কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

৬. নামাযের সময়সূচী

হাদীস নং: ৬১২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২
নামাযের সময়সূচী
যথা সময়ে নামায আদায় করার ফযীলত
৬১৩। ইয়াহয়া ইবনে হাকীম ও আমর ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে মুনতাশির (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদা আমর ইবনে শুরাহবীল (রাযিঃ)-এর মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় ইকামত বলা হলো। মুসল্লীগণ তার অপেক্ষায় করতে লাগলেন পরে তিনি বললেন আামি বিতরের নামায আদায় করছিলাম (এ জন্যই বিলম্ব হয়েছে)। রাবী বলেনঃ তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করা হলো যে, আযানের পর কি বিতর আদায় করা যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, শুধু আযান কেন ইকামতের পরও।[১] এ ব্যাপারে তিনি নবী (ﷺ) থেকে হাদীসও বর্ণনা করলেন যে, একদা নবী (ﷺ) ফজরের নামাযের সময় নিদ্রিত ছিলেন। এমতাবস্হায় সূর্য উদিত হলো। তারপর ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করলেন।[২]

[১] এই সময়ে বিতর কাযা আদায় করা যায়।
[২] এটা ৭ম হিজরীতে খায়বার যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় লাইলাতুত-তারীসের ঘটনা ছিল। প্রায় শেষরাত্রে পথিমধ্যে অবতরণ করে বিলাল (রাযিঃ)-কে পাহারাদার নিযুক্ত করে সকলেই ঘুমিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর বিলাল (রাযিঃ)-ও ঘুমিয়ে পড়লেন। এমতাবস্থায় সূর্যোদয় হয়ে গেল। সকলে জাগ্রত হওয়ার পর এ জায়গা ত্যাগ করে অন্যত্র গিয়ে সালাত

সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে সালাত কাযা করে নেবে
كتاب المواقيت
فضل الصلاة لمواقيتها
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، وَعَمْرُو بْنُ يَزِيدَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ فِي مَسْجِدِ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَجَعَلُوا يَنْتَظِرُونَهُ فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ أُوتِرُ قَالَ وَسُئِلَ عَبْدُ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ الأَذَانِ وِتْرٌ قَالَ نَعَمْ وَبَعْدَ الإِقَامَةِ وَحَدَّثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى . وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى .