فَقَالَ: ": «أَوَلَيْسَ قَدِ ابْتَعْتُهُ مِنْكَ؟» ، فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: لَا وَاللهِ مَا بِعْتُكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلَى قَدِ ابْتَعْتُهُ مِنْكَ» . فَطَفِقَ النَّاسُ يَلْوُونَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَعْرَابِيِّ وَهُمَا يَتَرَاجَعَانِ وَطَفِقَ الْأَعْرَابِيُّ يَقُولُ: هَلُمَّ شَهِيدًا يَشْهَدُ لَكَ أَنِّي قَدْ بَايَعْتُكَ مِمَّنْ جَاءَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالُوا لِلْأَعْرَابِيِّ: وَيْلَكَ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَقُولُ إِلَّا حَقًّا، حَتَّى جَاءَ خُزَيْمَةُ فَاسْتَمَعَ لِمُرَاجَعَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُرَاجَعَةِ الْأَعْرَابِيِّ وَهُوَ يَقُولُ: هَلُمَّ شَهِيدًا يَشْهَدُ لَكَ أَنِّي قَدْ بَايَعْتُكَ. فَقَالَ خُزَيْمَةُ: أَنَا أَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَايَعْتَهُ. فَأَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خُزَيْمَةَ فَقَالَ: «بِمَ تَشْهَدُ؟» فَقَالَ: بِتَصْدِيقِكَ يَا رَسُولَ اللهِ. فَجَعَلَ رَسُولُ اللهِ شَهَادَةَ خُزَيْمَةَ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ الشَّاهِدُ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَا قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هُوَ خُزَيْمَةَ بْنَ ثَابِتٍ فَيَكُونَ الْمَشْهُودُ لَهُ بِشَهَادَتِهِ وَحْدَهُ مُسْتَحِقًّا لِمَا شَهِدَ لَهُ كَمَا يَسْتَحِقُّ غَيْرُهُ بِالشَّاهِدَيْنِ مِمَّا شَهِدَا لَهُ بِهِ فَادَّعَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ الْخُرُوجَ مِنْ ذَلِكَ الْحَقِّ إِلَى الْمُدَّعِي فَاسْتَحْلَفَهُ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذَلِكَ وَأُرِيدَ بِنَقْلِ هَذَا الْحَدِيثِ لِيُعْلَمَ أَنَّ الْمُدَّعِيَ إِذَا أَقَامَ الْبَيِّنَةَ عَلَى دَعْوَاهُ وَادَّعَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ الْخُرُوجَ مِنْ ذَلِكَ الْحَقِّ إِلَيْهِ أَنَّ عَلَيْهِ الْيَمِينَ مَعَ بَيِّنَتِهِ. فَهَذِهِ وُجُوهٌ يَحْتَمِلُهَا مَا جَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَضَائِهِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ. فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَأْتِيَ إِلَى خَبَرٍ قَدِ احْتَمَلَ هَذِهِ التَّأْوِيلَاتِ فَيَعْطِفَهُ عَلَى أَحَدِهَا بِلَا دَلِيلٍ يَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ [ص:147] مِنْ كِتَابٍ أَوْ سُنَّةٍ أَوْ إِجْمَاعٍ ثُمَّ يَزْعُمُ أَنَّ مَنْ خَالَفَ ذَلِكَ مُخَالِفٌ لَمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَيْفَ يَكُونُ مُخَالِفًا لَمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ تَأَوَّلَ ذَلِكَ عَلَى مَعْنًى يَحْتَمِلُ مَا قَالَ؟ . بَلْ مَا خَالَفَ إِلَّا تَأْوِيلَ مُخَالِفِهِ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُخَالِفْ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৩
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১২২-২৩। আবু বাকরা .... আবু আব্দুর রহমান সুলামী হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন তােমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কোন হাদীস আসে, তখন তার প্রতি এমন ধারণা কর, যা অধিক বরকতময়, যা অধিক হিদায়াতের উপায়, অধিক তাকওয়ার উপায় এবং যা অধিক উত্তম হয়।
ইব্ন মারক ...... শু’বা আমর হতে বর্ণনা করেছেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা। করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় والذي هو خير উল্লেখ করেননি।
