আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫৩- কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ অধ্যায়

হাদীস নং: ৬৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৮-১
- কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ অধ্যায়
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮০৯। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের মাঝে কাত হয়ে শুয়েছিলেন। এমতাবস্থায় তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! কিনদা তোরণের এক ওয়ায়েযু বলছেনঃ (কুরআনে বর্ণিত) ধোঁয়ার ঘটনাটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। তা প্রবাহিত হয়ে কাফিরদের শ্বাস রুদ্ধ করে দিবে এবং এতে মুমনিদের সর্দির মত অবস্থা হবে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমাদের কেউ কোন কথা জানলে সে যেন তা-ই বলে। আর যে না জানে সে যেন বলে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।

কেননা তোমাদের প্রত্যেকের জন্য প্রকৃত জ্ঞানের কথা হচ্ছে এই যে, যে বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান নেই সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহই ভাল জানেন। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ) কে বলেছেনঃ “বল, আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তভুক্ত নই।” প্রকৃত অবস্থা তো এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন লোকদের মধ্যে দ্বীনবিমুখতা দেখলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের মত দুর্ভিক্ষের সাতটি বছর তাদের উপর চাপিয়ে দাও।

অতঃপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ এমনভাবে আপতিত হল যে, উহা সব কিছুকে শেষ করে দিল। ফলে ক্ষুধার জ্বালায় তারা চামড়া ও মৃত দেহ খেতে শুর করল। এমনকি তাদের কোন ব্যক্তি আকাশের দিকে তাকালে শুধূ ধোঁয়ার ন্যায়ই দেখতে পেতো। অতঃপর আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনি তো আল্লাহর আনুগত্য করেন এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার নির্দেশ দিয়ে আসছেন অথচ আপনার কওম তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করুন।

(এ প্রসঙ্গে) আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সে দিনের, যেদিন স্পষ্ট ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং উহা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মস্তুদ শাস্তি। ...... তোমরা তো পুনরায় (অনুরূপই) করবে।” -পর্যন্ত।

আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আখিরাতের আযাব কি তুলে নেয়া হবে? (আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন), যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি অবশ্যই তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।” বাতশার (প্রবল পাকড়াও) দ্বারা বদরের যুদ্ধ উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ধোয়ার নিদর্শন, পাকড়াও, অপ্রতিরোধ্য শাস্তি ও রোমের ঘটনা তো অতীত হয়ে গিয়েছে।
كتاب صفة القيامة والجنة والنار
باب الدُّخَانِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ جُلُوسًا وَهُوَ مُضْطَجِعٌ بَيْنَنَا فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَاصًّا عِنْدَ أَبْوَابِ كِنْدَةَ يَقُصُّ وَيَزْعُمُ أَنَّ آيَةَ الدُّخَانِ تَجِيءُ فَتَأْخُذُ بِأَنْفَاسِ الْكُفَّارِ وَيَأْخُذُ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَجَلَسَ وَهُوَ غَضْبَانُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ مَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ شَيْئًا فَلْيَقُلْ بِمَا يَعْلَمُ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّهُ أَعْلَمُ لأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ يَعْلَمُ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم ( قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ) إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا رَأَى مِنَ النَّاسِ إِدْبَارًا فَقَالَ " اللَّهُمَّ سَبْعٌ كَسَبْعِ يُوسُفَ " . قَالَ فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ مِنَ الْجُوعِ وَيَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ أَحَدُهُمْ فَيَرَى كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّكَ جِئْتَ تَأْمُرُ بِطَاعَةِ اللَّهِ وَبِصِلَةِ الرَّحِمِ وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ - قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) . قَالَ أَفَيُكْشَفُ عَذَابُ الآخِرَةِ ( يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ) فَالْبَطْشَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَقَدْ مَضَتْ آيَةُ الدُّخَانِ وَالْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ وَآيَةُ الرُّومِ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)