আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৮. অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
হাদীস নং: ৩২১৪
অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
অধ্যায়: পানাহার ও সংশ্লিষ্ট বিষয়।
আহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ 'বলার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তা বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
আহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ 'বলার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তা বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২১৪. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী (ﷺ) তাঁর ছয়জন সাহাবী নিয়ে আহার করছিলেন। এমন সময় এক বেদুঈন এলো এবং সে দুই লোকমা আহার করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যদি সে 'বিসমিল্লাহ্' বলত, তাহলে (এখাদ্যই) তোমাদের জন্য যথেষ্ট হতো।
(আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ্। ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।
অন্য বর্ণনায় আরো বর্ণিত হয়েছে যে, তোমাদের কেউ আহার করলে, তার আহারের পূর্বে بِسْمِ اللَّهِ ("বিসমিল্লাহ") পড়া উচিত। যদি সে খানা খাওয়ার প্রথমে বলতে ভুলে যায়, তাহলে শেষে তার বলা উচিতঃ بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ ("আল্লাহর নামে শুরু ও শেষ।") এই অতিরিক্ত বর্ণনা আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফেও এককভাবে স্থান পেয়েছে।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ্। ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।
অন্য বর্ণনায় আরো বর্ণিত হয়েছে যে, তোমাদের কেউ আহার করলে, তার আহারের পূর্বে بِسْمِ اللَّهِ ("বিসমিল্লাহ") পড়া উচিত। যদি সে খানা খাওয়ার প্রথমে বলতে ভুলে যায়, তাহলে শেষে তার বলা উচিতঃ بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ ("আল্লাহর নামে শুরু ও শেষ।") এই অতিরিক্ত বর্ণনা আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফেও এককভাবে স্থান পেয়েছে।)
كتاب الطعام
كتاب الطَّعَام وَغَيره
التَّرْغِيب فِي التَّسْمِيَة على الطَّعَام والترهيب من تَركهَا
التَّرْغِيب فِي التَّسْمِيَة على الطَّعَام والترهيب من تَركهَا
3214- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْكُل طَعَامه فِي سِتَّة من أَصْحَابه فجَاء أَعْرَابِي فَأَكله بلقمتين فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما إِنَّه لَو سمى كفاكم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَزَاد فَإِذا أكل أحدكُم طَعَامه فليذكر اسْم الله عَلَيْهِ فَإِن نسي فِي أَوله فَلْيقل بِسم الله أَوله وَآخره
وَهَذِه الزِّيَادَة عِنْد أبي دَاوُد وَابْن مَاجَه مُفْردَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَزَاد فَإِذا أكل أحدكُم طَعَامه فليذكر اسْم الله عَلَيْهِ فَإِن نسي فِي أَوله فَلْيقل بِسم الله أَوله وَآخره
وَهَذِه الزِّيَادَة عِنْد أبي دَاوُد وَابْن مَاجَه مُفْردَة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছয়জন সাহাবীসহ খাবার খাচ্ছিলেন। তারা বিসমিল্লাহ বলেই খাচ্ছিলেন। তারপর এক বেদুঈন আসল। সে বিসমিল্লাহ না বলেই খাবারে অংশগ্রহণ করল এবং সবটা খাবার মাত্র দুই লোকমায় খেয়ে ফেলল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمّى لَكَفَاكُمْ (সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হত)। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বললে খাবারে বরকত হত। ফলে তোমরা এবং সে সকলে মিলেই তৃপ্তি সহকারে এ খাবার খেতে পারতে। এতে সকলের প্রয়োজন মিটে যেত। কিন্তু সে যেহেতু বিসমিল্লাহ বলেনি, তাই এ খাবার থেকে বরকত উঠে গেছে। বরকত না থাকায় মাত্র দু'লোকমায় সে সবটা খেয়ে ফেলতে পেরেছে।
এর দ্বারা বোঝা যায়, একসঙ্গে কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। এটা সালামের মতো নয় যে, একজন বললে সবার পক্ষ থেকে বলা হয়ে যাবে। কোনও একজনও যদি বিসমিল্লাহ না বলে, তবে খাবারে বরকত থাকবে না। এমনিভাবে পরে এসে কেউ যদি খাবারে যোগ দেয় আর বিসমিল্লাহ না বলে, তবে সে কারণে খাবারের বরকত উঠে যাবে। পূর্বের বরকত রক্ষায় জন্য তারও বিসমিল্লাহ বলা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিসমিল্লাহ না বলার দ্বারা খাবারের বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
খ. কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمّى لَكَفَاكُمْ (সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হত)। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বললে খাবারে বরকত হত। ফলে তোমরা এবং সে সকলে মিলেই তৃপ্তি সহকারে এ খাবার খেতে পারতে। এতে সকলের প্রয়োজন মিটে যেত। কিন্তু সে যেহেতু বিসমিল্লাহ বলেনি, তাই এ খাবার থেকে বরকত উঠে গেছে। বরকত না থাকায় মাত্র দু'লোকমায় সে সবটা খেয়ে ফেলতে পেরেছে।
এর দ্বারা বোঝা যায়, একসঙ্গে কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। এটা সালামের মতো নয় যে, একজন বললে সবার পক্ষ থেকে বলা হয়ে যাবে। কোনও একজনও যদি বিসমিল্লাহ না বলে, তবে খাবারে বরকত থাকবে না। এমনিভাবে পরে এসে কেউ যদি খাবারে যোগ দেয় আর বিসমিল্লাহ না বলে, তবে সে কারণে খাবারের বরকত উঠে যাবে। পূর্বের বরকত রক্ষায় জন্য তারও বিসমিল্লাহ বলা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিসমিল্লাহ না বলার দ্বারা খাবারের বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
খ. কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)