আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১০. অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
হাদীস নং: ১৬৬৭
অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৬৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কুরবানীর দিন কোন মানুষ আল্লাহর নিকট কুরবানীর চেয়ে প্রিয় কোন আমল করতে পারে না। এই কুরবানীর জানোয়ার কিয়ামতের দিন তার নিকট নিজের শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত হবে। কুরবানীর জন্তুর রক্ত মাটিতে পতিত হওয়ার পূর্বেই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা এরদ্বারা অন্তরের প্রফুল্লতা লাভ কর।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ,ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
[হাফিয (র) বলেনঃ) উপরোক্ত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি আবুল মুসান্না সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুসান্নার নাম হচ্ছে সুলায়মান ইবন ইয়াযীদ। সুলায়মান এটি হিশাম থেকে, হিশাম তাঁর পিতা উরওয়া থেকে ও উরওয়া আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। কিন্তু সুলায়মানের কোন শক্তিশালী অস্তিত্ব নেই। অবশ্য কেউ কেউ তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। তিরমিযী বলেন, নবী করীম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কুরবানীকারীর জন্য কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে পুণ্য রয়েছে।। তিরমিযী যে হাদীসটির প্রতি ইশারা করেছেন, এ হাদীসটি ইবন মাজাহ ও হাকিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ আইযুল্লাহ... আবু দাউদ... যায়দ ইব্ন আরকাম (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। যায়দ ইব্ন আরকাম বলেনঃ রাসূলুল্লাহ-এর সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কুরবানী কি জিনিস? তিনি বললেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর আচরিত রীতি। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এতে আমাদের জন্য কি পরিমাণ পুণ্য রয়েছে? তিনি বললেন, প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী। তাঁরা বললেন, (ভেড়া ইত্যাদির) পশমের বেলায় কি হবে? তিনি বললেন, প্রতিটি পশমের পরিবর্তেও একটি করে নেকী। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয (র) বলেন: এ বর্ণনাটিও দুর্বল। আইযুল্লাহ মুজাশিঈ ও আবূ দাউদ নুফায় ইবনুল হারিস উভয়ই অনির্ভরযোগ্য রাবী।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ,ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
[হাফিয (র) বলেনঃ) উপরোক্ত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি আবুল মুসান্না সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুসান্নার নাম হচ্ছে সুলায়মান ইবন ইয়াযীদ। সুলায়মান এটি হিশাম থেকে, হিশাম তাঁর পিতা উরওয়া থেকে ও উরওয়া আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। কিন্তু সুলায়মানের কোন শক্তিশালী অস্তিত্ব নেই। অবশ্য কেউ কেউ তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। তিরমিযী বলেন, নবী করীম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কুরবানীকারীর জন্য কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে পুণ্য রয়েছে।। তিরমিযী যে হাদীসটির প্রতি ইশারা করেছেন, এ হাদীসটি ইবন মাজাহ ও হাকিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ আইযুল্লাহ... আবু দাউদ... যায়দ ইব্ন আরকাম (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। যায়দ ইব্ন আরকাম বলেনঃ রাসূলুল্লাহ-এর সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কুরবানী কি জিনিস? তিনি বললেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর আচরিত রীতি। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এতে আমাদের জন্য কি পরিমাণ পুণ্য রয়েছে? তিনি বললেন, প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী। তাঁরা বললেন, (ভেড়া ইত্যাদির) পশমের বেলায় কি হবে? তিনি বললেন, প্রতিটি পশমের পরিবর্তেও একটি করে নেকী। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয (র) বলেন: এ বর্ণনাটিও দুর্বল। আইযুল্লাহ মুজাশিঈ ও আবূ দাউদ নুফায় ইবনুল হারিস উভয়ই অনির্ভরযোগ্য রাবী।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1667- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا عمل آدَمِيّ من عمل يَوْم النَّحْر أحب إِلَى الله من إهراق الدَّم وَإنَّهُ لتأتي يَوْم الْقِيَامَة فِي فرشه بقرونها وَأَشْعَارهَا وأظلافها وَإِن الدَّم ليَقَع من الله بمَكَان قبل أَن يَقع من الأَرْض فطيبوا بهَا نفسا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ من طَرِيق أبي الْمثنى واسْمه سُلَيْمَان بن يزِيد عَن هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَنْهَا وَسليمَان واه وَقد وثق
قَالَ التِّرْمِذِيّ ويروى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ الْأُضْحِية لصَاحِبهَا بِكُل شَعْرَة حَسَنَة
وَهَذَا الحَدِيث الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ التِّرْمِذِيّ رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا كلهم عَن عَائِذ الله عَن أبي دَاوُد عَن زيد بن أَرقم قَالَ قَالَ أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا رَسُول الله مَا هَذِه الْأَضَاحِي قَالَ سنة أبيكم إِبْرَاهِيم صلوَات الله عَلَيْهِ وَسَلَامه
قَالُوا فَمَا لنا فِيهَا يَا رَسُول الله قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة
قَالُوا فالصوف قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واهيه
عَائِذ الله هُوَ الْمُجَاشِعِي وَأَبُو دَاوُد هُوَ نفيع بن الْحَارِث الْأَعْمَى وَكِلَاهُمَا سَاقِط
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ من طَرِيق أبي الْمثنى واسْمه سُلَيْمَان بن يزِيد عَن هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَنْهَا وَسليمَان واه وَقد وثق
قَالَ التِّرْمِذِيّ ويروى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ الْأُضْحِية لصَاحِبهَا بِكُل شَعْرَة حَسَنَة
وَهَذَا الحَدِيث الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ التِّرْمِذِيّ رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا كلهم عَن عَائِذ الله عَن أبي دَاوُد عَن زيد بن أَرقم قَالَ قَالَ أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا رَسُول الله مَا هَذِه الْأَضَاحِي قَالَ سنة أبيكم إِبْرَاهِيم صلوَات الله عَلَيْهِ وَسَلَامه
قَالُوا فَمَا لنا فِيهَا يَا رَسُول الله قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة
قَالُوا فالصوف قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واهيه
عَائِذ الله هُوَ الْمُجَاشِعِي وَأَبُو دَاوُد هُوَ نفيع بن الْحَارِث الْأَعْمَى وَكِلَاهُمَا سَاقِط