কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা

হাদীস নং: ৩৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৯
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৫৯। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ).....আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদিগকে বললেন, কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে হারাজ ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহ রাসূল! 'হারাজ' কি জিনিস? তিনি বললেনঃ হারাজ মানে কতল হত্যা, খুন-খারাবী । অতঃপর কতক মুসলমান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো এখনও এক বছরে এত এত জন মুশরিক মেরে ফেলেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এটা তো মুশরিকদের হত্যা করা নয়; বরং তোমরা নিজেরা একে অপরকে হত্যা করবে; এমনকি এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করবে। তখন কাওমের কতিপয় লোক জিজ্ঞাসা করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! সে সময় কি আমাদের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যাবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ না, সেকালের অধিকাংশ লোক হবে জ্ঞান পাপী ও বিবেক শূন্য। আর অবশিষ্ট থাকবে নির্বোধ ও মুর্খ ব্যক্তিরা, যাদের বিবেক বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা বলতে কিছুই থাকবে না। অতঃপর আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত এই যুগ তোমাদের ও আমাকে স্পর্শ করবে। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যদি এই যুগ তোমাদের ও আমাকে পেয়ে বসে, তাহলে না তুমি এর থেকে বাঁচতে পারবে, আর না আমি রক্ষা পাবো। যেমন আমাদের নবী (ﷺ) আমাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তোমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না যে যেভাবে তথায় প্রবেশ করেছিলে। (অর্থাৎ যুদ্ধে অংশগ্রহণের পূর্বে যেমন তোমরা বে-গোনাহ ছিলে এবং অংশ গ্রহণের পরে গোনাহগার হয়ে গেলে)।
كتاب الفتن
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا أَسِيدُ بْنُ الْمُتَشَمِّسِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ لَهَرْجًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْهَرْجُ قَالَ ‏"‏ الْقَتْلُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَقْتُلُ الآنَ فِي الْعَامِ الْوَاحِدِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لَيْسَ بِقَتْلِ الْمُشْرِكِينَ وَلَكِنْ يَقْتُلُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا حَتَّى يَقْتُلَ الرَّجُلُ جَارَهُ وَابْنَ عَمِّهِ وَذَا قَرَابَتِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَعَنَا عُقُولُنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ تُنْزَعُ عُقُولُ أَكْثَرِ ذَلِكَ الزَّمَانِ وَيَخْلُفُ لَهُ هَبَاءٌ مِنَ النَّاسِ لاَ عُقُولَ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ الأَشْعَرِيُّ وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لأَظُنُّهَا مُدْرِكَتِي وَإِيَّاكُمْ وَايْمُ اللَّهِ مَا لِي وَلَكُمْ مِنْهَا مَخْرَجٌ إِنْ أَدْرَكَتْنَا فِيمَا عَهِدَ إِلَيْنَا نَبِيُّنَا ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ أَنْ نَخْرُجَ كَمَا دَخَلْنَا فِيهَا ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান