মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর বাণী "স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
(৯৭) রূফাই' আবুল 'আলিয়াহ থেকে বর্ণিত, তিনি উবাই ইব্ন কা'ব (রা) কর্তৃক আল্লাহর বাণী
وَاِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَاَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ۚۛ شَہِدۡنَا ۚۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ۙ
(হে রাসূল! মানুষকে সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দাও) যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানদেরকে বের করেছিলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজেদের সম্পর্কে সাক্ষী বানিয়েছিলেন (আর জিজ্ঞেস করেছিলেন যে,) আমি কি তোমাদের রব্ব নই? সকলে উত্তর দিয়েছিল, কেন নয়? আমরা সকলে (এ বিষয়ে) সাক্ষ্য দিচ্ছি (এবং এ স্বীকারোক্তি আমি এজন্য নিয়েছিলাম) যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, ‘আমরা তো এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম।—আল আ'রাফ - ১৭২
উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানাদিকে বের করে একত্রিত করেন। তাদেরকে প্রথমে রূহ হিসেবে এবং পরে আকৃতি প্রদান করে কথা বলার শক্তি দান করেন। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার ও চুক্তিনামা নিয়ে নেন এবং তাদেরকে তাদের আত্মার সাক্ষী বানিয়ে নেন-এই মর্মে, "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" তারা বললো, অবশ্যই...। আল্লাহ্ বললেন, আমি তোমাদের উপর সাত আসমান ও সাত যমিনকে সাক্ষী রাখছি; এবং তোমাদের পিতা আদমকে (আ) সাক্ষী রাখছি-যেন তোমরা কিয়ামতের দিনে বলতে না পার যে, আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। তোমরা জেনে রাখ, আমি ভিন্ন কোন ইলাহ নেই; আমি ভিন্ন কোন রব নেই; তোমরা আমার সাথে কোন কিছু শরীক করবে না। আমি তোমাদের নিকট আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করবো। তাঁরা তোমাদেরকে এই অঙ্গীকার ও চুক্তিনামার কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং আমি তোমাদের উপর আমার কিতাবসমূহও নাযিল করবো। তারা বললো, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আমাদের রব্ব ও ইলাহ। আপনি ছাড়া আমাদের অন্য কোন রব্ব নেই। তারা সবাই একথা স্বীকার করে নিল। আদম (আ)-কে তাঁদের সম্মুখে হাযির করা হল। তিনি তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলেন, তাদের মধ্যে ধনী, দরিদ্র, সুদর্শন চেহারা ও সুদর্শন নয়-এরকম বৈচিত্র রয়েছে। তিনি বললেন, প্রভু আপনার বান্দাদের মধ্যে আপনি সমতা বিধান করেননি কেন? আল্লাহ্ বলেন, কারণ, আমি চাই যে, আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হোক। (আদম (আ) সেখানে নবীগণকে দেখতে পান, প্রদীপ্ত আলোকবর্তিকার ন্যয়। তাঁদেরকে নবুয়ত ও রিসালাতের জন্য পৃথক আরেকটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ করা হয়। সেটি হচ্ছে আল্লাহর বাণীঃ
وَاِذۡ اَخَذۡنَا مِنَ النَّبِیّٖنَ مِیۡثَاقَہُمۡ وَمِنۡکَ وَمِنۡ نُّوۡحٍ وَّاِبۡرٰہِیۡمَ وَمُوۡسٰی وَعِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ۪
এবং (হে রাসূল!) সেই সময়কে স্মরণ রাখ, যখন আমি সমস্ত নবী থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম এবং তোমার থেকেও এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও ঈসা ইবনে মারয়াম থেকেও। —আল আহ্যাব - ৭
ঈসাও (আ) সেই সময় রূহসমূহের মধ্যে ছিলেন পরবর্তীতে আল্লাহ্ তাঁকে মারইয়াম-এর কাছে প্রেরণ করেন। বর্ণনাকারী উবাই (রা) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে ওই রুহ মারইয়াম আলাইহাস সালাম এর মুখ দিয়ে প্রবেশ করেছিল।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
وَاِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَاَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ۚۛ شَہِدۡنَا ۚۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ۙ
(হে রাসূল! মানুষকে সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দাও) যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানদেরকে বের করেছিলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজেদের সম্পর্কে সাক্ষী বানিয়েছিলেন (আর জিজ্ঞেস করেছিলেন যে,) আমি কি তোমাদের রব্ব নই? সকলে উত্তর দিয়েছিল, কেন নয়? আমরা সকলে (এ বিষয়ে) সাক্ষ্য দিচ্ছি (এবং এ স্বীকারোক্তি আমি এজন্য নিয়েছিলাম) যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, ‘আমরা তো এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম।—আল আ'রাফ - ১৭২
উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানাদিকে বের করে একত্রিত করেন। তাদেরকে প্রথমে রূহ হিসেবে এবং পরে আকৃতি প্রদান করে কথা বলার শক্তি দান করেন। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার ও চুক্তিনামা নিয়ে নেন এবং তাদেরকে তাদের আত্মার সাক্ষী বানিয়ে নেন-এই মর্মে, "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" তারা বললো, অবশ্যই...। আল্লাহ্ বললেন, আমি তোমাদের উপর সাত আসমান ও সাত যমিনকে সাক্ষী রাখছি; এবং তোমাদের পিতা আদমকে (আ) সাক্ষী রাখছি-যেন তোমরা কিয়ামতের দিনে বলতে না পার যে, আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। তোমরা জেনে রাখ, আমি ভিন্ন কোন ইলাহ নেই; আমি ভিন্ন কোন রব নেই; তোমরা আমার সাথে কোন কিছু শরীক করবে না। আমি তোমাদের নিকট আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করবো। তাঁরা তোমাদেরকে এই অঙ্গীকার ও চুক্তিনামার কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং আমি তোমাদের উপর আমার কিতাবসমূহও নাযিল করবো। তারা বললো, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আমাদের রব্ব ও ইলাহ। আপনি ছাড়া আমাদের অন্য কোন রব্ব নেই। তারা সবাই একথা স্বীকার করে নিল। আদম (আ)-কে তাঁদের সম্মুখে হাযির করা হল। তিনি তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলেন, তাদের মধ্যে ধনী, দরিদ্র, সুদর্শন চেহারা ও সুদর্শন নয়-এরকম বৈচিত্র রয়েছে। তিনি বললেন, প্রভু আপনার বান্দাদের মধ্যে আপনি সমতা বিধান করেননি কেন? আল্লাহ্ বলেন, কারণ, আমি চাই যে, আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হোক। (আদম (আ) সেখানে নবীগণকে দেখতে পান, প্রদীপ্ত আলোকবর্তিকার ন্যয়। তাঁদেরকে নবুয়ত ও রিসালাতের জন্য পৃথক আরেকটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ করা হয়। সেটি হচ্ছে আল্লাহর বাণীঃ
وَاِذۡ اَخَذۡنَا مِنَ النَّبِیّٖنَ مِیۡثَاقَہُمۡ وَمِنۡکَ وَمِنۡ نُّوۡحٍ وَّاِبۡرٰہِیۡمَ وَمُوۡسٰی وَعِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ۪
এবং (হে রাসূল!) সেই সময়কে স্মরণ রাখ, যখন আমি সমস্ত নবী থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম এবং তোমার থেকেও এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও ঈসা ইবনে মারয়াম থেকেও। —আল আহ্যাব - ৭
ঈসাও (আ) সেই সময় রূহসমূহের মধ্যে ছিলেন পরবর্তীতে আল্লাহ্ তাঁকে মারইয়াম-এর কাছে প্রেরণ করেন। বর্ণনাকারী উবাই (রা) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে ওই রুহ মারইয়াম আলাইহাস সালাম এর মুখ দিয়ে প্রবেশ করেছিল।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب قول الله عز وجل وإذا خذر ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم
عن رفيع أبى العالية (2) عن أبى بن كعب رضى الله عنه فى قول الله عز وجل واذ أخذ ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم وأشهدهم على أنفسهم الآية: قال جمعهم فجعلهم أرواحا ثم صورهم فاستنطقهم فتكلموا، ثم أخذ عليهم العهد والميثاق وأشهدهم على أنفسهم الست بربكم؟ قالوا بلى، الآية: قال فانى أشهد عليكم السموات السبع والأرضين السبع: وأشهد عليكم أباكم آدم عليه السلام أن تقولوا يوم القيامة لم نعلم بهذا: اعلموا انه لا اله غيرى، فلا تشركوا بى شيئا، انى سأرسل اليكم رسلى يذكرونكم عهدى وميثاقى وأنزل عليكم كتبى، قالوا شهدنا بأنك ربنا وإلا هنا لا رب لنا غيرك فأقروا بذلك، ورفع اليهم آدم ينظر اليهم فرأى الغنى والفقير وحسن الصورة ودون ذلك، فقال رب لولا سويت بين عبادى؟ قال انى أحببت أن أشكر، ورأى الأنبياء فيهم مثل السرج عليهم النور، خصوا بميثاق آخر فى الرسالة والنبوة، وهو قوله تعالى (وإذا أخذنا من النبيين ميثاقهم الى قوله عيسى بن مريم) كان فى تلك الأرواح فأرسله الى مريم فحدث عن أبى أنه دخل من فيها