কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫
নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৫. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বরের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় এক রাতে যাত্রা অব্যাহত রাখেন। আমরা নিদ্রালু হয়ে পড়ায় তিনি রাতের শেযভাগে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বাহন হতে অবতরণ করেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাক এবং রাতের দিকে খেয়াল রাখ। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ)-ও নিদ্রাকআতর হয়ে পড়েন এবং তিনি নিজের উটের সাথে হেলান দেয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় নবী (ﷺ), বিলাল (রাযিঃ) এবং সহগামী সাহাবীদের কেউই জাগরিত হন নাই যতক্ষণ না সূর্যের তাপ তাদেরকে স্পর্শ করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ই সর্বপ্রথম ঘুম হতে জাগরিত হন এবং অস্থির হয়ে পড়েন।

অতঃপর তিনি বিলাল (রাযিঃ)-কে বলেনঃ হে বিলাল! জবাবে বিলাল (রাযিঃ) ওযর পেশ করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। যে মহান সত্তা আপনার জীবন ধরে রেখেছিলেন সেই মহান সত্বা আমার জীবনও ধরে রেখেছিলেন। অতঃপর তারা উক্ত স্থান পরিত্যাগ করে কিছু দূর যাওয়ার পর নবী (ﷺ) উযু করেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে নামাযের ইকামত দিতে বলেন। তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন।* নামায শেষে নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায (আদায় করতে) ভুলে যাবে সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে।** কেননা আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেনঃ “তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর”।

* উল্লেখিত হাদীসে কেবলমাত্র ইকামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য অন্য হাদীসে উল্লেখ আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে প্রথমে আযান ও পরে ইকামতের আদেশ দেন। – (অনুবাদক)

** রাতে ঘুমিয়ে থাকার পর সকালে কেউ যদি এমন সময় ঘুম হতে জাগ্রত হয়, যখন সূর্য উঠতে থাকে তখন নামায আদায় করা হারাম। কেননা অন্য হাদীসে আছে- সূর্যোদয়, ঠিক দ্বি-প্রহর ও সূর্যাস্তের সময় নামায পড়া নিষিদ্ধ। -(অনুবাদক)
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلاَلُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلاَةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ لِلذِّكْرَى ) " . قَالَ يُونُسُ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا كَذَلِكَ . قَالَ أَحْمَدُ قَالَ عَنْبَسَةُ - يَعْنِي عَنْ يُونُسَ - فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِذِكْرِي . وَقَالَ أَحْمَدُ الْكَرَى النُّعَاسُ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)