আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৭
তালাক - লি'আনের অধ্যায়
মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১২০০. যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, আমার মা উম্মে সালামা (রাযিঃ)কে বলতে শুনেছি যে, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে। বর্তমানে তার চোখ রোগক্রান্ত। আমরা কি তাকে সুরমা ব্যবহার করাতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, দুবার বা তিনবার যতবারই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে অনুমতির কথা বলা হল, ততবারই তিনি বললেন, না। এরপর তিনি বললেন, এ তো হলো মাত্র চার মাস দশ দিন। অথচ জাহিলী আমলে এজন্য তোমরা বৎসরান্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করতে।*
এই বিষয়ে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর ভগ্নী ফুরায়’আ বিনতে মালিক সিনান ও হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে যে, যে মহিলার স্বামী মারা গেছে সে ইদ্দত পালনের সময় সুগন্ধি ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকবে। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
*জাহিলী আমলে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে রীতি ছিল যে, তাকে একটি সংকীর্ণ ঘরে একাকী থাকতে হত এবং ভাল পোশাক-পরিচ্ছদ ও সুগন্ধি কিছুই ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে একবছর অতিবাহিত হলে গাধা বা বকরীর মাধ্যমে তার ভাঙ্গ ছোয়ান হত। পরে ঐ ঘর থেকে বের হত এবং তার হাতে উটের বিষ্ঠা প্রদান করা হত। আর সে তা নিক্ষেপ করে ইন্দত থেকে মুক্ত হত। ইসলাম এই ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহজ, মানুষের স্বভাবানুগ বিধান দিয়েছে। এখানে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর ভগ্নী ফুরায়’আ বিনতে মালিক সিনান ও হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে যে, যে মহিলার স্বামী মারা গেছে সে ইদ্দত পালনের সময় সুগন্ধি ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকবে। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
*জাহিলী আমলে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে রীতি ছিল যে, তাকে একটি সংকীর্ণ ঘরে একাকী থাকতে হত এবং ভাল পোশাক-পরিচ্ছদ ও সুগন্ধি কিছুই ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে একবছর অতিবাহিত হলে গাধা বা বকরীর মাধ্যমে তার ভাঙ্গ ছোয়ান হত। পরে ঐ ঘর থেকে বের হত এবং তার হাতে উটের বিষ্ঠা প্রদান করা হত। আর সে তা নিক্ষেপ করে ইন্দত থেকে মুক্ত হত। ইসলাম এই ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহজ, মানুষের স্বভাবানুগ বিধান দিয়েছে। এখানে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
أبواب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَيْهَا أَفَنَكْحَلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ " لاَ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ فُرَيْعَةَ بِنْتِ مَالِكٍ أُخْتِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَحَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْنَبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . - وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَتَّقِي فِي عِدَّتِهَا الطِّيبَ وَالزِّينَةَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .