আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩০- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০৭-১
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
৭. মদ্যপানের শাস্তি
৪৩০৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব, আলী ইবনে হুজর ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী (রাহঃ) (বর্ণনার ভাষ্য), হুসাইন ইবনে মুনযির আবু সাসান (রাহঃ) ......... থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন ওয়ালীদকে তাঁর কাছে আনা হল। সে ফজরের দু’রাক'আত নামায আদায় করে বলেছিল, আমি আরো অধিক রাকআত আদায় করবো? তখন দু’ব্যক্তি ওয়ালীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিল। তন্মধ্যে একজনের নাম ছিল হুমরান। সে বলল, ঐ মদ খেয়েছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি সাক্ষী দিল যে, সে তাকে বমি করতে দেখেছে।
তখন উসমান (রাযিঃ) বললেনঃ সে মদ খাওয়ার কারণেই বমি করেছে। অতএব তিনি বললেন, হে আলী (রাযিঃ) আপনি উঠুন এবং তাকে বেত্রাঘাত করুন। তখন আলী হাসান (রাযিঃ) কে বললেন; হে হাসান! তুমি উঠ এবং তাকে বেত্রাঘাত কর। হাসান (রাযিঃ) বললেন, ″যে ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করেছে সেই তার তিক্ততা ভোগ করুক।″ (এতে যেন আলী (রাযিঃ) তার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন।)
অতঃপর তিনি বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর! তুমি উঠ এবং তাকে বেত্রাঘাত কর। তখন বললেন থামো! নবী(ﷺ) চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেছেন। তিনি তাকে বেত্রাঘাত করলেন। আর আলী (রাযিঃ) তা গণনা করলেন। যখন চল্লিশটি বেত্রাঘাত করা হল- এবং আবু বকর (রাযিঃ)ও (তাঁর খিলাফতকালে) চল্লিশটি মেরেছেন। আর উমর (রাযিঃ) (তার খিলাফতকালে) আশিটি মেরেছেন। আর এর প্রতিটিই সুন্নত। তবে এটি (চল্লিশটি) আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায় কিছু অধিক বর্ণনা করেছেন। ইসমাঈল (রাহঃ) বলেন যে, আমি তা দানাজ থেকে শুনেছিলাম, কিন্তু তা আমার মনে নেই।
তখন উসমান (রাযিঃ) বললেনঃ সে মদ খাওয়ার কারণেই বমি করেছে। অতএব তিনি বললেন, হে আলী (রাযিঃ) আপনি উঠুন এবং তাকে বেত্রাঘাত করুন। তখন আলী হাসান (রাযিঃ) কে বললেন; হে হাসান! তুমি উঠ এবং তাকে বেত্রাঘাত কর। হাসান (রাযিঃ) বললেন, ″যে ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করেছে সেই তার তিক্ততা ভোগ করুক।″ (এতে যেন আলী (রাযিঃ) তার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন।)
অতঃপর তিনি বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর! তুমি উঠ এবং তাকে বেত্রাঘাত কর। তখন বললেন থামো! নবী(ﷺ) চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেছেন। তিনি তাকে বেত্রাঘাত করলেন। আর আলী (রাযিঃ) তা গণনা করলেন। যখন চল্লিশটি বেত্রাঘাত করা হল- এবং আবু বকর (রাযিঃ)ও (তাঁর খিলাফতকালে) চল্লিশটি মেরেছেন। আর উমর (রাযিঃ) (তার খিলাফতকালে) আশিটি মেরেছেন। আর এর প্রতিটিই সুন্নত। তবে এটি (চল্লিশটি) আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায় কিছু অধিক বর্ণনা করেছেন। ইসমাঈল (রাহঃ) বলেন যে, আমি তা দানাজ থেকে শুনেছিলাম, কিন্তু তা আমার মনে নেই।
كتاب الحدود
باب حَدِّ الْخَمْرِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الدَّانَاجِ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ فَيْرُوزَ، مَوْلَى ابْنِ عَامِرٍ الدَّانَاجِ حَدَّثَنَا حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ أَبُو سَاسَانَ، قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ قَدْ صَلَّى الصُّبْحَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ أَزِيدُكُمْ فَشَهِدَ عَلَيْهِ رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا حُمْرَانُ أَنَّهُ شَرِبَ الْخَمْرَ وَشَهِدَ آخَرُ أَنَّهُ رَآهُ يَتَقَيَّأُ فَقَالَ عُثْمَانُ إِنَّهُ لَمْ يَتَقَيَّأْ حَتَّى شَرِبَهَا فَقَالَ يَا عَلِيُّ قُمْ فَاجْلِدْهُ . فَقَالَ عَلِيٌّ قُمْ يَا حَسَنُ فَاجْلِدْهُ . فَقَالَ الْحَسَنُ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا - فَكَأَنَّهُ وَجَدَ عَلَيْهِ - فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ قُمْ فَاجْلِدْهُ . فَجَلَدَهُ وَعَلِيٌّ يَعُدُّ حَتَّى بَلَغَ أَرْبَعِينَ فَقَالَ أَمْسِكْ . ثُمَّ قَالَ جَلَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ وَهَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ . زَادَ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ إِسْمَاعِيلُ وَقَدْ سَمِعْتُ حَدِيثَ الدَّانَاجِ مِنْهُ فَلَمْ أَحْفَظْهُ .
বর্ণনাকারী: