আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩- উযূর অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬
- উযূর অধ্যায়
১৩০। সম্মুখ এবং পেছনের রাস্তা দিয়ে কিছু নির্গত হওয়া ছাড়া অন্য কারণে যিনি উযুর প্রয়োজন মনে করেন না।
আল্লাহ তাআলার এ বাণীর কারণেঃ “অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান থেকে আসে (৮ঃ ৪৩)।
আতা (রাহঃ) বলেন, যার পেছনের রাস্তা দিয়ে পোকা বের হয় অথবা যার পুরুষাঙ্গ দিয়ে উকুনের ন্যায় কিছু বের হয়, তার পুনরায় উযু করতে হবে।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কেউ নামাযের মধ্যে হেসে ফেললে কেবল নামাযই দোহরাবে, পুনরায় উযু করবে না।
হাসান (রাহঃ) বলেন, কেউ যদি চুল অথবা নখ কাটে অথবা তার মোজা খুলে ফেলে তবে তার পুনরায় উযু করতে হবে না।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, ‘হাদাস’ ছাড়া আর কিছুতে উযুর প্রয়োজন নেই।
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) ‘যাতুর রিকা’ এর যুদ্ধে ছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তি তীরবিদ্ধ হলেন এবং ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটল, কিন্তু তিনি (সে অবস্থায়ই) রুকু করলেন, সিজদা করলেন এবং নামায আদায় করতে থাকলেন।
হাসান (রাহঃ) বলেন, মুসলিমগণ সব সময়েই তাঁদের যখম অবস্থায় নামায আদায় করতেন এবং তাউস (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ), আতা (রাহঃ) ও হিজাযবাসীগণ বলেন, রক্তক্ষরণে উযু করতে হয় না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) একবার একটি ছোট ফোঁড়া টিপ দিলেন, তা থেকে রক্ত বের হল, কিন্তু তিনি উযু করলেন না।
ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) রক্ত মিশ্রিত থুথু ফেললেন কিন্তু তিনি নামায আদায় করতে থাকলেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) ও হাসান (রাহঃ) বলেন, কেউ শিঙ্গা লাগালে কেবল তার শিঙ্গা লাগানো স্থানই ধোয়া প্রয়োজন।
আল্লাহ তাআলার এ বাণীর কারণেঃ “অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান থেকে আসে (৮ঃ ৪৩)।
আতা (রাহঃ) বলেন, যার পেছনের রাস্তা দিয়ে পোকা বের হয় অথবা যার পুরুষাঙ্গ দিয়ে উকুনের ন্যায় কিছু বের হয়, তার পুনরায় উযু করতে হবে।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কেউ নামাযের মধ্যে হেসে ফেললে কেবল নামাযই দোহরাবে, পুনরায় উযু করবে না।
হাসান (রাহঃ) বলেন, কেউ যদি চুল অথবা নখ কাটে অথবা তার মোজা খুলে ফেলে তবে তার পুনরায় উযু করতে হবে না।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, ‘হাদাস’ ছাড়া আর কিছুতে উযুর প্রয়োজন নেই।
জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) ‘যাতুর রিকা’ এর যুদ্ধে ছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তি তীরবিদ্ধ হলেন এবং ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটল, কিন্তু তিনি (সে অবস্থায়ই) রুকু করলেন, সিজদা করলেন এবং নামায আদায় করতে থাকলেন।
হাসান (রাহঃ) বলেন, মুসলিমগণ সব সময়েই তাঁদের যখম অবস্থায় নামায আদায় করতেন এবং তাউস (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ), আতা (রাহঃ) ও হিজাযবাসীগণ বলেন, রক্তক্ষরণে উযু করতে হয় না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) একবার একটি ছোট ফোঁড়া টিপ দিলেন, তা থেকে রক্ত বের হল, কিন্তু তিনি উযু করলেন না।
ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) রক্ত মিশ্রিত থুথু ফেললেন কিন্তু তিনি নামায আদায় করতে থাকলেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) ও হাসান (রাহঃ) বলেন, কেউ শিঙ্গা লাগালে কেবল তার শিঙ্গা লাগানো স্থানই ধোয়া প্রয়োজন।
১৭৫। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বান্দা যে সময়টা মসজিদে থেকে নামাযের অপেক্ষায় থাকে, তার সে পুরো সময়টাই নামাযের মধ্যে গণ্য হয় যতক্ষণ না সে হাদাস করে। এক অনারব ব্যক্তি বলল, ‘হাদাস কি, আবু হুরায়রা’? তিনি বললেন, শব্দ করে বায়ূ বের হওয়া।
كتاب الوضوء
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْوُضُوءَ إِلاَّ مِنَ الْمَخْرَجَيْنِ، مِنَ الْقُبُلِ وَالدُّبُرِ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الغَائِطِ} [النساء: 43] وَقَالَ عَطَاءٌ: - فِيمَنْ يَخْرُجُ مِنْ دُبُرِهِ الدُّودُ، أَوْ مِنْ ذَكَرِهِ نَحْوُ القَمْلَةِ - «يُعِيدُ الوُضُوءَ» وَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: «إِذَا ضَحِكَ فِي الصَّلاَةِ أَعَادَ الصَّلاَةَ وَلَمْ يُعِدِ الوُضُوءَ» وَقَالَ الحَسَنُ: «إِنْ أَخَذَ مِنْ شَعَرِهِ وَأَظْفَارِهِ، أَوْ خَلَعَ خُفَّيْهِ فَلاَ وُضُوءَ عَلَيْهِ» وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: «لاَ وُضُوءَ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ» وَيُذْكَرُ عَنْ جَابِرٍ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ فَرُمِيَ رَجُلٌ بِسَهْمٍ، فَنَزَفَهُ الدَّمُ، فَرَكَعَ، وَسَجَدَ وَمَضَى فِي صَلاَتِهِ» وَقَالَ الحَسَنُ: «مَا زَالَ المُسْلِمُونَ يُصَلُّونَ فِي جِرَاحَاتِهِمْ» وَقَالَ طَاوُسٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَطَاءٌ، وَأَهْلُ الحِجَازِ لَيْسَ فِي الدَّمِ وُضُوءٌ وَعَصَرَ ابْنُ عُمَرَ بَثْرَةً فَخَرَجَ مِنْهَا الدَّمُ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَبَزَقَ ابْنُ أَبِي أَوْفَى دَمًا فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ " وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ، وَالحَسَنُ: " فِيمَنْ يَحْتَجِمُ: لَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا غَسْلُ مَحَاجِمِهِ "
176 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ المَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ يَزَالُ العَبْدُ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَ فِي المَسْجِدِ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ مَا لَمْ يُحْدِثْ» فَقَالَ رَجُلٌ أَعْجَمِيٌّ: مَا الحَدَثُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ قَالَ: الصَّوْتُ يَعْنِي الضَّرْطَةَ