মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৩০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩০। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পবিত্র মৃত্তিকা মুসলমানের জন্য পবিত্রকারক। যদিও সে দশ বছরেও পানি না পায়। যখন পানি পাবে তখন সে যেন তার চর্মে পানি স্পর্শ করায়। এটাই তার জন্য উত্তম। -আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ
নাসায়ী ঐরূপ দশ বছর পানি না পায় কথাটি পর্যন্ত রেওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الطهارة
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ وَضُوءُ الْمُسلم وَإِن لم يجد لاماء عشر سِنِين فغذا وجد المَاء فليمسه بشره فَإِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ

وَرَوَى النَّسَائِيُّ نَحْوَهُ إِلَى قَوْلِهِ: عَشْرَ سِنِين

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তায়াম্মুমের সময়ের কোন সীমারেখা নেই। বরং যত দিন পানি না পাওয়া যাবে ততদিন তায়াম্মুম চলবে। তবে যে সমস্যার কারণে তায়াম্মুম করেছিলো সে কারণ দূর হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভেঙ্গে যাবে। কেউ যদি পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করে নামাযে দাঁড়ায় এবং নামাযের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী পানি দেখে তাহলে তার তায়াম্মুম এবং নামায উভয়টিই ভেঙ্গে যাবে। (হিদায়া: ১/৫২)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান