আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৪
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা সাবা
৩২২৪. নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন নবী (ﷺ) তাঁর কয়েকজন সাহাবী নিয়ে বসা ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি নক্ষত্র ছিটকে পড়ল। এতে চতুর্দিক আলোকিত হয়ে উঠল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ জাহিলী যুগে যখন এমন হতে দেখতে তখন তোমরা কি বলতে?
তারা বললেনঃ আমরা বলতাম, বিরাট কোন ব্যক্তি মারা যাবেন কিংবা বিরাট কেউ জন্ম গ্রহণ করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ কারো মৃত্যুতে কিংবা কারো জন্মগ্রহণে নক্ষত্র ছুঁড়ে মারা হয় না। বস্তত বিষয় হল বরকতময় নাম সম্পন্ন আমাদের মহান প্রভু যখন কিছুর ফায়সালা দেন তখন আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করতে থাকেন। এরপর তাদের নিকটস্থ আসমানের ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করেন। এরপর তাদের নিকটস্থ যারা তাসবীহ পাঠ করেন। এই ভাবে এই আসমানে এসে তা শেষ হয় তারপর ষষ্ঠ আসমানের ফিরিশতাগণ সপ্তম আসমানবাসীদের জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনাদের রব কি বলেছেন?
তাঁরা তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এইভাবে প্রত্যেক আসমানবাসীগণ তাদের নিকটস্থ আসমানবাসীগণের নিকট জিজ্ঞাসা করে এই বিষয়ে অবহিত হন। শেষে দুনিয়ার এই আসমানে এসে ঐ খবর পৌঁছে। শয়তানরা সে খবর চুরি করে শোনার তৎপরতা চালায়। তখন তাদের বিরুদ্ধে উল্কা পিন্ড ছুঁড়ে মারা হয় তারা তা তাদের বন্ধুদের (জ্যোতিষী, যাদুকর ইত্যাদি) কাছে দ্রুত নিক্ষেপ করে। এর ঠিক ঠিক যা নিয়ে আসতে পারে তা হয় সত্য। কিন্তু এর সাথে তারা বিকৃতি ঘটায় এবং অনেক কিছু (নিজেদের থেকে) বাড়িয়ে দেয়।
তারা বললেনঃ আমরা বলতাম, বিরাট কোন ব্যক্তি মারা যাবেন কিংবা বিরাট কেউ জন্ম গ্রহণ করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ কারো মৃত্যুতে কিংবা কারো জন্মগ্রহণে নক্ষত্র ছুঁড়ে মারা হয় না। বস্তত বিষয় হল বরকতময় নাম সম্পন্ন আমাদের মহান প্রভু যখন কিছুর ফায়সালা দেন তখন আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করতে থাকেন। এরপর তাদের নিকটস্থ আসমানের ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করেন। এরপর তাদের নিকটস্থ যারা তাসবীহ পাঠ করেন। এই ভাবে এই আসমানে এসে তা শেষ হয় তারপর ষষ্ঠ আসমানের ফিরিশতাগণ সপ্তম আসমানবাসীদের জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনাদের রব কি বলেছেন?
তাঁরা তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এইভাবে প্রত্যেক আসমানবাসীগণ তাদের নিকটস্থ আসমানবাসীগণের নিকট জিজ্ঞাসা করে এই বিষয়ে অবহিত হন। শেষে দুনিয়ার এই আসমানে এসে ঐ খবর পৌঁছে। শয়তানরা সে খবর চুরি করে শোনার তৎপরতা চালায়। তখন তাদের বিরুদ্ধে উল্কা পিন্ড ছুঁড়ে মারা হয় তারা তা তাদের বন্ধুদের (জ্যোতিষী, যাদুকর ইত্যাদি) কাছে দ্রুত নিক্ষেপ করে। এর ঠিক ঠিক যা নিয়ে আসতে পারে তা হয় সত্য। কিন্তু এর সাথে তারা বিকৃতি ঘটায় এবং অনেক কিছু (নিজেদের থেকে) বাড়িয়ে দেয়।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ سَبَأٍ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِذْ رُمِيَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ لِمِثْلِ هَذَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ " . قَالُوا كُنَّا نَقُولُ يَمُوتُ عَظِيمٌ أَوْ يُولَدُ عَظِيمٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّهُ لاَ يُرْمَى بِهِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ رَبَّنَا عَزَّ وَجَلَّ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ لَهُ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ إِلَى هَذِهِ السَّمَاءِ ثُمَّ سَأَلَ أَهْلُ السَّمَاءِ السَّادِسَةِ أَهْلَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالَ فَيُخْبِرُونَهُمْ ثُمَّ يَسْتَخْبِرُ أَهْلُ كُلِّ سَمَاءٍ حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ أَهْلَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَتَخْتَطِفُ الشَّيَاطِينُ السَّمْعَ فَيُرْمَوْنَ فَيَقْذِفُونَهَا إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يُحَرِّفُونَ وَيَزِيدُونَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رِجَالٍ، مِنَ الأَنْصَارِ رضى الله عنهم قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رِجَالٍ مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رِجَالٍ، مِنَ الأَنْصَارِ رضى الله عنهم قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رِجَالٍ مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ .