আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩২
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭২১. সাহরীর সময় যে ঘুমিয়ে পড়েন।
১০৬৫। আবদান (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (ﷺ) এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।
মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আশ’আস (রাযিঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেন, নবী (ﷺ) মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং নামায আদায় করতেন।
মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আশ’আস (রাযিঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেন, নবী (ﷺ) মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং নামায আদায় করতেন।
كتاب التهجّد
باب مَنْ نَامَ عِنْدَ السَّحَرِ
1132 - حَدَّثَنِي عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، سَمِعْتُ أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ مَسْرُوقًا، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَيُّ العَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: «الدَّائِمُ» ، قُلْتُ: مَتَى كَانَ يَقُومُ؟ قَالَتْ: «كَانَ يَقُومُ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ»
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو [ص:51] الأَحْوَصِ، عَنِ الأَشْعَثِ، قَالَ: «إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ قَامَ فَصَلَّى»
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو [ص:51] الأَحْوَصِ، عَنِ الأَشْعَثِ، قَالَ: «إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ قَامَ فَصَلَّى»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মোরগ ডাকে শেষ রাতে। অতএব, এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূল স. তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য শেষ রাতে উঠতেন। সহীহ সনদে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে রাতের শেষ প্রহরে উঠার কথাও বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী: ১০৭৯) ইশার নামায পড়ে সাথে সাথে শুয়ে পড়া ছুন্নাত। এর উপর আমল করলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ পর্যনত্ম একজন সুস্থ মানুষের যতটুকু ঘুম প্রয়োজন তা পূরণ হয়ে যায় এবং তৃপ্তিসহকারে তাহাজ্জুদের আমলও করা যায়। এর বিপরীতে ঘুমাতে দেরি করলে বা আরো বেশী আগে উঠে গেলে ঘুমের চাহিদা অপূর্ণ থাকতে পারে যাতে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং হাদীসে উল্লিখিত নিয়মে রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশই তাহাজ্জুদের উত্তম ওয়াক্ত। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। শামী: ২/২৫) অবশ্য কোন কারণে শেষ রাতে উঠা সম্ভব হবে না এমন ধারনা হলে ইশার নামাযের পর (ছুন্নাত আদায় করে বিতিরের আগে বা পর) দু/চার রাকাত পড়ে নিলে সেটাও তাহাজ্জুদ হিসেবে গণ্য হবে। (তবারানী কাবীর-৭৮৭, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-৩৫২৫)