শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৯. শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬১৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬২০২
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬১৯৯-৬২০২। ইউনুস ...... উবায়দ ইব্ন ফীরূয হযরত বারা ইব‌্ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করা হলাে, কুরবানীর জন্য কোন কোন পশু হতে বেঁচে থাকা উচিত? তিন তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বললেন, চার প্রকার পশু হতে। হযরত বারা (রাযিঃ)-ও তার হাত দ্বারা ইশারা করতেন এবং বলতেন, আমার হাত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাতের চেয়ে খাটো, চার প্রকার পশু হলাে : (১) খোড়া পশু, যার খোঁড়াননা স্পষ্ট; (২) অন্ধ পশু, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; (৩) রােগাক্রান্ত পশু, যার রােগ স্পষ্ট; (৪)। এমন দুর্বল পশু যার হাড় মজ্জা শূন্য।

ইবরাহীম ইব্ন মারমূক ও আলী ইব‌্ন শায়বা, তাদের নিজ নিজ সনদে সুলায়মান ইব্‌ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি উবায়দ ইব্ন ফীরূযকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি হযরত বারা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করলেন।


ইউনুস ...... হযরত বারা ইব্‌ন আযিব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ‌্ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি العجفاء التي لا تنقي বলেছেন الكسيرة (ভাঙ্গা পা) বলেননি।
আবু জাফর বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের ওপর ভিত্তি করে বলেন, এমন ছাগল, উট ও গম। যার মধ্যে এই চারটি দোষের কোন একটি দোষ থাকবে, হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য তা যথেষ্ট হবে না।

আর কুরবানী করার জন্যও যথেষ্ট হবে না। আর এ চারটি দোষ ব্যতীত অন্য কোন দোষ থাকলে (যেমন নিতম্ব ও কান কতিত, ইত্যাদি) তা ছাগল, গরু ও উটকে হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কিংবা কুরবানী করার জন্য কোন বাধার সৃষ্টি করে না। আর এ বিষয়টি তারা নীচের হাদীস দ্বারাও প্রমাণ করেন। আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, সাঈদ ই যুবায়র, হাসান বসরা, ইবরাহীম নাখ, ও হাকাম ইবন উতায়বা এবং আহলে যাহির এর মতও এটাই।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6202 - 6199 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: مَاذَا يُتَّقَى مِنَ الضَّحَايَا؟ فَأَشَارَ بِيَدِهِ وَقَالَ: «أَرْبَعًا» . وَكَانَ الْبَرَاءُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُشِيرُ بِيَدِهِ وَيَقُولُ: يَدِي أَقْصَرُ مِنْ يَدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ضِلْعُهَا وَالْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا , وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا , وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تُنْقِي»

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، وَحَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ ح

وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ فَيْرُوزَ، قَالَ: سَأَلْتُ الْبَرَاءَ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ [ص:169]

حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تُنْقِي وَلَمْ يَقُلْ وَالْكَسِيرَةُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَالُوا: لَا تُجْزِئُ شَاةٌ , وَلَا بَدَنَةٌ , وَلَا بَقَرَةٌ , إِذَا كَانَ بِهَا وَاحِدٌ مِنْ هَذِهِ الْعُيُوبِ الْأَرْبَعِ فِي هَدْيٍ وَلَا أُضْحِيَّةٍ. قَالُوا: وَمَا كَانَ سِوَى هَذِهِ الْأَرْبَعِ , مِثْلُ قَطْعِ الْأَلْيَةِ وَالْأُذُنِ وَغَيْرِ ذَلِكَ , فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَمْنَعُ الشَّاةَ , وَلَا الْبَقَرَةَ وَلَا الْبَدَنَةَ أَنْ تُهْدَى وَلَا أَنْ يُضَحَّى بِهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক: