আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৭. অধ্যায়ঃ পোশাক-পরিচ্ছদ
হাদীস নং: ৩১০৭
অধ্যায়ঃ পোশাক-পরিচ্ছদ
জামা পরিধান করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং জামা ও অন্যান্য পোশাক, যা পরিধেয়, তা শরী'আত পরিপন্থী লম্বা করা, অহংকার করে পোশাক টেনে চলা এবং সালাত ও অন্যান্য সময়ে (পায়ের নিচে) ঝুলিয়ে দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩১০৭. হযরত ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পরিধেয় বস্ত্র জামা ও পাগড়ী ঝুলিয়ে
পরিধানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি অহংকার বশত এর কোন একটি হেঁচড়ায়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ (র) প্রমুখ আবদুল আযীয ইবনে আবু রাওয়াদ (র) সূত্রে বর্ণনা করেন। জমহুর মুহাদ্দিস তাঁর বিশ্বস্ততার স্বীকৃতি দিয়েছেন।)
পরিধানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি অহংকার বশত এর কোন একটি হেঁচড়ায়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ (র) প্রমুখ আবদুল আযীয ইবনে আবু রাওয়াদ (র) সূত্রে বর্ণনা করেন। জমহুর মুহাদ্দিস তাঁর বিশ্বস্ততার স্বীকৃতি দিয়েছেন।)
كتاب اللباس
التَّرْغِيب فِي الْقَمِيص والترهيب من طوله وَطول غَيره مِمَّا يلبس وجره خُيَلَاء وإسباله فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
3107- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الإسبال فِي الْإِزَار والقميص والعمامة من جر شَيْئا خُيَلَاء لم ينظر الله إِلَيْهِ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه من رِوَايَة عبد الْعَزِيز بن أبي رواد وَالْجُمْهُور على توثيقه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه من رِوَايَة عبد الْعَزِيز بن أبي رواد وَالْجُمْهُور على توثيقه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
الاسبال (ইসবাল) অর্থ পরিধানের কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া অর্থাৎ টাখনুর নিচে নামানো। এ হাদীছে লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ইসবাল এ তিন পোশাকে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ তিনটি যদি এত লম্বা হয় যা টাখনুর নিচে নেমে যায়, তবে তা নাজায়েয হয়ে যাবে। লুঙ্গি বলতে কেবল তহবন্দকেই বোঝানো হয়নি; বরং শরীরের নিম্নাংশ যা দ্বারাই ঢাকা হয় তাই এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন পায়জামা ও ফুলপ্যান্ট। কাজেই লুঙ্গির মতো এ দু'টোও টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা যাবে না। এমনিভাবে সাধারণ জামা যদিও এতটা লম্বা হয় না, কিন্তু অনেকেই জুব্বা এমন লম্বা করে বানায়, যা টাখনুর নিচে নেমে যায়। এরকম লম্বা জুব্বা পরা কিছুতেই জায়েয হবে না। পাগড়ির ক্ষেত্রে ইসবাল হল পাগড়ির শামলা এত বেশি লম্বা রাখা, যা টাখনুর নিচে নেমে যায়। এটাও হারাম ও নাজায়েয। কোনও কোনও বেদআতী ও বেশরা কিসিমের পীর এটা করে থাকে।
পোশাক টাখনুর নিচে নামিয়ে পরলে হাঁটার সময় তা মাটিতে হেঁচড়াতে থাকে। এটা অহংকারের লক্ষণ। তাই হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অহংকারবশে এসব পোশাকের কোনওটি হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তার দিকে তাকাবেন না।
সুতরাং কারও এ কথা বলার অবকাশ নেই যে, আমার অন্তরে অহংকার নেই। এ কাজটিই যেহেতু অহংকারের আলামত, তাই কেউ নিজেকে যা-কিছুই মনে করুক না কেন, তার জন্য টাখনুর নিচে পোশাক পরা কিছুতেই হালাল হয়ে যাবে না। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-এর জন্য হালাল ছিল এ কারণে যে, তাঁর অহংকারী না হওয়ার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য দ্বারা সত্যায়িত ছিল। এরকম সত্যায়ন আমাদের কার জন্য আছে?
'আল্লাহ তা'আলা তাকাবেন না' এর অর্থ তিনি রহমতের দৃষ্টি দেবেন না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি শরীরের পোশাক টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরে, আখিরাতে সে আল্লাহর রহমত পাবে না। এটা এক কঠিন সতর্কবাণী, যা প্রমাণ করে এ কাজটি কবীরা গুনাহ। তাই এর থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির অবশ্যকর্তব্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পরিধানের কোনও পোশাকই টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা জায়েয নয়।
পোশাক টাখনুর নিচে নামিয়ে পরলে হাঁটার সময় তা মাটিতে হেঁচড়াতে থাকে। এটা অহংকারের লক্ষণ। তাই হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অহংকারবশে এসব পোশাকের কোনওটি হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তার দিকে তাকাবেন না।
সুতরাং কারও এ কথা বলার অবকাশ নেই যে, আমার অন্তরে অহংকার নেই। এ কাজটিই যেহেতু অহংকারের আলামত, তাই কেউ নিজেকে যা-কিছুই মনে করুক না কেন, তার জন্য টাখনুর নিচে পোশাক পরা কিছুতেই হালাল হয়ে যাবে না। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি.-এর জন্য হালাল ছিল এ কারণে যে, তাঁর অহংকারী না হওয়ার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য দ্বারা সত্যায়িত ছিল। এরকম সত্যায়ন আমাদের কার জন্য আছে?
'আল্লাহ তা'আলা তাকাবেন না' এর অর্থ তিনি রহমতের দৃষ্টি দেবেন না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি শরীরের পোশাক টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরে, আখিরাতে সে আল্লাহর রহমত পাবে না। এটা এক কঠিন সতর্কবাণী, যা প্রমাণ করে এ কাজটি কবীরা গুনাহ। তাই এর থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির অবশ্যকর্তব্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পরিধানের কোনও পোশাকই টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা জায়েয নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)