কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৯. জিহাদের বিধানাবলী
হাদীস নং: ২৭৪১
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫০
জিহাদের বিধানাবলী
৫২. পুরস্কার দেওয়ার আগে ’খুমুস’ নেয়া প্রসঙ্গে।
২৭৪১. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আহমদ ইবনে বাশীর (রাহঃ) .... মাকহুল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মিসরে এক মহিলার গোলাম ছিলাম, যিনি বনু হুযায়ল গোত্রের অধিবাসী ছিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে আযাদ’ করে দেন। আমি মিসর থেকে ততক্ষণ বের হইনি, যতক্ষণ না আমি আমার জানার মত সব জ্ঞান সেখান থেকে আহরণ করি। পরে আমি হিজাযে গমন করি এবং সেখানে ততদিন অবস্থান করি, যতদিন না আমি আমার জানার মত সব জ্ঞান আহরণ করি।
পরে আমি শামদেশে (সিরিয়া) গমন করি এবং সারা দেশে ঘুরে সেখানকার বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমি ‘নফল’ বা অতিরিক্ত কি, তা জিজ্ঞাসা করতে থাকি। কিন্তু আমি সেখানে এমন কাউকে পাইনি, যে এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারে। অবশেষে আমার সাথে একজন ‘শায়েখের’ দেখা হয়, যাকে যিয়াদ ইবনে জারিয়া তামীমী বলা হত। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিঃ আপনি কি ‘নফলের’ ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি হাবীব ইবনে মাসলামা ফিহরী (রাযিঃ)-কে এইরূপ বলতে শুনেছিঃ আমি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে (মালে-গনিমতের) এক চতুর্থাংশ নফল বা পুরস্কার হিসাবে প্রদান করেন এবং জিহাদ থেকে ফেরার পর এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করেন।
পরে আমি শামদেশে (সিরিয়া) গমন করি এবং সারা দেশে ঘুরে সেখানকার বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমি ‘নফল’ বা অতিরিক্ত কি, তা জিজ্ঞাসা করতে থাকি। কিন্তু আমি সেখানে এমন কাউকে পাইনি, যে এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারে। অবশেষে আমার সাথে একজন ‘শায়েখের’ দেখা হয়, যাকে যিয়াদ ইবনে জারিয়া তামীমী বলা হত। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিঃ আপনি কি ‘নফলের’ ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি হাবীব ইবনে মাসলামা ফিহরী (রাযিঃ)-কে এইরূপ বলতে শুনেছিঃ আমি নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে (মালে-গনিমতের) এক চতুর্থাংশ নফল বা পুরস্কার হিসাবে প্রদান করেন এবং জিহাদ থেকে ফেরার পর এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করেন।
كتاب الجهاد
باب فِيمَنْ قَالَ الْخُمُسُ قَبْلَ النَّفْلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَشِيرِ بْنِ ذَكْوَانَ، وَمَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيَّانِ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَهْبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ مَكْحُولاً، يَقُولُ كُنْتُ عَبْدًا بِمِصْرَ لاِمْرَأَةٍ مِنْ بَنِي هُذَيْلٍ فَأَعْتَقَتْنِي فَمَا خَرَجْتُ مِنْ مِصْرَ وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الْحِجَازَ فَمَا خَرَجْتُ مِنْهَا وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الْعِرَاقَ فَمَا خَرَجْتُ مِنْهَا وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الشَّامَ فَغَرْبَلْتُهَا كُلُّ ذَلِكَ أَسْأَلُ عَنِ النَّفْلِ فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يُخْبِرُنِي فِيهِ بِشَىْءٍ حَتَّى أَتَيْتُ شَيْخًا يُقَالُ لَهُ زِيَادُ بْنُ جَارِيَةَ التَّمِيمِيُّ فَقُلْتُ لَهُ هَلْ سَمِعْتَ فِي النَّفْلِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيَّ يَقُولُ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ الرُّبُعَ فِي الْبَدْأَةِ وَالثُّلُثَ فِي الرَّجْعَةِ .
বর্ণনাকারী: