কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জন ও তার সুন্নাতসমূহ
হাদীস নং: ২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯
পবিত্রতা অর্জন ও তার সুন্নাতসমূহ
পায়খানায় প্রবেশের সময় যা বলবে
২৯৯। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় প্রবেশ করে, তখন সে যেন একথা বলা থেকে বিরত না থাকে,
اللهم إني أعوذ بك من الرجس النجس ، الخبيث المغيث ، الشيطان الرجيم
“হে আল্লাহ! আমি কদর্যতা, অপবিত্রতা, কুৎসিত ও ক্ষতিকর বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।"
আবুল হাসান (রাহঃ) ........... ইবন আবুল মারয়াম (রাহঃ) অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি তাঁর হাদীসে (কদর্যতা ও অপবিত্রতা থেকে) কথাটি উল্লেখ করেন নি। বরং তিনি তার বর্ণনায় : من الخبيث المخبث الشيطان الرجيم
(কদর্য, কুৎসিত বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে) কথাটি উল্লেখ করেছেন।
اللهم إني أعوذ بك من الرجس النجس ، الخبيث المغيث ، الشيطان الرجيم
“হে আল্লাহ! আমি কদর্যতা, অপবিত্রতা, কুৎসিত ও ক্ষতিকর বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।"
আবুল হাসান (রাহঃ) ........... ইবন আবুল মারয়াম (রাহঃ) অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি তাঁর হাদীসে (কদর্যতা ও অপবিত্রতা থেকে) কথাটি উল্লেখ করেন নি। বরং তিনি তার বর্ণনায় : من الخبيث المخبث الشيطان الرجيم
(কদর্য, কুৎসিত বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে) কথাটি উল্লেখ করেছেন।
أبواب الطهارة وسننها
بَاب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَعْجِزْ أَحَدُكُمْ إِذَا دَخَلَ مِرْفَقَهُ أَنْ يَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ " .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِي حَدِيثِهِ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ إِنَّمَا قَالَ مِنَ الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِي حَدِيثِهِ مِنَ الرِّجْسِ النَّجَسِ إِنَّمَا قَالَ مِنَ الْخَبِيثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইস্তিঞ্জাখানায় প্রবেশের পূর্বে উপরোক্ত দুআ পড়া মুস্তাহাব। অবশ্য হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. উক্ত দুআর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা-৫) সুতরাং বিসমিল্লাহসহ দুআটি পড়া উত্তম হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৪৫) উল্লেখ্য খোলা ময়দানে কেউ ইস্তিঞ্জা করতে চাইলে সতর খোলার পূর্বে উক্ত দুআ পাঠ করবে। কেউ দুআ পড়তে ভুলে গিয়ে ইস্তিঞ্জাখানায় ঢুকে পড়লে ইস্তিঞ্জাখানার ভেতর পরিচ্ছন্ন হলে দুআ পড়বে। আর অপরিচ্ছন্ন হলে শব্দ উচ্চারণ ব্যতীত মনে মনে দুআ পড়বে। কারণ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে আল্লাহর জিকির করা উচিত নয়।
বর্তমানে টয়লেট ও গোসলখানা একই কক্ষে বা রম্নমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোসলখানা যদি বড় হয় এবং টয়লেটের প্যান বা কমোড অযুর বেসিন বা ট্যাপ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকে তাহলে সেখানে অযু-গোসলের সময় দুআ পড়া যাবে। আর যদি একই জায়গায় হয় তবে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দুআ পড়ার অবকাশ রয়েছে। (মাআরিফুস সুনান ১/৭৭, রদ্দুল মুহতার ১/৩৪৪)
বর্তমানে টয়লেট ও গোসলখানা একই কক্ষে বা রম্নমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোসলখানা যদি বড় হয় এবং টয়লেটের প্যান বা কমোড অযুর বেসিন বা ট্যাপ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকে তাহলে সেখানে অযু-গোসলের সময় দুআ পড়া যাবে। আর যদি একই জায়গায় হয় তবে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দুআ পড়ার অবকাশ রয়েছে। (মাআরিফুস সুনান ১/৭৭, রদ্দুল মুহতার ১/৩৪৪)
বর্ণনাকারী: