আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৪৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কানাব (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হারামুয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাজদা (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে পাঁচটি ব্যাপারে প্রশ্ন করে পত্র লিখলেন। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, যদি আমি ইলম গোপনকারীর হওয়ার আশঙ্কা না করতাম তা হলে আমি তার কাছে জবাব লিখতাম না। নাজদ সে পত্রে তাকে লিখেছিলেন, হামদ ও নামাযের পর আমাকে অবহিত করুন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? তিনি তাদেরকে কি গনিমতের ভাগ দিতেন কি? শত্রুপক্ষের বালকদেরকে হত্যা করতেন? আর কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান ঘটে? আর গনিমতের এক পঞ্চমাংশের হকদার কারা?
জবাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) লিখলেন, তুমি আমাকে লিখিত প্রশ্ন করেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? হ্যাঁ, তিনি তাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং গনিমতের মাল থেকে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো, কিন্তু গনিমতের ভাগ তাদের জন্য বরাদ্দ করা হতো না। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও শিশুদের হত্যা করতেন না। সুতরাং তুমিও শিশুদেরকে হত্যা করবে না। আর তোমার লিপিতে আমাকে এও প্রশ্ন করেছে যে, কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান হয়? আমার জীবনের শপথ! অনেক সময় কোন ব্যক্তির দাড়ি গজিয়ে যায়; অথচ সে তার নিজের হক গ্রহণে দূর্বল থাকে এবং অন্য কারো হক দানের বেলায়ও কাল থাকে। সুতরাং যখন সে লোকদের মতো নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারে তখনই তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি লিখেছ, খুমুস কাদের প্রাপ্য? আমবা বলি, তা আমাদের (আহলে বাইতদের) জন্যই, কিন্তু আমাদের গোত্রের লোকেরা (বনু উমাইয়া) তা অস্বীকার করছে।
জবাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) লিখলেন, তুমি আমাকে লিখিত প্রশ্ন করেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? হ্যাঁ, তিনি তাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং গনিমতের মাল থেকে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো, কিন্তু গনিমতের ভাগ তাদের জন্য বরাদ্দ করা হতো না। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও শিশুদের হত্যা করতেন না। সুতরাং তুমিও শিশুদেরকে হত্যা করবে না। আর তোমার লিপিতে আমাকে এও প্রশ্ন করেছে যে, কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান হয়? আমার জীবনের শপথ! অনেক সময় কোন ব্যক্তির দাড়ি গজিয়ে যায়; অথচ সে তার নিজের হক গ্রহণে দূর্বল থাকে এবং অন্য কারো হক দানের বেলায়ও কাল থাকে। সুতরাং যখন সে লোকদের মতো নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারে তখনই তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি লিখেছ, খুমুস কাদের প্রাপ্য? আমবা বলি, তা আমাদের (আহলে বাইতদের) জন্যই, কিন্তু আমাদের গোত্রের লোকেরা (বনু উমাইয়া) তা অস্বীকার করছে।
كتاب الجهاد والسير
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ، كَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ خَمْسِ، خِلاَلٍ . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَوْلاَ أَنْ أَكْتُمَ، عِلْمًا مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ . كَتَبَ إِلَيْهِ نَجْدَةُ أَمَّا بَعْدُ فَأَخْبِرْنِي هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَهَلْ كَانَ يَضْرِبُ لَهُنَّ بِسَهْمٍ وَهَلْ كَانَ يَقْتُلُ الصِّبْيَانَ وَمَتَى يَنْقَضِي يُتْمُ الْيَتِيمِ وَعَنِ الْخُمْسِ لِمَنْ هُوَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ كَتَبْتَ تَسْأَلُنِي هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَقَدْ كَانَ يَغْزُو بِهِنَّ فَيُدَاوِينَ الْجَرْحَى وَيُحْذَيْنَ مِنَ الْغَنِيمَةِ وَأَمَّا بِسَهْمٍ فَلَمْ يَضْرِبْ لَهُنَّ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَقْتُلُ الصِّبْيَانَ فَلاَ تَقْتُلِ الصِّبْيَانَ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي مَتَى يَنْقَضِي يُتْمُ الْيَتِيمِ فَلَعَمْرِي إِنَّ الرَّجُلَ لَتَنْبُتُ لِحْيَتُهُ وَإِنَّهُ لَضَعِيفُ الأَخْذِ لِنَفْسِهِ ضَعِيفُ الْعَطَاءِ مِنْهَا فَإِذَا أَخَذَ لِنَفْسِهِ مِنْ صَالِحِ مَا يَأْخُذُ النَّاسُ فَقَدْ ذَهَبَ عَنْهُ الْيُتْمُ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْخُمْسِ لِمَنْ هُوَ وَإِنَّا كُنَّا نَقُولُ هُوَ لَنَا . فَأَبَى عَلَيْنَا قَوْمُنَا ذَاكَ .
বর্ণনাকারী: