শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৭১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৩১
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১২৮-৩১। আবু বাকরা (রাহঃ) …… মুখতার ইবন ফুলফুল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর দরবারে এসে বলল, ইয়া "খায়রাল বারীয়া" সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ)। তিনি বললেন, তাতো ইবরাহীম (আ) ।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুযায়ফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে সুইয়ান (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেছেন যে, নবীদের মাঝে প্রধান্য দিতে কোন দোষ নেই। সুতরাং বলা যেতে পারে যে, অমুক (নবী) অমুক (নবী) অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এটা সেই গুণাবলীতে হবে যা প্রত্যেকের পৃথক পৃথকভাবে অর্জিত রয়েছে। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা নবীদের মাঝে প্রাধান্য দেয়াকে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা এ বিষয়ে নিম্নরূপ দলীল পেশ করেছেন :
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুযায়ফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে সুইয়ান (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেছেন যে, নবীদের মাঝে প্রধান্য দিতে কোন দোষ নেই। সুতরাং বলা যেতে পারে যে, অমুক (নবী) অমুক (নবী) অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এটা সেই গুণাবলীতে হবে যা প্রত্যেকের পৃথক পৃথকভাবে অর্জিত রয়েছে। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা নবীদের মাঝে প্রাধান্য দেয়াকে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা এ বিষয়ে নিম্নরূপ দলীল পেশ করেছেন :
كتاب الكراهة
بَابُ التَّخْيِيرِ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ
31 - 7128 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ , قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا خَيْرَ الْبَرِّيَّةِ , فَقَالَ: «ذَاكَ أَبِي إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ»
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُونُسَ , قَالَا: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادٍ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالتَّخْيِيرِ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ فَيُقَالُ: إِنَّ فُلَانًا خَيْرٌ مِنْ فُلَانٍ , عَلَى مَا جَاءَ مِمَّا كَانَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا التَّخْيِيرَ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُونُسَ , قَالَا: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادٍ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالتَّخْيِيرِ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ فَيُقَالُ: إِنَّ فُلَانًا خَيْرٌ مِنْ فُلَانٍ , عَلَى مَا جَاءَ مِمَّا كَانَ فِي كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا التَّخْيِيرَ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১২৯
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
empty
৭১২৯।
كتاب الكراهة
7129 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩০
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
empty
৭১৩০।
كتاب الكراهة
7130 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৩৪
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১৩২-৩৪। ইউনুস (রাহঃ) …… আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : আল্লাহর নবীদের মাঝে একজনকে অপরজনের উপর প্রাধান্য দিও না।
ফাহদ (রাহঃ) …… আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহদ (রাহঃ) …… আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الكراهة
34 - 7132 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَخَيَّرُوا بَيْنَ أَنْبِيَاءِ اللهِ»
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৩
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
empty
৭১৩৩।
كتاب الكراهة
7133 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৪
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
empty
৭১৩৪।
كتاب الكراهة
7134 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৫
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১৩৫। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক দীর্ঘ হাদীসে অনুরূপ বলেছেন। তবে তিনি এতে বলছেন : নবীদের একজনকে অপরজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নবীদের পরস্পরের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করতে নিষেধ করেছেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নবীদের পরস্পরের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب الكراهة
7135 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْأَعْرَجُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , فِي حَدِيثٍ طَوِيلٍ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ لَا تُفَضِّلُوا فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُفَضَّلَ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৬
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১৩৬। তাঁর থেকে এটিও বর্ণিত আছে, বলেছেন : আমাকে মুসা (আ)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: আমাকে মুসা (আ)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিও না। অবশ্যই কিয়ামতের দিন লোকেরা মূর্ছা যাবে। সর্বাগ্রে আমি জ্ঞান ফিরে পাব। হঠাৎ আমি মুসা (আ)-কে দেখব তিনি আরশের পায়া ধরে আছেন। আমার জানা নেই যে, যারা মূর্ছা গেছেন তাদের সঙ্গে তিনিও মূর্ছা গেছেন এবং আমার পূর্বে তাঁর সংজ্ঞা লাভ হয়েছে, না তিনি সেই সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা (এই অবস্থা থেকে) বাদ দিয়েছেন বা মুক্ত করে দিয়েছেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ এ থেকে নিষেধ করেছেন যে, তারা যেন তাঁকে মুসা (আ)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান না করে এবং তাদেরকে বলেছেন, সর্বাগ্রে আমার মূর্ছিত অবস্থা থেকে সংজ্ঞা লাভ হবে। তখন আমি মুসা (আ)-কে দন্ডায়মান অবস্থায় পাব। আমার জানা নেই যে, তিনি আমার পূর্বে মূর্ছা যাওয়াদের অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং তাঁর আমার পূর্বে সংজ্ঞা লাভ হয়ে গিয়েছে। অথবা তিনি সেই সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা এ থেকে বাদ দিয়েছেন বা মুক্ত রেখেছেন। বস্তুত আমাদের মতে এর মর্মার্থ হবে এটা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকটে এটি জায়েয আছে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে (ঐ অবস্থা থেকে) মুক্ত রেখেছেন এবং তাঁকে মুর্ছিত অবস্থা পায়নি । তাই এ হিসাবে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। অথবা তিনি মূর্ছা গিয়েছেন কিন্তু তাঁর পূর্বে সংজ্ঞা ফিরে পেয়েছেন। সুতরাং উভয়েই অভিন্ন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। কেননা তাদের উভয়ের উপরই মূর্ছিত অবস্থা আপতিত হয়েছে। তাই নবী (ﷺ) এই কারণে মুসা (আ)-এর উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্বকে অপছন্দ করেছেন। কেননা সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি মূর্ছা যাওয়া থেকে নিরাপদ থেকেছেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটিও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন : কারো জন্য সমীচীন নয় এ কথা বলা যে, আমি (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)) ইউনুস ইবন মাততা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: আমাকে মুসা (আ)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিও না। অবশ্যই কিয়ামতের দিন লোকেরা মূর্ছা যাবে। সর্বাগ্রে আমি জ্ঞান ফিরে পাব। হঠাৎ আমি মুসা (আ)-কে দেখব তিনি আরশের পায়া ধরে আছেন। আমার জানা নেই যে, যারা মূর্ছা গেছেন তাদের সঙ্গে তিনিও মূর্ছা গেছেন এবং আমার পূর্বে তাঁর সংজ্ঞা লাভ হয়েছে, না তিনি সেই সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা (এই অবস্থা থেকে) বাদ দিয়েছেন বা মুক্ত করে দিয়েছেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ এ থেকে নিষেধ করেছেন যে, তারা যেন তাঁকে মুসা (আ)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান না করে এবং তাদেরকে বলেছেন, সর্বাগ্রে আমার মূর্ছিত অবস্থা থেকে সংজ্ঞা লাভ হবে। তখন আমি মুসা (আ)-কে দন্ডায়মান অবস্থায় পাব। আমার জানা নেই যে, তিনি আমার পূর্বে মূর্ছা যাওয়াদের অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং তাঁর আমার পূর্বে সংজ্ঞা লাভ হয়ে গিয়েছে। অথবা তিনি সেই সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা এ থেকে বাদ দিয়েছেন বা মুক্ত রেখেছেন। বস্তুত আমাদের মতে এর মর্মার্থ হবে এটা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকটে এটি জায়েয আছে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে (ঐ অবস্থা থেকে) মুক্ত রেখেছেন এবং তাঁকে মুর্ছিত অবস্থা পায়নি । তাই এ হিসাবে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। অথবা তিনি মূর্ছা গিয়েছেন কিন্তু তাঁর পূর্বে সংজ্ঞা ফিরে পেয়েছেন। সুতরাং উভয়েই অভিন্ন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। কেননা তাদের উভয়ের উপরই মূর্ছিত অবস্থা আপতিত হয়েছে। তাই নবী (ﷺ) এই কারণে মুসা (আ)-এর উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্বকে অপছন্দ করেছেন। কেননা সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি মূর্ছা যাওয়া থেকে নিরাপদ থেকেছেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটিও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন : কারো জন্য সমীচীন নয় এ কথা বলা যে, আমি (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)) ইউনুস ইবন মাততা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ।
كتاب الكراهة
7136 - وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى مُوسَى:
حدثنا بذلك ابن مرزوق، قال: ثنا وهب، قال: حدثنا أبي، قال: سمعت النعمان بن راشد يحدث، عن الزهري، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُخَيِّرُونِي عَلَى مُوسَى , فَإِنَّ النَّاسَ يَصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ , فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ , فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ , بَاطِشٌ بِجَانِبِ الْعَرْشِ , فَلَا أَدْرِي أَصُعِقَ فِيمَنْ كَانَ صُعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلِي , أَوْ كَانَ فِيمَنِ اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ؟» فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُفَضِّلُوهُ عَلَى مُوسَى وَقَالَ لَهُمْ: «إِنِّي أَوَّلُ مَنْ يُفِيقُ مِنَ الصَّعْقَةِ , فَأَجِدُ مُوسَى قَائِمًا , فَلَا أَدْرِي أَكَانَ فِيمَنْ صُعِقَ قَبْلِي , فَأَفَاقَ قَبْلِي , أَمْ كَانَ فِيمَنِ اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ؟» فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى أَنَّهُ جَازَ عِنْدَهُ أَنْ يَكُونَ فِيمَا اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ , فَلَمْ تُصِبْهُ الصَّعْقَةُ , فَفُضِّلَ بِذَلِكَ , أَوْ صُعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلَهُ , فَكَانَ فِي مَنْزِلَتِهِ , لِأَنَّهُمَا قَدْ صُعِقَا جَمِيعًا. فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذَلِكَ , تَفْضِيلَهُ عَلَيْهِ , لِمَا احْتَمَلَ تَخَطِّي الصَّعْقَةِ إِيَّاهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا أَنَّهُ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
حدثنا بذلك ابن مرزوق، قال: ثنا وهب، قال: حدثنا أبي، قال: سمعت النعمان بن راشد يحدث، عن الزهري، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُخَيِّرُونِي عَلَى مُوسَى , فَإِنَّ النَّاسَ يَصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ , فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ , فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ , بَاطِشٌ بِجَانِبِ الْعَرْشِ , فَلَا أَدْرِي أَصُعِقَ فِيمَنْ كَانَ صُعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلِي , أَوْ كَانَ فِيمَنِ اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ؟» فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُفَضِّلُوهُ عَلَى مُوسَى وَقَالَ لَهُمْ: «إِنِّي أَوَّلُ مَنْ يُفِيقُ مِنَ الصَّعْقَةِ , فَأَجِدُ مُوسَى قَائِمًا , فَلَا أَدْرِي أَكَانَ فِيمَنْ صُعِقَ قَبْلِي , فَأَفَاقَ قَبْلِي , أَمْ كَانَ فِيمَنِ اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ؟» فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى أَنَّهُ جَازَ عِنْدَهُ أَنْ يَكُونَ فِيمَا اسْتَثْنَى الله عَزَّ وَجَلَّ , فَلَمْ تُصِبْهُ الصَّعْقَةُ , فَفُضِّلَ بِذَلِكَ , أَوْ صُعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلَهُ , فَكَانَ فِي مَنْزِلَتِهِ , لِأَنَّهُمَا قَدْ صُعِقَا جَمِيعًا. فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذَلِكَ , تَفْضِيلَهُ عَلَيْهِ , لِمَا احْتَمَلَ تَخَطِّي الصَّعْقَةِ إِيَّاهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا أَنَّهُ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৭
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১৩৭। আবু বাকরা (রাহঃ) …… ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : কোন বান্দার জন্য এটা বলা সমীচীন নয় যে, আমি (রাসূল) ইউনুস ইবন মাততা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ।
كتاب الكراهة
7137 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৩৯
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
নবী (আ)-গণের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে
৭১৩৮-৩৯। সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ)। সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন : কোন বান্দার জন্য এটা বলা সমীচীন নয় যে, আমি (রাসূল) ইউনুস ইবন মাততা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ।
সুলায়মান (রাহঃ) …… আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বোধ হয় তিনি আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি এটিও অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি [ইউনুস (আ)] অন্ধকারেও আল্লাহ্ তা'আলার তাসবীহ তথা পবিত্রতা ঘোষণা করেছেন।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের এবং অন্য কোন নবীর মাঝে নির্দিষ্টভাবে প্রাধান্য দিতে নিষেধ করেছেন। আর তাদের থেকে প্রত্যেকের সেই শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন যা অন্য নবীর মাঝে নেই। যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী বলে যে, এভাবে এই হাদীস মুখতার ইবন ফিলফিল (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থি হবে, তাহলে আমি [তাহাবী (রাহঃ)] উত্তরে বলব যে, আমার নিকটে এটা ওটার পরিপন্থি নয়। কেননা মুখতার (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে এরূপ রয়েছে যে, ইবরাহীম (আ) সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। এতে কোন একজনকে ছেড়ে অন্যজনকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। পক্ষান্তরে অন্য রিওয়ায়াতে এক নবীর অন্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। সুতরাং একজন নির্দিষ্ট নবীকে অন্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে যার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া তাতে তাকে সম্মান করা হয়। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তিকে অন্য সমস্ত লোকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে তাদের থেকে কাউকে অবজ্ঞা করা হয় না।
তাই এই সম্ভাবনা হতে পারে যেন এই রিওয়ায়াতগুলোর মাঝে পারস্পরিক বিরোধ বা সংঘর্ষ না হয়। আবার এটাও হতে পারে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রাসূলকে এ বিষয়ে অবহিত করে দিয়েছেন যে, ইবরাহীম (আ) সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এবং তাঁকে এ কথা হয়ত অবহিত করেননি যে, কতক নবীর অপর কতক নবীর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। যে বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে অবহিত করেন নাই। সে বিষয়ে তিনি (মত প্রকাশে) বিরত রয়েছেন এবং অন্যদেরকেও বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পক্ষান্তরে যে বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে অবহিত করেছেন তাতে কথাকে শর্তহীন অবাধ রেখেছেন।
সুলায়মান (রাহঃ) …… আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বোধ হয় তিনি আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি এটিও অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি [ইউনুস (আ)] অন্ধকারেও আল্লাহ্ তা'আলার তাসবীহ তথা পবিত্রতা ঘোষণা করেছেন।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের এবং অন্য কোন নবীর মাঝে নির্দিষ্টভাবে প্রাধান্য দিতে নিষেধ করেছেন। আর তাদের থেকে প্রত্যেকের সেই শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন যা অন্য নবীর মাঝে নেই। যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী বলে যে, এভাবে এই হাদীস মুখতার ইবন ফিলফিল (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থি হবে, তাহলে আমি [তাহাবী (রাহঃ)] উত্তরে বলব যে, আমার নিকটে এটা ওটার পরিপন্থি নয়। কেননা মুখতার (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে এরূপ রয়েছে যে, ইবরাহীম (আ) সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। এতে কোন একজনকে ছেড়ে অন্যজনকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। পক্ষান্তরে অন্য রিওয়ায়াতে এক নবীর অন্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। সুতরাং একজন নির্দিষ্ট নবীকে অন্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে যার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া তাতে তাকে সম্মান করা হয়। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তিকে অন্য সমস্ত লোকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে তাদের থেকে কাউকে অবজ্ঞা করা হয় না।
তাই এই সম্ভাবনা হতে পারে যেন এই রিওয়ায়াতগুলোর মাঝে পারস্পরিক বিরোধ বা সংঘর্ষ না হয়। আবার এটাও হতে পারে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রাসূলকে এ বিষয়ে অবহিত করে দিয়েছেন যে, ইবরাহীম (আ) সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এবং তাঁকে এ কথা হয়ত অবহিত করেননি যে, কতক নবীর অপর কতক নবীর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। যে বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে অবহিত করেন নাই। সে বিষয়ে তিনি (মত প্রকাশে) বিরত রয়েছেন এবং অন্যদেরকেও বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পক্ষান্তরে যে বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে অবহিত করেছেন তাতে কথাকে শর্তহীন অবাধ রেখেছেন।
كتاب الكراهة
7138 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: سَمِعْتُ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: «مَا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى»
7139 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَمَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَأَنَّهُ عَنِ اللهِ، عَزَّ وَجَلَّ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ , وَزَادَ: قَدْ سَبَّحَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِي الظُّلُمَاتِ فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ التَّخْيِيرِ بَيْنَهُ , وَبَيْنَ أَحَدٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ بِعَيْنِهِ , وَأَخْبَرَ بِفَضِيلَةٍ لِكُلِّ مَنْ ذَكَرَهُ مِنْهُمْ لَمْ تَكُنْ لِغَيْرِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ فَيُجْعَلُ مُضَادًّا لِحَدِيثِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ؟ قُلْتُ: لَيْسَ هَذَا عِنْدِي , بِمُضَادٍّ لَهُ , لِأَنَّ حَدِيثَ الْمُخْتَارِ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ , فَلَمْ يَقْصِدْ فِي ذَلِكَ إِلَى أَحَدٍ دُونَ أَحَدٍ. وَفِي الْآثَارِ الْأُخَرِ , تَفْضِيلُ نَبِيٍّ عَلَى نَبِيٍّ , فَفِي تَفْضِيلِ أَحَدِهِمْ بِعَيْنِهِ عَلَى آخَرَ مِنْهُمْ إِزْرَاءٌ عَلَى الْمَفْضُولِ , وَلَيْسَ فِي تَفْضِيلِ رَجُلٍ عَلَى النَّاسِ إِزْرَاءٌ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ. هَذَا يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الْمَعْنَى , حَتَّى لَا تَتَضَادَّ هَذِهِ الْآثَارُ. وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَطْلَعَ رَسُولَهُ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ , وَلَمْ يُطْلِعْهُ عَلَى تَفْضِيلِ بَعْضِ الْأَنْبِيَاءِ غَيْرَهُ عَلَى بَعْضٍ. فَوَقَفَ فِيمَا لَمْ يُطْلِعْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ , فَأَمَرَ بِالْوَقْفِ عِنْدَهُ , وَأَطْلَقَ الْكَلَامَ فِيمَا أَطْلَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ
7139 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَمَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَأَنَّهُ عَنِ اللهِ، عَزَّ وَجَلَّ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ , وَزَادَ: قَدْ سَبَّحَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فِي الظُّلُمَاتِ فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ التَّخْيِيرِ بَيْنَهُ , وَبَيْنَ أَحَدٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ بِعَيْنِهِ , وَأَخْبَرَ بِفَضِيلَةٍ لِكُلِّ مَنْ ذَكَرَهُ مِنْهُمْ لَمْ تَكُنْ لِغَيْرِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ فَيُجْعَلُ مُضَادًّا لِحَدِيثِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ؟ قُلْتُ: لَيْسَ هَذَا عِنْدِي , بِمُضَادٍّ لَهُ , لِأَنَّ حَدِيثَ الْمُخْتَارِ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ , فَلَمْ يَقْصِدْ فِي ذَلِكَ إِلَى أَحَدٍ دُونَ أَحَدٍ. وَفِي الْآثَارِ الْأُخَرِ , تَفْضِيلُ نَبِيٍّ عَلَى نَبِيٍّ , فَفِي تَفْضِيلِ أَحَدِهِمْ بِعَيْنِهِ عَلَى آخَرَ مِنْهُمْ إِزْرَاءٌ عَلَى الْمَفْضُولِ , وَلَيْسَ فِي تَفْضِيلِ رَجُلٍ عَلَى النَّاسِ إِزْرَاءٌ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ. هَذَا يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الْمَعْنَى , حَتَّى لَا تَتَضَادَّ هَذِهِ الْآثَارُ. وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَطْلَعَ رَسُولَهُ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ , وَلَمْ يُطْلِعْهُ عَلَى تَفْضِيلِ بَعْضِ الْأَنْبِيَاءِ غَيْرَهُ عَلَى بَعْضٍ. فَوَقَفَ فِيمَا لَمْ يُطْلِعْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ , فَأَمَرَ بِالْوَقْفِ عِنْدَهُ , وَأَطْلَقَ الْكَلَامَ فِيمَا أَطْلَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৩৯
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
empty
৭১৩৯।
كتاب الكراهة
7139 -
তাহকীক: