কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
১৯. শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১৩
শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
নপুংসকদের প্রসঙ্গে
২৬১৩। হাসান ইবন আবু রাবী' জুরজানী (রাহঃ).... সাফওয়ান ইবন উমায়্যা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট ছিলাম। তখন তাঁর কাছে আমর ইবন মুররা এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আল্লাহ আমার নসীবে দুর্ভাগ্য লিখে দিয়েছেন। তাই আমি আমার রিযিকের আর কোন পথ দেখি না আমার হাতের দফ বাজানো ছাড়া। সুতরাং অশ্লীশ গান ছাড়া অন্য গান গাওয়ার আমাকে অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমাকে অনুমতি দেব না আর (তোমার) চোখও শীতল করব না। তুমি মিথ্যা বলেছ, হে আল্লাহর দুশমন! আল্লাহ তোমাকে পবিত্র হালাল রিযিক দিয়েছেন, কিন্তু আল্লাহ তার রিযিক থেকে যা তোমার উপর হারাম করেছেন, তাই গ্রহণ করেছ তার হালাল রিযিকের পরিবর্তে। আমি যদি তোমাকে পূর্বে নিষেধ করে থাকতাম তবে অবশ্যই (এখন) তোমাকে শাস্তি দিতাম। আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও এবং আল্লাহর নিকট তওবা কর। সাবধান! তোমাকে নিষেধ করার পর আবার যদি তুমি এ কাজ কর তবে অবশ্যই আমি তোমাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেব, তোমার মাথা মুড়ে দেব মুছলা স্বরূপ, তোমাকে নির্বাসিত করব তোমার পরিবার থেকে এবং তোমার সহায় সম্পত্তি মদীনার যুবকদের জন্য হালাল করে লুটিয়ে দেব।
একথা শুনে আমর উঠে দাঁড়াল আর তার সাথে ছিল লাঞ্ছনা ও অপদস্থতা, যা জানত না আল্লাহ ছাড়া (কেউ)।
সে যখন চলে গেল, তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এরা সব পাপিষ্ঠ। এদের মধ্যে যে বিনা তওবায় মারা যাবে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামাতের দিন তার হাশর করবেন দুনিয়াতে সে যে অবস্থায় ছিল সে ভাবেই- নপুংসক করে উলঙ্গ করে। মানুষের থেকে কাপড়ের এক কোণা দিয়েও সে লজ্জা নিবারণ করবে না। যখনই সে দাঁড়াবে সাথে সাথে পড়ে যাবে।
একথা শুনে আমর উঠে দাঁড়াল আর তার সাথে ছিল লাঞ্ছনা ও অপদস্থতা, যা জানত না আল্লাহ ছাড়া (কেউ)।
সে যখন চলে গেল, তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এরা সব পাপিষ্ঠ। এদের মধ্যে যে বিনা তওবায় মারা যাবে, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামাতের দিন তার হাশর করবেন দুনিয়াতে সে যে অবস্থায় ছিল সে ভাবেই- নপুংসক করে উলঙ্গ করে। মানুষের থেকে কাপড়ের এক কোণা দিয়েও সে লজ্জা নিবারণ করবে না। যখনই সে দাঁড়াবে সাথে সাথে পড়ে যাবে।
أبواب الحدود
بَاب الْمُخَنَّثِينَ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ الْجُرْجَانِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّهُ سَمِعَ بِشْرَ بْنَ نُمَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ مَكْحُولاً، يَقُولُ إِنَّهُ سَمِعَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ عَمْرُو بْنُ قُرَّةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ كَتَبَ عَلَىَّ الشِّقْوَةَ فَمَا أُرَانِي أُرْزَقُ إِلاَّ مِنْ دُفِّي بِكَفِّي فَأْذَنْ لِي فِي الْغِنَاءِ فِي غَيْرِ فَاحِشَةٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ آذَنُ لَكَ وَلاَ كَرَامَةَ وَلاَ نُعْمَةَ عَيْنٍ كَذَبْتَ أَىْ عَدُوَّ اللَّهِ لَقَدْ رَزَقَكَ اللَّهُ طَيِّبًا حَلاَلاً فَاخْتَرْتَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْكَ مِنْ رِزْقِهِ مَكَانَ مَا أَحَلَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ مِنْ حَلاَلِهِ . وَلَوْ كُنْتُ تَقَدَّمْتُ إِلَيْكَ لَفَعَلْتُ بِكَ وَفَعَلْتُ قُمْ عَنِّي وَتُبْ إِلَى اللَّهِ أَمَا إِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ بَعْدَ التَّقْدِمَةِ إِلَيْكَ ضَرَبْتُكَ ضَرْبًا وَجِيعًا وَحَلَقْتُ رَأْسَكَ مُثْلَةً وَنَفَيْتُكَ مِنْ أَهْلِكَ وَأَحْلَلْتُ سَلَبَكَ نُهْبَةً لِفِتْيَانِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ " . فَقَامَ عَمْرٌو وَبِهِ مِنَ الشَّرِّ وَالْخِزْىِ مَا لاَ يَعْلَمُهُ إِلاَّ اللَّهُ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَؤُلاَءِ الْعُصَاةُ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ بِغَيْرِ تَوْبَةٍ حَشَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَمَا كَانَ فِي الدُّنْيَا مُخَنَّثًا عُرْيَانًا لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ النَّاسِ بِهُدْبَةٍ كُلَّمَا قَامَ صُرِعَ " .
বর্ণনাকারী: