আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪১- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান
হাদীস নং: ২৪৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩২ - ২৬৩৩
- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান
১৬৩৯. মানীহা* অর্থাৎ দুধ পানের জন্য উট বা বকরী দেওয়ার ফাযীলত
*মানীহা' ঐ দুগ্ধবতী জন্তুকে বলা হয় যা কাউকে দুধ পান করার জন্য দেওয়া হয় এবং দুধ পান শেষে মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া হয়। (আইনী)
*মানীহা' ঐ দুগ্ধবতী জন্তুকে বলা হয় যা কাউকে দুধ পান করার জন্য দেওয়া হয় এবং দুধ পান শেষে মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া হয়। (আইনী)
২৪৫৭। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু লোকের অতিরিক্ত ভূসম্পত্তি ছিল। তারা পরস্পর পরামর্শ করে ঠিক করলো যে এগুলো আমরা তিন ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ বা অর্ধেক হিসাবে ইজারা দিব। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কারো অতিরিক্ত জমি থাকলে হয় সে নিজেই চাষ করবে, কিংবা তার ভাইকে তা (চাষ করতে) দিবে। আর তা না করতে চাইলে তা নিজের কাছেই রেখে দিবে। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক বেদুঈন নবী (ﷺ) এর কাছে এসে হিজরত সম্পর্কে জানতে চাইল। তিনি তাকে বললেন, থাম! হিজরতের ব্যাপার সুকঠিন। (তার চেয়ে বরং বল) তোমার কি উট আছে? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, তুমি কি এর সাদ্কা (যাকাত) আদায় করে থাক? সে বললাম, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি দুধ পানের জন্য এগুলো মানীহা হিসাবে দিয়ে থাকো সে বলল, হ্যাঁ। আবার তিনি প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা! পানি পান করানোর (ঘাটে সমবেত অভাবী লোকদের মাঝে বিতরনের জন্য) উটগুলো দোহন করো কি? সে বলল হ্যাঁ। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, এ যদি হয় তাহলে সাগরের ওপারে হলেও অর্থাৎ তুমি যেখানে থাক আমল করতে থাক। আল্লাহ তোমার আমলের প্রতিদানে কম করবেন না।
كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها
باب فَضْلِ الْمَنِيحَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَتْ لِرِجَالٍ مِنَّا فُضُولُ أَرَضِينَ فَقَالُوا نُؤَاجِرُهَا بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَالنِّصْفِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيَمْنَحْهَا أَخَاهُ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُمْسِكْ أَرْضَهُ ".
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنِ الْهِجْرَةِ، فَقَالَ " وَيْحَكَ إِنَّ الْهِجْرَةَ شَأْنُهَا شَدِيدٌ فَهَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ " قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَتُعْطِي صَدَقَتَهَا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَهَلْ تَمْنَحُ مِنْهَا شَيْئًا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَتَحْلُبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَاعْمَلْ مِنْ وَرَاءِ الْبِحَارِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يَتِرَكَ مِنْ عَمَلِكَ شَيْئًا ".
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنِ الْهِجْرَةِ، فَقَالَ " وَيْحَكَ إِنَّ الْهِجْرَةَ شَأْنُهَا شَدِيدٌ فَهَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ " قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَتُعْطِي صَدَقَتَهَا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَهَلْ تَمْنَحُ مِنْهَا شَيْئًا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَتَحْلُبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " فَاعْمَلْ مِنْ وَرَاءِ الْبِحَارِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يَتِرَكَ مِنْ عَمَلِكَ شَيْئًا ".