আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৬. যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
হাদীস নং: ২৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৬
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৩৭৯. সুওয়ায়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... ইবনে কা‘ব ইবনে মালিক আনসারী তৎ পিতা কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দুটো ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে বকরীর পালে ছেড়ে দিলেও তারা এতটুকু ক্ষতি করতে পারে না একজনের অর্থ ও প্রতিপত্তির মোহ তার দ্বীনের যতটুকু ক্ষতি করতে পারে।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلاَ فِي غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُرْوَى فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَصِحُّ إِسْنَادُهُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থ-সম্পদ ও সম্মান-সুখ্যাতির লোভ দীনের পক্ষে কী ভয়ানক ক্ষতিকর সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তিনি ক্ষুধার্ত দু'টি নেকড়েকে একপাল বকরির মধ্যে ছেড়ে দিলে সে নেকড়েদু'টি বকরির যে ক্ষতি করতে পারে, এ লোভের ক্ষতিকে তারচে'ও বেশি মারাত্মক সাব্যস্ত করেছেন। কেননা মাল ও মর্যাদার লালসা যখন কাউকে পেয়ে বসে, তখন সে এ লালসার কাছে সম্পূর্ণ বশীভূত হয়ে যায়। এ লালসা পূরণ করার জন্য জায়েয-নাজায়েয নির্বিচারে সকল পন্থা অবলম্বন করে। আবার লালসা যখন পূরণ হতে থাকে, তখন তার মধ্যে অহংকার-অহমিকাও জন্ম নিতে থাকে। যতবেশি পূরণ হয় ততবেশি অহংকার জন্মায়। তখন কাউকে মানুষ বলে গণ্য করে না। এ অবস্থায় সে দীন ও ঈমানের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের চোখেও মর্যাদাহীন হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে অন্যসব মানুষের পক্ষেও সে সাক্ষাত আযাব ও মসিবত হয়ে দাঁড়ায়।
বস্তুত লোভ-লালসা সৃষ্টিগতভাবেই মানবস্বভাবের মধ্যে নিহিত থাকে। এটা মানুষের জন্য পরীক্ষা। দুনিয়া পরীক্ষারই জায়গা। লোভ-লালসার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন এ খাসলাতকে বশীভূত রাখার চেষ্টা করা। সে চেষ্টার একটা দিক হল আল্লাহ তা'আলার উপর ভরসা রাখা, তাকদীরের উপর গভীর বিশ্বাস রাখা, লোভ-লালসার ক্ষতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা এবং লোভ-লালসা পূরণ থেকে বিরত থাকা। এ রিপু দমনের সর্বাপেক্ষা কার্যকর ওষুধ হল এটা পূরণ করা হতে বিরত থাকা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সম্পদ ও ইজ্জত-সম্মানের লোভ যেহেতু দীন ও ঈমানের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর, তাই আমাদেরকে অবশ্যই এ লোভ পরিহার করে চলতে হবে।
বস্তুত লোভ-লালসা সৃষ্টিগতভাবেই মানবস্বভাবের মধ্যে নিহিত থাকে। এটা মানুষের জন্য পরীক্ষা। দুনিয়া পরীক্ষারই জায়গা। লোভ-লালসার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন এ খাসলাতকে বশীভূত রাখার চেষ্টা করা। সে চেষ্টার একটা দিক হল আল্লাহ তা'আলার উপর ভরসা রাখা, তাকদীরের উপর গভীর বিশ্বাস রাখা, লোভ-লালসার ক্ষতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা এবং লোভ-লালসা পূরণ থেকে বিরত থাকা। এ রিপু দমনের সর্বাপেক্ষা কার্যকর ওষুধ হল এটা পূরণ করা হতে বিরত থাকা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সম্পদ ও ইজ্জত-সম্মানের লোভ যেহেতু দীন ও ঈমানের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর, তাই আমাদেরকে অবশ্যই এ লোভ পরিহার করে চলতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)