আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৮. অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
হাদীস নং: ৩২১৯
অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
সোনা অথবা রূপার পাত্র ব্যবহার করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য তা হারাম
৩২১৯. হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন ভর্তি করে।
(বুখারী, ও মুসলিম বর্ণিত। ইমাম মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছেঃ "যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন ভর্তি করে"।
তার অন্য বর্ণনায় আছেঃ "যে ব্যক্তি সোনা অথবা রূপার পাত্রে পান করে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন টেনে টেনে ভর্তি করে"।)
(বুখারী, ও মুসলিম বর্ণিত। ইমাম মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছেঃ "যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন ভর্তি করে"।
তার অন্য বর্ণনায় আছেঃ "যে ব্যক্তি সোনা অথবা রূপার পাত্রে পান করে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন টেনে টেনে ভর্তি করে"।)
كتاب الطعام
التَّرْهِيب من اسْتِعْمَال أواني الذَّهَب أَو الْفضة وتحريمه على الرِّجَال وَالنِّسَاء
3219- عَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الَّذِي يشرب فِي آنِية الْفضة إِنَّمَا يجرجر فِي بَطْنه نَار جَهَنَّم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
وَفِي رِوَايَة لمُسلم إِن الَّذِي يَأْكُل أَو يشرب فِي آنِية الذَّهَب وَالْفِضَّة إِنَّمَا يجرجر فِي بَطْنه نَار جَهَنَّم
وَفِي أُخْرَى لَهُ من شرب فِي إِنَاء من ذهب أَو فضَّة فَإِنَّمَا يجرجر فِي بَطْنه نَارا من جَهَنَّم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
وَفِي رِوَايَة لمُسلم إِن الَّذِي يَأْكُل أَو يشرب فِي آنِية الذَّهَب وَالْفِضَّة إِنَّمَا يجرجر فِي بَطْنه نَار جَهَنَّم
وَفِي أُخْرَى لَهُ من شرب فِي إِنَاء من ذهب أَو فضَّة فَإِنَّمَا يجرجر فِي بَطْنه نَارا من جَهَنَّم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘পেটে জাহান্নামের আগুন ঢোকায়’-এর অর্থ এটা তার জাহান্নামের আগুনে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ হবে। যেমন এতিমদের মাল খাওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)