আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাকাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩২
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাকাত অধ্যায়
পূর্ণ বছ আবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই।
৬৩২. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কারো যদি বছরের মাঝে সম্পদ লাভ হয় তবে এই মালিকের নিকট বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাতে যাকাত ধার্য হবে না।
আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম (রাযিঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় এই রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ্। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আইয়ুব, উবাইদুল্লাহ প্রমুখ এ হাদীসকে নাফি’ (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সনদে মাউকুফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আহমাদ বি্ন হাম্বল, আলী ইবনে আল-মাদীনী (রাযিঃ) প্রমুখ হাদীস বিশারদ তাকে যঈফ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বহু ভুল করে থাকেন। একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত, বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ইবনে হাম্বল ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, যদি কারো কাছে পূর্ব থেকেই যাকাত ধার্য হওয়ার মত পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে বছরের মাঝে প্রাপ্ত এই সম্পদেও যাকাত ধার্য হবে। আর যদি বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদ ছাড়া এমন কোন সম্পদ তার না থাকে যতটুকুতে যাকাত ধার্য হতে পারে তবে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই যদি কারো সম্পদ প্রাপ্তি ঘটে তবে তার যে সমস্ত সম্পদে (পূর্ব থেকেই) যাকাত ছিল সেই সম্পদের সাথে যোগ করে প্রাপ্ত এই সম্পদেরও যাকাত তাকে দিতে হবে। এ হল সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত।
আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম (রাযিঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় এই রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ্। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আইয়ুব, উবাইদুল্লাহ প্রমুখ এ হাদীসকে নাফি’ (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সনদে মাউকুফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আহমাদ বি্ন হাম্বল, আলী ইবনে আল-মাদীনী (রাযিঃ) প্রমুখ হাদীস বিশারদ তাকে যঈফ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বহু ভুল করে থাকেন। একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত, বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ইবনে হাম্বল ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, যদি কারো কাছে পূর্ব থেকেই যাকাত ধার্য হওয়ার মত পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে বছরের মাঝে প্রাপ্ত এই সম্পদেও যাকাত ধার্য হবে। আর যদি বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদ ছাড়া এমন কোন সম্পদ তার না থাকে যতটুকুতে যাকাত ধার্য হতে পারে তবে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই যদি কারো সম্পদ প্রাপ্তি ঘটে তবে তার যে সমস্ত সম্পদে (পূর্ব থেকেই) যাকাত ছিল সেই সম্পদের সাথে যোগ করে প্রাপ্ত এই সম্পদেরও যাকাত তাকে দিতে হবে। এ হল সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত।
كتاب الزكاة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ لاَ زَكَاةَ عَلَى الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَنِ اسْتَفَادَ مَالاً فَلاَ زَكَاةَ فِيهِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى أَيُّوبُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَوْقُوفًا . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُهُمَا مِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَهُوَ كَثِيرُ الْغَلَطِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ زَكَاةَ فِي الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَ عِنْدَهُ مَالٌ تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَفِيهِ الزَّكَاةُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ سِوَى الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ فَإِنِ اسْتَفَادَ مَالاً قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ فَإِنَّهُ يُزَكِّي الْمَالَ الْمُسْتَفَادَ مَعَ مَالِهِ الَّذِي وَجَبَتْ فِيهِ الزَّكَاةُ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ .