আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা
হাদীস নং: ৩০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৯১
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৬১। হাসান ইবনে রাবী (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- কে নামাযের মধ্যে মানুষের এদিক-ওদিক তাকানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তা হল শয়তানের এক ধরণের ছিনতাই, যা সে তোমাদের এক জনের নামায থেকে ছিনিয়ে নেয়।
كتاب بدء الخلق
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3291 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ التِفَاتِ الرَّجُلِ فِي الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «هُوَ اخْتِلاَسٌ يَخْتَلِسُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلاَةِ أَحَدِكُمْ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ। একান্ত যদি দেখতে হয় তো নফল নামাযে দেখতে পারে ফরযে নয়। বরং মুসল্লীর জন্য উচিত হলো তার দৃষ্টি সিজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখা। হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লীর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করুক। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৩) হযরত ইবনে ছীরীন রহ. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লী তার দৃষ্টি সিজদার জায়গা বরাবর রাখবে। যদি সে এটা না করে তাহলে তার দু’চোখ বন্ধ করে রাখবে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)