আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৩. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত উপমাসমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ২৮৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬১
 নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত উপমাসমূহের বর্ণনা
বান্দাদের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত উদাহরণ।
২৮৬১. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিন ’ইশার নামায আদায় করে ফিরলেন এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর হাত ধরে তাঁকে নিয়ে বাতহায়ে মক্কায় দিকে বের হয়ে পড়লেন। অনন্তর এক স্থানে তাকে বসিয়ে চতুর্দিকে রেখা টেনে দিলেন এবং বললেনঃ তোমার এ রেখার মধ্যেই তুমি থাকবে। তোমার সীমা পর্যন্ত কিছু লোক অবশ্য আসবে। তুমি তাদের সাথে কথা বলবে না। তারাও তোমার সাথে কথা বলবে না।
তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যেখানে যাওয়ার তাঁর ইচ্ছা ছিল চলে গেলেন। আমি আমার বৃত্তের ভিতর বসে রইলাম। হঠাৎ একদল লোক আমার কাছে আসল, দেখতে মনে হল (ভারতের) জাঠ জাতীয় তাদের চুল এবং শরীর সবই ছিল ওদের মত। এদের গায়ে কোন আচ্ছাদনও দেখছিলাম না আবার তাদের সতরও দেখা যাচ্ছিল না। এরা আমার কাছাকাছি আসল কিন্তু রেখা অতিক্রম করল না। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দিকে ফিরে গেল। এমনকি রাত্রির শেষ ভাগ হয়ে এল (তারা আর আসল না) কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে এলেন আমি বসা ছিলাম তিনি বললেনঃ আমি দেখছি আজকের রাত ঘুমাতে পারি নি। এরপর তিনি আমার রেখার ভিতর প্রবেশ করে আমার উরুর উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ঘুমাতেন তখন জোরে জোরে শ্বাস ফেলতেন।
আমি বসে রইলাম আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার উরুতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ আমি কিছু লোক দেখতে পেলাম। তাদের পরনে ছিল সাদা পোশাক। আল্লাহ্ই জানেন কি সৌন্দর্য যে তাঁদের ছিল! তারা আমার কাছে বসে গেলেন। এরপর পরস্পর বললেনঃ এ নবীকে যা দেওয়া হয়েছে আর কোন বান্দাকে তদ্রূপ দিতে আমরা কখনও দেখিনি। তাঁর দুই আঁখি তো নিদ্রা যায় কিন্তু তাঁর হৃদয় হল জাগ্রত। তোমরা তাঁর একটা উদাহরণ বর্ণনা কর।
এক অধিকর্তা একটি প্রাসাদ বানালেন। এরপর তাতে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা রাখলেন এবং লোকদেরকে এ খাদ্য ও পানীয়ের দাওয়াত দিলেন। যে ব্যক্তি এ দাওয়াত গ্রহণ করবে সে এ খাদ্য আহার করবে এবং পানীয় পান করবে। আর যে তা গ্রহণ করবে না তাকে অধিকর্তা শাস্তি দিবেন।
তারপর তারা উঠে চলে গেলেন। আর এই সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ও জেগে উঠলেন। বললেনঃ এঁরা যা বলেছেন সবই আমি শুনেছি। তুমি কি জান এরা কারা?
আমি বললামঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এরা হলেন ফিরিশতা। তাঁরা যে উদাহরণটি দিয়েছেন তা বুঝতে পেরেছে?
আমি বললামঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ তাদের উদাহরণটির ব্যাখ্যা হল, দয়াময় জান্নাত নির্মাণ করেছেন। এর দিকে তার বান্দাদের তিনি দাওয়াত দিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর ডাকে সাড়া দিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যে সাড়া দিবে না তাকে তিনি শাস্তি দিবেন।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব-সহীহ। আবু তামীমা হুজায়মী (রাহঃ) এর নাম হল তরীফ ইবনে মুজালিদ। আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মালল। সুলাইমান তায়মী (রাহঃ) হলেন ইবনে তারখান। তিনি মূলত তায়মী ছিলেন না। কিন্তু তিনি বনু তায়ম গোত্রে অবস্থান করতেন বলে তাদের দিকে সম্পর্কিত করে তাঁকে তায়মী বলা হয়। আলী (রাযিঃ) বলেন যে, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেছেনঃ সুলাইমান তায়মী অপেক্ষা বেশী আর কাউকে আমি আল্লাহকে ভয় করতে দেখিনি।
তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যেখানে যাওয়ার তাঁর ইচ্ছা ছিল চলে গেলেন। আমি আমার বৃত্তের ভিতর বসে রইলাম। হঠাৎ একদল লোক আমার কাছে আসল, দেখতে মনে হল (ভারতের) জাঠ জাতীয় তাদের চুল এবং শরীর সবই ছিল ওদের মত। এদের গায়ে কোন আচ্ছাদনও দেখছিলাম না আবার তাদের সতরও দেখা যাচ্ছিল না। এরা আমার কাছাকাছি আসল কিন্তু রেখা অতিক্রম করল না। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দিকে ফিরে গেল। এমনকি রাত্রির শেষ ভাগ হয়ে এল (তারা আর আসল না) কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে এলেন আমি বসা ছিলাম তিনি বললেনঃ আমি দেখছি আজকের রাত ঘুমাতে পারি নি। এরপর তিনি আমার রেখার ভিতর প্রবেশ করে আমার উরুর উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ঘুমাতেন তখন জোরে জোরে শ্বাস ফেলতেন।
আমি বসে রইলাম আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার উরুতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ আমি কিছু লোক দেখতে পেলাম। তাদের পরনে ছিল সাদা পোশাক। আল্লাহ্ই জানেন কি সৌন্দর্য যে তাঁদের ছিল! তারা আমার কাছে বসে গেলেন। এরপর পরস্পর বললেনঃ এ নবীকে যা দেওয়া হয়েছে আর কোন বান্দাকে তদ্রূপ দিতে আমরা কখনও দেখিনি। তাঁর দুই আঁখি তো নিদ্রা যায় কিন্তু তাঁর হৃদয় হল জাগ্রত। তোমরা তাঁর একটা উদাহরণ বর্ণনা কর।
এক অধিকর্তা একটি প্রাসাদ বানালেন। এরপর তাতে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা রাখলেন এবং লোকদেরকে এ খাদ্য ও পানীয়ের দাওয়াত দিলেন। যে ব্যক্তি এ দাওয়াত গ্রহণ করবে সে এ খাদ্য আহার করবে এবং পানীয় পান করবে। আর যে তা গ্রহণ করবে না তাকে অধিকর্তা শাস্তি দিবেন।
তারপর তারা উঠে চলে গেলেন। আর এই সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ও জেগে উঠলেন। বললেনঃ এঁরা যা বলেছেন সবই আমি শুনেছি। তুমি কি জান এরা কারা?
আমি বললামঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এরা হলেন ফিরিশতা। তাঁরা যে উদাহরণটি দিয়েছেন তা বুঝতে পেরেছে?
আমি বললামঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ তাদের উদাহরণটির ব্যাখ্যা হল, দয়াময় জান্নাত নির্মাণ করেছেন। এর দিকে তার বান্দাদের তিনি দাওয়াত দিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর ডাকে সাড়া দিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যে সাড়া দিবে না তাকে তিনি শাস্তি দিবেন।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব-সহীহ। আবু তামীমা হুজায়মী (রাহঃ) এর নাম হল তরীফ ইবনে মুজালিদ। আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মালল। সুলাইমান তায়মী (রাহঃ) হলেন ইবনে তারখান। তিনি মূলত তায়মী ছিলেন না। কিন্তু তিনি বনু তায়ম গোত্রে অবস্থান করতেন বলে তাদের দিকে সম্পর্কিত করে তাঁকে তায়মী বলা হয়। আলী (রাযিঃ) বলেন যে, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেছেনঃ সুলাইমান তায়মী অপেক্ষা বেশী আর কাউকে আমি আল্লাহকে ভয় করতে দেখিনি।
أبواب الأمثال عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَثَلِ اللهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ حَتَّى خَرَجَ بِهِ إِلَى بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَأَجْلَسَهُ ثُمَّ خَطَّ عَلَيْهِ خَطًّا ثُمَّ قَالَ " لاَ تَبْرَحَنَّ خَطَّكَ فَإِنَّهُ سَيَنْتَهِي إِلَيْكَ رِجَالٌ فَلاَ تُكَلِّمْهُمْ فَإِنَّهُمْ لاَ يُكَلِّمُونَكَ " . قَالَ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ أَرَادَ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ فِي خَطِّي إِذْ أَتَانِي رِجَالٌ كَأَنَّهُمُ الزُّطُّ أَشْعَارُهُمْ وَأَجْسَامُهُمْ لاَ أَرَى عَوْرَةً وَلاَ أَرَى قِشْرًا وَيَنْتَهُونَ إِلَىَّ لاَ يُجَاوِزُونَ الْخَطَّ ثُمَّ يَصْدُرُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ لَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ جَاءَنِي وَأَنَا جَالِسٌ فَقَالَ " لَقَدْ أَرَانِي مُنْذُ اللَّيْلَةَ " . ثُمَّ دَخَلَ عَلَىَّ فِي خَطِّي فَتَوَسَّدَ فَخِذِي فَرَقَدَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَقَدَ نَفَخَ فَبَيْنَا أَنَا قَاعِدٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَسِّدٌ فَخِذِي إِذَا أَنَا بِرِجَالٍ عَلَيْهِمْ ثِيَابٌ بِيضٌ اللَّهُ أَعْلَمُ مَا بِهِمْ مِنَ الْجَمَالِ فَانْتَهَوْا إِلَىَّ فَجَلَسَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالُوا بَيْنَهُمْ مَا رَأَيْنَا عَبْدًا قَطُّ أُوتِيَ مِثْلَ مَا أُوتِيَ هَذَا النَّبِيُّ إِنَّ عَيْنَيْهِ تَنَامَانِ وَقَلْبُهُ يَقْظَانُ اضْرِبُوا لَهُ مَثَلاً مَثَلُ سَيِّدٍ بَنَى قَصْرًا ثُمَّ جَعَلَ مَأْدُبَةً فَدَعَا النَّاسَ إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ فَمَنْ أَجَابَهُ أَكَلَ مِنْ طَعَامِهِ وَشَرِبَ مِنْ شَرَابِهِ وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ عَاقَبَهُ أَوْ قَالَ عَذَّبَهُ - ثُمَّ ارْتَفَعُوا وَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ فَقَالَ " سَمِعْتَ مَا قَالَ هَؤُلاَءِ وَهَلْ تَدْرِي مَنْ هَؤُلاَءِ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " هُمُ الْمَلاَئِكَةُ أَفَتَدْرِي مَا الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوا " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوا الرَّحْمَنُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى بَنَى الْجَنَّةَ وَدَعَا إِلَيْهَا عِبَادَهُ فَمَنْ أَجَابَهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ عَاقَبَهُ أَوْ عَذَّبَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو تَمِيمَةَ هُوَ الْهُجَيْمِيُّ وَاسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَسُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْهُ مُعْتَمِرٌ وَهُوَ سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ وَلَمْ يَكُنْ تَيْمِيًّا وَإِنَّمَا كَانَ يَنْزِلُ بَنِي تَيْمٍ فَنُسِبَ إِلَيْهِمْ . قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَا رَأَيْتُ أَخْوَفَ لِلَّهِ تَعَالَى مِنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ .