কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১১. নামায শুরু করার অধ্যায়

হাদীস নং: ৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৩
নামায শুরু করার অধ্যায়
মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাসসাল পড়া।
৯৮৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন কোন ব্যক্তির পেছনে নামায আদায় করিনি যার নামায অমুক ব্যক্তির নামাযের চেয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের সাথে সঠিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব, আমরা ঐ ব্যক্তির পেছনে নামায-আদায় করলাম। তিনি জোহরের প্রথম দু’রাকআত লম্বা করতেন, পরের দু’রাক’আত সংক্ষিপ্ত করে আদায় করতেন। আসরের নামাযও সংক্ষিপ্ত করে আদায় করতেন। আর মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল পড়তেন। আর ইশার নামায আদায় করতেন “ওয়াশ শামসি ওয়াদূহাহা এবং এর মত সূরা দ্বারা। আর ফজরের নামায আদায় করতেন দুটি লম্বা সূরা দ্বারা।
كتاب الافتتاح
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ فُلاَنٍ . فَصَلَّيْنَا وَرَاءَ ذَلِكَ الإِنْسَانِ وَكَانَ يُطِيلُ الأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَيُخَفِّفُ فِي الأُخْرَيَيْنِ وَيُخَفِّفُ فِي الْعَصْرِ وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَأَشْبَاهِهَا وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِسُورَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাছ্‌ছাল (ঝিলঝাল থেকে নাছ পর্যনত্ম), ইশার নামাযে আওয়াছতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) এবং ফজরে নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরম্নজ পর্যনত্ম) পড়তেন। আর পূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল স. যোহরের নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল আর আসরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) পড়তেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে উপরিউক্ত নিয়মে কুরআন পাঠ করা উত্তম, তবে আবশ্যকীয় নয়। এ নিয়মের বিপরীতে রসূলুলস্নাহ স. এবং সাহাবায়ে কিরাম কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে পাঠ করতেন মর্মে অনেক সহীহ হাদীসের বর্ণনা রয়েছে। ইমামের তিলাওয়াতের প্রতি মুসলিস্নদের আগ্রহ ও একাগ্রতা দেখা গেলে এবং দুর্বল, অসুস্থ্য বা ব্যসত্ম মানুষ না থাকলে ইমাম সাহেব কিরাত লম্বা করতে পারেন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় উপরিউক্ত নিয়ম বা তার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করা উত্তম হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান