মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা

হাদীস নং: ১৮
পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা
জুতা পরিধান এবং এ সংক্রান্ত আদাব।
১৮। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ জুতা পরে, তখন সে যেন তার ডান পা হতে শুরু করে। যেন জুতা পরার সময় ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় তা শেষে হয়।
(বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিযী)
كتاب اللباس والزنية
باب ما جاء في النعال ولبسها وآداب تتعلق بذلك
18- وعنه أيضا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا انتعل أحدكم فليبدأ باليمين، وإذا نزع فليبدأ بالشمال، ولتكن اليمين أولهما تنعل وآخرهما تنزع

হাদীসের ব্যাখ্যা:

পায়ে জুতা পরাটা কেবল প্রয়োজনই নয়; মর্যাদাকরও। জুতা পরার দ্বারা যেমন পায়ের হেফাজত হয়, চলাফেরা সহজ ও আরামদায়ক হয়, তেমনি এর দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদাও প্রকাশ পায়। তাই দেখা যায় পাদুকাবিহীন লোকের তুলনায় যার পায়ে জুতা থাকে তাকে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়। আবার বামের তুলনায় ডান বেশি মর্যাদা রাখে। সুতরাং হাদীছটিতে দেখা যাচ্ছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে ডান পায়ে জুতা পরতে হুকুম দিয়েছেন। এটা সুন্নত। খোলার সময় এর বিপরীত করতে বলেছেন। অর্থাৎ আগে বাম পায়ের জুতা খোলা হবে, পরে ডান পায়ের। এতে করে ডান পা তুলনামূলক বেশি সময় জুতা পরিহিত থাকবে। জুতা পরাটা যেহেতু মর্যাদাকর, তাই বেশি সময়টা ডান পায়েরই প্রাপ্য। সুতরাং জুতা খোলার ক্ষেত্রে সুন্নত হল আগে বাম পায়ের জুতা খোলা, পরে ডান পায়ের।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে পরা আর খোলার সময় আগে বাম পা খোলা সুন্নত। আমরা অবশ্যই এ সুন্নত পালনে যত্নবান থাকব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান