আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৮. অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
হাদীস নং: ৩২৫০
অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
অতিভোজ ও অহংকারবশত পানাহারে প্রাচুর্য অবলম্বনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২৫০. হযরত আবূ জুহায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রুটি ও গোশত মিশ্রিত সারীদ আহার করলাম। এরপর নবী (ﷺ)-এর কাছে এলাম। আমি ঢেকুর দিচ্ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ ওহে! আমাদের সামনে ঢেকুর দেওয়া বন্ধ কর। কেননা, দুনিয়ার এমন অনেক লোক আছে, যারা তৃপ্তি সহকারে খাবে অথচ কিয়ামতের দিন ক্ষুধার্ত থাকবে।
(হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। [হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: এই হাদীসের বর্ণনায় সমালোচিত রাবী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাহদ ইবনে আওফ এবং উমার ইবনে মুসা অন্যতম। তবে ইমাম বাযযার (র) দু'টি সনদে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের একজন বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। ইবনে আবুদ দুনিয়া, তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ এবং বায়হাকী। তাঁরা আরও বাড়িয়ে বলেন: আবূ জুহায়ফা (র) দুনিয়া ত্যাগ করা পর্যন্ত পেট পুরে আহার করেন নি। তিনি সকালে আহার করলে রাতে খেতেন না এবং রাতে আহার করলে সকালে আহার করতেন না। ইবনে আবুদ দুনিয়ার এক বর্ণনায় আছে, আবূ জুহায়ফা (র) বলেন: আমি ত্রিশ বছর পর্যন্ত পেট পুরে আহার করিনি।)
(হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। [হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: এই হাদীসের বর্ণনায় সমালোচিত রাবী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাহদ ইবনে আওফ এবং উমার ইবনে মুসা অন্যতম। তবে ইমাম বাযযার (র) দু'টি সনদে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের একজন বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। ইবনে আবুদ দুনিয়া, তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ এবং বায়হাকী। তাঁরা আরও বাড়িয়ে বলেন: আবূ জুহায়ফা (র) দুনিয়া ত্যাগ করা পর্যন্ত পেট পুরে আহার করেন নি। তিনি সকালে আহার করলে রাতে খেতেন না এবং রাতে আহার করলে সকালে আহার করতেন না। ইবনে আবুদ দুনিয়ার এক বর্ণনায় আছে, আবূ জুহায়ফা (র) বলেন: আমি ত্রিশ বছর পর্যন্ত পেট পুরে আহার করিনি।)
كتاب الطعام
التَّرْهِيب من الإمعان فِي الشِّبَع والتوسع فِي المآكل والمشارب شَرها وبطرا
3250- وَعَن أبي جُحَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أكلت ثريدة من خبز وَلحم ثمَّ أتيت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَجعلت أتجشأ فَقَالَ يَا هَذَا كف عَنَّا من جشائك فَإِن أَكثر النَّاس شبعا فِي الدُّنْيَا أَكْثَرهم جوعا يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واه جدا فِيهِ فَهد بن عَوْف وَعمر بن مُوسَى لَكِن رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَادَيْنِ رُوَاة أَحدهمَا ثِقَات وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْبَيْهَقِيّ
وَزَادُوا فَمَا أكل أَبُو جُحَيْفَة ملْء بَطْنه حَتَّى فَارق الدُّنْيَا كَانَ إِذا تغدى لَا يتعشى وَإِذا تعشى لَا يتغدى
وَفِي رِوَايَة لِابْنِ أبي الدُّنْيَا قَالَ أَبُو جُحَيْفَة فَمَا مَلَأت بَطْني مُنْذُ ثَلَاثِينَ سنة
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واه جدا فِيهِ فَهد بن عَوْف وَعمر بن مُوسَى لَكِن رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَادَيْنِ رُوَاة أَحدهمَا ثِقَات وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْبَيْهَقِيّ
وَزَادُوا فَمَا أكل أَبُو جُحَيْفَة ملْء بَطْنه حَتَّى فَارق الدُّنْيَا كَانَ إِذا تغدى لَا يتعشى وَإِذا تعشى لَا يتغدى
وَفِي رِوَايَة لِابْنِ أبي الدُّنْيَا قَالَ أَبُو جُحَيْفَة فَمَا مَلَأت بَطْني مُنْذُ ثَلَاثِينَ سنة