আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৭. অধ্যায়ঃ জুম‘আর নামাজ
হাদীস নং: ১০৩৪
অধ্যায়ঃ জুম‘আর নামাজ
জুমু'আ অধ্যায়ঃ
জুমুআর সালাত (আদায়) ও তার জন্যে দৌড়ে যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং জুমুআর দিন রাত ও জুমু’আর সময়ের ফযীলত
জুমুআর সালাত (আদায়) ও তার জন্যে দৌড়ে যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং জুমুআর দিন রাত ও জুমু’আর সময়ের ফযীলত
১০৩৪. হযরত ইয়াযদ ইবন আবূ মরিয়ম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমার সাথে উবায়া ইবন রিফায়া ইবন রাফি (র) মিলিত হন। আমি (দ্রুত) হেঁটে জুমুআ আদায় করতে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর, কেননা তোমার এই পদচারণা আল্লাহর পথে হচ্ছে। কেননা আমি আবূ আব্স (র)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলায় ধূসরিত করবে, তার পদযুগলের জন্য জাহান্নাম হারাম।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। বুখারীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় আছে যে, উবায়া বলেছেন: আমি জুমু'আর সালাত আদায় করতে যাচ্ছিলাম, ইতোমধ্যে আবূ আবসের সাথে আমার সাক্ষাত হল। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত করে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, যার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলায় ধূসরিত হয়েছে, তার পদযুগল কখনো আগুন স্পর্শ করবে না। তবে আবায়ার বর্ণনায় যায়দের কথা নেই।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। বুখারীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় আছে যে, উবায়া বলেছেন: আমি জুমু'আর সালাত আদায় করতে যাচ্ছিলাম, ইতোমধ্যে আবূ আবসের সাথে আমার সাক্ষাত হল। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত করে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, যার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলায় ধূসরিত হয়েছে, তার পদযুগল কখনো আগুন স্পর্শ করবে না। তবে আবায়ার বর্ণনায় যায়দের কথা নেই।)
كتاب الْجُمُعَة
كتاب الْجُمُعَة:
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجُمُعَة وَالسَّعْي إِلَيْهَا وَمَا جَاءَ فِي فضل
يَوْمهَا وساعتها
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجُمُعَة وَالسَّعْي إِلَيْهَا وَمَا جَاءَ فِي فضل
يَوْمهَا وساعتها
1034 - وَعَن يزِيد بن أبي مَرْيَم رَضِي الله عَنهُ قَالَ لَحِقَنِي عَبَايَة بن رِفَاعَة بن رَافع رَضِي الله عَنهُ وَأَنا أَمْشِي إِلَى الْجُمُعَة فَقَالَ أبشر فَإِن خطاك هَذِه فِي سَبِيل الله سَمِعت أَبَا
عبس يَقُول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اغبرت قدماه فِي سَبِيل الله فهما حرَام على النَّار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَرَوَاهُ البُخَارِيّ
وَعِنْده قَالَ عَبَايَة أدركني أَبُو عبس وَأَنا ذَاهِب إِلَى الْجُمُعَة فَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من اغبرت قدماه فِي سَبِيل الله حرمه الله على النَّار
وَفِي رِوَايَة مَا اغبرت قدما عبد فِي سَبِيل الله فَتَمَسهُ النَّار وَلَيْسَ عِنْده قَول عَبَايَة ليزِيد
عبس يَقُول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اغبرت قدماه فِي سَبِيل الله فهما حرَام على النَّار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَرَوَاهُ البُخَارِيّ
وَعِنْده قَالَ عَبَايَة أدركني أَبُو عبس وَأَنا ذَاهِب إِلَى الْجُمُعَة فَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من اغبرت قدماه فِي سَبِيل الله حرمه الله على النَّار
وَفِي رِوَايَة مَا اغبرت قدما عبد فِي سَبِيل الله فَتَمَسهُ النَّار وَلَيْسَ عِنْده قَول عَبَايَة ليزِيد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জিহাদের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে শরীরে যে ধুলো লাগে, সে ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না। অর্থাৎ মুজাহিদ ব্যক্তিকে কখনও জাহান্নামের আগুন তো স্পর্শ করবেই না, এমনকি জাহান্নামের ধোঁয়াও তার গায়ে লাগবে না। সে জাহান্নাম থেকে বহু দূরে থাকবে।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)