আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩২৭
 কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা মুদ্দাছছির
৩৩২৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ ইয়াহুদীদের কিছু লোক একবার কিছু সংখ্যক সাহাবীকে বললঃ তোমাদের নবী কি জানেন জাহান্নামের রক্ষীদের সংখ্যা কত? সাহাবীরা বললেনঃ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা পর্যন্ত তো আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না।
এক ব্যক্তি তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল হে মুহাম্মাদ! আপনার সাহাবীরা তো আজ পরাজিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ কিসে তারা পরাজিত হল? লোকটি বললঃ ইয়াহুদীরা জিজ্ঞাসা করেছিল, তোমাদের নবী কি জানেন জাহান্নামের রক্ষীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেনঃ তারা কি জওয়ব দিল? লোকটি বললঃ তারা বলল, আমাদের নবী(ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তো আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
তিনি বললেনঃ যে বিষয়ে তারা জানে না সে বিষয়ে যদি কোন সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন যদি তারা বলে, আমরা আমাদের নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না - তবে তাতে কি এ লোকদের কে পরাজিত বলা যায়? তারা তো তাদের নবীকেও প্রশ্ন করেছিল। বলেছিলঃ আল্লাহকে আমাদের চাক্ষুস দেখিয়ে দিন। আল্লাহর এ দুশমনদের আমার কাছে আসতে বল। আমি তাদেরকে জান্নাতের মাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। আর তা হল ময়দার মত।
এরা যখন এল, তখন বললঃ হে আবুল কাসিম! জাহান্নামের রক্ষীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেন এত এবং এত। প্রথমবার দশ এবং দ্বিতীয় বার নয় বলে ঈঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ ঠিক। নবী (ﷺ) তাদের বলেনঃ জান্নাতের মাটি কিসের? তারা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল পরে বললঃ এত রুটির মত। নবী(ﷺ) বললেন ময়দার রুটির মত।
এক ব্যক্তি তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল হে মুহাম্মাদ! আপনার সাহাবীরা তো আজ পরাজিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ কিসে তারা পরাজিত হল? লোকটি বললঃ ইয়াহুদীরা জিজ্ঞাসা করেছিল, তোমাদের নবী কি জানেন জাহান্নামের রক্ষীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেনঃ তারা কি জওয়ব দিল? লোকটি বললঃ তারা বলল, আমাদের নবী(ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তো আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
তিনি বললেনঃ যে বিষয়ে তারা জানে না সে বিষয়ে যদি কোন সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন যদি তারা বলে, আমরা আমাদের নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না - তবে তাতে কি এ লোকদের কে পরাজিত বলা যায়? তারা তো তাদের নবীকেও প্রশ্ন করেছিল। বলেছিলঃ আল্লাহকে আমাদের চাক্ষুস দেখিয়ে দিন। আল্লাহর এ দুশমনদের আমার কাছে আসতে বল। আমি তাদেরকে জান্নাতের মাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। আর তা হল ময়দার মত।
এরা যখন এল, তখন বললঃ হে আবুল কাসিম! জাহান্নামের রক্ষীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেন এত এবং এত। প্রথমবার দশ এবং দ্বিতীয় বার নয় বলে ঈঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ ঠিক। নবী (ﷺ) তাদের বলেনঃ জান্নাতের মাটি কিসের? তারা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল পরে বললঃ এত রুটির মত। নবী(ﷺ) বললেন ময়দার রুটির মত।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الْمُدَّثِّرِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ نَاسٌ مِنَ الْيَهُودِ لأُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ يَعْلَمُ نَبِيُّكُمْ كَمْ عَدَدُ خَزَنَةِ جَهَنَّمَ قَالُوا لاَ نَدْرِي حَتَّى نَسْأَلَ نَبِيَّنَا . فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ غُلِبَ أَصْحَابُكَ الْيَوْمَ . قَالَ " وَبِمَ غُلِبُوا " . قَالَ سَأَلَهُمْ يَهُودُ هَلْ يَعْلَمُ نَبِيُّكُمْ كَمْ عَدَدُ خَزَنَةِ جَهَنَّمَ قَالَ " فَمَا قَالُوا " . قَالَ قَالُوا لاَ نَدْرِي حَتَّى نَسْأَلَ نَبِيَّنَا . قَالَ " أَفَغُلِبَ قَوْمٌ سُئِلُوا عَمَّا لاَ يَعْلَمُونَ فَقَالُوا لاَ نَعْلَمُ حَتَّى نَسْأَلَ نَبِيَّنَا لَكِنَّهُمْ قَدْ سَأَلُوا نَبِيَّهُمْ فَقَالُوا أَرِنَا اللَّهَ جَهْرَةً عَلَىَّ بِأَعْدَاءِ اللَّهِ إِنِّي سَائِلُهُمْ عَنْ تُرْبَةِ الْجَنَّةِ وَهِيَ الدَّرْمَكُ " . فَلَمَّا جَاءُوا قَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ كَمْ عَدَدُ خَزَنَةِ جَهَنَّمَ قَالَ " هَكَذَا وَهَكَذَا " . فِي مَرَّةٍ عَشْرَةٌ وَفِي مَرَّةٍ تِسْعٌ . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا تُرْبَةُ الْجَنَّةِ " . قَالَ فَسَكَتُوا هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالُوا خُبْزَةٌ يَا أَبَا الْقَاسِمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخُبْزُ مِنَ الدَّرْمَكِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ .