শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৬১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩০
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
হলফ রদ্দ করা প্রসঙ্গে
আবু জা’ফর (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে মতপার্থক্য করেন যে, مدعي عليه (বিবাদী) مدعي (বাদী)-এর ওপর হলফ রদ্দ করতে পারবে কি না। কতিপয় আলেম এ কথা বলেন مدعي হতে হলফ নেয়া হবে না। অপরপক্ষে কিছুসংখ্যক আলিম বলেন, مدعي হতে হলফ নেয়া হবে। যদি مدعي হলফ করে তবেই সে তার হলকের মাধ্যমে তার দাবি করা বস্তুর অধিকারী হবে। আর হলফ না করলে তার জন্য কিছুই হবে না। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা নাখঈ, ইবন সীরীন, (একমতে), ইবন আবু লায়লা, উবায়দুল্লাহ ইবনুল হাসান আম্বরী, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, আবু উবাইদ (একমতে) ইসহাক ও আহলে যাহির উদ্দেশ্যে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, ভিন্নমত পােষণকারী দ্বারা উদ্দেশ্য, শা’বী, শুরাইহ আল-কাযী, মালিক, শাফিঈ, আহমদ ও আবু ছাওর।
তারা তাদের এ দাবির পক্ষে কাসামার বর্ণনায় হযরত সাহল ইবন আবু হাসমা (রাযিঃ) হতে অন্যত্র যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা দ্বারা দলীল পেশ করেন। হাদীসটি হলাে :أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَالَ أَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ
“রাসূলুল্লাহ্ আনসারদের বললেন, ইয়াহূদীরা পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে তােমাদেরকে মুক্ত করে। তখন তারা বললেন, আমরা কাফিরদের হলফ কিভাবে গ্রহণ করব? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমরা কি হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে?”
তারা বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুরুতে যে হলফ مدعي عليهم এর ওপর আরােপ করেছিলেন, পরে তিনি مدعي দের ওপর তা রদ্দ করেন।
কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রথম মতের প্রবক্তাদের দলীল হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বললেন, ইয়াহূদীরা কি পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে তােমাদেরকে (দিয়াত হতে) মুক্ত করে দিবে? এটা তাে ইয়াহুদীদের পক্ষ হতে আনসারদের ওপর হলফ রদ করা ছিল না। তবেই না রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা রদ্দ করবেন। আর তখনই এটা তাদের জন্য দলীল হবে, যারা حقوق -এর মধ্যে হলফ রদ্দ করা জায়েয মনে করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, ইয়াহুদীরা কি তােমাদেরকে পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে যুক্ত করে নিবে? তখন আনসাররা বললেন, কাফির গােষ্ঠীর হলফ আমরা কি করে গ্রহণ করব? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমরা কি হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে?
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বক্তব্যের দুটি অর্থ হতে পারে। এক তাে তিনি যা বলেছেন, কাসামার হুকুম এমনই। আর একটা হলাে, তারা যখন বললেন, আমরা কাফির গােষ্ঠীর হলফ কি করে গ্রহণ করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের এ কথা অপসন্দ করে বলেছিলেন, তােমরা কি তাহলে হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে? যেমন তিনি বলেছিলেন, তারা কি দাবি করবে এবং অধিকারী হবে?
যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ হাদীসের এ দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া কোন পক্ষের এর কোন একটি ব্যাখ্যা গ্রহণ করার কোন সুযােগ নেই। অতএব এ হাদীস ছাড়া অন্য যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। অতঃপর আমরা দেখি, হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন :لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
“লােকদেরকে যদি তাদের কারণেই দেয়া হয়, তবে তাে তারা লােকদের খুন ও মালের দাবি করে বসবে। কিন্তু (দলীল ব্যতীত) তাদেরকে দেয়া হবে না। আর (দলীল না থাকলে) হলফ مدعي عليه আসবে (বিবাদী)-এর ওপর।”
এ হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে,مدعي (বাদী) তার দাবির কারণে (দলীল ব্যতীত) কারাে খুন ও মালের অধিকারী হবে না। সে ক্ষেত্রে সে অধিকারী হবে শুধু مدعي عليه এর হলফের।
এ হাদীসের অর্থ স্পষ্ট। আর প্রথম হাদীসের যে অর্থ আমাদের জন্য অস্পষ্ট রয়েছে, তা এ অর্থেই প্রয়ােগ করা হবে।
আর নযর ও যুক্তির দাবি হলাে, আমরা যখন مدعي (বাদী)-কে দেখি, যার ওপর তার দাবির সপক্ষে দলীল পেশ করা জরুরী, তবে তার ঐ দলীল কোন দলীল হিসেবে বিবেচিত হয় না, যে দলীল তার নিজের কোন উপকার টেনে আনে কিংবা কোন অপকার প্রতিরােধ করে। সুতরাং যখন مدعي عليه -এর ওপর হলফ ওয়াজিব হবে এবং সে তা مدعي -এর প্রতি রদ্দ করবে, সে ক্ষেত্রে যদি আমরা ,হতে হলফ নিই, তবে তার হলফকে আমরা তার জন্য দলীল সাব্যস্ত করব এবং এমন দলীল দ্বারা তার পক্ষে ফয়সালা করব, যা দ্বারা সে নিজের প্রতি তার ফায়দা টেনে আনবে। অথচ এটা বান্দার ইবাদতের খেলাফ। অতএব এটা বাতিল।
যদি কেউ বলে, আমরা তার হলফ দ্বারা তার জন্য ফয়সালা করি, কারণ مدعي عليه এতে রাজী হয়েছে, যদিও এ হলফ দ্বারা مدعي উপকৃত হােক না কেন! তবে তাকে বলা হবে مدعي عليه এর রাজী হওয়াটাই কি হুকুমকে তার প্রকৃতি হতে অনিবার্যভাবে বিলুপ্ত করবে? বলুন তাে দেখি, যদি কেউ এ কথা বলে যে, অমুকের ওপর সে যে বস্তুর দাবি করেছে, সে ব্যাপরে সে সত্যায়িত । অতঃপর সে এক দিরহাম কিংবা তার চেয়ে বেশীর দাবি করল, তার এ কথা কি গ্রহণ করা হবে ? যদি কেউ বলে, যায়দ নামক কোন ফাসিক ব্যক্তির অথবা একই নামের এমন কোন ব্যক্তি যে তার সাক্ষ্যের দ্বারা নিজের কোন উপকার সাধন করতে চায়, সে যদি আমার ওপর সাক্ষ্য প্রদান করে তবে, আমি তাতে রাজী হয়ে যাব। তবে বলুন দেখি যায়দ নামক উক্ত ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে কি তার সাক্ষ্যের দ্বারা তার ফায়সালা করা হবে ?
যখন এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, এক্ষেত্রে কোন ফয়সালা করা হবে না। তার সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি এ ক্ষেত্রে সমান। সে রাজী হলেও এক্ষেত্রে নিয়ম ব্যতীত কোন ফয়সালা করা হবে না, নিয়মতান্ত্রিক ফয়সালা হলে সে রাজী না হলেও ফয়সালা করা হবে। অনুরূপভাবে مدعي এর হলফ দ্বারা তার জন্য مدعي عليه এর হক প্রতিষ্ঠিত হবে না যদিও সে (এভাবে তার হক ত্যাগ করায়) রাজী হােক না কেন। এক্ষেত্রে مدعي عليه এর রাজী হবার পূর্বে ও পরের مدعي হলফের মাধ্যমে কোন পার্থক্য হবে না।
সুতরাং আমরা যে আলােচনা করলাম, এ দ্বারা مدعي এর প্রতি হলফ রদ করার বাতুলতা প্রমাণিত হলাে। এটাই হলাে ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত ও মাযহাব।
অনুচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
আবু জা’ফর (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে মতপার্থক্য করেন যে, مدعي عليه (বিবাদী) مدعي (বাদী)-এর ওপর হলফ রদ্দ করতে পারবে কি না। কতিপয় আলেম এ কথা বলেন مدعي হতে হলফ নেয়া হবে না। অপরপক্ষে কিছুসংখ্যক আলিম বলেন, مدعي হতে হলফ নেয়া হবে। যদি مدعي হলফ করে তবেই সে তার হলকের মাধ্যমে তার দাবি করা বস্তুর অধিকারী হবে। আর হলফ না করলে তার জন্য কিছুই হবে না। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সকল আলিম দ্বারা নাখঈ, ইবন সীরীন, (একমতে), ইবন আবু লায়লা, উবায়দুল্লাহ ইবনুল হাসান আম্বরী, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, আবু উবাইদ (একমতে) ইসহাক ও আহলে যাহির উদ্দেশ্যে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, ভিন্নমত পােষণকারী দ্বারা উদ্দেশ্য, শা’বী, শুরাইহ আল-কাযী, মালিক, শাফিঈ, আহমদ ও আবু ছাওর।
তারা তাদের এ দাবির পক্ষে কাসামার বর্ণনায় হযরত সাহল ইবন আবু হাসমা (রাযিঃ) হতে অন্যত্র যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা দ্বারা দলীল পেশ করেন। হাদীসটি হলাে :أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَالَ أَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ
“রাসূলুল্লাহ্ আনসারদের বললেন, ইয়াহূদীরা পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে তােমাদেরকে মুক্ত করে। তখন তারা বললেন, আমরা কাফিরদের হলফ কিভাবে গ্রহণ করব? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমরা কি হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে?”
তারা বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুরুতে যে হলফ مدعي عليهم এর ওপর আরােপ করেছিলেন, পরে তিনি مدعي দের ওপর তা রদ্দ করেন।
কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রথম মতের প্রবক্তাদের দলীল হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বললেন, ইয়াহূদীরা কি পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে তােমাদেরকে (দিয়াত হতে) মুক্ত করে দিবে? এটা তাে ইয়াহুদীদের পক্ষ হতে আনসারদের ওপর হলফ রদ করা ছিল না। তবেই না রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা রদ্দ করবেন। আর তখনই এটা তাদের জন্য দলীল হবে, যারা حقوق -এর মধ্যে হলফ রদ্দ করা জায়েয মনে করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, ইয়াহুদীরা কি তােমাদেরকে পঞ্চাশজনের হলফের মাধ্যমে যুক্ত করে নিবে? তখন আনসাররা বললেন, কাফির গােষ্ঠীর হলফ আমরা কি করে গ্রহণ করব? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমরা কি হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে?
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বক্তব্যের দুটি অর্থ হতে পারে। এক তাে তিনি যা বলেছেন, কাসামার হুকুম এমনই। আর একটা হলাে, তারা যখন বললেন, আমরা কাফির গােষ্ঠীর হলফ কি করে গ্রহণ করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের এ কথা অপসন্দ করে বলেছিলেন, তােমরা কি তাহলে হলফ করে (দিয়াতের) অধিকারী হবে? যেমন তিনি বলেছিলেন, তারা কি দাবি করবে এবং অধিকারী হবে?
যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ হাদীসের এ দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া কোন পক্ষের এর কোন একটি ব্যাখ্যা গ্রহণ করার কোন সুযােগ নেই। অতএব এ হাদীস ছাড়া অন্য যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। অতঃপর আমরা দেখি, হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন :لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
“লােকদেরকে যদি তাদের কারণেই দেয়া হয়, তবে তাে তারা লােকদের খুন ও মালের দাবি করে বসবে। কিন্তু (দলীল ব্যতীত) তাদেরকে দেয়া হবে না। আর (দলীল না থাকলে) হলফ مدعي عليه আসবে (বিবাদী)-এর ওপর।”
এ হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে,مدعي (বাদী) তার দাবির কারণে (দলীল ব্যতীত) কারাে খুন ও মালের অধিকারী হবে না। সে ক্ষেত্রে সে অধিকারী হবে শুধু مدعي عليه এর হলফের।
এ হাদীসের অর্থ স্পষ্ট। আর প্রথম হাদীসের যে অর্থ আমাদের জন্য অস্পষ্ট রয়েছে, তা এ অর্থেই প্রয়ােগ করা হবে।
আর নযর ও যুক্তির দাবি হলাে, আমরা যখন مدعي (বাদী)-কে দেখি, যার ওপর তার দাবির সপক্ষে দলীল পেশ করা জরুরী, তবে তার ঐ দলীল কোন দলীল হিসেবে বিবেচিত হয় না, যে দলীল তার নিজের কোন উপকার টেনে আনে কিংবা কোন অপকার প্রতিরােধ করে। সুতরাং যখন مدعي عليه -এর ওপর হলফ ওয়াজিব হবে এবং সে তা مدعي -এর প্রতি রদ্দ করবে, সে ক্ষেত্রে যদি আমরা ,হতে হলফ নিই, তবে তার হলফকে আমরা তার জন্য দলীল সাব্যস্ত করব এবং এমন দলীল দ্বারা তার পক্ষে ফয়সালা করব, যা দ্বারা সে নিজের প্রতি তার ফায়দা টেনে আনবে। অথচ এটা বান্দার ইবাদতের খেলাফ। অতএব এটা বাতিল।
যদি কেউ বলে, আমরা তার হলফ দ্বারা তার জন্য ফয়সালা করি, কারণ مدعي عليه এতে রাজী হয়েছে, যদিও এ হলফ দ্বারা مدعي উপকৃত হােক না কেন! তবে তাকে বলা হবে مدعي عليه এর রাজী হওয়াটাই কি হুকুমকে তার প্রকৃতি হতে অনিবার্যভাবে বিলুপ্ত করবে? বলুন তাে দেখি, যদি কেউ এ কথা বলে যে, অমুকের ওপর সে যে বস্তুর দাবি করেছে, সে ব্যাপরে সে সত্যায়িত । অতঃপর সে এক দিরহাম কিংবা তার চেয়ে বেশীর দাবি করল, তার এ কথা কি গ্রহণ করা হবে ? যদি কেউ বলে, যায়দ নামক কোন ফাসিক ব্যক্তির অথবা একই নামের এমন কোন ব্যক্তি যে তার সাক্ষ্যের দ্বারা নিজের কোন উপকার সাধন করতে চায়, সে যদি আমার ওপর সাক্ষ্য প্রদান করে তবে, আমি তাতে রাজী হয়ে যাব। তবে বলুন দেখি যায়দ নামক উক্ত ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে কি তার সাক্ষ্যের দ্বারা তার ফায়সালা করা হবে ?
যখন এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, এক্ষেত্রে কোন ফয়সালা করা হবে না। তার সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি এ ক্ষেত্রে সমান। সে রাজী হলেও এক্ষেত্রে নিয়ম ব্যতীত কোন ফয়সালা করা হবে না, নিয়মতান্ত্রিক ফয়সালা হলে সে রাজী না হলেও ফয়সালা করা হবে। অনুরূপভাবে مدعي এর হলফ দ্বারা তার জন্য مدعي عليه এর হক প্রতিষ্ঠিত হবে না যদিও সে (এভাবে তার হক ত্যাগ করায়) রাজী হােক না কেন। এক্ষেত্রে مدعي عليه এর রাজী হবার পূর্বে ও পরের مدعي হলফের মাধ্যমে কোন পার্থক্য হবে না।
সুতরাং আমরা যে আলােচনা করলাম, এ দ্বারা مدعي এর প্রতি হলফ রদ করার বাতুলতা প্রমাণিত হলাে। এটাই হলাে ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত ও মাযহাব।
অনুচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১২৮-৩০। আবু বাকরা ......... জাবির ইবন সামূরা (রাযিঃ) বলেন, একবার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব জাবিয়া নামক স্থানে আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হলেন যেমন আজ আমি তােমাদের মাঝে দাঁড়িয়েছি। অতঃপর তিনি বললেন, তােমরা আমার সাহাবীগণের সাথে সদাচরণ কর। তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের সংলগ্ন। তারপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে। এমনকি কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করবে অথচ তাকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুরােধ করা হবে না এবং এমনকি কোন ব্যক্তি হলফ করবে অথচ তাকে হলফ করতে বলা হবে না।
আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন খুশাইশ .... আবুদল মালিক ইব্ন উমায়র বলেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার রিওয়ায়াতে এতটুকু বর্ণনা করেন : তােমরা আমার সাহাবীগণের সাথে সদাচরণ কর। তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের সংলগ্ন । তারপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে।
আবু বাকরা…..মুআবিয়া ইব্ন কুরা আল-মুযানি বলেন, আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, অতঃপর তিনি আবু আহমদ’ হতে আবু বাকরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন।
এসব হাদীসের ভিত্তিতে একদল উলামা-ই কিরাম এ মত পোষণ করেন যে, সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বে কেউ সাক্ষ্য প্রদান করলে তা হবে নিন্দিত।উল্লেখিত এসব হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা মুহাদ্দিসীনের একটি জামাত ও আহলে জাহির-এর একটি দল উদ্দেশ্য।
অপরদিকে এর বিপরীত অন্য এক দল উলামা-ই কিরাম ভিন্নমত পােষণ করেন। তারা বলেন, বরং তার এ কাজের জন্য সে প্রশংসিত এবং এ কাজের বিনিময়ে সে হারে পুরস্কৃত।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা ইয়াহইয়া ইবন সাইদ আল-আনসারী, আবু হানীফা,আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ মালিক ও অন্যান্য উলামা-ই কিরাম উদ্দেশ্য।
প্রথম মত অবলম্বনকারী আলিমগণ যে দলীল পেশ করেছেন তার প্রতিরােধ করার জন্য এই দ্বিতীয় এত অবলম্বনকারীগণের দলীল হলাে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে ইরশাদ করেছেন : ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّهَادَةِ لَا يُسْأَلَهَا الخ
অতঃপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে। এমনকি কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করবে অথচ তার নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন নিবেদন করা হবে না এবং এমনকি সে হলফ করবে, অথচ তাকে হলফ করার জন্য বলা হবে না।
এ হাদীসের অর্থই হলাে সে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে এবং মিথ্যা হলফ করবে। কারণ এ কথাটি বলা হয়েছে ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ অর্থাৎ মিথ্যার প্রসার ঘটবে ফলে মিথ্যা সাক্ষ্যই যদি উদ্দেশ্য না হবে, তবে মিথ্যার প্রসার ঘটবে” এ কথা বলার কোন অর্থই হয় না।
প্রথম মত অবলম্বনকারীগণ নিম্নের এ হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন :
আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন খুশাইশ .... আবুদল মালিক ইব্ন উমায়র বলেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার রিওয়ায়াতে এতটুকু বর্ণনা করেন : তােমরা আমার সাহাবীগণের সাথে সদাচরণ কর। তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তাদের সাথে, যারা তাদের সংলগ্ন । তারপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে।
আবু বাকরা…..মুআবিয়া ইব্ন কুরা আল-মুযানি বলেন, আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, অতঃপর তিনি আবু আহমদ’ হতে আবু বাকরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন।
এসব হাদীসের ভিত্তিতে একদল উলামা-ই কিরাম এ মত পোষণ করেন যে, সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বে কেউ সাক্ষ্য প্রদান করলে তা হবে নিন্দিত।উল্লেখিত এসব হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা মুহাদ্দিসীনের একটি জামাত ও আহলে জাহির-এর একটি দল উদ্দেশ্য।
অপরদিকে এর বিপরীত অন্য এক দল উলামা-ই কিরাম ভিন্নমত পােষণ করেন। তারা বলেন, বরং তার এ কাজের জন্য সে প্রশংসিত এবং এ কাজের বিনিময়ে সে হারে পুরস্কৃত।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা ইয়াহইয়া ইবন সাইদ আল-আনসারী, আবু হানীফা,আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ মালিক ও অন্যান্য উলামা-ই কিরাম উদ্দেশ্য।
প্রথম মত অবলম্বনকারী আলিমগণ যে দলীল পেশ করেছেন তার প্রতিরােধ করার জন্য এই দ্বিতীয় এত অবলম্বনকারীগণের দলীল হলাে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে ইরশাদ করেছেন : ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّهَادَةِ لَا يُسْأَلَهَا الخ
অতঃপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে। এমনকি কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করবে অথচ তার নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন নিবেদন করা হবে না এবং এমনকি সে হলফ করবে, অথচ তাকে হলফ করার জন্য বলা হবে না।
এ হাদীসের অর্থই হলাে সে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে এবং মিথ্যা হলফ করবে। কারণ এ কথাটি বলা হয়েছে ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ অর্থাৎ মিথ্যার প্রসার ঘটবে ফলে মিথ্যা সাক্ষ্যই যদি উদ্দেশ্য না হবে, তবে মিথ্যার প্রসার ঘটবে” এ কথা বলার কোন অর্থই হয় না।
প্রথম মত অবলম্বনকারীগণ নিম্নের এ হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন :
كتاب القضاء والشهادات
بَابُ رَدِّ الْيَمِينِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي الْمُدَّعَى عَلَيْهِ يَرُدُّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعِي. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَسْتَحْلِفُ الْمُدَّعِي وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ يَسْتَحْلِفُ فَإِنْ حَلَفَ اسْتَحَقَّ مَا ادَّعَى بِحَلِفِهِ وَإِنْ لَمْ يَحْلِفْ لَمْ يَكُنْ لَهُ شَيْءٌ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ فِي الْقَسَامَةِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْأَنْصَارِ: «تُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا» فَقَالُوا: كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ؟» . فَقَالُوا: قَدْ رَدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَيْمَانَ الَّتِي جَعَلْنَاهَا فِي الْبَدْءِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ فَجَعَلَهَا عَلَى الْمُدَّعِينَ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَالَ أَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا لَمْ يَكُنْ مِنَ الْيَهُودِ رَدُّ الْأَيْمَانِ عَلَى الْأَنْصَارِ فَيَرُدُّهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَكُونُ ذَلِكَ حُجَّةً لِمَنْ يَرَى رَدَّ الْيَمِينِ فِي الْحُقُوقِ. إِنَّمَا قَالَ أَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا؟ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ؟ . فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ حُكْمُ الْقَسَامَةِ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى النَّكِيرِ مِنْهُ عَلَيْهِمْ إِذْ قَالُوا كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَقَالَ لَهُمْ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ كَمَا قَالَ: أَيَدَّعُونَ وَيَسْتَحِقُّونَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ لَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْمِلَهُ عَلَى أَحَدِهِمَا دُونَ الْآخَرِ إِلَّا بِبُرْهَانٍ يَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ. فَنَظَرْنَا فِيمَا سِوَى هَذَا الْحَدِيثِ مِنَ الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ فَإِذَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْمُدَّعِيَ لَا يَسْتَحِقُّ بِدَعْوَاهُ دَمًا وَلَا مَالًا وَإِنَّمَا يَسْتَحِقُّ بِهَا يَمِينَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ خَاصَّةً. هَذَا حَدِيثٌ ظَاهِرُ الْمَعْنَى وَلَا لَنَا أَنْ نَحْمِلَ مَا خَفِيَ عَلَيْنَا مَعْنَاهُ مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ عَلَى ذَلِكَ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا رَأَيْنَا الْمُدَّعِيَ الَّذِي عَلَيْهِ أَنْ يُقِيمَ الْحُجَّةَ عَلَى دَعْوَاهُ لَا تَكُونُ حُجَّتُهُ تِلْكَ حُجَّةً جَارَّةً إِلَى نَفْسِهِ مَغْنَمًا وَلَا دَافِعَةً عَنْهَا مَغْرَمًا. فَلَمَّا وَجَبَتِ الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ فَرَدُّوهَا عَلَى الْمُدَّعِي فَإِنِ اسْتَحْلَفْنَا الْمُدَّعِيَ جَعَلْنَا يَمِينَهُ حُجَّةً لَهُ وَحَكَمْنَا لَهُ بِحُجَّةٍ كَانَتْ مِنْهُ هُوَ بِهَا جَارٌّ إِلَى نَفْسِهِ مَغْنَمًا وَهَذَا خِلَافُ مَا تَعَبَّدَ بِهِ الْعُبَّادُ فَبَطَلَ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا نَحْكُمُ لَهُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَ بِهَا جَارًّا إِلَى نَفْسِهِ لِأَنَّ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ قَدْ رَضِيَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: وَهَلْ يُوجِبُ رِضَا الْمُدَّعَى عَلَيْهِ زَوَالُ الْحُكْمِ عَنْ جِهَتِهِ؟ . أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قَالَ مَا ادَّعَى عَلَى فُلَانٍ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ مُصَدَّقٌ فَادَّعَى عَلَيْهِ دِرْهَمًا فَمَا فَوْقَهُ هَلْ يُقْبَلُ ذَلِكَ مِنْهُ؟
أَرَأَيْتَ لَوْ قَالَ قَدْ رَضِيتُ بِمَا شَهِدَ بِهِ زَيْدٌ عَلَيَّ لِرَجُلٍ فَاسِقٍ أَوْ لِرَجُلٍ جَارٍّ إِلَى نَفْسِهِ بِتِلْكَ الشَّهَادَةِ مَغْنَمًا، فَشَهِدَ زَيْدٌ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ هَلْ يُحْكَمُ بِذَلِكَ عَلَيْهِ؟ فَلَمَّا كَانُوا قَدِ اتَّفَقُوا أَنَّهُ لَا يَحْكُمُ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَأَنَّ رِضَاهُ فِي ذَلِكَ وَغَيْرَ رِضَاهُ سَوَاءٌ وَأَنَّ الْحُكْمَ لَا يَجِبُ فِي ذَلِكَ وَإِنْ رَضِيَ إِلَّا بِمَا كَانَ يَجِبُ لَوْ لَمْ يَرْضَ كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا يَمِينُ الْمُدَّعِي لَا يَجِبُ لَهُ بِهَا حَقٌّ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَإِنْ رَضِيَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ بِهِ بِذَلِكَ. وَالْحُكْمُ بِيَمِينِهِ بَعْدَ رِضَاهُ بِهَا كَحُكْمِهَا قَبْلَ ذَلِكَ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا بُطْلَانَ رَدِّ الْيَمِينِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِمْ
بَابُ الرَّجُلِ يَكُونُ عِنْدَهُ الشَّهَادَةُ لِلرَّجُلِ هَلْ يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُخْبِرَهُ بِهَا؟ وَهَلْ يَقْبَلُهُ الْحَاكِمُ عَلَى ذَلِكَ أَمْ لَا؟
أَرَأَيْتَ لَوْ قَالَ قَدْ رَضِيتُ بِمَا شَهِدَ بِهِ زَيْدٌ عَلَيَّ لِرَجُلٍ فَاسِقٍ أَوْ لِرَجُلٍ جَارٍّ إِلَى نَفْسِهِ بِتِلْكَ الشَّهَادَةِ مَغْنَمًا، فَشَهِدَ زَيْدٌ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ هَلْ يُحْكَمُ بِذَلِكَ عَلَيْهِ؟ فَلَمَّا كَانُوا قَدِ اتَّفَقُوا أَنَّهُ لَا يَحْكُمُ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَأَنَّ رِضَاهُ فِي ذَلِكَ وَغَيْرَ رِضَاهُ سَوَاءٌ وَأَنَّ الْحُكْمَ لَا يَجِبُ فِي ذَلِكَ وَإِنْ رَضِيَ إِلَّا بِمَا كَانَ يَجِبُ لَوْ لَمْ يَرْضَ كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا يَمِينُ الْمُدَّعِي لَا يَجِبُ لَهُ بِهَا حَقٌّ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَإِنْ رَضِيَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ بِهِ بِذَلِكَ. وَالْحُكْمُ بِيَمِينِهِ بَعْدَ رِضَاهُ بِهَا كَحُكْمِهَا قَبْلَ ذَلِكَ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا بُطْلَانَ رَدِّ الْيَمِينِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِمْ
بَابُ الرَّجُلِ يَكُونُ عِنْدَهُ الشَّهَادَةُ لِلرَّجُلِ هَلْ يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُخْبِرَهُ بِهَا؟ وَهَلْ يَقْبَلُهُ الْحَاكِمُ عَلَى ذَلِكَ أَمْ لَا؟
6128 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ قَالَ: ثنا جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ قَالَ: خَطَبَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِالْجَابِيَةِ فَقَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامِي فِيكُمُ الْيَوْمَ فَقَالَ: «أَحْسِنُوا إِلَى أَصْحَابِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَفْشُوَا الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّهَادَةِ لَا يُسْأَلُهَا وَحَتَّى يَحْلِفَ الرَّجُلُ عَلَى الْيَمِينِ لَا يُسْتَحْلَفُ»
6129 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ قَالَ: ثنا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «أَحْسِنُوا إِلَى أَصْحَابِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَفْشُوَا الْكَذِبُ»
6130 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ الْمُزَنِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ كَهْمَسًا يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي أَحْمَدَ فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ شَهِدَ بِالشَّهَادَةِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا مَذْمُومٌ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ هُوَ مَحْمُودٌ مَأْجُورٌ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ مِنْ ذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي دَفْعِ مَا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّهَادَةِ لَا يُسْأَلَهَا وَحَتَّى يَحْلِفَ عَلَى الْيَمِينِ لَا يُسْتَحْلَفُ. فَمَعْنَى ذَلِكَ أَنْ يَشْهَدَ كَاذِبًا أَوْ يَحْلِفَ كَاذِبًا لِأَنَّهُ قَالَ حَتَّى يَفْشُوَ الْكَذِبُ فَيَكُونَ كَذَا وَكَذَا. فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الَّذِي يَكُونُ إِذَا فَشَا الْكَذِبُ إِلَّا كَذِبًا وَإِلَّا فَلَا مَعْنَى لِذِكْرِهِ فَيَفْشُو الْكَذِبُ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا
6129 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ قَالَ: ثنا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «أَحْسِنُوا إِلَى أَصْحَابِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَفْشُوَا الْكَذِبُ»
6130 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ الْمُزَنِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ كَهْمَسًا يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي أَحْمَدَ فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ شَهِدَ بِالشَّهَادَةِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا مَذْمُومٌ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ هُوَ مَحْمُودٌ مَأْجُورٌ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ مِنْ ذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي دَفْعِ مَا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّهَادَةِ لَا يُسْأَلَهَا وَحَتَّى يَحْلِفَ عَلَى الْيَمِينِ لَا يُسْتَحْلَفُ. فَمَعْنَى ذَلِكَ أَنْ يَشْهَدَ كَاذِبًا أَوْ يَحْلِفَ كَاذِبًا لِأَنَّهُ قَالَ حَتَّى يَفْشُوَ الْكَذِبُ فَيَكُونَ كَذَا وَكَذَا. فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الَّذِي يَكُونُ إِذَا فَشَا الْكَذِبُ إِلَّا كَذِبًا وَإِلَّا فَلَا مَعْنَى لِذِكْرِهِ فَيَفْشُو الْكَذِبُ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১২৯
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১২৯।
كتاب القضاء والشهادات
6129 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩০
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১৩০।
كتاب القضاء والشهادات
6130 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩১
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩১। ইব্ন আবু দাউদ ..... ইব্ন উমর হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি জাবিয়া নামক স্থানে তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, তােমরা আমার সাহাবীদের সম্মান কর, অতঃপর যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তাদের সম্মান কর যারা তাদের নিকটবর্তী। এরপর মিথ্যার প্রসার ঘটবে। এমনকি সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন করার পূর্বেই কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করবে।
كتاب القضاء والشهادات
6131 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُوقَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ خَطَبَهُمْ بِالْجَابِيَةِ فَقَالَ [ص:151] سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَكْرِمُوا أَصْحَابِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ قَبَلَ أَنْ يُسْتَشْهَدَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩৩
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩২-৩৩। আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুহাম্মাদ আল-বসরী ..... যুরারা ইব্ন আবু আওফা হযরত ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের সর্বোত্তম হলাে তারা, যাদের মধ্যে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী।
তিনি বলেন, আল্লাহ্ ভাল জানেন, তিনি তৃতীয় স্তরের লােকদের উল্লেখ করেছেন, কি করেননি। তারপর এমন সব লোকের পকাশ ঘটবে যারা সাক্ষ্য দিবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য তলব করা হবে না। তারা মান্নত করবে কিন্তু তা পূণ করবে না। তারা খিয়ানত করবে, আমানতের দায়িত্ব পালন করবে না। আর তাদের মধ্যে মােটা লােকের প্রসার ঘটবে।
ইবন মারযূক..... ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তােমাদের মধ্যে উত্তম হলাে যারা আমার যুগের লােক। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তারা বলেন, এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ সমস্ত লােকের নিন্দা করেছেন, যার নিকট সাক্ষের আবেদন ছাড়াই সে সাক্ষ্য প্রদান করে।
জবাবে তাদেরকে বলা হবে, এ হাদীস ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযােজ্য যাকে শুরুতে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন করা হয় না। ফলে সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে এবং মূল বিষয় না জেনেই হাকিমের নিকট গিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করে। অতএব এসব হাদীস ও প্রথম হাদীসের অর্থ এক ও অভিন্ন। এছাড়া তারা আরাে হাদীস বর্ণনা করেন। যেমন :
তিনি বলেন, আল্লাহ্ ভাল জানেন, তিনি তৃতীয় স্তরের লােকদের উল্লেখ করেছেন, কি করেননি। তারপর এমন সব লোকের পকাশ ঘটবে যারা সাক্ষ্য দিবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য তলব করা হবে না। তারা মান্নত করবে কিন্তু তা পূণ করবে না। তারা খিয়ানত করবে, আমানতের দায়িত্ব পালন করবে না। আর তাদের মধ্যে মােটা লােকের প্রসার ঘটবে।
ইবন মারযূক..... ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তােমাদের মধ্যে উত্তম হলাে যারা আমার যুগের লােক। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তারা বলেন, এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ সমস্ত লােকের নিন্দা করেছেন, যার নিকট সাক্ষের আবেদন ছাড়াই সে সাক্ষ্য প্রদান করে।
জবাবে তাদেরকে বলা হবে, এ হাদীস ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযােজ্য যাকে শুরুতে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন করা হয় না। ফলে সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে এবং মূল বিষয় না জেনেই হাকিমের নিকট গিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করে। অতএব এসব হাদীস ও প্রথম হাদীসের অর্থ এক ও অভিন্ন। এছাড়া তারা আরাে হাদীস বর্ণনা করেন। যেমন :
كتاب القضاء والشهادات
6132 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَصْرِيُّ، قَالَ: ثنا عَارِمٌ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَبِي أَوْفَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ أُمَّتِي الْقَرْنُ الَّذِي بُعِثْتُ فِيهِمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ» ، قَالَ وَاللهُ أَعْلَمُ أَذَكَرَ الثَّالِثَ أَمْ لَا؟ «ثُمَّ يَفْشُو قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ وَيَنْذُرُونَ وَلَا يُوفُونَ وَيَخُونُونَ وَلَا يُؤْتَمَنُونَ وَيَفْشُو فِيهِمُ الْيَمِينُ»
6133 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ ثَابِتٍ الْبَزَّارُ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنْ زَهْدَمِ بْنِ مُضَرِّبٍ الْجَرْمِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُكُمْ قَرْنِي» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالُوا: فَقَدْ ذَمَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي يَشْهَدُ وَلَا يُسْتَشْهَدُ. قِيلَ لَهُمْ: هَذَا عَلَى الَّذِي لَا يُسْتَشْهَدُ فِي بَدْءِ الْأَمْرِ فَيَكُونُ فِي شَهَادَتِهِ عِنْدَ الْحَاكِمِ شَاهِدًا بِمَا لَمْ يَشْهَدْ عَلَيْهِ وَلَا يَعْلَمُهُ. فَعَادَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِلَى مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا
6133 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ ثَابِتٍ الْبَزَّارُ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنْ زَهْدَمِ بْنِ مُضَرِّبٍ الْجَرْمِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُكُمْ قَرْنِي» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالُوا: فَقَدْ ذَمَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي يَشْهَدُ وَلَا يُسْتَشْهَدُ. قِيلَ لَهُمْ: هَذَا عَلَى الَّذِي لَا يُسْتَشْهَدُ فِي بَدْءِ الْأَمْرِ فَيَكُونُ فِي شَهَادَتِهِ عِنْدَ الْحَاكِمِ شَاهِدًا بِمَا لَمْ يَشْهَدْ عَلَيْهِ وَلَا يَعْلَمُهُ. فَعَادَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِلَى مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৩
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১৩৩।
كتاب القضاء والشهادات
6133 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৪
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩৪। হুসায়ন ইব্ন নসর ..... হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যামানা আসবে, যখন সত্যবাদী মিথ্যা বলবে এবং একজন মিথাবাদী সত্য কথা বলবে, আমানতদার ব্যক্তি খিয়ানত করবে এবং খিয়ানতকারী ব্যক্তি আমানত রক্ষা করবে। এবং যখন মানুষ সাক্ষ্য প্রদান করবে তার থেকে সাক্ষ্য তলব করা না হলেও। আর হলফ করবে তাকে হলফ করতে বলা না হলেও।
كتاب القضاء والشهادات
6134 - مَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ قَالَ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُكَذَّبُ فِيهِ الصَّادِقُ وَيُصَدَّقُ فِيهِ الْكَاذِبُ وَيُخَوَّنُ فِيهِ الْأَمِينُ وَيُؤْتَمَنُ فِيهِ الْخَئُونُ وَيَشْهَدُ فِيهِ الْمَرْءُ وَإِنْ لَمْ يُسْتَشْهَدْ وَيَحْلِفُ الْمَرْءُ وَإِنْ لَمْ يُسْتَحْلَفْ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩৫-৩৬। ইব্ন মারযূক ও ইব্ন আবু দাউদ .... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন শাকীক হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন : আমার সর্বোত্তম উম্মত হলাে আমার যুগের উম্মত। তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী। তারপর তৃতীয় স্তরের লােকদের উল্লেখ করেছেন কি না, তা আমি জানি না। তারপর তাদের পরে এমন লােকের আবির্ভাব ঘটবে, যাদের নিকট মােটা হওয়া পসন্দনীয় হবে। তারা সাক্ষ্য দেবে অথচ তাদের থেকে সাক্ষ্য চাওয়া হবে না।
كتاب القضاء والشهادات
6135 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، ح
6136 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَا جَمِيعًا عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ أُمَّتِي قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ» ، ثُمَّ لَا أَدْرِي أَذَكَرَ الثَّالِثَةَ أَمْ لَا " ثُمَّ يَخْلُفُ بَعْدَهُمْ خُلُوفٌ يُعْجِبُهُمُ السَّمَانَةُ وَيَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ
6136 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَا جَمِيعًا عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ أُمَّتِي قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ» ، ثُمَّ لَا أَدْرِي أَذَكَرَ الثَّالِثَةَ أَمْ لَا " ثُمَّ يَخْلُفُ بَعْدَهُمْ خُلُوفٌ يُعْجِبُهُمُ السَّمَانَةُ وَيَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১৩৬।
كتاب القضاء والشهادات
6136 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৭
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩৭। ইব্ন আবু দাউদ ..... বিলাল ইবন সা'দ তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমরা জানতে চাইলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কোন্ উম্মত সর্বাধিক উত্তম? তিনি বললেন আমি ও আমার ক্বারনের উম্মত । রাবী বলেন, আমরা বললাম, তারপর কারা? তিনি বললেন, তারপর দ্বিতীয় ক্বারনের লােক। রাবী বলেন আমরা জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কারা? তিনি বললেন, তৃতীয় ক্বারনের লােক। তারপর এমন সব লােকের আগমন ঘটবে যারা সাক্ষ্য দেবে, অথচ তাদের থেকে সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা হলফ করবে, অথচ তাদেরকে হলফ করতে বলা হবে না। তারা আমানতের মাল রাখবে কিন্তু তারা তা আদায় করবে না।
আবু জা’ফর (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসের ব্যাখ্যায়ও আমাদের ঐ একই বক্তব্য যা আমরা পূর্বে হাদীসের ব্যাখ্যায় পেশ করেছি। তারা এ হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেন :
আবু জা’ফর (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসের ব্যাখ্যায়ও আমাদের ঐ একই বক্তব্য যা আমরা পূর্বে হাদীসের ব্যাখ্যায় পেশ করেছি। তারা এ হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেন :
كتاب القضاء والشهادات
6137 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُسْهِرٍ، قَالَ: ثنا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُرَحْبِيلَ، عَنْ بِلَالِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ أُمَّتُكَ خَيْرٌ؟ قَالَ: «أَنَا وَقَرْنِي» . قَالَ: قُلْنَا ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «ثُمَّ الْقَرْنُ الثَّانِي» قَالَ: قُلْنَا ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «الْقَرْنُ الثَّالِثُ» . قَالَ: قُلْنَا: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ وَيَحْلِفُونَ وَلَا يُسْتَحْلَفُونَ وَيُؤْتَمَنُونَ وَلَا يُؤَدُّونَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَالْكَلَامُ فِي تَأْوِيلِ هَذَا هُوَ الْكَلَامُ الَّذِي ذَكَرْنَا فِي تَأْوِيلِ الْآثَارِ الَّتِي فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩৯
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৩৮-৩৯। আবু বাকরা ..... হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন, তােমাদের মধ্যে উত্তম তারা, যারা আমার ক্বারনের উম্মত। অতঃপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী । তারপর এমন সমস্ত লােক তাদের পরে আসবে যাদের (মিথ্যা) সাক্ষ্য তাদের (মিথ্যা) হলফের পর্ব আর তাদের হলফ তাদের সাক্ষ্যের পূর্বে সংঘটিত হবে।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা ......... হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা ......... হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب القضاء والشهادات
6138 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ وَسُلَيْمَانَ أَيِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبِيْدَةَ أَيِ السَّلْمَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُكُمْ قَرْنِي [ص:152] ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَخْلُفُ قَوْمٌ يَسْبِقُ شَهَادَتُهُمْ أَيْمَانَهُمْ وَأَيْمَانُهُمْ شَهَادَتَهُمْ»
6139 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ سِكِّيتٍ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
6139 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ سِكِّيتٍ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৩৯
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১৩৯।
كتاب القضاء والشهادات
6139 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪০
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪০। ইব্ন মারযুক ..... আবু নাযরাহ হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাওলাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি বুরায়দাহ আসলামী (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সফর করছিলাম, তখন তিনি এই দু'আ করেছিলেন : হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে আমার ক্বারনের সাথে যুক্ত করুন যে ক্বারন হতে আমি এবং যে ক্বারনের সাথী আমি । এ দু'আ তিনি তিনবার করলেন। তখন আমি বললাম এবং আমি (-ও এই আশা পােষণ করি)। তখন তিনি আমার জন্য দু'আ করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, এই উম্মতের উত্তম ক্বারন হলাে সেটা, যে ক্বারনে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে। তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী। তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী হবে। তারপর এমন সমস্ত লােকের আগমন ঘটবে, যাদের সাক্ষ্যে তাদের হলফের পূর্বে সংঘটিত হবে এবং তাদের হলফ তাদের সাক্ষ্যের পূর্বে সংঘটিত হবে।
كتاب القضاء والشهادات
6140 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَوْلَةَ، قَالَ: كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ بُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ وَهُوَ يَقُولُ اللهُمَّ أَلْحِقْنِي بِقَرْنِي الَّذِي أَنَا مِنْهُ ثَلَاثًا وَأَنَا مَعَهُ. فَقُلْتُ: وَأَنَا فَدَعَا لِي ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «خَيْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْقَرْنُ الَّذِي بُعِثْتُ فِيهِمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَكُونُ قَوْمٌ تَسْبِقُ شَهَادَاتُهُمْ أَيْمَانَهُمْ وَأَيْمَانُهُمْ شَهَادَاتِهِمْ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪২
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪১-৪২। ফাহদ ..... নু’মান ইব্ন বাশীর নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, উত্তম লােক হলাে, আমার ক্বারনের লােক। তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী। তারপর এমন সমস্ত লােকের আগমন ঘটবে, যাদের সাক্ষ্য তাদের হলফের পূর্বে সংঘটিত হবে এবং তাদের হলফ তাদের সাক্ষ্যের পূর্বে সংঘটিত হবে।
ফাহদ ..... আবু বকর ইব্ন আইয়্যাশ আসিম হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য তিনি ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ আর একবার অতিরিক্ত বর্ণনা করেন। তারপর বলেন ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ এসব রিওয়ায়াত দ্বারা প্রথম মতের প্রবক্তাদের জন্য যারা দলীল পেশ করেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে, এসব شهادة (সাক্ষ্য) দ্বারা الشَّهَادَةَ عَلَى الْحُقُوقِ (অধিকারসমূহের ওপর সাক্ষ্য) উদ্দেশ্য নয়। এর উদ্দেশ্য হলাে الشَّهَادَةُ فِي الْأَيْمَانِ (হলফের ওপর সাক্ষ্য) ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) হতে এমন রিওয়ায়াত বর্ণিত যা এ কথা প্রমাণ করে:
ফাহদ ..... আবু বকর ইব্ন আইয়্যাশ আসিম হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য তিনি ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ আর একবার অতিরিক্ত বর্ণনা করেন। তারপর বলেন ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ এসব রিওয়ায়াত দ্বারা প্রথম মতের প্রবক্তাদের জন্য যারা দলীল পেশ করেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে, এসব شهادة (সাক্ষ্য) দ্বারা الشَّهَادَةَ عَلَى الْحُقُوقِ (অধিকারসমূহের ওপর সাক্ষ্য) উদ্দেশ্য নয়। এর উদ্দেশ্য হলাে الشَّهَادَةُ فِي الْأَيْمَانِ (হলফের ওপর সাক্ষ্য) ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) হতে এমন রিওয়ায়াত বর্ণিত যা এ কথা প্রমাণ করে:
كتاب القضاء والشهادات
6141 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَخْلُفُ قَوْمٌ تَسْبِقُ شَهَادَاتُهُمْ أَيْمَانَهُمْ وَأَيْمَانُهُمْ شَهَادَاتِهِمْ»
6142 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَزَادَ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ مَرَّةً أُخْرَى ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَى الَّذِينَ احْتَجُّوا بِهَذِهِ الْآثَارِ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ هَذِهِ الشَّهَادَةَ لَمْ يُرِدْ بِهَا الشَّهَادَةَ عَلَى الْحُقُوقِ وَإِنَّمَا أُرِيدَ بِهَا الشَّهَادَةُ فِي الْأَيْمَانِ وَقَدْ رُوِيَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ
6142 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَزَادَ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ مَرَّةً أُخْرَى ثُمَّ يَأْتِي قَوْمٌ فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَى الَّذِينَ احْتَجُّوا بِهَذِهِ الْآثَارِ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ هَذِهِ الشَّهَادَةَ لَمْ يُرِدْ بِهَا الشَّهَادَةَ عَلَى الْحُقُوقِ وَإِنَّمَا أُرِيدَ بِهَا الشَّهَادَةُ فِي الْأَيْمَانِ وَقَدْ رُوِيَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪২
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
empty
৬১৪২।
كتاب القضاء والشهادات
6142 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪৩
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৩। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা ...... ইবরাহীম উবায়দা সূত্রে হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন মানুষ সর্বোত্তম? তিনি বললেন আমার ক্বারনের উম্মত, তারপর তারা, যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর তারা যারা তাদের নিকটবর্তী, তারপর এমন লােকজনের আগমন ঘটবে যাদের شهادة তাদের يمين (হলফ)-এর উপর অগ্রগামী হবে এবং তাদের يمين তাদের شهادت (সাক্ষ্য)- এর ওপর অগ্রগামী হবে। ইবরাহীম (নাখঈ) বলেন, আমরা যখন ছােট ছিলাম, তখন আমাদের সাথীদেরকে شهادت ও عهد -এর হলফ করতে নিষেধ করা হতাে।
ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ)-এর এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে সাক্ষ্য প্রদানকারীর নিন্দা করেছেন, তা হলাে কোন ব্যক্তির হলফের উদ্দেশ্যে এরূপ বলা أَشْهَدُ بِاللهِ مَا كَانَ كَذَا এরূপ বলাকে তিনি ঠিক তদ্রুপ অপসন্দ করেছেন, যেমন তিনি হলফ করাই অপসন্দ করতেন। কারণ অতিরিক্ত হলফ করা তা সত্য হলেও মাকরূহ। অতএব যে شهادة (সাক্ষ্য) হলফের অর্থে ব্যবহৃত, তার থেকে ঠিক তদ্রুপ নিষেধ করা হয়েছে যেমন হলফ হতে নিষেধ করা হয়েছে। অবশ্য যদি কাউকে হলফ করার জন্য অনুরােধ করা বা নির্দেশ দেয়া হয়, তবে সে তখন মাযূর হবে। অথবা সম্ভবত এ شهادة (সাক্ষ্য) দ্বারা যার আমরা আলােচনা করেছি, | ‘অবাস্তব জিনিসের ওপর হলফ করা উদ্দেশ্য ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ এ বক্তব্য দ্বারাই তাই বুঝা যায় । অতএব তা شهادة كذب বা মিথ্যা সাক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।
সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন করা ছাড়াই যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে তার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন :
ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ)-এর এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে সাক্ষ্য প্রদানকারীর নিন্দা করেছেন, তা হলাে কোন ব্যক্তির হলফের উদ্দেশ্যে এরূপ বলা أَشْهَدُ بِاللهِ مَا كَانَ كَذَا এরূপ বলাকে তিনি ঠিক তদ্রুপ অপসন্দ করেছেন, যেমন তিনি হলফ করাই অপসন্দ করতেন। কারণ অতিরিক্ত হলফ করা তা সত্য হলেও মাকরূহ। অতএব যে شهادة (সাক্ষ্য) হলফের অর্থে ব্যবহৃত, তার থেকে ঠিক তদ্রুপ নিষেধ করা হয়েছে যেমন হলফ হতে নিষেধ করা হয়েছে। অবশ্য যদি কাউকে হলফ করার জন্য অনুরােধ করা বা নির্দেশ দেয়া হয়, তবে সে তখন মাযূর হবে। অথবা সম্ভবত এ شهادة (সাক্ষ্য) দ্বারা যার আমরা আলােচনা করেছি, | ‘অবাস্তব জিনিসের ওপর হলফ করা উদ্দেশ্য ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ এ বক্তব্য দ্বারাই তাই বুঝা যায় । অতএব তা شهادة كذب বা মিথ্যা সাক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।
সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আবেদন করা ছাড়াই যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে তার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন :
كتاب القضاء والشهادات
6143 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ قَالَ: أنا شَيْبَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ؟ قَالَ: «قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ يَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ: كَانَ أَصْحَابُنَا يَنْهَوْنَنَا وَنَحْنُ غِلْمَانٌ أَنْ نَحْلِفَ بِالشَّهَادَةِ وَالْعَهْدِ فَدَلَّ هَذَا مِنْ قَوْلِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ الشَّهَادَةَ الَّتِي ذَمَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَاحِبَهَا هِيَ قَوْلُ الرَّجُلِ أَشْهَدُ بِاللهِ مَا كَانَ كَذَا عَلَى مَعْنَى الْحَلِفِ فَكَرِهَ ذَلِكَ كَمَا يُكْرَهُ الْحَلِفُ لِأَنَّهُ مَكْرُوهٌ لِلرَّجُلِ الْإِكْثَارُ مِنْهُ وَإِنْ كَانَ صَادِقًا. فَنَهَى عَنِ الشَّهَادَةِ الَّتِي هِيَ حَلِفٌ كَمَا نَهَى عَنِ الْيَمِينِ إِلَّا أَنْ يُسْتَحْلَفَ بِهَا فَيَكُونَ حِينَئِذٍ مَعْذُورًا. وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِالشَّهَادَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا الْحَلِفَ عَلَى مَا لَمْ يَكُنْ لِقَوْلِهِ: ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ، فَتَكُونُ تِلْكَ الشَّهَادَةُ شَهَادَةَ كَذِبٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَفْضِيلِ الشَّاهِدِ الْمُبْتَدِئِ بِالشَّهَادَةِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪৪
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৪। ইউনুস ..... আবু উমারাহ আনসারী হযরত যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - ইরশাদ করেন, আমি কি তােমাদের মধ্যে উত্তম সাক্ষী সম্পর্কে খবর দিব না? সে হলাে এ ব্যক্তি, যার নিকট সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বেই সে সাক্ষ্য প্রদান করে। অথবা তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার নিকট তলব করার পূর্বেই তার সাক্ষ্যের সংবাদ প্রদান করে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এর অর্থ হলাে ঐ সাক্ষ্যদাতা যার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে, সে ব্যক্তি এ কথা জানেই না যে, সে তার একজন সাক্ষী। অথবা সাক্ষ্যদাতা ইমামের (শাসকের) নিকট উপস্থিত হয়ে তার নিকট সাক্ষ্য প্রদান করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই সাক্ষীকেই উত্তম সাক্ষী সাব্যস্ত করেছেন। অতএব প্রথম উল্লেখিত হাদীসসমূহকে ঐ অর্থেই প্রয়ােগ করা উত্তম যাতে পরস্পর বিরােধী না হয় এবং এক হাদীস অন্য হাদীসের সহিত বিরােধপূর্ণ না হয়। পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, সে ব্যাখ্যা এতেও প্রযােজ্য হবে। আর শেষে যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা প্রযােজ্য হবে ঐ সাক্ষ্যদাতার ফযীলত বর্ণনা করার ওপর, যে স্বেচ্ছায় হাকিমের নিকট সত্য সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবা-ই কিরাম এরূপ করেছেন। তাঁরা হাকিমের নিকট উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং আরাে যারা তাঁর সাথে ছিলেন, যখন তারা হযরত মুগীরা ইব্ন শুবা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, তারা এটা তাদের জন্য জরুরী মনে করেছিলেন এবং তাদের নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুরােধ ছাড়াই যে তাঁরা সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, এ কারণে হযরত উমর (রাযিঃ) তাদেরকে কোন তিক্ত কথা বলেন নি; বরং তাদের সাক্ষ্য শ্রবণ করেছেন। তাদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য যদি তারা নিন্দিত হতেন, তবে অবশ্যই তিনি তাঁদের নিন্দা করতেন। হযরত উমর (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট হতে শ্রবণ করলেন এবং তিনি তাদের ওপর কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি। আর সে সাহাবা-ই কিরামও কোন অভিযােগ করেন নি, যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের ওপর এমন করাই ফরয ছিল। আর এ কথাও প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি কোন অনুরােধ ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করে, সে প্রশংসানীয়। আর এ সম্পর্কে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এই ;
মালিক (রাহঃ) বলেন, এর অর্থ হলাে ঐ সাক্ষ্যদাতা যার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে, সে ব্যক্তি এ কথা জানেই না যে, সে তার একজন সাক্ষী। অথবা সাক্ষ্যদাতা ইমামের (শাসকের) নিকট উপস্থিত হয়ে তার নিকট সাক্ষ্য প্রদান করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই সাক্ষীকেই উত্তম সাক্ষী সাব্যস্ত করেছেন। অতএব প্রথম উল্লেখিত হাদীসসমূহকে ঐ অর্থেই প্রয়ােগ করা উত্তম যাতে পরস্পর বিরােধী না হয় এবং এক হাদীস অন্য হাদীসের সহিত বিরােধপূর্ণ না হয়। পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, সে ব্যাখ্যা এতেও প্রযােজ্য হবে। আর শেষে যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তা প্রযােজ্য হবে ঐ সাক্ষ্যদাতার ফযীলত বর্ণনা করার ওপর, যে স্বেচ্ছায় হাকিমের নিকট সত্য সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবা-ই কিরাম এরূপ করেছেন। তাঁরা হাকিমের নিকট উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং আরাে যারা তাঁর সাথে ছিলেন, যখন তারা হযরত মুগীরা ইব্ন শুবা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, তারা এটা তাদের জন্য জরুরী মনে করেছিলেন এবং তাদের নিকট সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুরােধ ছাড়াই যে তাঁরা সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন, এ কারণে হযরত উমর (রাযিঃ) তাদেরকে কোন তিক্ত কথা বলেন নি; বরং তাদের সাক্ষ্য শ্রবণ করেছেন। তাদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য যদি তারা নিন্দিত হতেন, তবে অবশ্যই তিনি তাঁদের নিন্দা করতেন। হযরত উমর (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট হতে শ্রবণ করলেন এবং তিনি তাদের ওপর কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি। আর সে সাহাবা-ই কিরামও কোন অভিযােগ করেন নি, যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের ওপর এমন করাই ফরয ছিল। আর এ কথাও প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি কোন অনুরােধ ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করে, সে প্রশংসানীয়। আর এ সম্পর্কে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এই ;
كتاب القضاء والشهادات
6144 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ؟ الَّذِي يَأْتِي بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَ عَنْهَا أَوْ يُخْبِرَ بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا» قَالَ مَالِكٌ: الَّذِي يُخْبِرُ بِشَهَادَتِهِ وَلَا يَعْلَمُ بِهَا الَّذِي هِيَ لَهُ أَوْ يَأْتِي بِهَا الْإِمَامَ فَيَشْهَدُ بِهَا عِنْدَهُ وَجَعَلَهُ خَيْرَ الشُّهَدَاءِ [ص:153] فَأَوْلَى بِنَا أَنْ نَحْمِلَ الْآثَارَ الْأُوَلَ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ تَأْوِيلِ كُلِّ أَثَرٍ مِنْهَا حَتَّى لَا تَتَضَادَّ وَلَا تَخْتَلِفَ وَلَا يَدْفَعَ بَعْضُهَا بَعْضًا. فَتَكُونُ الْآثَارُ الْأُوَلُ عَلَى الْمَعَانِي الَّتِي ذَكَرْنَا وَتَكُونَ هَذِهِ الْآثَارُ الْأُخَرُ عَلَى تَفْضِيلِ الْمُبْتَدِئِ بِالشَّهَادَةِ مَنْ هِيَ لَهُ أَوِ الْمُخْبِرُ بِهَا الْإِمَامُ. وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَوْا الْإِمَامَ فَشَهِدُوا ابْتِدَاءً مِنْهُمْ أَبُو بَكْرَةَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ حِينَ شَهِدُوا عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ فَرَأَوْا ذَلِكَ لِأَنْفُسِهِمْ لَازِمًا وَلَمْ يُعَنِّفْهُمْ عُمَرُ عَلَى ابْتِدَائِهِمْ إِيَّاهُ بِذَلِكَ بَلْ سَمِعَ شَهَادَاتِهِمْ. وَلَوْ كَانُوا فِي ذَلِكَ مَذْمُومِينَ لَذَمَّهُمْ مَنْ سَأَلَكُمْ عَنْ هَذَا؟ أَلَا قَعَدْتُمْ حَتَّى تُسْأَلُوا؟ . فَلَمَّا سَمِعَ مِنْهُمْ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ عُمَرُ وَلَا أَحَدٌ مِمَّنْ كَانَ بِحَضْرَتِهِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ فَرْضَهُمْ كَذَلِكَ وَأَنَّ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ ابْتِدَاءً لَا عَنْ مَسْأَلَةٍ مَحْمُودٌ. فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪৫
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৫। আলী ইবন আব্দুর রহমান ...... আবু উসমান আন্-নাহদী বলেন, একদা এক ব্যক্তি হযরত ওমর (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাে, অতঃপর সে হযরত মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিল । ফলে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর চেহারা বিবর্ণ হলাে। তারপর আর এক ব্যক্তি এসে সাক্ষ্য দিল এবং হযরত উমর (রাযিঃ) বিবর্ণ হলেন। তারপর আরাে এক ব্যক্তির আগমন ঘটল এবং সাক্ষ্য দিল । তাতেও তিনি বিবর্ণ হলেন। তার মধ্যে যে এই পরিবর্তন হয়েছে, আমরাও তা বুঝতে পারলাম এবং তিনি এটা মেনেও নিতে পারেননি। ইতিমধ্যে আর এক ব্যক্তি হাত নাড়াতে নাড়াতে আগমন করলে- তখন তিনি বললেন, হে সুলখুল উকার! তােমার নিকট কি সংবাদ? এ সময় আবু উসমান এমন চিৎকার দিলেন যা ছিল হযরত উমর (রাযিঃ)-এর চিৎকারের সদৃশ। এমনকি আমি প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়ার উপক্রম করলাম। তিনি বলেন, আমি একটা খারাপ জিনিস দেখেছি। তিনি আরাে বলেন, আল্লাহ শােকর যে, তিনি উম্মত মুহাম্মাদী দ্বারা শয়তানকে খুশি করেন নি। অতঃপর তিনি ঐ তিনজনকে বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে বেত্রাঘাত করা হলাে।
كتاب القضاء والشهادات
6145 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا عَفَّانَ بْنُ مُسْلِمٍ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَا: حَدَّثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى قَالَ: ثنا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ رَشِيدٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَشَهِدَ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُ عُمَرَ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَشَهِدَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُ عُمَرَ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَشَهِدَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُ عُمَرَ حَتَّى عَرَفْنَا ذَلِكَ فِيهِ وَأَنْكَرَ لِذَلِكَ. وَجَاءَ آخَرُ يُحَرِّكُ بِيَدَيْهِ فَقَالَ: «مَا عِنْدَكَ يَا سَلْخَ الْعِقَابِ؟» وَصَاحَ أَبُو عُثْمَانَ صَيْحَةً تُشَبَّهُ بِهَا صَيْحَةَ عُمَرَ حَتَّى كَرُبْتُ أَنْ يُغْشَى عَلَيَّ. قَالَ: رَأَيْتُ أَمْرًا قَبِيحًا قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يُشَمِّتِ الشَّيْطَانَ بِأُمَّةِ مُحَمَّدٍ فَأَمَرَ بِأُولَئِكَ النَّفَرِ فَجُلِدُوا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪৬
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৬। ফাহদ ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাযিঃ) বলেন, হযরত মুগীরা ইব্ন শুবা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে চার ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল । কিন্তু যিয়াদ ইব্ন আবু সুফিয়ান অস্বীকার করলেন। তখন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তিনজনকে বেত্রাঘাত করলেন এবং তাদেরকে তাওবা করালেন। তাদের দু'জন তাে তাওবা করল কিন্তু আর বকরা তাওবা করতে অস্বীকার করলেন। ফলে যারা তাওবা করলেন তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতাে কিন্তু আবু বকরা (রাযিঃ)-এর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতাে না। কারণ, তিনি তাওবা করতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি ইবাদত করতে করতে দুর্বল উটের মত হয়েছিলেন।
كتاب القضاء والشهادات
6146 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الطَّائِفِيُّ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: شَهِدَ عَلَى الْمُغِيرَةِ أَرْبَعَةٌ فَنَكَلَ زِيَادُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ فَجَلَدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الثَّلَاثَةَ وَاسْتَتَابَهُمْ فَتَابَ الِاثْنَانِ , وَأَبَى أَبُو بَكْرَةَ أَنْ يَتُوبَ فَكَانَ يَقْبَلُ شَهَادَتَهُمَا حِينَ تَابَا وَكَانَ أَبُو بَكْرَةَ لَا تُقْبَلُ شَهَادَتُهُ لِأَنَّهُ أَبَى أَنْ يَتُوبَ وَكَانَ مِثْلَ التَّصَوُّمِ مِنَ الْعِبَادَةِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৪৭
আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন ব্যক্তির নিকট অন্য কোন ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য থাকলে তাকে জানানাে কি তার ওপর ওয়াজিব; এবং স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করলে হাকিম কি তা গ্রহণ করবেন ।
৬১৪৭। ফাহদ ..... ওয়ালীদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন জুমাই বলেন, আবুত-তুফায়ল বলেছেন, একবার কিছু লােক একজন মহিলাসহ আগমন করল। এমনকি অবতরণ করে তারা নিজ নিজ প্রয়ােজনে পৃথক পৃথক হয়ে গেল। এমনকি অবতরণ করে তারা নিজ নিজ প্রয়োজনে পৃথক পৃথক হয়ে গেল। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ মহিলার সাথে পেছনে রয়ে গেল। অতঃপর তারা ফিরে এসে দেখতে পেল পুরুষটি মহিলার দু'পায়ের মাঝে অবস্থান করছে। তারপর তাদের তিনজন সাক্ষ্য দিল যে, তারা তাকে ঠিক দ্রুপ নড়তে দেখেছে, যেমন সুরমাদানীর কাঠি সুরমাদানীর মধ্যে নড়ে। কিন্তু চতুর্থজন বলল, আমি আমার কান-চক্ষুকে সংরক্ষণ করেছি। আমি তাকে তার মধ্যে নড়তে দেখিনি, আমি তার দুটো অণ্ডকোষ গাধার কানের মত মহিলার নিতম্ব ও তার দু'পায়ে আঘাত করতে দেখেছি। আর তখন মক্কার শাসক ছিলেন নাফে ইবন আব্দুল হারিস খুযাঈ, তিনি এ বিষয়ে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট পত্র লিখলেন। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) পত্র লিখলেন, যদি চতুর্থ ব্যক্তিও অন্য তিনজনের মত সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে ঐ দুজনকে পাঠিয়ে দাও, আমি তাদেরকে বেত্রাঘাত করব। যদি তারা মুহসান হয়, তবে রজম করব। আর যদি চতুর্থ ব্যক্তি এটা ছাড়া সাক্ষ্য না দেয়, যা তুমি আমার নিকট লিখেছ, তবে তুমি ঐ তিনজনকে বেত্রাঘাত কর এবং একজনকে ছেড়ে দাও। রাবী। বলেন, অতঃপর তিনি তিনজনকে বেত্রাঘাত করলেন এবং পুরুষ ও মহিলাকে ছেড়ে দিলেন।
এই যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবায়ে কিরাম, তাঁদের কেউ কেউ সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুমতি দান করা ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং কেউ কেউ তা গ্রহণ করেছেন এবং তখন সেখানে তাদের অধিকাংশ উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি উপস্থাপন করে নি। সুতরাং এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তারা সকলেই এ অর্থে একমত এবং এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে উল্লেখিত হাদীসসমূহের যে অর্থ আমরা তার স্ব স্ব স্থানে উল্লেখ করেছি, তাও যথার্থ। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
এই যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবায়ে কিরাম, তাঁদের কেউ কেউ সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুমতি দান করা ছাড়াই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং কেউ কেউ তা গ্রহণ করেছেন এবং তখন সেখানে তাদের অধিকাংশ উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি উপস্থাপন করে নি। সুতরাং এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তারা সকলেই এ অর্থে একমত এবং এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, পূর্বে উল্লেখিত হাদীসসমূহের যে অর্থ আমরা তার স্ব স্ব স্থানে উল্লেখ করেছি, তাও যথার্থ। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
كتاب القضاء والشهادات
6147 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ جُمَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الطُّفَيْلِ، قَالَ: أَقْبَلَ رَهْطٌ مَعَهُمُ امْرَأَةٌ حَتَّى نَزَلُوا فَتَفَرَّقُوا فِي حَوَائِجِهِمْ فَتَخَلَّفَ رَجُلٌ مَعَ امْرَأَةٍ فَرَجَعُوا وَهُوَ بَيْنَ رِجْلَيْهَا فَشَهِدَ ثَلَاثَةٌ مِنْهُمْ أَنَّهُمْ رَأَوْهُ يَهُبُّ كَمَا يَهُبُّ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ. وَقَالَ الرَّابِعُ: أَحْمِي سَمْعِي وَبَصَرِي لَمْ أَرَهُ يَهُبُّ فِيهَا رَأَيْتُ سِخْتَلَيْهِ يَعْنِي خُصْيَتَيْهِ، يَضْرِبَانِ اسْتَهَا وَرِجْلَاهَا مِثْلُ أُذُنَيْ حِمَارٍ. وَعَلَى مَكَّةَ يَوْمَئِذٍ نَافِعُ بْنُ الْحَارِثِ الْخُزَاعِيُّ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ. [ص:154] فَكَتَبَ عُمَرُ إِنْ شَهِدَ رَابِعٌ بِمِثْلِ مَا شَهِدَ الثَّلَاثَةُ فَقَدِّمْهُمَا أَجْلِدْهُمَا وَإِنْ كَانَا مُحْصَنَيْنِ فَارْجُمْهُمَا وَإِنْ لَمْ يَشْهَدْ إِلَّا بِمَا كَتَبْتَ بِهِ إِلَيَّ فَاجْلِدِ الثَّلَاثَةَ وَخَلِّ سَبِيلَ الرَّجُلِ. قَالَ: فَجَلَدَ الثَّلَاثَةَ وَأَخْلَى سَبِيلَ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ شَهِدَ بَعْضُهُمُ ابْتِدَاءً وَقَبِلَهَا بَعْضُهُمْ وَحَضَرَ ذَلِكَ أَكْثَرُهُمْ فَلَمْ يُنْكِرْ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى اتِّفَاقِهِمْ جَمِيعًا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى وَثَبَتَ أَنَّ مَعَانِيَ الْآثَارِ الْأُوَلِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ مَعَانِيهَا الَّتِي وَصَفْنَاهَا فِي مَوَاضِعِهَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ
তাহকীক: