আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২৪. পোশাক-পরিচ্ছদের বিধান
হাদীস নং: ১৭৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৯
পোশাক-পরিচ্ছদের বিধান
কোন পায়ে প্রথম জুতা পরবে।
১৭৮৬। আনসারী ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুতা পরবে তখন ডান দিক থেকে শুরু করবে। আর যখন খুলবে তখন বাম দিক থেকে শুরু করবে। অর্থাৎ জুতা পরতে গিয়ে যেন ডান পায়ে প্রথম পরা হয় আর খুলতে গিয়ে যেন তা পরে হয়।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب اللباس عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ بِأَىِّ رِجْلٍ يَبْدَأُ إِذَا انْتَعَلَ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيَمِينِ وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ فَلْتَكُنِ الْيُمْنَى أَوَّلَهُمَا تُنْعَلُ وَآخِرَهُمَا تُنْزَعُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পায়ে জুতা পরাটা কেবল প্রয়োজনই নয়; মর্যাদাকরও। জুতা পরার দ্বারা যেমন পায়ের হেফাজত হয়, চলাফেরা সহজ ও আরামদায়ক হয়, তেমনি এর দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদাও প্রকাশ পায়। তাই দেখা যায় পাদুকাবিহীন লোকের তুলনায় যার পায়ে জুতা থাকে তাকে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়। আবার বামের তুলনায় ডান বেশি মর্যাদা রাখে। সুতরাং হাদীছটিতে দেখা যাচ্ছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে ডান পায়ে জুতা পরতে হুকুম দিয়েছেন। এটা সুন্নত। খোলার সময় এর বিপরীত করতে বলেছেন। অর্থাৎ আগে বাম পায়ের জুতা খোলা হবে, পরে ডান পায়ের। এতে করে ডান পা তুলনামূলক বেশি সময় জুতা পরিহিত থাকবে। জুতা পরাটা যেহেতু মর্যাদাকর, তাই বেশি সময়টা ডান পায়েরই প্রাপ্য। সুতরাং জুতা খোলার ক্ষেত্রে সুন্নত হল আগে বাম পায়ের জুতা খোলা, পরে ডান পায়ের।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে পরা আর খোলার সময় আগে বাম পা খোলা সুন্নত। আমরা অবশ্যই এ সুন্নত পালনে যত্নবান থাকব।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে পরা আর খোলার সময় আগে বাম পা খোলা সুন্নত। আমরা অবশ্যই এ সুন্নত পালনে যত্নবান থাকব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)