মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬৪৮
- নামাযের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৪৮। হযরত যিয়াদ ইবনে হারেছ সুদায়ী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, আযান দাও ফজরের নামাযের জন্য; সুতরাং আমি আযান দিলাম। তারপর বেলাল (রাযিঃ) একামত বলতে চাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সুদায়ী আযান দিয়েছে। যে আযান দিবে সে একামতও বলবে। -তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَن زِيَاد بن الْحَارِث الصدائي قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن أؤذن فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ» فَأَذَّنْتُ فَأَرَادَ بِلَالٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن أَخا صداء قد أذن وَمن أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীসে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা উত্তম। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯৬) অবশ্য আযান দাতার মনোকষ্টের কারণ না হলে অন্য কেউ ইকামাত দেয়াও বৈধ আছে। কেননা এটা অধিকারের বিষয়। অতএব, কেউ তার নিজের অধিকার ছেড়ে দিলে শরীআতে কোন বাঁধা নেই। আর যদি সে নিজের অধিকার না ছাড়ে তাহলে অন্য কারো জন্য ইকামাত দেয়া মাকরূহ হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান