আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৭৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৬-৩
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৩৮. আল্লাহর রাহের মুজাহিদগণকে বাহন ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করা এবং তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারবর্গকে উত্তমরূপে দেখা-শুনা করার ফযীলত
৪৭৫৩। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الإمارة
باب فَضْلِ إِعَانَةِ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِمَرْكُوبٍ وَغَيْرِهِ وَخِلاَفَتِهِ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছে প্রতি দু'জন থেকে একজনকে জিহাদে যেতে এবং অন্যজনকে বাড়িতে থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ দু'জন এক পরিবারেরও হতে পারে, দু' পরিবারেরও হতে পারে। কিংবা এমনও হতে পারে যে, পাশাপাশি কয়েক পরিবারে সক্ষম পুরুষ হয়তো দু'জনই আছে। সে ক্ষেত্রে জিহাদের ডাক আসলে একজন জিহাদে চলে যাবে, অন্যজন বাড়িতে থেকে সকলের তত্ত্বাবধান করবে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে সকল সক্ষম পুরুষের একসঙ্গে জিহাদে বা অন্য কোনও সফরে চলে যাওয়া উচিত নয়। নারী ও শিশুদের দেখাশোনার জন্য কারও না কারও অবশ্যই থেকে যাওয়া উচিত। পরিবারবর্গের খোঁজখবর রাখাও দীনী দায়িত্ব। এ ব্যাপারে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।

এ হাদীছে যে বলা হয়েছে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে, তার মানে এ নয় যে, যে ব্যক্তি জিহাদে যাবে তার ছাওয়াব অর্ধার্ধি ভাগ করে তাদের দু'জনকে দেওয়া হবে। বরং পূর্ণ ছাওয়াবই দু'জনকেই দেওয়া হবে।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।

খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)