কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৫
হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৭. ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণ শুধু হজ্জের ইহরাম করেছিলাম, তার সাথে আর কোন কিছুর নিয়ত ছিল না। যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখ ভোরে আমরা মক্কায় উপনীত হলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে আদেশ করলেন, তোমরা হালাল হয়ে যাও, আর একে উমরাহ করে ফেল। (অর্থাৎ হজ্জের নিয়্যতের ইহরামকে উমরার নিয়্যতে পরিবর্তিত করে ফেল।) আমাদের পক্ষ থেকে তার নিকট এ খবর পৌঁছলো যে, আমরা বলছি, আমাদের আরাফার মধ্যে মাত্র পাঁচ দিন বাকী থাকতে আমাদেরকে তিনি হালাল হতে আদেশ করলেন? তাহলে কি আমরা এমন অবস্থায় মিনায় উপস্থিত হব, যখন আমাদের বীর্য নিৰ্গত হতে থাকবে?
নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ তোমরা যা বলেছ তা আমার নিকট পৌছেছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে অধিক নেককার এবং পরহেযাগার। যদি কুরবানীর জন্তু না হতো, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম। আমি পরে যা বুঝতে পেরেছি, তা যদি পূর্বে বুঝতাম, তাহলে কুরবানীর জন্তু সাথে আনতাম না।
বর্ণনাকারী বলেন, ইত্যবসরে আলী (রাযিঃ) ইয়ামন থেকে আগমন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছা? তিনি বললেনঃ নবী (ﷺ) যার ইহরাম বেঁধেছেন তার। তিনি বললেনঃ তাহলে কুরবানীর জন্তুসহ ইহরাম অবস্থায় থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জা’সুম বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন? আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ তোমরা যা বলেছ তা আমার নিকট পৌছেছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে অধিক নেককার এবং পরহেযাগার। যদি কুরবানীর জন্তু না হতো, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম। আমি পরে যা বুঝতে পেরেছি, তা যদি পূর্বে বুঝতাম, তাহলে কুরবানীর জন্তু সাথে আনতাম না।
বর্ণনাকারী বলেন, ইত্যবসরে আলী (রাযিঃ) ইয়ামন থেকে আগমন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছা? তিনি বললেনঃ নবী (ﷺ) যার ইহরাম বেঁধেছেন তার। তিনি বললেনঃ তাহলে কুরবানীর জন্তুসহ ইহরাম অবস্থায় থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জা’সুম বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন? আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
كتاب مناسك الحج
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُهُ خَالِصًا وَحْدَهُ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَحِلُّوا وَاجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَبَلَغَهُ عَنَّا أَنَّا نَقُولُ لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ فَنَرُوحَ إِلَى مِنًى وَمَذَاكِيرُنَا تَقْطُرُ مِنْ الْمَنِيِّ فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَنَا فَقَالَ فَقَدْ بَلَغَنِي الَّذِي قُلْتُمْ وَإِنِّي لَأَبَرُّكُمْ وَأَتْقَاكُمْ وَلَوْلَا الْهَدْيُ لَحَلَلْتُ وَلَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ قَالَ وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنْ الْيَمَنِ فَقَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ قَالَ وَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ عُمْرَتَنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا أَوْ لِلْأَبَدِ قَالَ هِيَ لِلْأَبَدِ