কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ
হাদীস নং: ১৪৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭০
চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ
অন্য আর এক প্রকার সূর্য গ্রহণকালীন নামায
১৪৭৩। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্যের গ্রহণ লাগলো। তখন তিনি মানুষদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি তাদের নিয়ে দাঁড়ালেন, তারপর রুকু করলেন, আবার দাঁড়ালেন, তারপর রুকু করলেন, আবার দাঁড়ালেন, তারপর রুকু করলেন, এভাবে তিনি প্রতি রাকআতে তিন রুকু সহ দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। তৃতীয় বার রুকুর পরে তিনি সিজদা করলেন। এমনকি কিছু লোক সেদিন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিল।
যে কারণে তাদের ওপর পরে পানি ঢালা হয়েছিল। তিনি যখন রুকু করতেন তখন বলতেন, “আল্লাহু আকবার” আর যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন, তখন বলতেন, “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” তিনি সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত নামায শেষ করলেন না। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর গুণ বর্ণনা ও প্রশংসা করলেন এবং বললেন কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে চন্দ্র সূর্য গ্রহণ হয় না, বরং তা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টো নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা তদ্বারা তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করেন। সুতরাং যখন তাদের গ্রহণ লাগে, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও, তা আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত।
যে কারণে তাদের ওপর পরে পানি ঢালা হয়েছিল। তিনি যখন রুকু করতেন তখন বলতেন, “আল্লাহু আকবার” আর যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন, তখন বলতেন, “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” তিনি সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত নামায শেষ করলেন না। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর গুণ বর্ণনা ও প্রশংসা করলেন এবং বললেন কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে চন্দ্র সূর্য গ্রহণ হয় না, বরং তা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টো নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা তদ্বারা তোমাদের ভীতি প্রদর্শন করেন। সুতরাং যখন তাদের গ্রহণ লাগে, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও, তা আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত।
كتاب الكسوف
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْ صَلاَةِ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يُحَدِّثُ قَالَ حَدَّثَنِي مَنْ، أُصَدِّقُ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يُرِيدُ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ بِالنَّاسِ قِيَامًا شَدِيدًا يَقُومُ بِالنَّاسِ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ رَكَعَ الثَّالِثَةَ ثُمَّ سَجَدَ حَتَّى إِنَّ رِجَالاً يَوْمَئِذٍ يُغْشَى عَلَيْهِمْ حَتَّى إِنَّ سِجَالَ الْمَاءِ لَتُصَبُّ عَلَيْهِمْ مِمَّا قَامَ بِهِمْ يَقُولُ إِذَا رَكَعَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . فَلَمْ يَنْصَرِفْ حَتَّى تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنْ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُخَوِّفُكُمْ بِهِمَا فَإِذَا كَسَفَا فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى يَنْجَلِيَا " .