অতএব মানুষের জন্য এটাই উচিত, তারা যেন সঠিক ও সুন্দর চিন্তা-ভাবনা করে এবং যা তারা সঠিকভাবে জানে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর প্রতি যেন তা-ই সম্বন্ধিত করে বলে। তারা যা সঠিক জানে না, তাঁর প্রতি এমন কথা সম্বন্ধিত করা হতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ কারণে তাদেরকে শাস্তির ধমকও প্রদান করা হয়েছে। আর এই যে বিরােধী আলিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসকে যে অর্থে প্রয়ােগ করেছেন, এই অথে কিভাবে তা প্রয়ােগ করা কারাে পক্ষে জায়েয হতে পারে? অথচ আল্লাহর কিতাব এবং যে হাদীসের বিশুদ্ধতার পর সকলেই একমত পােষণ করেন, এমন হাদীস সে অর্থের প্রতিরােধ করে। আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন : وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ
“তােমরা তােমাদের থেকে দু’সাক্ষী পেশ কর। যদি দু'জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা।” তিনি আরাে ইরশাদ করেন وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ “তােমরা দুজন আদিল পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে পেশ কর।"
এ দুটি আয়াত নাযিল হবার পূর্বে এক হাজার কিংবা ততােধিক সাক্ষী দ্বারা ফয়সালা করা সংগত ছিল না আর এর চেয়ে কম দ্বারাও সংগত ছিল না। কারণ তাদের সাক্ষ্য দ্বারা তাদের সত্যতার হাকীকত পর্যন্ত পৌঁছানাে যেত না। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা যখন উল্লেখিত আয়াত নাযিল করলেন তখন তাদের ওযরের অবসান ঘটল এবং এমন নির্দেশ প্রদান করলেন যা পালন করে তার মাখলুক তার দাসে পরিণত হয়-এর চেয়ে কমের নির্দেশ তিনি প্রদান করেননি। কারণ এটা যা দ্বারা তারা দাসে পরিণত হতে পারে তার অন্তর্ভুক্ত হয় না।
আর যে সুন্নতের বিশুদ্ধতার ওপর সকল মুহাদ্দিস ঐকমত্য পােষণ করেন, তা হলাে, এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা ফয়সালা করা যাবে না যার সাক্ষ্যে তার নিজের উপকার সাধিত হয়। আর এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারাও ফায়সালা করা যাবে না, যার সাক্ষ্যে তার নিজের কোন ক্ষতির প্রতিরােধ হয়। অতএব একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা তার পক্ষে ফয়সালা করা, যে অর্থে আমাদের এই বিরােধী আলিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসকে প্রয়ােগ করেছেন, তা এমনই এক ফয়সালা, যা তার নিজের হলফের দ্বারা তার নিজের প্রতি ফায়দা টেনে এনছে। অথচ সর্বসম্মত সুন্নাহ একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা ফয়সালা করার প্রতিরােধ করে। আর সেই সাথে আল্লাহর কিতাবও এর প্রতিরােধ করে। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এই হাদীসের এমন অর্থ করাই উত্তম, যা কিতাবুল্লাহ এবং সর্বসম্মত সুন্নাহ্-এর সাথে সংগতিপূর্ণ হয়। এমন কোন অর্থ করা উচিত নয়, যা উভয়ের কিংবা কোন একটার সাথে সাংঘর্ষিক হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এমন হাদীসও বর্ণিত হয়েছে যা একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা ফয়সালা করার প্রতিরােধ করে- যেমনটি আমাদের এই বিরােধী আলিম দাবি করেন।
ইব্ন মারক ...... শু’বা আমর হতে বর্ণনা করেছেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা। করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় والذي هو خير উল্লেখ করেননি।
অতএব মানুষের জন্য এটাই উচিত, তারা যেন সঠিক ও সুন্দর চিন্তা-ভাবনা করে এবং যা তারা সঠিকভাবে জানে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর প্রতি যেন তা-ই সম্বন্ধিত করে বলে। তারা যা সঠিক জানে না, তাঁর প্রতি এমন কথা সম্বন্ধিত করা হতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ কারণে তাদেরকে শাস্তির ধমকও প্রদান করা হয়েছে। আর এই যে বিরােধী আলিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসকে যে অর্থে প্রয়ােগ করেছেন, এই অথে কিভাবে তা প্রয়ােগ করা কারাে পক্ষে জায়েয হতে পারে? অথচ আল্লাহর কিতাব এবং যে হাদীসের বিশুদ্ধতার পর সকলেই একমত পােষণ করেন, এমন হাদীস সে অর্থের প্রতিরােধ করে। আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন : وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ
“তােমরা তােমাদের থেকে দু’সাক্ষী পেশ কর। যদি দু'জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা।” তিনি আরাে ইরশাদ করেন وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ “তােমরা দুজন আদিল পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে পেশ কর।"
এ দুটি আয়াত নাযিল হবার পূর্বে এক হাজার কিংবা ততােধিক সাক্ষী দ্বারা ফয়সালা করা সংগত ছিল না আর এর চেয়ে কম দ্বারাও সংগত ছিল না। কারণ তাদের সাক্ষ্য দ্বারা তাদের সত্যতার হাকীকত পর্যন্ত পৌঁছানাে যেত না। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা যখন উল্লেখিত আয়াত নাযিল করলেন তখন তাদের ওযরের অবসান ঘটল এবং এমন নির্দেশ প্রদান করলেন যা পালন করে তার মাখলুক তার দাসে পরিণত হয়-এর চেয়ে কমের নির্দেশ তিনি প্রদান করেননি। কারণ এটা যা দ্বারা তারা দাসে পরিণত হতে পারে তার অন্তর্ভুক্ত হয় না।
আর যে সুন্নতের বিশুদ্ধতার ওপর সকল মুহাদ্দিস ঐকমত্য পােষণ করেন, তা হলাে, এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা ফয়সালা করা যাবে না যার সাক্ষ্যে তার নিজের উপকার সাধিত হয়। আর এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারাও ফায়সালা করা যাবে না, যার সাক্ষ্যে তার নিজের কোন ক্ষতির প্রতিরােধ হয়। অতএব একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা তার পক্ষে ফয়সালা করা, যে অর্থে আমাদের এই বিরােধী আলিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীসকে প্রয়ােগ করেছেন, তা এমনই এক ফয়সালা, যা তার নিজের হলফের দ্বারা তার নিজের প্রতি ফায়দা টেনে এনছে। অথচ সর্বসম্মত সুন্নাহ একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা ফয়সালা করার প্রতিরােধ করে। আর সেই সাথে আল্লাহর কিতাবও এর প্রতিরােধ করে। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এই হাদীসের এমন অর্থ করাই উত্তম, যা কিতাবুল্লাহ এবং সর্বসম্মত সুন্নাহ্-এর সাথে সংগতিপূর্ণ হয়। এমন কোন অর্থ করা উচিত নয়, যা উভয়ের কিংবা কোন একটার সাথে সাংঘর্ষিক হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এমন হাদীসও বর্ণিত হয়েছে যা একজন সাক্ষীর সাথে مدعي -এর হলফ দ্বারা ফয়সালা করার প্রতিরােধ করে- যেমনটি আমাদের এই বিরােধী আলিম দাবি করেন।
كتاب القضاء والشهادات
6122 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ قَالَ: ثنا مِسْعَرٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «إِذَا بَلَغَكُمْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَظُنُّوا بِهِ الَّذِي هُوَ أَهْنَأُ وَالَّذِي هُوَ أَهْدَى وَالَّذِي هُوَ أَبْقَى وَالَّذِي هُوَ خَيْرٌ»
6123 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ وَأَبُو الْوَلِيدِ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ وَالَّذِي هُوَ خَيْرٌ فَهَكَذَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ أَنْ يَفْعَلُوا وَأَنْ يُحْسِنُوا تَحْقِيقَ ظُنُونِهِمْ وَلَا يَقُولُونَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا بِمَا قَدْ عَلِمُوهُ فَإِنَّهُمْ مَنْهِيُّونَ عَنْ ذَلِكَ مُعَاقَبُونَ عَلَيْهِ. وَكَيْفَ يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْمِلَ حَدِيثَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ هَذَا الْمُخَالِفُ وَقَدْ وَجَدْنَا كِتَابَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَدْفَعُهُ ثُمَّ السُّنَّةَ الْمُجْمَعَ عَلَيْهَا تَدْفَعُهُ أَيْضًا؟ . فَأَمَّا كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ {وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ} [البقرة: 282] وَقَالَ {وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ} [الطلاق: 2] . وَقَدْ كَانُوا قَبْلَ نُزُولِ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَقْضُوا بِشَهَادَةِ أَلْفِ رَجُلٍ وَلَا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَلَا أَقَلَّ لِأَنَّهُ لَا يُوصَلُ بِشَهَادَتِهِمْ إِلَى حَقِيقَةِ صِدْقِهِمْ. فَلَمَّا أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَا ذَكَرْنَا قَطَعَ بِذَلِكَ الْعُذْرَ وَحَكَمَ بِمَا أَمَرَ بِهِ عَلَى مَا تَعَبَّدَ بِهِ خَلْقَهُ وَلَمْ يَحْكُمْ بِمَا هُوَ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمْ يَدْخُلْ فِيمَا تَعَبَّدُوا بِهِ. أَمَّا السُّنَّةُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا فَهِيَ أَنْ لَا يَحْكُمَ بِشَهَادَةِ جَارٍ إِلَى نَفْسِهِ مَغْنَمًا وَلَا دَافَعَ عَنْهَا مَغْرَمًا. فَالْحُكْمُ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ عَلَى مَا حَمَلَ عَلَيْهِ هَذَا الْمُخَالِفُ لَنَا حَدِيثُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ حُكْمٌ لِمُدَّعِي يَمِينِهِ فَذَلِكَ حُكْمٌ لِجَارٍ إِلَى نَفْسِهِ بِيَمِينِهِ. فَهَذِهِ سُنَّةٌ مُتَّفَقٌ عَلَيْهَا تَدْفَعُ الْحُكْمَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ مَعَ مَا قَدْ دَفَعَهُ أَيْضًا مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَا مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا أَنْ نَصْرِفَ حَدِيثَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَا يُوَافِقُ كِتَابَ اللهِ تَعَالَى وَالسُّنَّةَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهَا لَا إِلَى مَا يُخَالِفُهَا أَوْ يُخَالِفُ أَحَدَهُمَا. وَلَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَصًّا مَا يَدْفَعُ الْقَضَاءَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ عَلَى مَا ادَّعَى هَذَا الْمُخَالِفُ لَنَا
6123 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ وَأَبُو الْوَلِيدِ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ وَالَّذِي هُوَ خَيْرٌ فَهَكَذَا يَنْبَغِي لِلنَّاسِ أَنْ يَفْعَلُوا وَأَنْ يُحْسِنُوا تَحْقِيقَ ظُنُونِهِمْ وَلَا يَقُولُونَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا بِمَا قَدْ عَلِمُوهُ فَإِنَّهُمْ مَنْهِيُّونَ عَنْ ذَلِكَ مُعَاقَبُونَ عَلَيْهِ. وَكَيْفَ يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْمِلَ حَدِيثَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ هَذَا الْمُخَالِفُ وَقَدْ وَجَدْنَا كِتَابَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَدْفَعُهُ ثُمَّ السُّنَّةَ الْمُجْمَعَ عَلَيْهَا تَدْفَعُهُ أَيْضًا؟ . فَأَمَّا كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ {وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ} [البقرة: 282] وَقَالَ {وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ} [الطلاق: 2] . وَقَدْ كَانُوا قَبْلَ نُزُولِ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَقْضُوا بِشَهَادَةِ أَلْفِ رَجُلٍ وَلَا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَلَا أَقَلَّ لِأَنَّهُ لَا يُوصَلُ بِشَهَادَتِهِمْ إِلَى حَقِيقَةِ صِدْقِهِمْ. فَلَمَّا أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَا ذَكَرْنَا قَطَعَ بِذَلِكَ الْعُذْرَ وَحَكَمَ بِمَا أَمَرَ بِهِ عَلَى مَا تَعَبَّدَ بِهِ خَلْقَهُ وَلَمْ يَحْكُمْ بِمَا هُوَ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمْ يَدْخُلْ فِيمَا تَعَبَّدُوا بِهِ. أَمَّا السُّنَّةُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا فَهِيَ أَنْ لَا يَحْكُمَ بِشَهَادَةِ جَارٍ إِلَى نَفْسِهِ مَغْنَمًا وَلَا دَافَعَ عَنْهَا مَغْرَمًا. فَالْحُكْمُ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ عَلَى مَا حَمَلَ عَلَيْهِ هَذَا الْمُخَالِفُ لَنَا حَدِيثُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ حُكْمٌ لِمُدَّعِي يَمِينِهِ فَذَلِكَ حُكْمٌ لِجَارٍ إِلَى نَفْسِهِ بِيَمِينِهِ. فَهَذِهِ سُنَّةٌ مُتَّفَقٌ عَلَيْهَا تَدْفَعُ الْحُكْمَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ مَعَ مَا قَدْ دَفَعَهُ أَيْضًا مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَا مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا أَنْ نَصْرِفَ حَدِيثَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَا يُوَافِقُ كِتَابَ اللهِ تَعَالَى وَالسُّنَّةَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهَا لَا إِلَى مَا يُخَالِفُهَا أَوْ يُخَالِفُ أَحَدَهُمَا. وَلَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَصًّا مَا يَدْفَعُ الْقَضَاءَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ عَلَى مَا ادَّعَى هَذَا الْمُخَالِفُ لَنَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৩
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১২৩।
كتاب القضاء والشهادات
6123 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৪
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১২৪। ইবরাহীম ইবন মারকও মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা .....অলকামা ইব্ন ওয়ায়ল হযরত ওয়ায়ল ইবন হুজর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময় তাঁর দরবারে দু-ব্যক্তি উপস্থিত হলো। যারা একটি জমিন নিয়ে ঝগড়া করছিল। তাদের একজন বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ব্যক্তি জাহিলী যুগে জোরপূর্বক তার জমিন দখল করছে। এই দাবি উত্থাপনকারী ব্যক্তি হলো ইমরুল কায়স ইবন আয়েস আল-কিন্দী। আর তার বিপক্ষের লােকটি হলাে রবী ইবন উনয়ন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি তােমার দলীল পেশ কর। সে বলল, আমার কোন দলীল নেই। তিনি বললেন, তাহলে তাে তা হলফ গ্রহণ করতে হবে। লােকটি বলল, তবে তাে হলফ করে সে যমীন নিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমার জন্য এছাড়া কোন পথ নেই! অতঃপর বিবাদী ব্যক্তি যখন হলফ করার জন্য দাড়িয়ে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি যুলম করে অন্যের যমীন হরণ করবে, আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় তার সাক্ষাত ঘটবে যে, তিনি তখন হবেন ক্রোধান্বিত।
হাফিয (রাহঃ) তাঁর الاماله গ্রন্থে বলেন, এই কিন্দী ব্যক্তি আন-নুজাইর কিল্লা অবরােধকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মুরতাদরা যখন লড়াই করার উদ্দেশ্যে কিল্লা হতে বের হয়েছিল, তখন তিনি তার চাচাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লাফ দিলেন। তার চাচা বলল, তােমার সর্বনাশ হােক, আমাকে তুমি হত্যা করবে? অথচ আমি তােমার চাচা। তিনি বললেন, হ্যা, আপনি আমার চাচা কিন্তু আল্লাহ আমার প্রতিপালক! এ কথা বলেই তিনি তাকে হত্যা করলেন।
হাফিয (রাহঃ) তাঁর الاماله গ্রন্থে বলেন, এই কিন্দী ব্যক্তি আন-নুজাইর কিল্লা অবরােধকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মুরতাদরা যখন লড়াই করার উদ্দেশ্যে কিল্লা হতে বের হয়েছিল, তখন তিনি তার চাচাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লাফ দিলেন। তার চাচা বলল, তােমার সর্বনাশ হােক, আমাকে তুমি হত্যা করবে? অথচ আমি তােমার চাচা। তিনি বললেন, হ্যা, আপনি আমার চাচা কিন্তু আল্লাহ আমার প্রতিপালক! এ কথা বলেই তিনি তাকে হত্যা করলেন।
كتاب القضاء والشهادات
6124 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، جَمِيعًا قَالَا: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ فِي أَرْضٍ. [ص:148] فَقَالَ أَحَدُهُمَا: إِنَّ هَذَا يَا رَسُولَ اللهِ انْتَزَأَ عَلَى أَرْضِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَهُوَ امْرُؤُ الْقَيْسِ بْنُ عَائِشٍ الْكِنْدِيُّ وَخَصْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ عَبْدَانَ. فَقَالَ لَهُ: «بَيِّنَتُكَ» فَقَالَ: لَيْسَ لِي بَيِّنَةٌ قَالَ: «يَمِينُهُ» قَالَ: إِذًا يَذْهَبُ بِهَا قَالَ: «لَيْسَ لَكَ إِلَّا ذَلِكَ» . فَلَمَّا قَامَ لِيَحْلِفَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اقْتَطَعَ أَرْضًا ظَالِمًا لَقِيَ اللهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১২৫-২৬। রাওহ ইনুল ফারাজ ..... আলকামা ইবন ওয়াল তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার হাযরামাওত-এর এক ব্যক্তি এবং কিন্দা-এর এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হলাে। হাযরামী ব্যক্তি বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার একটা যমীন এই ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে আছে। তখন কিন্দী ব্যক্তি বললাে, সেটা তাে আমারই যমীন, যা আমার দখলে আছে এবং আমি তা চাষাবাদ করি । সে যমীনে তার কোন অধিকার নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) " হাযরামীকে বললেন, তােমার কি কোন দলীল-প্রমাণ আছে? বললাে, জী না। তখন রাবী বললেন, তবে তাকে হলফ দাও। তখন সে বললাে, তার হলফ গ্রহণযােগ্য হবে না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমার জন্য তার থেকে এর চেয়ে অন্য কিছু হবে না। অতঃপর কিন্দী ব্যক্তি হলফ করার জন্য অগ্রসর হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জেনে রাখ! সে যদি যুলুম করে খাবার উদ্দেশ্যে তােমার মালের ওপর হলফ করে, তবে আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত ঘটবে এমন অবস্থায় যে, তার থেকে তিনি বিমুখ হবেন।
ফাহদ পর্যায়ক্রমে জান্দাল ও আবুল আহওয়াস হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর আবুল আহওয়াস তার সনদে অনরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় বলেন, فقال الحضرمي: يا رسول الله إن هذا قد غلبني على أرض كانت لي ‘হাযরামী বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একটা যমীন ছিল, এই ব্যক্তি তা জোরপূর্বক দখল করে আছে।'
(ইমাম) আবু জাফর (তাহাবী) (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বললেন, তােমার দলীল পেশ করতে হবে, অথবা তার হলফ গ্রহণ করতে হবে। তােমার জন্য এছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা নেই। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, مدعي তার দলীল ব্যতীত কিছুরই হকদার হবে না। সুতরাং এ কথা একজন সাক্ষী ও হলফসহ ফয়সালা করার বৈধতা প্রত্যাখ্যান করে। আমাদের জন্য উত্তম হবে, প্রথম হাদীসের যে বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্য হতে যে ব্যাখ্যা এ হাদীসের সহিত সংগতিপূর্ণ হবে, সে অর্থে প্রয়ােগ করা; আমদের বিরােধীগণ যে ব্যাখ্যা প্রদান করেন তার ওপর নয়। অথচ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন :لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
অর্থাৎ মানুষের দাবির কারণেই যদি তাদেরকে প্রদান করা হয়, তবে মানুষ লােকজনের খুন ও তাদের মালের দাবি করে বসবে। কিন্তু ( مدعي এর দলীল না থাকলে) مدعي عليه এর ওপর হলফ করা জরুরী হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বাণী এ কথাই প্রমাণ করে যে, হলফ সর্বদা কেবল مدعي عليه -এর ওপরই প্রযােজ্য হবে। আর আমরা এ কথা সনদসহ পূর্বেই এ কিতাবে বর্ণনা করেছি।
এ ব্যাপারে যুক্তি এই যে, যারা এক সাক্ষী ও হলফের মাধ্যমে ফয়সালা বৈধ মনে করেন, তাদের খণ্ডনে এর চেয়ে বেশী কিছু বলার দরকার নেই যে, তারা এটাকে শুধু মালের বিষয়ে খাস করেন, অন্যান্য বিষয়ে নয়। বস্তুত মাল ব্যতীত অন্য বিষয়ে যখন একজন সাক্ষী ও হলফ দ্বারা ফয়সালা করা যায় না বলে প্রমাণিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তির দাবি এটাই যে, মাল ব্যতীত অন্যান্য বিষয়েও অনুরূপ ফয়সালা করা যাবে না। আর এটাই আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
ফাহদ পর্যায়ক্রমে জান্দাল ও আবুল আহওয়াস হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর আবুল আহওয়াস তার সনদে অনরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় বলেন, فقال الحضرمي: يا رسول الله إن هذا قد غلبني على أرض كانت لي ‘হাযরামী বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একটা যমীন ছিল, এই ব্যক্তি তা জোরপূর্বক দখল করে আছে।'
(ইমাম) আবু জাফর (তাহাবী) (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বললেন, তােমার দলীল পেশ করতে হবে, অথবা তার হলফ গ্রহণ করতে হবে। তােমার জন্য এছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা নেই। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, مدعي তার দলীল ব্যতীত কিছুরই হকদার হবে না। সুতরাং এ কথা একজন সাক্ষী ও হলফসহ ফয়সালা করার বৈধতা প্রত্যাখ্যান করে। আমাদের জন্য উত্তম হবে, প্রথম হাদীসের যে বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্য হতে যে ব্যাখ্যা এ হাদীসের সহিত সংগতিপূর্ণ হবে, সে অর্থে প্রয়ােগ করা; আমদের বিরােধীগণ যে ব্যাখ্যা প্রদান করেন তার ওপর নয়। অথচ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন :لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
অর্থাৎ মানুষের দাবির কারণেই যদি তাদেরকে প্রদান করা হয়, তবে মানুষ লােকজনের খুন ও তাদের মালের দাবি করে বসবে। কিন্তু ( مدعي এর দলীল না থাকলে) مدعي عليه এর ওপর হলফ করা জরুরী হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বাণী এ কথাই প্রমাণ করে যে, হলফ সর্বদা কেবল مدعي عليه -এর ওপরই প্রযােজ্য হবে। আর আমরা এ কথা সনদসহ পূর্বেই এ কিতাবে বর্ণনা করেছি।
এ ব্যাপারে যুক্তি এই যে, যারা এক সাক্ষী ও হলফের মাধ্যমে ফয়সালা বৈধ মনে করেন, তাদের খণ্ডনে এর চেয়ে বেশী কিছু বলার দরকার নেই যে, তারা এটাকে শুধু মালের বিষয়ে খাস করেন, অন্যান্য বিষয়ে নয়। বস্তুত মাল ব্যতীত অন্য বিষয়ে যখন একজন সাক্ষী ও হলফ দ্বারা ফয়সালা করা যায় না বলে প্রমাণিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তির দাবি এটাই যে, মাল ব্যতীত অন্যান্য বিষয়েও অনুরূপ ফয়সালা করা যাবে না। আর এটাই আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
كتاب القضاء والشهادات
6125 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ وَرَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الْحَضْرَمِيُّ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ هَذَا قَدْ غَلَبَنِي عَلَى أَرْضٍ كَانَتْ لِي. فَقَالَ الْكِنْدِيُّ: هِيَ أَرْضِي فِي يَدِي أَزْرَعُهَا لَيْسَ لَهُ فِيهَا حَقٌّ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْحَضْرَمِيِّ: «أَلَكَ بَيِّنَةٌ؟» ، فَقَالَ: لَا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأُحَلِّفُهُ؟» ، فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ يَمِينٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ لَكَ مِنْهُ إِلَّا ذَلِكَ» . فَانْطَلَقَ لِيُحَلِّفَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا أَنَّهُ إِنْ حَلَفَ عَلَى مَالِكِ ظَالِمًا لِيَأْكُلَهُ لَقِيَ اللهَ وَهُوَ عَنْهُ مُعْرِضٌ
6126 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا جَنْدَلُ بْنُ وَالِقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ الْحَضْرَمِيُّ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ هَذَا غَلَبَنِي عَلَى أَرْضٍ كَانَتْ لِي قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينُكَ أَوْ يَمِينُهُ لَيْسَ لَكُمْ فِيهِ إِلَّا ذَلِكَ دَلَّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَسْتَحِقُّ شَيْئًا بِغَيْرِ الْبَيِّنَةِ فَهَذَا يَنْفِي الْقَضَاءَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ. وَالَّذِي هُوَ أَوْلَى بِنَا أَنْ نَحْمِلَ وَجْهَ مَا اخْتَلَفَ فِيهِ تَأْوِيلُهُ مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ عَلَى مَا يُوَافِقُ هَذَا لَا عَلَى مَا يُخَالِفُهُ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ» . فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْيَمِينَ لَا يَكُونُ أَبَدًا إِلَّا عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِالْإِسْنَادِ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. وَأَمَّا النَّظَرُ فِي هَذَا فَإِنَّهُ يُغْنِينَا عَنْ ذِكْرِ أَكْثَرِ فَسَادِ قَوْلِ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ. فَجَعَلُوا ذَلِكَ فِي الْأَمْوَالِ خَاصَّةً دُونَ سَائِرِ الْأَشْيَاءِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّهُ لَا يُقْضَى بِيَمِينٍ وَشَاهِدٍ فِي غَيْرِ الْأَمْوَالِ كَانَ حُكْمُ الْأَمْوَالِ فِي النَّظَرِ أَيْضًا كَذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
6126 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا جَنْدَلُ بْنُ وَالِقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ الْحَضْرَمِيُّ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ هَذَا غَلَبَنِي عَلَى أَرْضٍ كَانَتْ لِي قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينُكَ أَوْ يَمِينُهُ لَيْسَ لَكُمْ فِيهِ إِلَّا ذَلِكَ دَلَّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَسْتَحِقُّ شَيْئًا بِغَيْرِ الْبَيِّنَةِ فَهَذَا يَنْفِي الْقَضَاءَ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ. وَالَّذِي هُوَ أَوْلَى بِنَا أَنْ نَحْمِلَ وَجْهَ مَا اخْتَلَفَ فِيهِ تَأْوِيلُهُ مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ عَلَى مَا يُوَافِقُ هَذَا لَا عَلَى مَا يُخَالِفُهُ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ» . فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْيَمِينَ لَا يَكُونُ أَبَدًا إِلَّا عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِالْإِسْنَادِ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. وَأَمَّا النَّظَرُ فِي هَذَا فَإِنَّهُ يُغْنِينَا عَنْ ذِكْرِ أَكْثَرِ فَسَادِ قَوْلِ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ. فَجَعَلُوا ذَلِكَ فِي الْأَمْوَالِ خَاصَّةً دُونَ سَائِرِ الْأَشْيَاءِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّهُ لَا يُقْضَى بِيَمِينٍ وَشَاهِدٍ فِي غَيْرِ الْأَمْوَالِ كَانَ حُكْمُ الْأَمْوَالِ فِي النَّظَرِ أَيْضًا كَذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১২৬।
كتاب القضاء والشهادات
6126 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৭
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
একজন সাক্ষী ও কসম দ্বারা ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
৬১২৭। ওয়াহবান ..... ইবন আবু যিব যুহরী হতে বর্ণনা করেন, হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) প্রথম ব্যক্তি যিনি একজন সাক্ষীর সাথে হলফ দ্বারা ফয়সালা করেছেন। আর বিষয়টি তার ওপরই রয়েছে।وَاللهُ أَعْلَمُ
كتاب القضاء والشهادات
6127 - وَقَدْ حَدَّثَنَا وَهْبَانُ قَالَ: ثنا أَبُو هَمَّامٍ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَوَّلُ مَنْ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ وَكَانَ الْأَمْرُ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ وَاللهُ أَعْلَمُ
তাহকীক: