মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : "যুন্নুন তথা ইউনুস (আ)-এর দা'ওয়াত ও হজ সংক্রান্ত পরিচ্ছেদ”
(৪৩) ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ তাঁর দাদা সা'দ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি উছমান ইব্‌ন 'আফফান (রা)-এর পাশ দিয়ে মসজিদের মধ্যে যাচ্ছিলাম; আমি তাঁকে সালাম দিলাম, কিন্তু তিনি আমার থেকে চোখ ঘুরিয়ে নেন এবং সালামের কোন উত্তর দেননি। তখন আমি আমীরুল মু'মিনীন উমর ইব্‌র খাত্তাবের (রা) নিকট এসে বললাম, ইসলামে কোন নতুন জিনিস ঘটেছে নাকি? দু'বার বললাম। তিনি বলেন, না। ব্যাপার কী? আমি বললাম, এইমাত্র মসজিদে আমি উছমানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমি তাঁকে সালাম দিলাম, কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং আমার সালামের উত্তর দিলেন না। উমর (রা) উছমানকে (রা) ডেকে পাঠান এবং জিজ্ঞেস করেন, তুমি তোমার এই ভাইকে সালামের উত্তর দাওনি কেন? উছমান (রা) বললেন, না আমি এইরূপ করিনি। আমি বললাম, করেছেন। এইভাবে শেষ পর্যন্ত তিনি শপথ করেন এবং আমিও শপথ করে বললাম। কিন্তু একটু পরে উছমানের (রা) বিষয়টি মনে পড়লো এবং তিনি বললেন, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাওবা করছি); হ্যাঁ, একটু আগে তুমি আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলে। কিন্তু তখন আমি মনে মনে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শ্রুত একটি কথা স্মরণ করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আল্লাহর শপথ, যখনই কথাটি স্মরণ করতে যাচ্ছিলাম, তখনই আমার চক্ষু ও অন্তরের সামনে যেন একটি পর্দা পড়ে যাচ্ছে (অর্থাৎ সঠিকভাবে স্মরণ করতে পারছি না)। তখন রাবী সা'দ বলেন, ঠিক আছে আমি আপনাকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। (একদা) রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে প্রথম দোয়া বা দাওয়াত সম্পর্কে বলছিলেন, এমন সময় এক বেদুঈন এসে রাসূলকে (ﷺ) অন্য প্রসঙ্গে ব্যস্ত করে ফেলে। (একসময়) রাসূল (ﷺ) উঠে দাঁড়ান, আমিও তাঁর পেছনে পেছনে চলতে থাকি। যখন দেখলাম যে তিনি আমার পূর্বেই বাড়ী পৌঁছে যাবেন, তখন আমি শব্দ করে দ্রুত অগ্রসর হলাম, তিনি আমার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বললেন, কে? আবু ইসহাক? আমি বললাম, জি হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! রাসুল (ﷺ) বললেন, ব্যাপার কী? আমি বললাম, একটু আগে আপনি আমাদের উদ্দেশ্যে প্রথম দা'ওয়াত সম্পর্কে বলছিলেন, কিন্তু ঐ বেদুঈন এসে আপনাকে অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে যায়। রাসূল (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, সেটি হচ্ছে যুন্নুন (আ)-এর দা'ওয়াত (দোয়া)। তিনি মাছের পেটে অবস্থান করে বলেছিলেন,
لاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
"লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনায যোয়ালিমীন।”
(হে আল্লাহ!) তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তুমি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী।
কোন মুসলিম এই কালেমা পাঠান্তে যদি তার প্রভুর নিকট কোন বিষয় প্রার্থনা করে, তবে প্রভু তা অবশ্যই কবুল করে নেন।
(১৪শ খণ্ডে কিতাবুল আযকারে এই হাদীসের তাখরীজ বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء في دعوة ذي النون يعني يونس عليه السلام وحجه
حدثنا إبراهيم بن محمد بن سعد (1) حدثني والدي محمد عن أبيه سعد قال مررت بعثمان بن عفان في المسجد فسلمت عليه فملأ عينيه منى ثم لم يرد علىّ السلام. فأتيت أمير المؤمنين عمر بن الخطاب فقلت يا أمير المؤمنين هل حدث فى الاسلام شيء مرتين؟ قال لا، وما ذاك؟ قال قلت لا: إلا أنى مررت بعثمان آنفا فى المسجد فسلمت عليه فملأ عينيه منى ثم لم يرد علىّ السلام، قال فأرسل عمر إلى عثمان فدعاه فقال ما منعك أن لا تكون رددت على أخيك السلام؟ قال عثمان ما فعلت، قال سعد قلت بلى، قال حتى حلف وحلفت، قال ثم أن عثمان ذكر فقال بلى وأستغفر الله وأتوب إليه، انك مررت بى آنفا وأنا أحدث نفسى بكلمة سمعتها من رسول الله صلي الله عليه وسلم لا والله ما ذكرتها قط الا تغشى بصرى وقلبى غشاوة، قال قال سعد فانا أنبئك بها، إن رسول الله صلي الله عليه وسلم ذكر لنا أول دعوة ثم جاء أعرابى فشغله حتى قام رسول الله صلي الله عليه وسلم فاتبعته فلما أشفقت أن يسبقنى الى منزله ضربت بقدمى الأرض فالتفت الىّ رسول الله صلي الله عليه وسلم فقال من هذا؟ أبو اسحاق؟ قال قلت نعم يا رسول الله، قال فمه (2) قال قلت لا والله الا أنك ذكرت لنا أول دعوة ثم جاء هذا الأعرابى فشغلك، قال نعم، دعوة ذى النون إذ هو فى بطن الحوت (لا إله إلا أنت سبحانك أنى كنت من الظالمين) فأنه لم يدع بها مسلم ربه فى شئ إلا استجاب له
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান