আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৮. অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়

হাদীস নং: ৩২৩০
অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
বাম হাতে পানাহার করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং খাবার পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা, পাত্র থেকে পান করা এবং ভাঙ্গা পাত্রে পান করা নিষেধ
৩২৩০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইখতিনাসিল আসকিয়াহ অর্থাৎ মশকের মুখ খুলে তা থেকে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب الطعام
التَّرْهِيب من الْأكل وَالشرب بالشمال وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن النفخ فِي الْإِنَاء وَالشرب من فِي السقاء وَمن ثلمة الْقدح
3230- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن اختناث الأسقية يَعْنِي أَن تكسر أفواهها فيشرب مِنْهَا

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছটিতে কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও কোনও ফকীহ এর কারণ বলেছেন এই যে, এভাবে পানি পান করলে কলসের ভেতর পানকারীর নিঃশ্বাস পড়তে পারে। পড়তে পারে তার পেট থেকে উঠে আসা গ্যাসও। এতে পানি অরুচিকর হয়ে যায়। সকলের সে পানি পান করার রুচি হবে না। তাই এভাবে পানি পান করা উচিত নয়।

তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান