কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
২৭. পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬৫
পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
রসুন, পিয়াজ ও এক প্রকারের দুর্গন্ধযুক্ত তরকারী খাওয়া
৩৩৬৫। হারমালা ইবন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ)...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একজন লোক নবী (ﷺ) -এর নিকট এলো তিনি তাদের থেকে দুর্গন্ধ পেলেন। তখন তিনি বললেনঃ আমি কি তোমদের এই বৃক্ষ খেতে নিষেধ করিনি? মানুষ যেসব জিনিস কষ্ট পায়, ফিরিশতারাও সেসব জিনিসে কষ্ট পায়।
كتاب الأطعمة
بَاب أَكْلِ الثُّومِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو شُرَيْحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نِمْرَانَ الْحَجْرِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ نَفَرًا، أَتَوُا النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مِنْهُمْ رِيحَ الْكُرَّاثِ فَقَالَ " أَلَمْ أَكُنْ نَهَيْتُكُمْ عَنْ أَكْلِ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسَانُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।