কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত

হাদীস নং: ২৯৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯০
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৮০. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) .... আনবাসা ইবনে আব্দিল ওয়াহিদ কুরাশী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু জা’ফর অর্থাৎ ইবনে ঈসা বলেছেন যে, আমরা আনবাসা ইবনে আব্দিল ওয়াহিদ (রাযিঃ)-কে আব্দাল বলতাম-এ শোনার আগে যে, আব্দাল মাওয়ালীদের থেকে হয়।

রাবী বলেনঃ আমার নিকট দাখীল ইবনে আয়াস ইবনে নূহ ইবনে মুজজা’আ, তিনি তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুজজা’আ নবী (ﷺ)-এর নিকট আসেন তাঁর ভাইয়ের দিয়্যাত (রক্তপণ) চাওয়ার জন্য, যাকে বনু সাদূস-যারা বনু যুহলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, হত্যা করেছিল। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ যদি আমি কোন মুশরিকের দিয়্যাত দিতাম, তবে তোমার ভাইয়ের দিয়্যাতের ব্যবস্থা অবশ্যই করতাম। তবে আমি তোমাকে এর বিনিময়ের ব্যবস্থা করছি।

তখন নবী (ﷺ) তাঁর জন্য বনু যুহল থেকে প্রথম বার আদায়কৃত খুমুস হতে একশত উট দেওয়ার জন্য ফরমান লিখে দেন। যা থেকে কিছু উট তিনি (মুজজা’আ) গ্রহণ করেন। অতঃপর বনু যুহল ইসলাম গ্রহণ করলে মুজজা’আ বাকী উট পাওয়ার জন্য আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট দাবী জানান এবং নবী (ﷺ)-এর ফরমান তাঁর খিদমতে পেশ করেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাকে (মুজজা’আকে) ইয়ামামার সাদ্‌কা হতে বার হাজার সা’আ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য হুকুম দেন। যা থেকে চার হাজার সা’আ যব, চার হাজার সা’আ গম এবং চার হাজার সা’আ খেজুর তাঁকে দেওয়া হয়।

আর নবী (ﷺ)-এর ফরমানে এরূপ লেখা ছিলঃ

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। এ ফরমান মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পক্ষ হতে মুজজা’আ ইবনে মুরারার জন্য-যিনি বনু সালামার অন্তর্ভুক্ত। আমি তাকে একশো উট দিচ্ছি। বনু যুহলের মুশরিকদের নিকট হতে খুমুস বাবদ প্রথম বার যা আদায় হবে, সেখান থেকে এটা দেওয়া হবে, তার মৃত ভাইয়ের রক্তপণের বিনিময়ে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْقُرَشِيُّ، قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ - يَعْنِي ابْنَ عِيسَى - كُنَّا نَقُولُ إِنَّهُ مِنَ الأَبْدَالِ قَبْلَ أَنْ نَسْمَعَ أَنَّ الأَبْدَالَ مِنَ الْمَوَالِي قَالَ حَدَّثَنِي الدَّخِيلُ بْنُ إِيَاسِ بْنِ نُوحِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ سِرَاجِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ مُجَّاعَةَ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَطْلُبُ دِيَةَ أَخِيهِ قَتَلَتْهُ بَنُو سَدُوسٍ مِنْ بَنِي ذُهْلٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ جَاعِلاً لِمُشْرِكٍ دِيَةً جَعَلْتُ لأَخِيكَ وَلَكِنْ سَأُعْطِيكَ مِنْهُ عُقْبَى " . فَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِائَةٍ مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ فَأَخَذَ طَائِفَةً مِنْهَا وَأَسْلَمَتْ بَنُو ذُهْلٍ فَطَلَبَهَا بَعْدُ مُجَّاعَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَأَتَاهُ بِكِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ بِاثْنَىْ عَشَرَ أَلْفَ صَاعٍ مِنْ صَدَقَةِ الْيَمَامَةِ أَرْبَعَةِ آلاَفٍ بُرًّا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ شَعِيرًا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ تَمْرًا وَكَانَ فِي كِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِمُجَّاعَةَ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ لِمُجَّاعَةَ بْنِ مُرَارَةَ مِنْ بَنِي سُلْمَى إِنِّي أَعْطَيْتُهُ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ عُقْبَةً مِنْ أَخِيهِ " .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী: