আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২৬. বিভিন্ন পানীয়ের বিধান ও পান করার আদব
হাদীস নং: ১৮৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮৯
বিভিন্ন পানীয়ের বিধান ও পান করার আদব
পাত্রে শ্বাস ফেলা মাকরূহ।
১৮৯৫। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে কাতাদা তাঁর পিতা আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন পানি পান করবে তখন পাত্রে শ্বাস ফেলবে না।উক্ত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু দাউদ ২৩, বুখারী ও মুসলিম
أبواب الأشربة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ التَّنَفُّسِ فِي الإِنَاءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَفَّسْ فِي الإِنَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে নিষেধ করার কারণ এ হতে পারে যে, তাতে পাত্রের ভেতর থুথু বা শ্লেষ্মা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এরপর সে পাত্র থেকে পান করতে নিজেরই খারাপ লাগবে। অন্যের তো অরুচি লাগবেই।
চিকিৎসা শাস্ত্রীয় গবেষণা অনুযায়ী পাত্রে নিঃশ্বাস ত্যাগ করাটা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। কেননা মানুষ নাক ও মুখ দিয়ে যখন নিঃশ্বাস গ্রহণ করে, তখন বায়ুমণ্ডল থেকে তার ভেতরে অক্সিজেন প্রবেশ করে। আর যখন নিঃশ্বাস ছাড়ে, তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হয়ে আসে। তার ভেতর দেহের দূষিত বাষ্প ও রোগ-জীবাণু থাকে। পাত্রে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে খাবার বা পানির সঙ্গে তা মিশে যায়। সেই খাবার বা পানি যখন খাওয়া হয়, তখন ওই দূষিত বাষ্প ও রোগ-জীবাণু পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সুতরাং তিন নিঃশ্বাসে যে পানি পান করতে বলা হয়েছে, তার উপর আমল করতে হবে এভাবে যে, একবার পানি পান করে পাত্র থেকে মুখ সরাতে হবে। তারপর নিঃশ্বাস ফেলে দ্বিতীয়বার পান করতে হবে। এভাবে তিনবার। পাত্রে দম ফেলা যেমন নিষেধ, তেমনি ফুঁ দেওয়াও নিষেধ।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পানি বা পানীয় পান করার সময় পাত্রের ভেতর নিঃশ্বাস ত্যাগ করা যাবে না। নিঃশ্বাস ত্যাগের সময় পাত্র থেকে মুখ সরিয়ে নিতে হবে।
চিকিৎসা শাস্ত্রীয় গবেষণা অনুযায়ী পাত্রে নিঃশ্বাস ত্যাগ করাটা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। কেননা মানুষ নাক ও মুখ দিয়ে যখন নিঃশ্বাস গ্রহণ করে, তখন বায়ুমণ্ডল থেকে তার ভেতরে অক্সিজেন প্রবেশ করে। আর যখন নিঃশ্বাস ছাড়ে, তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হয়ে আসে। তার ভেতর দেহের দূষিত বাষ্প ও রোগ-জীবাণু থাকে। পাত্রে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে খাবার বা পানির সঙ্গে তা মিশে যায়। সেই খাবার বা পানি যখন খাওয়া হয়, তখন ওই দূষিত বাষ্প ও রোগ-জীবাণু পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সুতরাং তিন নিঃশ্বাসে যে পানি পান করতে বলা হয়েছে, তার উপর আমল করতে হবে এভাবে যে, একবার পানি পান করে পাত্র থেকে মুখ সরাতে হবে। তারপর নিঃশ্বাস ফেলে দ্বিতীয়বার পান করতে হবে। এভাবে তিনবার। পাত্রে দম ফেলা যেমন নিষেধ, তেমনি ফুঁ দেওয়াও নিষেধ।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পানি বা পানীয় পান করার সময় পাত্রের ভেতর নিঃশ্বাস ত্যাগ করা যাবে না। নিঃশ্বাস ত্যাগের সময় পাত্র থেকে মুখ সরিয়ে নিতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)