মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
তালাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৬
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
৬। আনাস ইবন সীরীন (র) সূত্রে হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি (আনাস (র)) বলেন, আমি ইবন উমর (রা)-কে তার স্ত্রী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যাকে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে তালাক দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, আমি তাকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছিলাম। তারপর আমি ঘটনাটি (আমার পিতা) 'উমর (রা)-কে অবহিত করলে, তিনি নবী (ﷺ)-কে তা জানালেন। নবী (ﷺ) বললেন, তাকে নির্দেশ দাও যেন স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে। তারপর স্ত্রী (হায়েয হতে) পবিত্র হলে সুন্নাহ অনুযায়ী তালাক দিবে। ইবন উমর (রা) বলেন, আমি তাই করলাম। বর্ণনাকারী আনাস (র) বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি তাকে হায়েয অবস্থায় যে তালাক দিয়েছিলেন তা কি (তালাকের সংখ্যায়) গণ্য করেছেন? তিনি বললেন, আমার কি হল যে, আমি তা গণ্য করব না? যদিও আমি (যথাসময়ে তালাক দানে) ব্যর্থ হয়েছি এবং মূর্খতার পরিচয় দিয়েছি (অর্থাৎ হায়েয অবস্থা- তালাক দেওয়া মূর্খতাপূর্ণ কাজ। এতদসত্ত্বেও তালাক দিলে তা ধর্তব্য হবে।)
(বুখারী, মুসলিম, দারিমী, বায়হাকী, ইমাম চতুষ্ঠয় ও ইমামদ্বয়)
(বুখারী, মুসলিম, দারিমী, বায়হাকী, ইমাম চতুষ্ঠয় ও ইমামদ্বয়)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن أنس ابن سيرين عن ابن عمر قال سألته عن امرأته التي طلق على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال طلقتها وهي حائض فذكرت ذلك لعمر فذكره عمر للنبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم مر هـ فليراجعها فإذا طهرت فليطلقها في طهورها للسنة قال ففعلت، قال أنس فسألته هل اعتددت بالتي طلقتها وهي حائض؟ قال وما لي لا أعتد بها وإن كنت عجزت واستحمقت