আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ
হাদীস নং: ২৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩০
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ
জান্নাতের স্তরের বিবরণ।
২৫৩২. কুতায়বা ও আহমদ ইবনে আব্দা-যাববী (রাহঃ) ...... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের রোযা পালন করেছে, নামায আদায় করেছে, বায়তুল্লাহর হজ্জ আদায় করেছে, আতা (রাহঃ) বলেন, মুআয (রাযিঃ) যাকাতের কথাও উল্লেখ করেছিলেন কি না জানি না। সে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করুক বা যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেই মাটিতেই বসা থাকুক আল্লাহর উপর হক হল তাকে মাফ করে দেওয়া। মুআয (রাযিঃ) বললেনঃ লোকদের কি এ কথার খবর দিব না?
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ লোকদেরকে আমল করতে দাও। কেননা, জান্নাতে একশ’টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মধ্যে আসমান ও যমীনের দূরত্বের মত দূরত্ব বিদ্যমান। জান্নাতুল ফিরদাওস হল সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম জান্নাত। এর উপর হল রহমানুর রাহীমের আরশ। সেখান থেকেই জান্নাতের নহরগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। সুতরাং তোমরা যখন আল্লাহর কাছে সাওয়ালকরবে তখন তাঁর কাছে জান্নাতুল ফিরদাওসের প্রার্থনা জানাবে।
এ হাদীসটি হিশাম ইবনে সা’দ-যায়দ ইবনে আসলাম-আতা ইবনে ইয়াসার-মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) সূত্রে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। হাম্মাম-যায়দ ইবনে আসলাম-আতা ইবনে ইয়াসার-উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় আমার মতে এ হাদীসটি অধিক সহীহ। আতা (রাহঃ) মুআয (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। মুআয বহু আগেই উমর (রাযিঃ) এর খিলাফত আমলে ইনতিকাল করেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ লোকদেরকে আমল করতে দাও। কেননা, জান্নাতে একশ’টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মধ্যে আসমান ও যমীনের দূরত্বের মত দূরত্ব বিদ্যমান। জান্নাতুল ফিরদাওস হল সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম জান্নাত। এর উপর হল রহমানুর রাহীমের আরশ। সেখান থেকেই জান্নাতের নহরগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। সুতরাং তোমরা যখন আল্লাহর কাছে সাওয়ালকরবে তখন তাঁর কাছে জান্নাতুল ফিরদাওসের প্রার্থনা জানাবে।
এ হাদীসটি হিশাম ইবনে সা’দ-যায়দ ইবনে আসলাম-আতা ইবনে ইয়াসার-মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) সূত্রে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। হাম্মাম-যায়দ ইবনে আসলাম-আতা ইবনে ইয়াসার-উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় আমার মতে এ হাদীসটি অধিক সহীহ। আতা (রাহঃ) মুআয (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। মুআয বহু আগেই উমর (রাযিঃ) এর খিলাফত আমলে ইনতিকাল করেন।
أبواب صفة الجنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ دَرَجَاتِ الجَنَّةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَصَلَّى الصَّلَوَاتِ وَحَجَّ الْبَيْتَ لاَ أَدْرِي أَذَكَرَ الزَّكَاةَ أَمْ لاَ إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ إِنْ هَاجَرَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَكَثَ بِأَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ بِهَا " . قَالَ مُعَاذٌ أَلاَ أُخْبِرُ بِهَذَا النَّاسَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَرِ النَّاسَ يَعْمَلُونَ فَإِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلَى الْجَنَّةِ وَأَوْسَطُهَا وَفَوْقَ ذَلِكَ عَرْشُ الرَّحْمَنِ وَمِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ . وَعَطَاءٌ لَمْ يُدْرِكْ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَمُعَاذٌ قَدِيمُ الْمَوْتِ مَاتَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ .